যে কারনে প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম খাবেন
সহজে বহন করা যায়- এমন খাবারের মধ্যে প্রথমেই আসে বাদামের কথা। এখনকার এই ব্যস্ত দিনে কাজের ফাঁকে সময় করে খাওয়ার কথা মাথাই থাকেনা। প্রায় সময় অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া হয়। কিন্তু কাজের ফাঁকে যদি প্রতিদিন অল্প করে বাদাম খাওয়া যায় তবে মন্দ হয় না। বাদাম শুধু খেতেই যে অসাধারণ তা নয়, নানা পুষ্টিগুনেও ভরপুর। যার ফলে এই বাদাম বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বাদামের ধরণঃ
বাদাম বলতে সব ধরণের বাদামকেই এক্ষেত্রে ধরা হয়, যেমন- চিনাবাদাম, আখরোট, কাজু , আমন্ড, পেস্তা, চেস্ট নাট, ব্রাজিলনাট প্রভৃতি।
বাদামের মধ্যে যা থাকে
আকারে ছোট হলেও সকল প্রকার খাদ্য গুণাগুণ বাদামে বর্তমান। যেমন- ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, লিউটিন, জিজ্যানথিনের মতো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এতে আরো আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি৩, ফলিক অ্যাসিড ও প্রোটিন রয়েছে। কাঁচা বাদামের চেয়ে ভেজে খাওয়া বাদামে পুষ্টিগুণ আরও বেশি। তাই প্রতিদিন বাড়তি টাকা খরচ করে অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস না খেয়ে বাদাম খান নিশ্চিন্তে।
বাদাম বলতে সব ধরণের বাদামকেই এক্ষেত্রে ধরা হয়, যেমন- চিনাবাদাম, আখরোট, কাজু , আমন্ড, পেস্তা, চেস্ট নাট, ব্রাজিলনাট প্রভৃতি।
বাদামের মধ্যে যা থাকে
আকারে ছোট হলেও সকল প্রকার খাদ্য গুণাগুণ বাদামে বর্তমান। যেমন- ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, লিউটিন, জিজ্যানথিনের মতো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এতে আরো আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি৩, ফলিক অ্যাসিড ও প্রোটিন রয়েছে। কাঁচা বাদামের চেয়ে ভেজে খাওয়া বাদামে পুষ্টিগুণ আরও বেশি। তাই প্রতিদিন বাড়তি টাকা খরচ করে অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস না খেয়ে বাদাম খান নিশ্চিন্তে।
হৃদপিণ্ডের সুস্থতার জন্য
খাবারের সঙ্গে বাদাম যুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। খাবারের সঙ্গে বাদাম মিশিয়ে খেলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক থেকে দূরে থাকা যায়। বাদাম হচ্ছে শক্তি, প্রোটিন ও ভালো চর্বির উৎস। বাদামে প্রচুর পরিমাণে মনো আন স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা হৃদপিণ্ডের জন্য খুব উপকারি। ভেজে নিলে এতে পলিফেনলের পরিমাণও বেশি হয়। বাদামে থাকা ভিটামিন ই, ফলিক অ্যাসিড, নিয়াসিন ও ম্যাঙ্গানিজ হার্টের জন্য খুব ভালো। এতে কো এনজাইম কিউ টেন এর পরিমাণ অনেক যা আপনাকে হৃদরোগ থেকে দূরে রাখবে।স্মৃতিভ্রংশ প্রতিরোধে
আলঝেইমার মানে স্মৃতি নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগ নিরাময়ে বাদাম উপকারি। এতে নিয়াসিন বেশি থাকে যা আলঝেইমার রোধ করে ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়।![]() |
সুস্থতার জন্য পুষ্টিগুনে ভরপুর বাদাম খান |
হাই কোলেস্টেরল
আখরোট ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড , ফাইবার , ভিটামিন ই ইত্যাদি থাকায়, নিয়মিত কিছু পরিমানে আখরোট খেতে পারলে রক্তের মধ্যে বেড়ে যাওয়া কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক হয়।গলব্লাডারের পাথর রোধে
বাদামে প্রচুর প্রোটিন থাকে। গবেষকরা বলেছেন, নিয়মিত বাদাম খেলে তা গলব্লাডারের পাথর হওয়া রোধ করে।শারীরিক বিকাশে প্রয়োজনীয়
দুর্বল স্বাস্থ্য ও কম ওজন যাদের, তারা নিয়মিত বাদাম খেতে পারেন। উঠতি বয়সী শিশুদের জন্যও বাদাম খুব উপকারি, কারণ এতে প্রচুর অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে।ত্বক
দূষণের প্রভাব থেকে ত্বককে মুক্ত করতে এবং বিভিন্ন ফাংগাল ও ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমান বাদাম খেলে ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল হয়।
ক্যান্সার
আমন্ডের মধ্যে ওলেয়িক অ্যাসিড , সেলে নিয়াম , ভিটামিন ই এবং বিভিন্ন ফাইটো কেমিক্যালস ক্যানসার প্রতিরোধে খুবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।শরীরের টক্সিন দূর করতে
বাদামে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে। আর তাই শরীর থেকে টক্সিন অর্থাৎ ক্ষতিকারক উপাদান বের করে ওজন কমাতে সাহায্য করে বাদাম।গর্ভবতী নারীদের জন্য
গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভবতী নারীরা নিয়মিত বাদাম খেলে তাদের সন্তানের অ্যাজমা হওয়ার আশংকা কমে যায়।হতাশা কমাতে
আপনি যদি হতাশায় ভোগেন, তাহলে বাদাম খান। এতে আছে ট্রিপটোফান, যা সেরোটনিন মুক্ত করে হতাশা দমনে সাহায্য করে।হাঁপানি
যারা দীর্ঘদিন ধরে হাঁপানিতে ভুগছেন, তারা যদি নিয়মিত গরম দুধের সঙ্গে আখরোট খান তাহলে হাঁপানিতে অনেক রিলিফ পাওয়া যায়।এছাড়া পাকস্থলির ক্যানসারসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার ও স্ট্রোক রোধে বাদাম খুব উপকারি। তাই প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম খান, সুস্থ থাকুন। সুস্থতার জন্য অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি প্রতিদিন বাদাম খেতে পারেন।
No comments:
Post a Comment