শরীরের গড়ন অনুযায়ী হউক শাড়ির বাছাই
নারীর সঙ্গে শাড়ি, দুটি শব্দ জড়িত। বাঙালি নারী বলতে যেনো একজন শাড়ি পরিহিতাকেই আমরা মনের চোখে কল্পনা করি। আধুনিককালে প্রতিদিন না পড়লেও বিশেষ দিনগুলোতে বাঙালি নারীদের অধিকাংশকেই দেখা যায় শাড়িতে। এমনকি অনেক কর্পোরেট ক্ষেত্রেও শাড়ি ইদানীং একটি আধুনিক ফ্যাশন। ১২ হাতের এই পোশাকটি যদি শারীরিক গঠনের সঙ্গে মানানসই হয় তাহলেই ফুটে ওঠে শাড়ি পড়ার আসল সোন্দর্য। তাই শাড়ি বাছাই করার সময় আপনিও খেয়াল রাখুন কিছু দিকঃসাজপোশাক-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, খাটো, লম্বা বা মাঝারি গড়ন হিসেবে শাড়িও পড়তে হবে মানানসই ভাবে। শাড়ি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রধানত কাপড়ের ধরন ও রংয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হয়। নিজের জন্য কোন ধরনের শাড়ি উপযুক্ত তা বোঝার জন্য আগে বিভিন্ন ধরনের শাড়ি পরে দেখা যেতে পারে। তবে উচ্চতা, ওজন ও শারীরিক গঠন ইত্যাদি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। এরপর যেতে হবে শাড়ির কাপড় এবং নকশার দিকে।
![]() |
শরীরের গড়ন অনুযায়ী হউক শাড়ির বাছাই। ছবিঃ সংগৃহীত |
>> হাল্কা পাতলা গড়নের মেয়েদের শাড়ি বাছাইয়ে স্বাধীনতা বেশি। চাইলে এমন শাড়ি বেছে নিতে পারেন যাতে স্বাভাবিক শারীরিক গঠন ফুটে উঠবে বা এমন কাপড়ের শাড়ি বেছে নিন যাতে দেখতে কিছুটা মোটা লাগবে।
>> যারা তুলনামূলক বেশি চিকন স্বাস্থ্যের তারা সুতি, খাদি, সিল্ক ইত্যাদি শাড়ি পরতে পারেন। এই ধরনের শাড়িগুলো হালকা ফুলে থাকে। তাই সুন্দরভাবে গুছিয়ে পরলে দেখতে বেশ মানানসই লাগে।
>> তবে রংয়ের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যেকোনো রং বাছাই করা যেতে পারে। চাইলে আঁচলে, কাঁধের কাছে বা কোমরের অংশে কিছুটা কাজ করা করা শাড়ি বাছাই করা যেতে পারে।
>> স্বাস্থ্যবান বা স্থূল গড়ন হলে, হালকা ও পাতলা কাপড় যেমন- জর্জেট, ক্রেপ, শিফন ইত্যাদি কিছুটা ভারী শারীরিক গঠন যাদের তাদের জন্য উপযোগী।
>>ভারী কাপড়ে ও নকশায় তৈরি শাড়ি যেমন- সুতি, কাতান, বেনারসি ইত্যাদি পরলে কিছুটা ফুলে থাকে। ফলে আরও স্ফিত দেখাতে পারে।
>> হালকা রংয়ের পরিমিত এম্ব্রয়ডারি করা শাড়ি এই ধরনের শারীরিক গঠনের জন্য আদর্শ। নকশা ছাড়া শাড়ির ক্ষেত্রে গাঢ় রংগুলো প্রাধান্য দিতে পারেন। কারণ কালো বা এর আশপাশের গাঢ় রংগুলো পরার ফলে শারীরিক গঠন কিছুটা চাপা দেখায়।
>> খাটো গড়নের মেয়েরা প্রথমেই বেছে নিন গাঢ় রংয়ের শাড়ি। এতে দেখতে কিছুটা লম্বা লাগবে। চওড়া পাড়ের শাড়ি কখনও খাটোদের জন্য উপযোগী নয়। কারণ দেখতে আরও খাটো লাগতে পারে।
>> উচ্চতায় কম হলে, ব্লাউজের হাতা লম্বা রাখুন। এতে হাত দেখতে কিছুটা লম্বা লাগবে। গলা বেশি মোটা না হলে চায়নিজ কলারের ব্লাউজ বেছে নিতে পারেন। আর নিজেকে কিছুটা লম্বা হিসেবে উপস্থাপন করতে সুন্দরভাবে ভাঁজ গুছিয়ে শাড়ি পরুন।
>> লম্বা গড়নের মেয়েদের শাড়িতে স্বাভাবিকভাবেই দেখতে কিছুটা লম্বা লাগে। তারা ভারী কাজ করা কালো বা গাঢ় রংয়ের আকর্ষণীয় ছাঁটের ব্লাউজ বেছে নিন। প্রিন্টের শাড়ি লম্বাদের জন্য আদর্শ। অনুষ্ঠানের জন্য ল্যাহেঙ্গা শাড়ি বেশি মানানসই।
No comments:
Post a Comment