সঠিকভাবে বক্ষবন্ধনি (ব্রা)-র সাইজ পরিমাপ করুন

সঠিকভাবে বক্ষবন্ধনি (ব্রা)-র সাইজ পরিমাপ করুন

বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন,আমাদের দেশের  ৮৫% নারী ভুল সাইজের বক্ষবন্ধনী/ব্রা ব্যবহার করেন! তারা হয়তো পিছনের অংশ খুব বড় এবং কাপ (সামনের অংশ) খুব ছোট সাইজের পরছেন। মজার বিষয় হলো অনেকেই নিজের ব্রার সঠিক মাপ জানেন নাএবং  সঠিক মাপের ব্রা নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে যান। ফলে ক্যান্সার সহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়। কিন্তু সঠিক মাপের ব্রা পরিধান করলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। নিচের পদ্ধতি অনুযায়ী ছবির সাথে মিলিয়ে নিজের সাইজ নিজেই বের করতে পারেন।
চিত্রঃসঠিকভাবে বক্ষবন্ধনি/ব্রা সাইজ পরিমাপ
সঠিকভাবে বক্ষবন্ধনি/ব্রা সাইজ পরিমাপ

# প্রথম ধাপ- ব্যান্ড / বন্ধনী (ঘের)সাইজ এর মাপ নিনঃ

একটি ইঞ্চি টেপ (কাপড় মাপার ফিতা) নিয়ে প্রথমে স্তনের ঠিক নিচেই আলতো ভাবে ফিতা ধরুন। নিঃশ্বাস ত্যাগ করুন, ফুসফুস থেকে সমস্ত বাতাস বের করে দিন। ফিতা ও শরীরের মাঝে এক আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁকা রেখে পুরো ঘেরের মাপ নিন। ৩০, ৩২, ৩৪, ৩৬, ৩৮ যাই হোক যদি আপনার মাপটি বেজোড় সংখ্যায় আসে তবে ৫ ইঞ্চি যোগ করুন, আর জোড়সংখ্যায় আসলে ৪ ইঞ্চি যোগ করুন। আর এটাই হবে আপনার প্রকৃত ব্যান্ড (ঘের) সাইজ। দশমিক সংখ্যা এলে তার কাছাকাছি পূর্ণ সংখ্যা ধরবেন। যেমন, ২৮.৫ ইঞ্চি বা এর কম হলে ২৮ ইঞ্চি ধরবেন। ২৮.৬ ইঞ্চি বা এর বেশি হলে ২৯ ধরবেন।  যেমন স্তনের নিচের মাপ পেলে ২৯ ইঞ্চি, তাহলে ৫ ইঞ্চি যোগ করুন=৩৪ ইঞ্চি। আর এই মাপ যদি ৩২ ইঞ্চি হয় তবে ৪ ইঞ্চি যোগ করুন= ৩৬ ইঞ্চি হবে আপনার ব্যান্ড সাইজ।
চিত্রঃব্যান্ড/বন্ধনী/ঘের সাইজ পরিমাপ
ব্যান্ড/বন্ধনী/ঘের সাইজ পরিমাপ
# দ্বিতীয় ধাপ- কাপ সাইজ নির্ধরনঃ
এবার স্তনের সর্বোচ্চ স্ফিত অংশে ফিতা ধরে মাপ নিন। এই মাপ থেকে আপনার ব্যান্ড সাইজ-এর মাপ বাদ দিলেই আপনার কাপ সাইজ বেরিয়ে আসবে। যেমন আপনার ব্যান্ড  সাইজ ৩৪, আর স্তনের মাপ এলো ৩৭। তাহলে আপনার ব্রার সাইজ ৩৪ সি। প্রতি ইঞ্চিতে এক সাইজ বেড়ে যায়। ১"= এ, ২" = বি, ৩"= সি. ৪"=ডি ইত্যাদি।
চিত্রঃ কাপ সাইজ পরিমাপ
কাপ সাইজ পরিমাপ
উদাহরনঃ
যদি: ব্যাণ্ডের সাইজের মাপ (২৮+৪=) ৩২
এবং: কাপের সাইজের মাপ ৩৫
বিয়োগ করে পাই: ৩৫-৩২=৩, অর্থাৎ “সি”
তাহলে আপনার ব্রার সাইজ হবে “৩২সি”
চিত্রঃসঠিক সাইজ মাপার উদাহরণ
সঠিক সাইজ মাপার উদাহরণ
যেহেতু গঠন এবং আকৃতির ভিত্তিতে প্রত্যেক নারীর স্তনের সাইজ ভিন্ন (এমনকি একই নারীর দুই স্তনের আকারেও ভিন্ততা থাকতে পারে। মনে রাখবেন স্তন সাইজ মাপার সময় মোটা কাপড়ের উপর থেকে কখনওই মাপ নেবেন না। এতে সঠিক মাপ পাবেন না। উপরের পদ্ধতিতে যেসকল ব্রা আপনার সাইজের মনে হলো তা ট্রায়াল দিয়ে দেখতে পারেন কোন সাইজ আপনার জন্য আরামদায়ক। আপনাকে কয়েক সাইজের ব্রা পরিধান করে দেখতে হতে পারে, এমনকি ভিন্ন কোম্পানীর কিংবা ডিজাইনের ভিন্নতার কারনে একই সাইজ লিখিত থাকলেও তা আপনার উপযোগী ব্রা নাও হতে পারে। কারন কোম্পানী এবং ডিজাইন ভেদে একই সাইজের ব্রা ছোট বড় লাগতে পারে।

কাপ সাইজের পার্থক্যঃ
০”-১/২” AA
১/২”- ১” A
২” B
৩” C
৪” D
৫” DD or E
৬” DDD or F
৭” G
৮” H
৯” I
১০” J
A = ছোট
B = মাঝারি
C = বড়
D = বেশি বড়
E = অনেক বেশি বড়
কাপ সাইজগুলো হচ্ছেঃ AA, A, B, C, D, DD, E, F, FF, G, GG, H, HH, J, JJ, K, KK, L, LL
তথ্যসূত্র ও ছবিঃ ইন্টারনেট

No comments:

Post a Comment

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি!

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি! নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি! শীত, গরম বা বর্ষাকালেও খুশকির যন্ত্রনা যেন মেটে না। পার্লারের আহাম...

Our Popular Posts