চুলের পরিচর্যায় ক্যাস্টর অয়েল

চুলের পরিচর্যায় ক্যাস্টর অয়েল

চুলের যত্নে আমরা নানা কিছুরই ব্যবহার করে থাকি। সুস্থ ও সুন্দর চুলের প্রত্যাশা থাকে প্রত্যেকেরই। সুন্দর ও ঝলমলে চুল পেতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ক্যাস্টর অয়েল। ক্যাস্টর অয়েলে রয়েছে ভিটামিন ই, মিনরেলস, প্রোটিন, অ্যাসেন্সিয়াল ফ্যাটি এসিড। যা চুল পড়া রোধ করার পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। ক্যাস্টর অয়েল এমন একটি তেল যা প্রায় সকল হেয়ার ট্রিটমেন্টে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেয়া যাক চুলের পরিচর্যায় ক্যাস্টর অয়েলের ব্যবহার পদ্ধতিঃ
চিত্রঃচুলের পরিচর্যায় ক্যাস্টর অয়েল
চুলের পরিচর্যায় ক্যাস্টর অয়েল

১। এক চা চামচ মধু, দুই চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল এবং একটি ডিম ভালোমতো মিশিয়ে চুলে ভালোমতো লাগান। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি আপনার নিষ্প্রাণ এবং রুক্ষ চুলের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে একে নরম করবে।
২। ক্যাস্টর অয়েল, নারকেল তেল এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভালোমতো মিশিয়ে চুলে এবং স্ক্যাল্পে ভালোমতো লাগিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
৩। ক্যাস্টর অয়েল খুব ঘন তাই এটি চুলে লাগানোর আগে রেগুলার চুলের তেল (নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, বাদাম তেল) এর সঙ্গে মিশিয়ে লাগান। স্ক্যাল্পে ভালোমতো ম্যাসেজ করে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা রাখতে হবে। চুলে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। আরও ভালো ফল চাইলে তেল লাগিয়ে সারারাত রেখে দিতে পারেন।
৪। সমান পরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল, তিলের তেল এবং অলিভ অয়েল ভালো মতো মিশিয়ে চুলে এবং স্ক্যাল্পে ভালো মতো লাগিয়ে গরম তোয়ালে দিয়ে পেঁচিযে ৩০ মিনিট রাখুন। এরপর শ্যাম্পূ করে ফেলুন। এটি একটি খুবই কার্যকর হেয়ার টনিক হিসেবে কাজ করে যা চুল এবং স্ক্যাল্পকে খুব ভালো ভাবে কন্ডিশন্ড করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৫। চুলের গ্রোথ বাড়ানোর জন্য হট অয়েল ট্রিটমেন্ট হিসেবেও ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে তেল গরম করে নিতে হবে। প্রক্রিয়া টি সহজ করার জন্য ক্যাস্টর অয়েলের বোতলটি গরম পানির একটি গ্লাসে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর স্ক্যাল্পে ভালো মতো ম্যাসাজ করূন।

টিপসঃ
* যদি ক্যাস্টর অয়েল অন্য কোনো তেলের সাথে না মিশিয়ে মাথায় লাগাতে চান, তবে খুব অল্প পরিমাণ তেল নিবেন এবং শুধু স্ক্যাল্পে লাগবেন। কারণ ক্যাস্টর অয়েল খুব ঘন হওয়ায় এটি পুরো চুলে লাগালে পরে উঠানো নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে।

জেনে নিন ঠান্ডা এবং সর্দির সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়

জেনে নিন ঠান্ডা এবং সর্দির সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় 

এটা ঠান্ডা এবং সর্দি ঋতু ভিত্তিক রোগ। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেকেই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। অনেকের আবার এলার্জিগত কারণেও ঠান্ডা লেগে থেকে। কারণ যাই হোক যদিও এটি একটি সাধারণ ব্যাপার কিন্তু এটি অত্যন্ত বিরক্তিকর অসুখ। চলুন জেনে নেই সর্দি নিরাময়ের কয়েকটি পদ্ধতি।
চিত্রঃজেনে নিন ঠান্ডা এবং সর্দি সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়
জেনে নিন ঠান্ডা এবং সর্দি সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় 
– প্রচুর পরিমানে পানি পান করুণ। এটা নিজেকে জলয়োজিত, আর্দ্র এবং সংক্রমণ থেকে গুরে রাখবে। সাইনাস এর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও পানি পান করা আবশ্যক।

– সবসময় একটি উষ্ণ পরিবেশে থাকুন। বেশি সময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে থাকলে মাথা ব্যাথা মাথাব্যাথা, ঠান্ডা এবং সর্দি হতে পারে। তাছাড়া এটি সর্দিকে জমিয়ে শক্ত করে দেয়।

– ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া বাড়িয়ে দিন। কমলালেবু, স্ট্রবেরি এবং অন্যান্য সাইট্রাস জাতীয় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খান। অন্যথা, আপনি ভিটামিন সি ট্যাবলেটও গ্রহণ করতে পারেন। নিয়মিত লেবু খান। লেবুতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি, যা ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করে।

-স্যালাইন নাসাল স্প্রে ব্যাবহার করতে পারেন। এটি শ্লেষ্মা পাতলা করে নাক পরিষ্কার করে দিতে সাহায্য করবে। ও শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যাঘাত রোধ করবে।

– আদা সর্দি প্রতিবন্ধক করতে সাহায্য করবে। প্রতিদিন তিনবার, কয়েক টুকরা কাঁচা আদা চিবিয়ে খেলে ঠাণ্ডার উপশম হয়। এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর প্রাকৃতিক ঘরোয়া প্রতিকার।

– রাতে শোয়ার আগে সরিষার তেল বা ঘি হালকা গরম করে শুঁকলে বা হাত, পা ও বুকে মালিশ করলে সর্দী-ঠান্ডা দূর হয় এবং প্রতিরোধ প্রতিরোধ হয়।

– সর্দি হলে, আলতো করে আপনার নাক ঝেরে ফেলুন এবং কখনো শ্লেষ্মা গিল্বেন না। এতে অবস্থার পরিবর্তন না হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। ছবি, তথ্যঃ সংগৃহীত

সর্দিতে করণীয়

সর্দিতে করণীয়

গরম কমে যাওয়া, বৃষ্টি সাথে নিন্মচাপের কারন বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন ধরনের ভাইরাল অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে সবাই। বিশেষ করে সর্দির রোগীর দেখা মিলছে প্রতিটি পরিবারে। তাই যদি নিজের একটু খেয়াল রাখতে পারেন, তাহলে পরবর্তী রোগের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যায়। বিশেষ করে খাবারের ব্যাপারে একটু সতর্কতা অবলম্বন করলেই রোগ প্রতিরোধ করা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
চিত্রঃসর্দিতে করনীয়
সর্দিতে করনীয়
*মৌসুমি ফলমূল সর্দিকাশি প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি ভিটামিন সি জাতীয় ফল খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন।
*খাদ্যতালিকায় রাখুন বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার। যেমন – অ্যাপ্রিকট, গাজর, ব্রকোলি ইত্যাদি। কারণ বিটা-ক্যারোটিন নাক ও ফুসফুসে সর্দি জমতে দেয় না।
*ফ্লু বা ভাইরাল ফিভার হলে পথ্য হিসেবে চিকেন স্যুপ খুব কাজে দেয়। সর্দি হলে রুচিও চলে যায়। এসময় গরম গরম চিকেন স্যুপ যেমন খেতে ভালো লাগবে তেমনি জমে থাকা সর্দিও সরিয়ে দিতে সাহায্য করবে।
*সর্দির সাথে যদি কাশি হয় তাহলে তুলসী ও আদার রস খুব উপকারে দেয়। ফুটন্ত পানিতে তুলসী পাতা ও আদা দিয়ে ভালো করে ফোটান। ঈষদুষ্ণ এই মিশ্রণ খুশখুশে কাশি দূর করবে ও বুকে কফ জমতে দেবে না।
*আধা চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ার সাথে দুই চা চামচ মধু ও অল্প আদার রস মিশিয়ে খেতে পারেন।
*আদার রসের সাথে মধু ও মেথিগুঁড়া মিশিয়ে খান। গলাব্যথা থাকলে কমে যাবে।
*ফুটন্ত পানিতে দারুচিনি, লবঙ্গ, মধু, গোলমরিচ, থেঁতো করা তুলসী পাতা ও আদা দিয়ে ভালো করে ফোটান। হালকা গরম অবস্থায় বার বার চুমুক দিয়ে খান। সর্দি ভেতর থেকে বেরিয়ে যাবে। গলাব্যথাও কমে যাবে।
*খাবারের পাশাপাশি বিশ্রামও আপনাকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করবে। দিনে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমান।
*সর্দিকাশি ও জ্বরের সাথে লড়তে সাহায্য করে ভিটামিন সি। সর্দির সময় রক্তে হিস্টামিন নামক এক প্রকার উপাদান বেশি বেড়ে যায়। ফলে নাকেমুখে একটা দমবন্ধ ভাব লাগে। ভিটামিন সি হিস্টামিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এছাড়া ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকা মজবুত করে ইনফেকশন প্রতিরোধ করে। খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি যুক্ত খাবার রাখুন। সর্দিজ্বরের সময় লেবু, টমেটো প্রতিদিনের খাবারে খান। ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্টও খেতে পারেন।
*রসুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিও প্রতিরোধে সাহায্য করে। দুই টুকরা কাঁচা রসুন খান প্রতিদিন। গলা খুশখুশ করলে মুখে লবঙ্গ রাখতে পারেন। গলায় আরাম পাবেন, জিভের আড়ষ্টতাও কাটবে।
*সর্দিতে পানীয় গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রচুর পরিমাণে পানি খান। সাথে আদা চা, সরবত, ডাবের পানি, জুস, স্যুপ ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে খান। কারণ তরল পদার্থ জমে থাকা সর্দি শরীর থেকে বের করে দিতে সহায়তা করে।
*অতিরিক্ত কফি বা অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন এ সময়।
*অ্যালার্জির ধাত থাকলে নিয়মকানুন মেনে চলুন। নয়তো শ্বাসনালি বা ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
অসুস্থতায় নিজের যত্নের পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শেরও প্রয়োজন আছে। ৪৮ ঘণ্টার পরেও জ্বর না কমলে ডাক্তার দেখান। কান, গলা বা মুখের কোনো অংশে যন্ত্রণা হলে, শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হলে, হলুদ বা সবুজ কফ বেরোলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। ছবি, তথ্যসূত্রঃ সংগৃহীত

সর্দিতে জীবন অতিষ্ট?

