জেনে নিন পানি পানের উপযুক্ত সময়
সুস্থ আর সুন্দর একটা জীবনের আশায় রোজ যোগব্যয়াম, খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চাসহ আরো কত কসরত্ করি আমরা। কিন্তু আপনি কি জানেন যে আপনার এই এত শত চেষ্টার কোনটাই কাজে আসবে না যদি না কেবল ঠিক সময়ে পানি পান করেন আপনি। ভাবছেন পানি পানের আবার সঠিক সময়! কিন্তু হ্যাঁ! সত্যিই পানি পান করার জন্যেও রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট সময় যে সময়গুলোতে পানি পান করলে এর উপকারিতা পুরোটুকু পাই আমরা। অন্যথায় অনেক সময় তৈরি হয় শরীরে নানারকম ঝামেলা। শরীর ভালো রাখতে স্বাভাবিক খাবারের সাথে প্রয়োজন পরিমাণ মতো পানি পান করা ও ঘুম। চিকিৎসকরা বলছেন, দিনে ৮ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করতেই হবে। তবে পানি পানেরও নিয়ম রয়েছে। চলুন জেনে নেই পানি পানের সেই সঠিক সময়গুলোকে।![]() |
পানি পানের উপযুক্ত সময়। ফটোসোর্স-clock-desktop.com |
জেনে নিন কখন কখন পানি পান করবেন:
ঘুম থেকে উঠেসকালে ঘুম থেকে উঠে দু’গ্লাস পানি পান করুন। এটি আপনাকে কেবল ঘুমঘুম ভাব থেকেই জাগিয়ে তুলবে না, বরং সচল করে তুলবে আপনার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকেও। এতে সারারাতে জমা হওয়া টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। পানি পানের জন্যে অনেকেই দাঁত মাজার পরের সময়টা বেছে নেন। বিশেষ করে সকালবেলা দাঁতটা মেজে বা রাতের খাবার খেয়ে দাঁত ব্রাশ করেই একটু পানি পান করেন অনেকেই। তবে দাঁত মাজার পরপরই পানি পান না করাটাই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। কারণ এসময় পানি পান করলে তাতে ফ্লুরাইডের মাত্রা বেশি থাকে যা আসে টুথপেস্টের অতিরিক্ত পরিমাণ ফ্লুরাইড থেকে। তাই পানি পান করতে চাইলে দাঁত ব্রাশ করার আগেই অনেকটা পান করে নিন। আর চেষ্টা করুন ব্রাশ করার ৪০-৪৫ মিনিটের ভেতরে কিছু না পান করার।
খাবারের আগে
স্বাস্থ্যকে সুন্দর করে তৈরি করতে এই একটি পদ্ধতিকে অনুসরণ করুন এবং পান প্রচন্ড ভালো ফলাফল। এটা কেবল আমাদের কথাই নয়, চিকিত্সকেরাও খাবারের ৩০ মিনিট আগে পানি পান করাকে উত্সাহ দিয়ে থাকেন ( বিজনেস ইনসাইডার )। বিশেষ করে আপনি যদি হন বেশ স্থুল। সেক্ষেত্রে খাবারের আগে পান করা পানিটুকু আপনার পেটের খালি স্থানটিকে কমাতে সাহায্য করবে।
দিনে যত বার ভারি খাবার খাবেন তার অন্তত ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস পানি পান করুন। এতে হজম ভাল হবে।
গোসলের আগে
গোসলের আগে এক গ্লাস পানি পান করুন। এই পানি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
শরীরচর্চা
যদি নিয়মিত শরীরচর্চা করার অভ্যাস থাকে তাহলে অবশ্যই শরীরচর্চার আগে ও পরে এক গ্লাস করে পানি পান করুন। এতে শরীর টক্সিনমুক্ত থাকবে এবং এনার্জি বাড়বে।
ঘুমনোর আগে
চিকিত্সকদের মতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পান করা এক গ্লাস পানি একজন মানুষের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতন ঝুঁকিগুলোকে প্রতিরোধ করে। করে তোলে অনেক বেশি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের হাত থেকেও মানুষকে দুরে রাখে ঘুমের আগে পান করা এক গ্লাস পানি।
তাই রাতে শুতে যাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে এক গ্লাস পানি পান করুন। সারাদিনের ফ্লুইডের ঘাটতি মেটাবে পানি।
কোথাও বের হওয়ার আগে
যখনই বাড়ি থেকে কোথাও বের হবেন, তার আগে এক গ্লাস পানি পান করে বের হন। এতে তেষ্টা কম পাবে। বাইরের পানি পানের প্রবণতা কমবে। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।
অসুস্থতার সময়
মানুষের শরীরে নানারকম অসুখ সবসময়ই বাসা বেঁধে থাকে। আর কিছু না হলেও একটু মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা বা মাংসপেশীর জড়তা- এমনটা ছোটখাটো বিষয় নিত্যদিনই লেগে থাকে। আর এই ছোট অথচ বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপারগুলোর হাত থেকে মুক্তি পেতেই দিনে কমপক্ষে আট গ্লাস পানি পান করবার চেষ্টা করুন। এতে করে শরীর ঘামবে, খাবার হজম হবে এবং শরীরের সমস্ত রোগ-জীবাণু বাইরে বেরিয়ে যাবে। আর সময়টা যদি হয় অসুস্থতার তবে তো কোন কথাই নেই। একটু বেশি করে পানি পান করুন অসুস্থ হয়ে গেলে।
এ ছাড়াও দিনে যখনই তেষ্টা পাবে তখনই অবশ্যই পানি পান করুন। সূত্র: ওয়েবসাইট
No comments:
Post a Comment