শারীরিক গঠন অনুযায়ী পোশাক নির্বাচনের টিপস
ফ্যাশনেবল পোশাকে তারুণ্যকে তুলে ধরতে সবাই কম-বেশি ব্যস্ত। তবে নিজেকে ফ্যাশনেবল করে তুলতে শরীরের আকার-আকৃতির, বডিশেপ বুঝে পোশাক নির্বাচন করতে হয়। কারণ আমাদের শরীরের আকৃতিতে রয়েছে ভিন্নতা। শারীরিক গঠন যেমনই হোক না কেন, শারীরিক গঠন অনুসারে পোশাক বেছে নেওয়া দরকার। নিজেকে সুন্দর ও আকর্ষনীয় দেখাতে তাই শারীরিক গঠন অনুযায়ী পোশাক নির্বাচনের জন্য রইল কিছু টিপসঃ![]() |
শারীরিক গঠন অনুযায়ী পোশাক নির্বাচনের টিপস। ছবিঃ সংগৃহীত |
১। যাদের উচ্চতা খুব বেশি নয়, তারা বেশি ঢোলা দেখা যায় এমন সালোয়ার বা প্যান্ট পরবেন না। খাটো পোশাক তাদের জন্য একেবারেই বেমানান। তারা সেমি লং টাইপের পোশাক বেছে নিন।
২। যারা একটু মোটা তারা সবসময় লম্বালম্বি সরু স্ট্রাইপের পোশাক বেছে নিন। দেখতে ভালো লাগবে এমনকি লম্বাও দেখাবে বেশ।
৩। যাদের শরীর নিচের চেয়ে উপরের অংশ বেশি মোটা, তারা একটু লং আর ডিপ রঙের পোশাক পরুন। মেচিং করা পোশাক ভালো মানাবে।
৪। যাদের শরীর খুব বেশি মোটা, তারা স্ট্রেইট অল্প ঘেরের কামিজে মানাবে। আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা বড় প্রিন্টের পোশাক এদের জন্য একেবারেই বেমানান।
৫। আবার যারা খুব বেশি চিকন ও লম্বা, আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা বড় প্রিন্টের পোশাক বেছে নিন। এ ধরনের পোশাক তাদের বেশ মানাবে।
৬। অতিরিক্ত মোটা মেয়েদের জিন্স ব্যবহার করার ক্ষেত্রে স্ট্রেইট কাট ও ন্যারো কাট এড়িয়ে চলুন। কামিজের সঙ্গে টাইটস, লেংগিস বা জেংগিস মানাবে।
৭। মেয়েরা একটু পাতলা টাইপের যেমন সফট সিল্ক, ক্রেপ সিল্ক বা জর্জেট শাড়ি পরুন। অফিস বা যে কোনো জায়গায় এসব পোশাক পরতে পারেন। পার্টিতে তসর সিল্ক বা সিল্ক বেনারসি পরতে পারেন।
৮। লম্বা মেয়েরা ব্লাউজ পরার ক্ষেত্রে ছোট প্রিন্টের বা চেকের ব্লাউজ বেছে নিন। কামিজ বা ব্লাউজের গলা বেশি বড় পরবেন না। কলারওয়ালা পোশাকে ভি বা ইউ গলা ভালো মানাবে। এ ছাড়া থ্রি কোয়ার্টার হাতার পোশাক নিশ্চিন্তে পরতে পারেন।
৯। লম্বা ফ্যাটি শরীরে শার্ট পরার ক্ষেত্রে একরঙা, লম্বা ও কোনাকুনি স্ট্রাইপের শার্ট ভালো মানাবে। সঙ্গে ডিপ কালারের প্যান্ট পরবেন।
১০। স্টাইলিশ ও ফ্যাশনেবল লুকের জন্য বেল বা ডিভাইডার হাতা পোশাক বেছে নিন। মোটা মেয়েদের এ পোশাকে দারুণ মানায়।
No comments:
Post a Comment