লিপস্টিক ব্যবহারে বুদ্ধি কমে!
লিপস্টিকের প্রতি অনেক নারীরই রয়েছে বিশেষ প্রীতি। আধুনিক নারীদের রুপচর্চার অন্যতম একটি উপকরণ হচ্ছে লিপস্টিক। অনেক নারীরা তাদের প্রতিদিনের অনুষঙ্গে লিপস্টিক ছাড়া কল্পনাই করতে পারেন না। বাড়ি থেকে বেরুনোর আগে ঠোঁটে একটু বুলিয়ে নেওয়া অনেক নারীরই অভ্যাস। তাই নারীরা সৌন্দর্যচর্চায় লিপস্টিককে অপরিহার্য বলেই মনে করেন। লিপস্টিক প্রেয়সীদের জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে, লিপস্টিকে ব্যবহৃত সীসা নারীদের বুদ্ধিমত্তায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা।![]() |
লিপস্টিক ব্যবহারে বুদ্ধি কমে! |
গবেষণার জন্য তারা ২২টি ব্র্যান্ডের লিপস্টিক পরীক্ষা করেন। পরীক্ষায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লিপস্টিকগুলোর মধ্যে প্রায় ১২টিতে সীসার মাত্রা পরিমাণের চেয়ে বেশি পাওয়া যায়। সীসার এই বেশি পরিমাণ মাত্রা মানবদেহের মস্তিষ্কে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আর এই ক্ষেত্রে লিপস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাবের দিকটি আরো বেশি। গবেষকেরা বলছেন, সামান্য পরিমাণ সীসাও স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
বোস্টনের সীসার প্রভাব প্রতিরোধ কর্মসূচির চিকিৎসক ডা. সিন পালফ্রের মতে, সামান্য পরিমাণ সীসা স্বাস্থ্যের উপর ব্যাপক খারাপ প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এটি মানসিক স্থিতির উপরেও খারাপ প্রভাব ফেলে। বিশেষত, গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভজাত সন্তানের ওপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
লিপস্টিক লাগানোর ক্ষেত্রে সতর্কতাঃ
* লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটে ভালো করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিলে এটি লিপস্টিকের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে অনেকটাই ঠোঁটকে রক্ষা করবে।
* ম্যাট এবং লং লাস্টিং, গাঢ় রঙের লিপস্টিক যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
* খাবার সময় লিপস্টিক তুলে ফেলা উচিত।
* বাসায় ফিরেই লিপস্টিক তুলে ফেলতে হবে। তারপর ঠোঁটে ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিতে হবে।
*ঠোঁট থেকে চামড়া উঠলে বা ঠোঁট শুকিয়ে গেলে সেই লিপস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট।
No comments:
Post a Comment