লিপস্টিকের ক্ষতিকর উপাদান
ঠোঁটকে আরো আকর্ষণীয় ও মোহময়ী করতে লিপস্টিকের জুড়ি নেই। আর আধুনিক মেয়েদের ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গ লিপস্টিক। বাড়ি থেকে বেরুনোর আগে ঠোঁটে একটু বুলিয়ে নেওয়া অনেকেরই অভ্যাস। তারা সৌন্দর্যচর্চায় লিপস্টিককে অপরিহার্য বলেই মনে করেন। কিন্তু ঠোঁটের শোভা বাড়ালেও, লিপস্টিকের রয়েছে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। কয়েকটি ক্ষতিকারক উপাদান রয়েছে লিপস্টিকে। তবে তা খুব সামান্য মাত্রার হলেও প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহার করলে এই উপাদানগুলো থেকেই ঠোঁটের ত্বকে নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।![]() |
লিপেস্টিকের ক্ষতিকর উপাদান |
লিপস্টিকের গায়ে ম্যানুফ্যাকচারিং এজেন্ট হিসেবে সিসা থাকার কথা উল্লেখ না থাকলেও, বেশ কয়েকটি গবেষণা থেকে জানা গেছে, লিপস্টিকে রয়েছে সিসা। শুধু সিসাই নয়, কিছু ব্র্যান্ডের লিপস্টিকে কোবাল্ট, ক্যাডমিয়াম ও টাইটেনিয়ামের মতো ধাতুও পাওয়া গেছে। বারবার জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটলে বা খাবারের সঙ্গে শরীরে ঢুকে পড়ে এইসব উপাদান। যা থেকে ক্ষতি হতে পারে স্বাস্থ্যের।সীসার এই বেশি পরিমাণ মাত্রা মানবদেহের মস্তিষ্কে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আর এই ক্ষেত্রে লিপস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাবের দিকটি আরো বেশি। গবেষকেরা বলছেন, সামান্য পরিমাণ সীসাও স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। গাঢ় রঙের শেডে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় থাকে এসব ধাতু। তাই চেষ্টা করুন গাঢ় রঙ এড়িয়ে চলার।
আজকাল পার্টি, বিয়েতে কিংবা অফিসেও অনেকেই লং লাস্টিং শেড ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। কোনো কোনো ব্র্যান্ডের লং লাস্টিং লিপস্টিকে কৃত্রিম স্টেবিলাইজার থাকে, যা থেকে হতে পারে ক্যানসার। গাঢ় রঙকে হালকা করার জন্য দেওয়া হয় টাইটেনিয়াম ডাই-অক্সাইডের মতো উপাদান। গ্লিটারযুক্ত লিপগ্লসেও থাকতে পারে অভ্র। এই ধাতুগুলো থেকে ঠোঁটে গোটা বেরোতে পারে, ঠোঁট চুলকাতে পারে কিংবা হয়ে যেতে পারে ঠোঁট কালো। এমনটা হলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিতে হবে ওই লিপস্টিকের ব্যবহার। ধাতব উপাদান ছাড়াও লিপস্টিক ঠোঁটের স্বাভাবিক আর্দ্রতা শুষে নেয়। তাই লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটে ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিলে আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
No comments:
Post a Comment