সর্দিতে জীবন অতিষ্ট?

শীত যেন চলেই এলো। চারিদিকে ঠান্ডায় আত্রান্ত হচ্ছে মানুষ। সর্দি কাশিতে ভুগছেন আপনিও। নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝড়ছে, বার বার হাঁচি দিচ্ছেন। এসবের ভেতরেও যেহেতু সময় কাটাতে হবে জেনে নিন এই অবস্থায় একটু আরাম পেতে আপনার যা করনীয়।
চিত্রঃ সর্দিতে করনীয়। ছবিঃ সংগৃহীত
সর্দিতে করনীয়। ছবিঃ সংগৃহীত
সবার আগে হাঁচি থেকে বাঁচার উপায় জেনে নিন। ঘন ঘন হাঁচি দেয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আদাকুঁচি চিবাতে পারেন। এছাড়াও ১/২ চামচ আদার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করতে পারেন। আবার রসুনের তীব্র ঘ্রান হাঁচির জন্য মারাত্মক। তাই আদা দেয়া স্যুপ পান করার পাশাপাশি রসুনের কোয়া টিস্যুতে পেচিয়ে নাকের সামনে ধরতে পারেন। এছাড়াও-

নজেল স্প্রেঃ নাকের পানির সঙ্গে সর্দি বের হয়ে যায়, তাই পানি বন্ধ করাটা ঠিক হবে না। এজন্য সঙ্গে রাখুন নজেল স্প্রে। স্প্রে সর্দিকে পাতলা করে খুব সহজে নাক দিয়ে বের করে দিবে। ভালো ভাবে নাক ঝেড়ে নিলে অনেকক্ষণ আরাম পাওয়া যাবে। নজেল স্প্রে একনাগারে এক সপ্তাহের বেশি ব্যবহার করবেন না।

ভিক্স ইনহেলারঃ স্প্রে ব্যবহার না করলে ভিক্স ইনহেলার সাথে রাখুন। যখনই নাক বন্ধ ভাব অনুভূতি হবে হাল্কা করে টান দিন, নাকের বন্ধ ভাব কমবে এবং স্বাভাবিক শ্বাস নিতে সুবিধা হবে।

পেট্রোলিয়াম জেলিঃ বারবার নাকের পানি মোছার কারণে চামড়ায় ঘষা লেগে তা ছুলে যায় এবং জলতে থাকে। যত পাতলা কাপড় বা টিস্যু ব্যবহার করুন না কেন, এই সমস্যা দেখা দিবেই। তাই প্রতিবার নাক মোছার পর স্থানটিতে ভেসলিন বা মেরিল জাতীয় পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাবেন।

গরম পানীয়ঃ ঠান্ডা লাগলে গরম খাবার, স্যুপ বা কুসুম গরম পানীয় আরাম দেবে। এতে মাথা ধরার সমস্যাও কমে আসবে। তাই কাজের ফাঁকে ও লাঞ্চে গরম পানীয় জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।

মশলা চাঃ সর্দিতে সবথেকে বেশি আরামের হচ্ছে মশলা দেয়া রঙ চা বা লাল চা পান করা। সেই জন্য এইসময়ে দুধ চায়ের পরিবর্তে আপনি পান করুন লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি এবং আদা দেয়া গরম লাল চা। এতে করে মাথা ভাড়ি হওয়া ভাব কমবে সাথে শরীরে শীত ভাব ও কম লাগবে।

তুলসী চাঃ লাল চায়ের সাথে সাথে পান করুন তুলসী চা। তুলসী চা অন্য সকল চায়ের থেকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত।

রাতে ঘুম ভালো হলে, দিনে মাথা ভার ভার লাগার সমস্যা অনেকটাই কম লাগবে। তাই দু’টো বালিশ দিয়ে মাথা সামান্য উচু রেখে ঘুমান। চিত হয়ে ঘুমালে নিঃস্বাস নিতে কষ্ট হবে। তখন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে।

পিরিয়ডে সময়ে মেজাজ খিটখিটে!

পিরিয়ডে সময়ে মেজাজ খিটখিটে!

পিরিয়ডের সময় বেশ অস্বস্তিতে ভুগতে হয় মেয়েদের। এসময় আসলে মেয়েদের শরীরে হরমোনের নানারকম পরিবর্তন হয়। মেয়েদের শরীরে একটা গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হল ইস্ট্রোজেন। এটি আমাদের মুডকে ঠিক রাখতেও সাহায্য করে। পিরিয়ড শুরু হলে শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নেমে যায়। ফলে তখন মুড ঘন ঘন অফ হয়। মেজাজ ঠিক থাকে না। এছাড়া পেটে ব্যথা তো একটা সাধারণ সমস্যা। এসময় কোনো কাজও করতে ইচ্ছে করে না। অল্পেতেই মাথা গরম হয়ে যায়। ব্যথার সঙ্গে সামলে নিতে হয় নিজের মেজাজকেও। কারন এই সময়টায় খুব বেশি মুড সুইং (মেজাজ পরিবর্তন) করে। আশেপাশের অনেকেই আপনার এমন ঘনঘন মেজাজের হেরফের নিয়ে বিরক্ত হন। পরিস্থিতি সামলে নিতে না পেরে আপনিও বিব্রত হয়ে পড়েন।
চিত্রঃপিরিয়ডে সময়ে মেজাজ খিটখিটে! ছবিঃ সংগৃহীত
পিরিয়ডে সময়ে মেজাজ খিটখিটে! ছবিঃ সংগৃহীত
পিরিয়ডের কারণে মুড সুইংয়ের সবচেয়ে পরিচিত ধরণগুলো হলো- রেগে যাওয়া, খিটখিটে আচরণ করা, বেশি কান্না পাওয়া, বার বার খাওয়ার ইচ্ছা করা,মাথা ব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করা, বমি বমি ভাব, স্তন ফুলে যাওয়া, অল্পতেই অবসাদ অনুভব করা, বিষন্নতায় ভোগা, অস্থিরতা ও নার্ভাস হওয়া। ধূমপান, অনিয়মিত ঘুম, স্ট্রেসের মতো সমস্যা যাদের আছে, তাদের মুড সুইং বেশি হয়। মুড সুইংয়ের এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে নিজেকে অ্যাকটিভ ও ইতিবাচক রাখার চেষ্টা করুন। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে রাখুন ব্যথাও। তাহলে দেখবেন আপনার মুড এতো সহজেই বিগড়ে যাচ্ছে না। এ সময়ে মেজাজ কন্ট্রোল করতে যা করতে পারেনঃ

১। ২০ মিনিটের জন্য হাঁটার মতো হালকা ব্যায়াম করুন।
২। ব্যথায় আরাম পেতে লাল চা, গরম স্যুপ পান করুন, তবে ক্যাফেইন নয়।
৩। তলপেটে এবং পিঠে ব্যথা হলে গরম পানির বোতল ধরে রাখুন।
৪। পছন্দের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। অন্যভাবে চিন্তা করার চেষ্টা করুন।
৫। এ সময় যাদের ঘন ঘন ক্ষুধা লাগে, তারা কিছুক্ষণ পরপর অল্প অল্প করে হালকা খাবার খাবেন। খুব বেশি চটপটে বা ঝাল খাবার নয়।
৬। রিল্যাক্সে থাকতে গান শুনুন, মেডিটেশন বা ম্যাসাজ করুন।
৭। নেগেটিভ এবংবিরক্তিকর মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলুন।
৮। পিরিয়ডের সময় শরীরে এনার্জির স্বল্পতা অনুভব হয়। তাই নিজেকে প্রেসারে না রেখে চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।
৯। শর্করা, আমিষ, আয়রণ বা লৌহ, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
১০। কম লবণযুক্ত খাবার  এবং প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পানকরুন।

শাড়ি বুঝে ব্লাউজ নির্বাচন করুন

শাড়ি বুঝে ব্লাউজ নির্বাচন করুন

শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ মিলিয়ে পরার ক্ষেত্রে নারীদের জুড়ি নেই। মার্কেট থেকে পছন্দের কোনো শাড়ি কেনার সময়ই ব্লাউজের চিন্তা মাথায় ঢুকে। মানানসই রঙের ব্লাউজ না হলে শাড়ির সৌন্দর্যও যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আর তাই প্রত্যেক নারীর কাছে ব্লাউজ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
যে ব্লাউজ ই পরুন না কেন সেটা যেন হয় আপনার বয়স, পরিবেশ এবং শরীরের মাপের সাথে মানানসই। তাই ব্লাউজের ক্ষেত্রে  আগে আপনার শাড়ির ধরণ বুঝে তারপরে ব্লাউজ নির্বাচনের  করুন।
চিত্রঃশাড়ি বুঝে ব্লাউজ নির্বাচন করুন
শাড়ি বুঝে ব্লাউজ নির্বাচন করুন। ছবিঃসংগৃহীত

