আর নয় সমালোচনা!

আর নয় সমালোচনা!

পরিবারিক কিংবা গল্পের ছলে আমরা প্রায় সময়ই কারও না কারও সমালোচনা করি। ইসলামী পরিভাষায় গীবত করে থাকি। কিছুই না, শুধুমাত্র মনের খোরাক যোগাতেই সমালোচনার আসরে বসে পড়ি। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি এই সমালোচনা করার ফলে আমাদের ব্যক্তিত্ব ও সম্পর্কগুলোতে কী ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে? আপনি হয়তো খেয়ালও করে দেখেন নি যে, এই সমালোচনার ফলে আপনার আশেপাশের সম্পর্কগুলোতে ধীরে ধীরে মরিচা পড়ছে। তাই আপনাকেই বলছি, আর সমালোচনা নয়। সমালোচনা আগে একবার ভাবুন-
১। যারা অনবরত সমালোচনায় অভ্যস্ত তারা চারপাশের কোনো ঘটনাকেই ইতিবাচকভাবে নিতে পারেন না। আশেপাশে ঘটা সব ঘটনাগুলোর মাঝেই তারা নেতিবাচক দিক খুঁজতে থাকেন। এতে করে তাদের চিন্তায় সাফল্য আসে না।
২। সমালোচনা একজন ব্যক্তিকে এটা ভাবতে বাধ্য করে যে, হয়ত তারই কোনো ভুলের জন্য এমনটা হচ্ছে আর এ কারণে সে কোনো উদ্যোগী কাজে মনোযোগী হতে পারে না।
৩। যখন কারো সামনে অন্য কারো সমালোচনা করা হয় সেই যদি চুপ থাকে তার মানে এই নয় যে সেও আপনাকে সমর্থন করে। হয়তো আপনাকে তখন কিছু বলছে না কিন্তু আপনার সম্পর্কে তার মনেও বিরুপ ধারনা জন্ম নেয়।
চিত্রঃপরচর্চা
সমালোচনা, পরচর্চা জীবনে অশান্তি আনে। ছবিঃ সংগৃহীত
৪। ধ্বংসাত্মক সমালোচনা একজনকে তার কাজে, জীবনে চলার পথে নিরুৎসাহিত করে তোলে। তার জীবনের অনুপেরণাগুলোকে গলা টিপে মেরে ফেলে।
৫। কথায় আছে, ক্রোধে ক্রোধ জন্মায়। কেউ কেউ নিজের সমালোচনা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে পড়েন। একসময় ভেতরে ভেতরে সমালোচনাকারীর প্রতি রাগ পোষণ করেন। আর সুযোগ পেলেই সেই রাগ সহিংসতায় পরিণত করেন।
৬। সমালোচনা যে একজনের জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে তা আমরা আন্দাজ করতে পারি না। সমালোচনা একজনকে মানসিক ও শারীরিকভাবে বিকারগ্রস্থও করে তুলতে পারে।
৭। একজনের সম্পর্কে নেতিবাচক কোনো মন্তব্য তার জীবনে স্থায়ী ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারে। আপনি ভাবতেও পারবেন না সমালোচনা একজনকে কতটা নীচে নামিয়ে দিতে পারে। মারভিন জে অ্যাশটন বলেন, ‘অনবরত সমালোচনা একজনকে এতটাই নিচে নামায় যে সে নিজেকে ক্রমশঃ দুর্বল মনে করতে থাকে।’

No comments:

Post a Comment

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি!

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি! নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি! শীত, গরম বা বর্ষাকালেও খুশকির যন্ত্রনা যেন মেটে না। পার্লারের আহাম...

Our Popular Posts