কাশির যন্ত্রনা নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায়
প্রচন্ড গরমের শেষে চলে আসছে শীত। তবে ঋতু পরিবর্তনের এইসময়ে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে। হঠাত এই আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য সর্দি, কাশি, জ্বরের কবলে পড়তে হচ্ছে আমাদের।এছাড়াও বিভিন্ন কারণে কাশি হতে পারে। এর মধ্যে ফুসফুসের সমস্যা, অ্যালার্জি, অ্যাজমা, এসিড সমস্যা, শুষ্ক আবহাওয়া, ধূমপান, এমনকি কিছু ওষুধ সেবনের ফলেও কাশি হতে পারে। তবে কাশি যদি হালকা ও স্বল্পস্থায়ী হয় তাহলে আপনি ঘরোয়া উপায়েই তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে পারবেন।![]() |
কাশির যন্ত্রনা নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায় |
আদা চাঃ গলা খুশখুসে ভাব এবং শ্লেষ্মা দূর করতে সাহায্য করে আদা চা। ২ কাপ পানিতে আদা দিয়ে ফুটিয়ে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করলে খুশখুসে ভাব দূর হয়ে যাবে।
লেবু ও মধুর মিশ্রণঃ মধু কাশি কমাতে সাহায্য করে। মধু কখনো কখনো কাশিরোধী ওষুধগুলোর চেয়েও ভালো কাজ করে এবং গলাব্যথাও কমায়। লেবু ও মধুর মিশ্রণ গলার ভেতরের ইনফ্লেমেশন কমায় এবং ঠাণ্ডা লেগে গলার ভেতর সরু হয়ে আসার ফলে যে সমস্যা তৈরি হয় তা দূর করে।
দারুচিনিঃ গলা ব্যথা, ঠান্ডা লাগা, কফ সারাতে দারুচিনি খুবই উপকারী। এতে অ্যান্টি ফাংগাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান রয়েছে। ১ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ৩ দিন ২ থেকে ৩ বার খান।
তুলসী পাতাঃ জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, ব্রঙ্কাইটিস, ম্যালেরিয়া এবং আরও অনেক রোগের উপশমকারী উপাদান হিসেবে ব্যবহার করুন তুলসী পাতার রস। এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিবায়োটিক এবং আরও অনেক উপাদান রয়েছে।
কাঁচাহলুদঃ হলুদ বেশ কার্যকরভাবে কাশি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে এক টুকরো কাচাহলুদের রস এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি দ্রুত কাশি কমাতে সাহায্য করে।
চিকেন স্যুপঃ ঠাণ্ডা-সর্দি ও খুসখুসে কাশি কমাতে গরম পানীয়ের মধ্যে অন্যতম চিকেন স্যুপ। কারণ চিকেন স্যুপে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা গলা খুসখুসের জন্য দায়ী ভাইরাস এবং মিউকাস কমায়।
রসুনঃ রসুনের গুণাগুণ অনেক। ভাইরাল ফিভার, ঠান্ডা লাগার মতো অসুখের প্রতিরোধ করতে রসুন খুব উপকারী। শুধু ঠান্ডা লাগাই নয়, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রন কোলেস্টেরল, হার্ট অ্যাটাক এবং স্টোক প্রতিরোধেও রসুন খুব কাজে দেয়। ছবিঃ সংগৃহীত
No comments:
Post a Comment