১। জর্জেট, সিল্ক, মসলিনের মতো স্বচ্ছ শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ নিয়ে ভাবনাটা একটু বেশিই থাকে। এ ক্ষেত্রে বেছে নিন মখমলের ব্লাউজ।
২। মখমখ ফ্রেবিকসে এমনিতেই বেশ গর্জিয়াস লুক পাওয়া যায়। আরেকটু জমকালো চাইলে গলায় এমব্রয়ডারি নকশা হতে পারে। পেছনে বোতাম দিলে ব্যবহারে আরাম পাওয়া যাবে। পার্ল বা স্টোনের অর্নামেন্টাল বোতাম ব্যবহার করতে পারেন।
৩। একটু গাঢ় রঙের স্লিভলেস মখমল ব্লাউজ যেকোনো প্রিন্টেড শাড়ির সঙ্গে অনায়াসে মানিয়ে যাবে।
৪। একরঙা শাড়ির ক্ষেত্রে ব্লাউজের রঙের বিপরীতে যেকোনো শাড়িই মানানসই হবে। রাতের অনুষ্ঠানে গর্জিয়াস শাড়ির সঙ্গেও এই ব্লাউজ ব্যবহার হতে পারে। আবার দিনের দাওয়াতে আরামদায়ক ছিমছাম শাড়িকেও বাড়তি আভিজাত্য জোগাবে।
৫। ফ্যাশন ডিজাইনারের মতে , ‘সংগ্রহে একটা কাতান ব্লাউজ থাকলে শাড়ি-ব্লাউজ মানানসইয়ের চিন্তা করতে হবে না। বিশেষত দাওয়াত বা পার্টি সাজে বেনারসি বা কাতান তো বটেই; হাফসিল্ক, জামদানি, শিফন, পিওর সিল্ক এমনকি তাঁতের শাড়িতেও কাতান ব্লাউজ তুলনাহীন। এক রঙের বা প্লেইন পাড়ের শাড়ির সঙ্গে এ ব্লাউজ দারুণ ফুটবে।
৬। নকশাদার ছাড়াও দু-একটা একরঙা ব্লাউজ দরকার হয়। বিশেষ কোনো উপলক্ষ না থাকলে যেকোনো শাড়ির সঙ্গে মানিয়ে যায় এসব ব্লাউজ। সে ক্ষেত্রে সুতির গতানুগতিক কাটের ব্লাউজের বদলে ভাবুন ভিন্ন কিছু।
৭। একরঙা জর্জেট ফেব্রিকস নিতে পারেন। গলা ও হাতায় কোল্ড শোল্ডার কাট আর ফ্রিলের ডিজাইন রাখুন। গলার কাছে ফ্রিলের নিচে কয়েকটা কুঁচি দিলে বেশ একটা ব্যতিক্রমী লুক আসবে।
৮। গলার ক্ষেত্রেও খুব আঁটসাঁট না হয়ে বড় কাটের গলা হলে ভালো। গলার কাটে ভিন্নতা আনতে মেট্রো, ওভাল বা পানপাতা শেপ হতে পারে। পেছনে বোতাম ও গলায় ফিতের সঙ্গে মানানসই স্টোন বা পার্লের নকশাদার টারসেল ব্লাউজে জমকালো লুক আনবে।
৯। প্রত্যেকের ব্লাউজের সংগ্রহে একটা সোনালি শেডের ব্লাউজ থাকা উচিত। এ ক্ষেত্রে উজ্জ্বল গোল্ডেন না হয়ে একটু হালকা গোল্ডেন বা বিস্কিট গোল্ডেন রঙের ফেব্রিকস নির্বাচন করুন।
১০। ব্লাউজটা সব ধরনের উপলক্ষ মাথায় রেখে ডিজাইন করতে হবে। হাতায় ও গলায় ছিমছাম, মার্জিত অথচ অভিজাত নকশার জারদৌসি নকশা থাকতে পারে। ব্লাউজের পেছনের অংশের পুরোটাজুড়ে নকশা রাখুন।
১১। শাড়ি হাল্কা হলে আর ব্লাউজে বাড়তি জৌলুস যোগ করতে চাইলে গ্লাস ওয়ার্ক বা স্টোন রাখুন নকশায়। গলায় বোট কাট হতে পারে। কনুই অবধি হাফস্লিভের চল কখনোই পুরনো হয় না। ডিজাইন ও কাটিংয়ের সমীকরণ ঠিক থাকলে এই ব্লাউজটি সব সময় পরার উপযোগী হবে।
১২। তাঁতের শাড়ি ভালোবাসলে একটা সুতি চেক বা স্ট্রাইপের প্যাটার্ন ব্লাউজ বেশ কাজে দেবে। দৈনন্দিন যেকোনো উপলক্ষ থেকে শুরু করে দাওয়াত বা পার্টিতেও তাঁতের শাড়িতে গ্রহণযোগ্য করতে পারে এই ব্লাউজ।
১৩। চাইলে শিবুরি ডাই, টাইডাই ফেব্রিকসও বাছাই করতে পারেন। কাটিং প্যাটার্ন অবশ্যই ট্রেন্ডি হতে হবে। একটু ভিন্ন ধাঁচের স্লিভ, নিচের অংশে র্যাফেল অর্থাত্ ঢেউ খেলানো বায়াস কাট, হল্টারনেক বা হাইনেক বেশ ট্রেন্ডি লুক দেবে।
১৪। ফ্যাশনে হ্যান্ডপেইন্ট শাড়ি এখন হটট্রেন্ড। সিল্ক বা মসলিনে হাতে আঁকা শাড়ির ব্লাউজে একটু চুজি হতেই হয়। সে ক্ষেত্রে এমন একটি গর্জিয়াস ব্লাউজ বানাতে হবে, যেন পেইন্ট ছাড়া অন্য শাড়িতেও মানিয়ে যায়।
১৫। এমব্রয়ডারি বা কারচুপি বা জারদৌসির ফুলেল নকশা রাখুন ডিজাইনে। শাড়ির পাড়ে ফ্রিল নকশা থাকলে ব্লাউজের বর্ডারেও ফ্রিলের নকশা রাখতে পারেন। শাড়িতে ফ্রিল না থাকলেও ব্লাউজের ফ্রিলের নকশা বেমানান লাগবে না।
১৬। এখন তো শাড়ির সঙ্গে রং না মিলিয়ে বিপরীত রঙের ব্লাউজ পরার চল। যারা সব সময় একই কাটের ব্লাউজ পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, সেক্ষেত্রে তারা ভিন্নতা আনতে নজর দিন ব্লাউজের কাপড় ও নকশায়।

প্রয়োজনীয় কিছু টিপিস

প্রয়োজনীয় কিছু টিপিস
চিত্রঃপ্রয়োজনীয় কিছু টিপিস
প্রয়োজনীয় কিছু টিপিস

১। ইস্ত্রি করার সময় কাপড়ে যে জল ছেটান তাতে কয়েক ফোঁটা পারফিউম ফেলে দিন। ইস্ত্রি হওয়া গোটা কাপড়টি সুগন্ধ ধরে রাখবে।
২। সুগন্ধির শিশি সবসময় তুলো বা কাপড়ে জড়িয়ে রাখবেন। তাতে সুগন্ধি ঢের বেশি দিন টিকবে।
৩। কিছু কিছু অলংকারের তীক্ষ্ণ বা ধারালো প্রান্তের খোঁচায় পোশাক ছিঁড়ে যায় বা সুতো উঠে যায়। সেইসব ধারালো অংশে ন্যাচারাল নেলপালিশ লাগিয়ে দিন। খোঁচা লাগবে না।
৪। কাঠের ওপর বাচ্চারা আঁকিবুঁকি কাটলে তা তুলতে সিগারেটের ছাই খুব ভাল। সিগারেটের ছাই পাতলা কাপড়ে নিয়ে ঘষে ঘষে তোলা যাবে। একই কাজ হবে কেরোসিন দিয়ে।
৫। সিল্কের শাড়ি বা পোশাকে মাড় দিতে হলে, মাড়ের সঙ্গে একটু পাতলা আঠা গুলে নেবেন। পোশাক শুকিয়ে খটখটে করে ইস্ত্রি করবেন। সিল্ক ঝকঝক করবে।
৬। স্টিলের বাসন থেকে কোম্পানির নাম লেখা স্টিকারটি তোলা এক ঝামেলা। পাত্রের স্টিকার লাগানো অংশের উল্টোপিঠটা তাতিয়ে নিন। স্টিকার এবার সহজে উঠে আসবে।
৭। নতুন কেনা জিনিসপত্রের ওপর থেকে দামের লেবেল তুলতে খোঁচাখুঁচি করবেন না। লেবেলের ওপর একটু সেলোটেপ চেপে দিন। তারপর সেলোটেপের এক প্রান্ত ধরে টানলে লেবেলটি উঠে যাবে।
৮। দেওয়ালে পেরেক গাঁথার আগে পেরেকগুলো যদি ফুটন্ত গরম জলে ডুবিয়ে নেন তাহলে হাতুড়ি মারার সময় দেওয়ালের প্লাস্টার খসবে না।
৯। শক্ত করে মুখ বন্ধ একটি ছোট্ট শিশিতে কর্পূর পুরে যন্ত্রপাতির বাক্সে রেখে দিন। যন্ত্রপাতিতে মরচে পড়বে না।
১০। বেশ কিছুদিনের জন্য কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন ফ্রিজ খালি করে? ডিফ্রস্ট করে তা রেখে গেলেন। কিন্তু এসে দেখলেন দুর্গন্ধ হয়ে গেছে। দুর্গন্ধ দূর করবার জন্য যাওয়ার আগে ফ্রিজে পাতি লেবু রেখে দিন। দুর্গন্ধ হবে না।
১১। ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে সর্ষেগুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন। একটা প্লেটে কিছুটা সর্ষেগুঁড়ো ঢেলে তাতে একটু জল দিয়ে রাতভর ফ্রিজে রাখুন এবং ফ্রিজ খোলাই রাখুন। পরের দিন সকালে দেখবেন সব গন্ধ উধাও।
১২। টর্চের ফেলে দেওয়া ব্যাটারি কিন্তু কোয়ার্টিজ ঘড়িতে এবং রেডিওতে আরও মাস খানেক চলবে।
১৩। বাড়িতে আঠা ফুরিয়ে গেছে। খামে স্ট্যাম্প লাগাবেন। ন্যাচারাল কালার নেলপালিশ ব্যবহার করুন।
১৪। খামের ওপর ঠিকানা লিখে একটু মোমবাতি ঘষে দেবেন। জল পড়ে কালি থেবড়ে ঠিকানা অস্পষ্ট হয়ে যাবে না।
১৫। টেবিল বা ক্যাবিনেটের ড্রয়ার অনেক সময় আটকে যায়। স্বচ্ছন্দে খোলা বা বন্ধ করা যায় না। ড্রয়ারের ধারে মোম ঘষে রাখুন। সহজে আটকাবে না।
১৬। এক লিটার জলে দু’চার চামচ ডিটারজেণ্ট গুলে ঝাঁকিয়ে দিন। এবার স্প্রেগান বা পিচকিরিতে ভরে ঘরের আনাচে কানাচে যেখান আরশোলার উপদ্রব বেশি সেসব জায়গায় স্প্রে করে দিন। আরশোলা মরবে।
১৭। মোমবাতি জ্বালানোর আগে যদি বার্নিশ লিগিয়ে নিতে পারেন তো সাশ্রয় হবে। সহজে মোম গলবে না।
১৮। ক্যাণ্ডেল হোল্ডারে মোমবাতি বসানোর আগে একটু তেল মাখিয়ে নেবেন। ফুরিয়ে গেলে জমা মোম তুলতে অসুবিধে হবে না।
১৯। বোতলের ছিপি খুব শক্ত হয়ে আটকে গেলে, একটা রুমাল গরম জলে ভিজিয়ে নিংড়ে বোতলের ছিপির নীচে জড়িয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পরে ছিপিটি আলগা হয়ে আসবে।
২০। রাতের দিকে বেসিনের পাইপের মুখে মাঝে মাঝে আধ কাপ মত ভিনিগার ঢেলে দেবেন। সকালে দু’মগ জল ঢেলে দিলেই বেসিনের পাইপ পরিষ্কার থাকবে।

নিত্য প্রয়োজনীয় টুকিটাকি টিপস

নিত্য প্রয়োজনীয় টুকিটাকি টিপস

চিত্রঃনিত্য প্রয়োজনীয় টুকিটাকি টিপস
নিত্য প্রয়োজনীয় টুকিটাকি টিপস
১। বাচ্চাদের জামাকাপড় বা কাঁথায় যদি তার বমির দুর্গন্ধ থেকে যায়, তবে কাচার পর জলে আধ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে তাতে জামাকাপড় ডুবিয়ে নেবেন। দুর্গন্ধ দূর হবে।
২। জানালা, দরজার কাঁচ ঝকঝকে করে তুলতে মিহি চক গুঁড়োর সঙ্গে জল আর স্পিরিট অথবা কেরোসিন মিশিয়ে কিছুক্ষণ কাঁচের ওপর মাখিয়ে নিন, শুকিয়ে গেলে খবরের কাগজ দিয়ে মুছে ফেলুন।
৩। চিনির পাত্রের মধ্যে দু-চারটি লবঙ্গ দিয়ে রাখলে পিঁপড়ে ঢুকবে না।
৪। চশমা ঝকঝকে পরিষ্কার রাখতে হলে এক ফোঁটা ভিনিগার দিয়ে কাঁচ পালিশ করুন।
৫। কাঠের আসবাবপত্র ঠাণ্ডা চা-পাতা ফোটানো জল দিয়ে পালিশ করুন। ঝকঝকে হয়ে উঠবে। ফ্রিজের গায়ে দাগ ধরে গেলে স্পঞ্জে টুথপেস্ট লাগিয়ে ঘষুন। দাগ উঠে যাবে।
৬। ছানা কাটানোর জন্য লেবুর রসের বদলে ফুটন্ত দুধে ১ চামচ দই ফেলে দিন। ছানা নরম হবে।
৭। চালের গুঁড়োর পিঠে করলে সাধারণত শক্ত হয়। পিঠে করার আগে যদি চালের গুঁড়োতে কিছুটা খই মাখিয়ে নেওয়া হয় তবে পিঠে নরম হয় এবং খেতেও ভাল লাগে।
৮। গরু বা মোষের দুধ ঠিক সময় মতো গরম না করলে দুধ কেটে যাবার ভয় থাকে। দুধের মধ্যে দু-ফোঁটা সরষের তেল দিয়ে রাখলে দুধ যখনই ফোটান হোক না কেন দুধ কাটবে না।
৯। দুধ পড়ে গেলে বা দুধ থেকে পোড়া গন্ধ দূর করতে হলে তাতে পান পাতা ফেলে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। পোড়া গন্ধ কেটে যাবে।
১০। হাতব্যাগের ধাতব অংশগুলিতে ন্যাচারাল কালারের নেলপালিশের এক প্রস্থ প্রলেপ দিয়ে রাখুন। সহজে বিবর্ণ হবে না।
১১। ডিটারজেন্টের সঙ্গে একটা লেবুর রস ও এক চামচ ফিনাইল মিশিয়ে বাথরুমের টাইলস ঘষে দেখুন, কেমন ঝকঝক করে।
১২। উলের পোশাক ধোওয়ার পর এক বালতি জলে আধ চামচ গ্লিসারিন দিয়ে তাতে ডুবিয়ে নিন। পোশাকের নরম ভাব বজায় থাকবে।
১৩। রান্নার সময় হাতে হলুদেড় দাগ হলে, আলুর খোসা ছাড়িয়ে হাতে ঘষে, হাত ধুয়ে নিলে আর হলুদের দাগ থাকবে না।
১৪। সিল্কের শাড়ি বা পোশাকে মাড় দিতে হলে, মাড়ের সঙ্গে একটু পাতলা আঠা গুলে নেবেন। পোশাক শুকিয়ে খটখটে করে ইস্ত্রি করবেন। সিল্ক ঝকঝক করবে।
১৫। তুলসীপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখুন। চা তৈরীর সময় দু-চিমটি লিকারে দিয়ে দেবেন। আরো ভাল স্বাদ আসবে। নানা রোগও আটকাবে। 

ত্বকের দাগ দূর করার অসাধারণ একটি ফেসিয়াল মাস্ক

ত্বকের দাগ দূর করার অসাধারণ একটি ফেসিয়াল মাস্ক

উজ্জ্বল ও কমনীয় ত্বক সকলেরই কাম্য। প্রাকৃতিক উপায়েই ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করা যায়। তার জন্য দরকার শুধু স্বাস্থ্যবিধির নিয়োম মেনে চলা ও উপযুক্ত উপকরণ ব্যবহার করা। আসুন তবে দেখে নেই কিভাবে ত্বকের দাগ দূর করে পেতে পারেন উজ্জ্বল ত্বক।
চিত্রঃত্বকের দাগ দূর করার ফেসিয়াল মাস্ক। ছবিঃসংগৃহীত
ত্বকের দাগ দূর করার ফেসিয়াল মাস্ক। ছবিঃসংগৃহীত
একটি মাঝারি আকারের পাকা টমেটো ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। একটি পাত্রে ব্লেন্ড করা টমেটো ঢেলে নিয়ে এতে ২/৩ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে একটি ঘন পেস্টের মত তৈরি করুন। এই পেস্টটি পুরো মুখে লাগান ভালো করে। ১৫-২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে আলতো ঘষে তুলে ফেলুন। ত্বকের যে কোন দাগ দূর করতে এই মাস্কটির জুড়ি নেই। এছাড়াও এই পেস্টটি কাটা দাগ হালকা করতে বেশ কার্যকর।

এছাড়াও যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারা ২ টেবিল চামচ মধু ও ২ টেবিল চামচ টক দই ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কাঁচামরিচের স্বাস্থ্য উপকারিতা

কাঁচামরিচের স্বাস্থ্য উপকারিতা

যাদের ভাতের সাথে একটি কাঁচা মরিচ না খেলে চলেই না তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে কাঁচামরিচ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচামরিচ সাধারণত কাঁচা, রান্না কিংবা বিভিন্ন ভাজিতে দিয়ে খাওয়া হয়। এতে আছে ভিটামিন এ, সি, বি-৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং খুবই সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। ঝাল স্বাদের সবজি গুলোতে থাকে বিটা ক্যারোটিন ও আলফা ক্যারোটিন, বিটা ক্রিপ্টোক্সানথিন ও লুটেইন জিয়াক্সানথিন ইত্যাদি উপাদান। এই উপাদান গুলো মুখে লালা আনে ফলে খেতে মজা লাগে। এছাড়াও এগুলো ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। জেনে নিন কাঁচামরিচের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো। 
চিত্রঃকাঁচামরিচের স্বাস্থ্য উপকারিতা
কাঁচামরিচের স্বাস্থ্য উপকারিতা
১। গ্রীষ্মকালে মসলা জাতীয় খাবারের সাথে কাঁচা মরিচ খেলে তা ঘামের সাথে বেরিয়ে যায়, ফলে শরীর ঠান্ডা থাকে।
২। প্রতিদিন একটি করে কাঁচামরিচ খেলে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কমে যায় এবং হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা কমে যায়।
৩। সবুজ কাঁচামরিচে যেই পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে তা আমাদের ত্বকের ব্রন সমস্যা সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
৪। কাঁচামরিচ মেটাবলিসম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে।
৫। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেম কে কর্মক্ষম রাখে।
৬। নিয়মিত কাঁচামরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৭। চর্বি জাতীয় খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ খেলে মোটা হওয়ার কোনো ভয় থাকে না। কারণ কাঁচা মরিচ খাদ্যের সঙ্গে থাকা চর্বিকে ধ্বংস করে । ফলে মেদ কম রাখা সম্ভাব। এছাড়াও কাঁচা মরিচ রক্তের কোলেস্টেরল কমায়।
৮। এতে আছে ভিটামিন এ, যা হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা মাড়ি ও চুলের সুরক্ষা করে।
৯। ত্বক ও চুল ভালো রাখতে কাঁচা মরিচে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দারুণ উপকারি। তাছাড়াও রক্তনালী আর তরুনাস্থি গঠনে সাহায্য করে।
১০। নিয়মিত কাঁচামরিচ খেলে নার্ভের বিভিন্ন সমস্যা কমে।
১১। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে নার্ভের বিভিন্ন সমস্যাও কমে যায়। প্রতিদিন খাবার তালিকায় অন্তত একটি করে কাঁচা মরিচ রাখলে ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না।
১২। কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন সি। তাই যে কোনো ধরণের কাটা-ছেড়া কিংবা ঘা শুকানোর জন্য কাঁচা মরিচ খুবই উপকারী।
১৩। কাঁচা মরিচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরকে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।
১৪। সবুজ কাঁচা মরিচে ক্যাপসিসিন নামের কেমিক্যাল আছে যা ক্যানসার রোগ রোধে সহায়তা করে।
১৫। এ ছাড়াও ক্যাপসিসিন মানুষের মস্তিষ্কে একধরণের হরমোন রিলিজ করে যার কারণে মানুষের মেজাজ ভালো থাকে।

তবে কাঁচা মরিচ কাচা খাওয়া ভালো। কারণ ৩৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রার বেশি তাপমাত্রায় কাঁচামরিচ সেদ্ধ করলে কিংবা ভেজে খাওয়ার ফলে এর বিদ্যমান ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। তাই এর আসল উপকারিতা পেতে প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ কাঁচা খেতে অভ্যাস করুণ।

শীতের শুষ্কতার জন্য আপনার ত্বক প্রস্তুতি তো?

শীতের শুষ্কতার জন্য আপনার ত্বক প্রস্তুতি তো?

এই বৃষ্টিবাদল আর ঠান্ডা-গরমের নিত্য পালাবদল খেলার মাঝেই ধীর পায়ে এগিয়ে আসছে শীতকাল, সঙ্গে আসছে শুষ্ক ত্বকের বিড়ম্বনা সাথে ত্বকের নানাবিধ সমস্যা। সকালবেলা ঠোঁট তখন বেশিই শুকনো লাগতে থাকবে। রাতে শোবার আগে নজরে আসবে, অনেকটাই খসখসে লাগছে হাত-পা। শীতের রুক্ষতা ত্বকে ছাপ ফেলে যাবে আর তারপর যত্ন করবেন, বড্ড ঝামেলা হয়ে যায় তখন। তাই এখন থেকেই শুরু হোক ত্বকের বাড়তি যত্ন। এতে শীতের শুষ্কতা কমিয়ে ত্বককে করবে মসৃণ এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। শীতের আগে ত্বক কোমল এবং সুন্দর রাখার জন্য রইল কিছু টিপসঃ
চিত্রঃশীতের আগে ত্বকের প্রস্তুতি
শীতের আগে ত্বকের প্রস্তুতি

ক্রিমজাতীয় প্রসাধনীর ব্যবহারঃ জেলজাতীয় ফেইস ওয়াশ, ক্রিমগুলো তুলে রেখে দিয়ে ক্রিমজাতীয় প্রসাধনী ব্যবহার শুরু করতে হবে। ক্রিমজাতীয় প্রসাধনী সাধারণত তৈলাক্ত হয়। এটি ত্বকের উপর সুরক্ষা কবচ তৈরি করে যা শীতের দিনগুলোতে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে।

ময়েশ্চারকে ভুলবেন নাঃ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা, ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগানো আর খাদ্যাভ্যাস সঠিক রাখা, প্রাণবন্ত ত্বক পাওয়ার এগুলোই মূলকথা। বিশেষ করে রুক্ষতা যখন প্রকৃতিই দিচ্ছে, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা তখন আরো বেশি জরুরি হয়ে পড়ে। তাই শীতে ত্বকের যত্নের শুরুতে একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। বাজার থেকে বাদাম তেল বা এভাকাডো সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার কিনুন। এগুলো ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা  বজায় রাখতে সাহায্য করে। যতবার ত্বক শুষ্ক মনে হবে ততবার ব্যবহার করুন।

তেল মালিশঃ শরতের বাতাসের হাত থেকে প্রাকৃতিক আদ্রতা বাঁচাতে তেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গোসলের আগে হাতে খানিক নারকেল তেল ঢেলে নিয়ে তাতে সামান্য চিনি মেশান। এবার সেটা হাত ও পায়ে মালিশ করে নিন পাঁচ মিনিট মতন সময় নিয়ে। তারপর একটা গামলায় কুসুম গরম পানি নিয়ে তাতে হাত-পা ডুবিয়ে তেল পরিষ্কার করুন। তেল মালিশেই মিলবে ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি। ব্যবহার করা যাবে যেকোনো বেবি অয়েল বা ওলিভ অয়েল। নিয়মিত ব্যবহারে পুরো শীতকাল ত্বক থাকবে নরম, কোমল ও মসৃণ।

ভ্যাসলিন আর লিপবাম হাতের কাছে থাকুকঃ ত্বকের শুষ্কতা বিশেষ করে ঠোঁট, বারবার শুকিয়ে গিয়ে বিব্রত করতে থাকবে যখন তখন। ভ্যাসলিনের কৌটো সবসময় সামনে রাখা চাই, জানবেন তখন। আর সাথে লিপবামটা রাখা চাই বাইরে বের হলেও। গালের চামড়াও মাঝেমাঝে খসখসে লাগতে পারে, ছোট বাচ্চাদের যেমন হয় প্রায়শই। তেমন হলে রাতে শোবার আগে গালে হালকা ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুম দিন। সকালে উঠে অনেকটাই মসৃণ অনুভব করবেন ত্বক।

শীতের বন্ধু গ্লিসারিনঃ গ্লিসারিনের ছোট বোতলটা ছাড়া শীতকাল পার হবে, খুব সুখকর নাও হতে পারে ব্যাপারটা। এখন থেকেই ফেসপ্যাকে দুই/তিন ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে নেয়ার অভ্যাস করুন। পানির কিংবা গোলাপজলে মিশিয়ে পুরো শরীরেই মাঝেমাঝে গ্লিসারিন লাগানো ত্বকের জন্য খুব বেশি ভালো।

সানস্ক্রিন ব্যবহারঃ শীতের আভাস দেখা দিলেই সানস্ক্রিন ব্যবহার বন্ধ করে দেন অনেকেই। তবে এই সময়ের রোদেও ত্বকে ক্ষতি হতে পারে। শীতকালে অতিবেগুনী রশ্মী এবং পিএ+++ থেকে রক্ষা করে এমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। বাড়তি সুরক্ষা পেতে বাইরে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মাখা উচিত।

অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুনঃ গোসলের সময় আরাম অনুভব হলেও অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে মুখ, মাথা ধোয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অতিরিক্ত গরম পানি মুখের ত্বকের ফলিকলগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে যা ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।

ভেজা ত্বকের পরিচর্যা করুনঃ গোসলের পর এবং প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

পানি পান করুনঃ সব আবহাওয়াতেই ত্বক সুস্থ রাখার একটি বড় উপায় হল প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। এটি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে। শরীরের বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করে দিয়ে ত্বক আদ্র রাখে। শীতকালে ঠাণ্ডা পানি পান করতে সমস্যা হলে কুসুম গরম পানি পান করতে হবে।

এইসব অভ্যাস আবার শুরু হোক এখন থেকেই। শীতের আমেজ যেন ত্বকের শত্রু না হয়ে যায় পরে। আপনার ত্বক শীত মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুক আগেভাগেই!


ত্বকের কালো দাগ দূর করতে ব্যবহার করুন লেবু

ত্বকের কালো দাগ দূর করতে ব্যবহার করুন লেবু

রোদে পোড়া, ব্রনসহ বিভিন্ন কারনে মুখে কালো ছোপ ছোপ দাগ পরে যায়। সেক্ষেত্রে সহজ সমাধান হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন লেবু। যা প্রাকৃতিক, দামে ও সস্তা আবার হাতের কাছেই পাওয়া যায়।লেবু প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসাবে কাজ করে। তবে লেবু এই রূপচর্চাটি কেবল রাতের বেলায় করতে হবে এই কারণে যে সূর্যের আলো আপনার ত্বকে রিঅ্যাকশন করতে পারে। রাতের বেলায় রূপচর্চাটি করলে সূর্যের আলো বা গরমে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই এবং ত্বক সম্পূর্ণ ৮-১০ ঘণ্টা পাচ্ছে দাগ দূর করার জন্য।
চিত্রঃমুখের কালো দাগ দূর করতে ব্যবহার করুন লেবু
মুখের কালো দাগ দূর করতে ব্যবহার করুন লেবু
* মুখ খুব ভালো করে পরিষ্কার করে মুছে নিন। যদি স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত ত্বক হয়, তাহলে তাজা পাকা লেবুর রস (যে লেবু পেকে হলদে হয়ে গেছে, অর্থাৎ লেমন) সরাসরি মুখের কালো দাগে লাগিয়ে নিন। লেবুর রসের সাথে সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। তারপর শুকিয়ে লেবুর রস মুখে নিয়েই ঘুমিয়ে যান। স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত ত্বকে কোন সমস্যা হবে না। সকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ মুছে নিন।

* যদি শুষ্ক বা সেনসিটিভ ত্বক হয়, তাহলে পাকা লেবুর রসের সাথে মুলতানি মাটি ও মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ধোয়া মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কালো দাগ মিলিয়ে যাবে।

সতর্কতাঃ
ত্বকে লেবুর রস দেয়ার পর যদি কোন রকম চুলকানি,জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তি অনুভব হয়, তাহলে দ্রুত মুখে ধুয়ে ফেলুন এবং পুনরায় ব্যবহার করবেন না।

পনিরের তরকারি

পনিরের তরকারি 
চিত্রঃপনিরের তরকারি
পনিরের তরকারি

উপকরণঃ পনির, আলু, পেঁপে, গাজর, পটোল, তেজপাতা, কালোজিরা, কাঁচামরিচ, নারকেল, সামান্য হলুদগুড়া, চিনি, তেল, লবন।

প্রণালিঃ সবজিগুলো ধুয়ে বড় বড় করে কেটে হলুদগুড়া ও লবনসহ কড়াইতে দিয়ে অল্প তেলে হাল্কা ভেজে নিন। এরপর পনিরের টুকরা ছোট ছোট করে কেটে তেলে ভেজে নিতে হবে। এগুলো আলাদা বাটিতে উঠিয়ে রেখে কড়াইয়ে তেল ও ঘি একসঙ্গে দিয়ে তেজপাতা, সামান্য কালোজিরা, কাঁচামরিচ দিয়ে ফোড়ন দিন। এরপরে আগে থেকেই নারকেল বাটা দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে। কষানো শেষে পনিরের টুকরাসহ সব উপকরণ কড়াইয়ের মধ্যে ঢেলে দিন। কিছুক্ষন রান্না করুন। তৈরি হয়ে গেল পনিরের তরকারি।

অন্তর্বাসই বলে দেবে আপনার ব্যক্তিত্বের পরিচয়!

অন্তর্বাসই বলে দেবে আপনার ব্যক্তিত্বের পরিচয়!

বাইরের থেকে দেখে তো বোঝার উপায় নেই নারীরা ভেতরে কেমন অন্তর্বাস পরেছেন কিন্তু ভেতরের অর্ন্তবাস দেখেই বলে দেয়া যাবে এর বাইরের নারীটি কেমন। কারণ ভিতরের পোশাকেই লুকিয়ে আছে রহস্য। বাইরে নারীরা যাই পরুন না কেন, পোশাকের নীচে লুকিয়ে থাকা অন্তর্বাসের মধ্যে দিয়েও নারীর ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। জেনে নিন আপনার অন্তর্বাসের সাথে ব্যক্তিত্বের কেমন মিল!
চিত্রঃঅন্তর্বাসই বলে দেবে আপনার ব্যক্তিত্বের পরিচয়! ছবিঃ সংগৃহীত
অন্তর্বাসই বলে দেবে আপনার ব্যক্তিত্বের পরিচয়! ছবিঃ সংগৃহীত
বক্সারঃ বক্সার অন্তর্বাস যাঁর পছন্দ, তিনি খুব প্রফেশনাল। যে সমস্ত নারী বক্সর পড়েন সেক্সে তাঁদের বেশি আগ্রহ থাকে না। সাধারণত এরা সৎ হয়ে থাকেন এবং খুব কম লোকের সঙ্গে এদের মেলামেশা থাকে।

থংঃ থং পছন্দ যে নারীর, সে নারী নিজের প্রত্যেকটি ব্যাপারে খুব সচেতন। এরা জানে কোন পোশাকে তাকে বেশি মানায়। উগ্রতা এদের স্বভাবে নেই। এরা জানে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে কোন ধরনের অন্তর্বাসে তাঁকে মানাবে।

গার্টার বেল্টঃ খুব ওয়াইল্ড অন্তর্বাস এটি। যে নারী সেটি পরতে পছন্দ করেন, তিনিও নিঃসন্দেহে ওয়াইল্ড। গার্টার বেল্ট পরিহিতা নারীকে অধিকাংশ পুরুষই মনে মনে কামনা করে।

বয় শর্টসঃ বয় শর্টস প্রিয় নারী আরামের সঙ্গে কোনও কিছু আপোশ করতে চায় না। আরামটাই তার কাছে শেষ কথা। পুরুষদের কামনা থাকে এই নারী। আসলে যে সমস্ত মেয়েরা গার্টার বেল্ট দেওয়া অন্তর্বাস ব্যবহার করে তাঁরা সাধারণত ওয়াইল্ড হয়ে থাকেন। তাই প্রেমে একটু বন্য হতে চাইলে এরা বেস্ট।

লেসঃ পোশাকআশাকে যে নারী নিজেকে লাস্যময়ী দেখাতে পছন্দ করেন, তাঁরই পছন্দ লেস অন্তর্বাস। এরা খুবই ফ্যাশনেবল হয়ে থাকেন। সেই সঙ্গে নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত এরা। স্বপ্নের দুনিয়ায় বাস করেন। তাই যে সমস্ত মেয়েরা লেস ব্রা পড়েন তাঁরা আর যাই হোক বাস্তববাদী নন। রূপকথায় জগতেই তাঁর বসবাস।

বিকিনিঃ সবকিছুতে পরিষ্কার পরিপাটি চাই, আরামও চাই, আবার আলস্যপ্রিয়। এই যদি কোনও নারীর চাওয়া হয়ে থাকে, একবাক্যে বলা যায়, তাঁর প্রিয় অন্তর্বাস বিকিনি। জাগতিক ঝামেলা তাঁর পছন্দ নয়।যারা বিকিনি পড়েন তাঁরা সাধারণত শান্ত, মিষ্টি স্বভাবের হয়।

গ্র্যানিঃ জীবনে আরামটাই শেষ কথা। অন্তর্বাসের পছন্দ নিয়ে বান্ধবীরা হাসাহাসি করলেও এক কান দিয়ে ইন্ট্রি, অন্য কান দিয়ে এগজ়িট। এসব নারীরা কিন্তু সেক্স-টেক্স নিয়ে তেমন মাথাই ঘামান না। নিজের মতো থাকতে পছন্দ করেন। প্রেম-টেমে বড়ই অ্যালার্জি।

জি-স্ট্রিংঃ যে নারীর পছন্দ জি-স্ট্রিং, তিনি কিন্তু প্রচণ্ড হট। খোলামেলা পোশাক পরতে পছন্দ করেন। অনেকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক থাকতে পারে। বিছানায় মারাত্মক পারফরম্যান্স তাঁর। স্পষ্টবক্তা। মনে করেন, যা করেছেন বেশ করেছেন। লোকে কী বলল, তাতে তাঁর কিচ্ছু যায় আসে না। পার্টি করতে খুব ভালোবাসেন।

মজাদার আলু তরকারি

মজাদার আলু তরকারি

সকালের রুটি কিংবা বিকেলের নাস্তায় লুচি দিয়ে খেতে দ্রুত বানিয়ে নিতে পারেন মজাদার আলু তরকারির রেসিপিটি। চাইলে গরম ভাতের সাথে ও খেতে পারেন।
উপকরণঃ 
সিদ্ধ আলু ৬ টি,সিদ্ধ টমেটো  ৪ টি,কাঁচামরিচ ৫ টি, পেয়াজকুচি ২টি, আদাবাটা ১ চা চামচ,ধনেগুড়া ১/২চা চামচ,তেজপাতা ২ টি,গরম মশলা ১ চামচ ,হলুদ গুড়া ১/২ চা চামচ,জিরা গুড়া ১/২ চা চামচ, মরিচগুড়া ১/২ চা চামচ,ধনেপাতা কুঁচি  ৩ টেবিল চামচ,আস্ত ধনে ও সরষে  ১ চা চামচ, তেল, লবণ পরিমানমত।
চিত্রঃমজাদার আলু তরকারি
মজাদার আলু তরকারি
প্রণালিঃ সিদ্ধ টমেটো পেস্ট করে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে তাতে আস্ত ধনে ও সরষে দিয়ে ফোড়ন দিন। তারপরে পেঁয়াজ দিয়ে একটু ভেজে আদাবাটা, সব গুড়ামশলা আর সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। মশলা কষান হলে টমেটো পেস্ট দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন। আলু কিউব করে কেটে সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে দিন। টমেটো গ্রেভি ফুটে উঠলে ধনেপাতা দিয়ে অল্প ঝোল থাকতে নামিয়ে নিন।

বৃষ্টিতেও ভালো থাকুক আপনার পা

বৃষ্টিতেও ভালো থাকুক আপনার পা 

সারাদিন কাজকর্ম করা কিংবা বাইরে যাওয়ার পরে আমরা নিজেরা যেমন ক্লান্ত হই সেই সাথে আমাদের ভার বয়ে বেড়ানো পা দুটো কিন্তু আরো বেশি ক্লান্ত থাকে। তার ওপর এই স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া, এই রোদ, তো এই বৃষ্টি, কাদা-পানিতে মাখামাখি হয়ে পায়ের অবস্থা হয়ে পড়ে আরও নাজুক। বৃষ্টির এই স্যাঁতস্যাঁতে সময়টাতে পা ভিজে যাওয়া এবং ময়লা কাদা পানির জন্য হতে পারে ফাঙ্গাল ইনফেকশন, চুলকানি, পায়ের দুর্গন্ধ ও কালো ছোপ ছোপ দাগ। তাই বৃষ্টিতেও পায়ের যত্নে জেনে নিন কিছু টিপস।
চিত্রঃবৃষ্টিতেও ভালো থাকুক আপনার পা। ছবিঃ সংগৃহীত
বৃষ্টিতেও ভালো থাকুক আপনার পা। ছবিঃ সংগৃহীত

১। বর্ষা, বৃষ্টিতে পায়ের নখ যত ছোট রাখা যায় ততই ভালো, নয়তো নখের নিচের জমে থাকা ময়লা প্রচুর ভোগান্তি কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে।

২। বৃষ্টিতে বাইরে থেকে ফিরে একটি পাত্রে হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে অল্প পরিমাণে স্যাভলন বা ডেটল মিশিয়ে পা ডুবিয়ে হালকা হাতে লুফা দিয়ে পরিষ্কার করে সাবান দিয়ে পা ধুয়ে ভালোভাবে মুছে ফেলুন।

৩। এসময় প্রতিদিন গোসলের সময় লুফা দিয়ে  পা  ঘষে পরিষ্কার করা উচিত। যদি হাতে সময় থাকে তবে ১০ মিনিটের জন্য শাওয়ার জেল অথবা শ্যাম্পু গোলা পানিতে পা ভিজিয়ে রেখে, ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেবেন।

৪। এসময় অনেকের পায়েই কালো কালো ছোপ পড়তে দেখা যায়। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে, মসুর ডাল বাটা, ২ টো  অ্যালমণ্ড বাটা, দুধ এবং ১ চা চামচ গ্লিসারিন দিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে নিন। পায়ে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে দুধ দিয়ে ভালো করে ঘষে তুলে ফেলুন। তারপর হালকা গরম জলে পা ধুয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন।

৫। গোড়ালির শক্ত চামড়া তুলতে ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল এবং নারকেল তেল সমপরিমাণে মিশিয়ে নিয়ে এর সাথে মেশান ২ চা চামচ চিনি ও লেবুর রস। পায়ের শক্ত চামড়ায় ঘষতে থাকুন যতক্ষন না তেল ত্বকে শুষে নিচ্ছে।

৬। পায়ের ক্লান্তি দূর করতে ঠাণ্ডা পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন। ক্লান্তিও দূর হবে সাথে সানট্যান ও কমাবে।

৭। বাড়িতেই পেডিকিউর করতে প্রথমে নিমপাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিন। তারপরে এতে পাতিলেবুর রস, অল্প লবন ও শ্যাম্পু মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এরপরে পিউমিস স্টোনের সাহায্যে গোড়ালি এবং পায়ের তলা ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। পা শুকনো করে মুছে ভালো কোন ক্রিম পুরো পায়ে লাগিয়ে নিন।

৮। মুখের মতো করে পায়ে ও মাস্ক লাগাতে পারেন । ২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটির সাথে, হলুদ বাটা, নিম পাতা বাটা মিশিয়ে পায়ে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট । তারপরে হালকা গরম পানিতে ঘষে ঘষে পা ধুয়ে নিন। পা ভালো করে মুছে লাগিয়ে নিন হালকা একটু অলিভ অয়েল। এরপরে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে উঠে দেখবেন নরম মসৃণ পা।

প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

খেজুর মরুঅঞ্চলের খুবই পুষ্টিকর একটি ফল। পুষ্টিমানে যেমন এটি সমৃদ্ধ, তেমনি অসাধারণ এর ঔষধিগুণ। অনেকে মনে করে শুধু রোজাতেই মনে হয় খেজুর খেতে হয়। কিন্তু  সারা বছর খেজুর খাওয়া স্বাস্থের জন্য খুবই উপকারী। অসাধারণ পুষ্টিগুণে ভরপুর এই খেজুর আমাদের শারীরিক নানা সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। মিষ্টি স্বাদের এ ফলটিতে ফ্যাটের পরিমাণ কম বলে এটি কোলেস্টেরল কমায়।
চিত্রঃপ্রতিদিন খেজুর খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সুস্বাদু এই মরু ফলটির শরীরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, খনিজ এবং প্রোটিন, ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫ ও ভিটামিন এ। প্রাকৃতিক গ্লুকোজ, সুক্রোজ ও ফ্রুক্টোজ রয়েছে বলে এটি এনার্জি বুস্টার হিসেবে পরিচিত।  দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার এবং বিভিন্ন প্রকার অ্যামিনো এসিড থাকায় খেজুর হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। লোহার উৎকৃষ্ট উৎস বলে যাদের অ্যানিমিয়া রয়েছে তারা নিয়মিত খেজুর খান। ফ্লোরিন সমৃদ্ধ খেজুর দাঁতের ক্ষয়রোধে সহায়ক। প্রতিদিন ৩টি আরো অনেক ধরণের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন নিমিষে। এখানেই শেষ নয়, খেজুরের আরও অনেক উপকারিতা আছে। যেমন,

১। খেজুরে ম্যাগনেসিয়াম থাকে বলে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। খেজুরে পটাসিয়াম ও থাকে যা হৃদপিণ্ডের কাজ স্বাভাবিক হতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ কমায় এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। পুরোরাত খেজুর পানিতে ভিজিয়ে সকালে পিষে খাওয়ার অভ্যাস হার্টের রোগীর সুস্থতায় কাজ করে।

২। খেজুরে উপস্থিত উপাদান নিয়ে গবেষণা হয়েছে এবং এতে দেখানো হয়েছে যে, এদের সাথে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের সম্পর্ক বিদ্যমান। খেজুর আপনার মস্তিষ্ককে বা মনকে ধারালো হতে সাহায্য করবে এবং আপনাকে অনেক বেশি শিখতে সাহায্য করবে।

৩।  তুলনামূলকভাবে শক্ত খেজুরকে পানিতে ভিজিয়ে (সারা রাত) সেই পানি খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। তাজা খেজুর নরম এবং মাংসল যা সহজেই হজম হয়। মুখের লালাকে ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করে খেজুর। ফলে বদহজম দূর হয়।

৪। রুচি বাড়াতেও খেজুরের কোন তুলনা হয় না। অনেক শিশুরা তেমন একটা খেতে চায় না, তাদেরকে নিয়মিত খেজুর খেতে দিলে রুচি ফিরে আসবে।

৫।  খেজুর বিভিন্ন ক্যান্সার থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন খেজুর লাংস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

৬। নারীদের শ্বেতপ্রদর ও শিশুর রিকেট নিরাময়ে খেজুরের কার্যকারিতা অনেক। এই ক্ষেত্রে খেজুরের অবদান বলে শেষ করা যায় না।

৭। ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ এই ফল দৃষ্টিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস রাতকানা রোগ ভালো করতেও সাহায্য করে থাকে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল বিদ্যমান থাকায় অনেক রোগ নিরাময় করা সমভাব। সাথে সাথে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে।

৮। খেজুরে রয়েছে ৬৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ৭.৩ মিলিগ্রাম লৌহ – যা হাড়, দাঁত, নখ, ত্বক, চুল ভালো রাখতে সহয়ত  করে। খেজুর নিয়মিত খেলে ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।

৯। দেহকে সচল ও কার্যক্ষম রাখতে শক্তির প্রয়োজন। এর অভাবে দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়,শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মানসিক অবসাদ সৃষ্টি হয়। এসব ক্ষেত্রে খেজুর  শর্করা জাতীয় খাদ্য শক্তির উল্লেখযোগ্য উৎস হিসেবে কাজ করে।

১০। খেজুরে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়। ফলে ওজন বেশি বাড়ে না, সঠিক ওজনে দেহকে সুন্দর রাখা যায়।

১১।  খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং খুব অল্প পরিমাণে সোডিয়াম। এতে করে প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস দেহের খারাপ কলেস্টোরল কমায় এবং ভালো কলেস্টোরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। অর্থাৎ প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমায়।

১২।  মুখের অর্ধাঙ্গ রোগ, পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য উপকারী। খেজুর বিচিএ রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

১৩।  ৭/৮ মাস সময় থেকে গর্ভবতী মায়েদের জন্য খেজুর একটি উৎকৃষ্ট খাদ্য। এসময় গর্ভবতী মায়েদের শরীরে অনেক দুর্বলতা কাজ করে। তখন খেজুর মায়েদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকার।

১৪। খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি থাকে বিধায় দুর্বলতা কাটাতে অনেক সাহায্য করে এবং ডেলিভারীর পর মায়েদের অতিরিক্ত রক্তপাত বন্ধ করতে ও খেজুর সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং পরবর্তী সময়ে শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে খেজুর কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

১৫। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস দেহের আয়রনের অভাব পূরণ করে এবং রক্তস্বল্পতা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। যাদের এই রক্তস্বল্পতার সমস্যা রয়েছে তাদের প্রতিদিন খেজুর খাওর অভ্যাস করা উচিত। খেজুর লৌহসমৃদ্ধ বলে এই রক্তশূন্যতা দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।

১৬। উচ্চমাত্রার শর্করা, ক্যালরি ও ফ্যাট সম্পন্ন খেজুর জ্বর, মূত্রথলির ইনফেকশন, যৌনরোগ, গনোরিয়া, কণ্ঠনালির ব্যথা বা ঠান্ডাজনিত সমস্যা, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী।

১৭। সারাদিন রোজা রাখার পর পেট খালি থাকে বলে শরীরে গ্লুকোজের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। খেজুর সেটা দ্রুত পূরণে সাহায্য করে।

১৮। স্নায়ুবিক শক্তিবৃদ্ধিতে খেজুর উপকারি।  ক্ষুধা নিবারণের বিকল্প খাদ্য হিসেবে আমরা ২-৪টি খেজুর খেয়ে এক গ্লাস পানি পান করতে পারি।

পায়ের নখের ফাঙ্গাস দূর করার টিপস

পায়ের নখের ফাঙ্গাস (ছত্রাক ) দূর করার টিপস

যদি আপনার পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের নখটি স্বাভাবিকের চেয়ে মোটা হয়ে যায়, নখ কাটতে অসুবিধা হয়, হলুদ বা বাদামী বর্ণ ধারণ করে, নখটি শুষ্ক যার এবং খুব সহজেই ভেঙ্গে যায় তাহলে বুঝতে হবে যে ফাঙ্গাস বা ছত্রাকের আক্রমণে আপনার নখের এই অবস্থা হয়েছে। এর কারণে অনেকসময় নখের গোঁড়াও আক্রান্ত হয় এবং ব্যাথা ও প্রদাহ সৃষ্টি করে। নখ ফাঙ্গাস দ্বারা আক্রান্ত হলে দেখতে বিশ্রী লাগে এবং সারিয়ে তোলাও বেশ কঠিন। ত্বকের অস্বাভাবিক পি এইচ লেভেল, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ঘর্মাক্ত মোজা ও জুতা, স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং ডায়াবেটিস এর কারণে নখের এই রোগ হয়ে থাকে। যথা সময়ে এর নিরাময়ের ব্যবস্থা করা না হলে নখটি ভেঙ্গে যেতে পারে এমনকি সম্পূর্ণ নখটি পরে যেতে পারে । তবে  এই সমস্যা থেকে ১-২ মাসের মধ্যে মুক্তি লাভ করা সম্ভব সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়ে । আসুন জেনে নেই সেই ঘরোয়া উপায় গুলো।
চিত্রঃপায়ের নখের ফাঙ্গাস দূর করার টিপস
পায়ের নখের ফাঙ্গাস দূর করার টিপস। ছবিঃ সংগৃহীত

নারিকেল তেলঃ
ফ্যাটি এসিড খুব ভালো ছত্রাক নাশক। নারিকেল তেলে প্রচুর ফ্যাটি এসিড আছে যা ছত্রাকের দেহের লিপিড স্তরে প্রবেশ করে ভেতর থেকে ছত্রাককে ধ্বংস করে। তাই ছত্রাক আক্রান্ত স্থানে ভালো ভাবে নারিকেল তেল লাগান। ত্বক তেলটুকু ভালো করে শুষে নিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তেল ব্যবহারের পূর্বে ও পরে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন। দিনে ২-৩ বার এভাবে লাগান।

মাউথ ওয়াশঃ
মাউথ ওয়াশ যেভাবে মুখের ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু ধ্বংস করতে পারে ঠিক সেভাবে নখের ছত্রাকও নাশ করতে পারে। মাউথ ওয়াশের অ্যালকোহল শক্তিশালী এ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করে যা ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস কে দূর করে। একটি তুলার মলে মাউথ ওয়াশ নিয়ে টা ভালোমতো নখে মেখে নিন। ৩০ মিনিট রেখে পায়ের নখ ধুয়ে পানি মুছে শুকিয়ে নিন।

টিপসঃ
  • যদি ছত্রাক আক্রমনের ফলে নখ হলুদ, সবুজ বা তামাটে বর্ণের পুঁজ বের হয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
  • সংক্রমণের সময় পায়ে অপ্রয়োজনীয় রাসায়নিক ( পেইন্টিং, নেইল পলিশ ) লাগানো থেকে বিরত থাকুন।
  • নখের চারপাশের শুকনো চামড়া কেটে ফেলুন এতে নখে বাতাস চলাচল করতে সুবিধা হবে।
  • যদি পুঁজ বের হয় তাহলে তা ভেজা টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন এবং স্থানটি উন্মুক্ত রাখুন।
  • বাহিরে বের হওয়ার সময় মোজা পরুন, তবে রঙ্গিন মোজা পড়বেন না। সুতির মোজা ব্যবহার করা ভালো।
  • যতদূর সম্ভব জুতা না পরা ভালো। কারণ পা ঘেমে যেতে পারে। তবে পরলেও কিছুক্ষণ পরপর জুতা খুলে পা শুকাতে হবে।
  • নখের ভেতরের চামড়া চিমটা দিয়ে বের করে নিন।
  • পায়ের পাতা পরিষ্কার ও শুকনো রাখার চেষ্টা করুন।

হাত ও পায়ের যত্নের কিছু টিপস




হাত ও পায়ের যত্নের কিছু টিপস

আমদের হাত ও পা উন্মুক্ত থাকার ফলে গরম ও রোদের সংস্পর্শে বেশি আসে, ধুলো বালিতে ময়লা নোংরা হয় বেশি। নিয়মিত পরিষ্কার না করার ফলে হাত, পায়ের ত্বক হয়ে যায় রুক্ষ, শুষ্ক। আয়োজন করে হয়তো যত্ন নেয়াও হয়না। কিন্তু আপনার হাত, পায়ের পরিচ্ছন্নতা কিন্তু আপনার রূপচর্চার ধরণের অনেকখানি প্রকাশ করে। তাই হাত ও পায়ের ত্বককে নরম কোমল আর রোদে পোড়া ছোপ ছোপ কালো দাগ দূর করতে জেনে নিন দারুন কিছু টিপস।
চিত্রঃহাত ও পায়ের যত্নের কিছু টিপস
হাত ও পায়ের যত্নের কিছু টিপস। ছবিঃ সংগৃহীত
১। মোটা দানার চিনি ও লেবুর রস একসাথে করে পেস্ট বানিয়ে দুই হাতে ঘষুন ১৫ মিনিট। তারপর হাত ধুয়ে ফেলুন। ময়লা সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
২। অলিভ অয়েল ও মোটা দানার চিনি একত্রে মিশিয়ে পেস্ট করে হাতে ঘষুন ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
৩। একটি ছোট গামলায় পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিন তারপর পা কিছুক্ষন ভিজিয়ে রাখুন। এতে করে আপনার সানবার্ন ও পায়ের গন্ধও দূর হবে।
৪। লেবুর খোসা আপনি আপনার পায়ে ঘষতে পারেন, ময়লা দূর হবে পা-ও পরিষ্কার হবে।
৫। নারকেল তেল আর লবণ নিয়ে মিশিয়ে হাত ও পায়ের ত্বকে ম্যাসাজ করে লাগান। আপনি চাইলে এর মধ্যে লেবুর রসও নিতে পারেন । পরে কুসুম গরম পানিতে কিছুক্ষন ভিজিয়ে রেখে আস্তে আস্তে ত্বক হতে প্যাকটি উঠিয়ে ফেলুন এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
৬। রোদে যতটা সম্ভব পা ঢাকা পোশাক পরতে পারেন। তবে হাত ও পায়ের পাতা রোদ থেকে বাঁচাতে অবশ্যই বেশি এসপিএফ সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া চাইলে পায়ে পাতলা মোজাও পরতে পারেন ।
৭। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে হাত, পা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
৮। হাতে, পায়ে কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে গেলে ১ খণ্ড লেবু চিনিতে গড়িয়ে নিয়ে তা দিয়ে হাত ও পায়ের ত্বক ভালো করে ঘষে নিন। এতে ভালো স্ক্রাবারের কাজ হবে এবং লেবুর ব্লিচিং ইফেক্টের কারণে ছোপ ছোপ দাগ দূর হবে।
৯। রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে কুসুম গরম পানিতে কর্ণফ্লাওয়ার মিশিয়ে এতে পা ভিজিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিট।
১০। পায়ের ত্বকে কোনো ইনফেকশন এবং নখে ফাঙ্গাসের সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা করবেন না একেবারেই। যতো দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।

ঘরেই বসেই করুন নখের যত্ন

ঘরেই বসেই করুন নখের যত্ন

আমাদের হাত ও পায়ের সৌন্দর্যের এক অন্যতম অংশ নখ। হাত বা পায়ের দিকে তাকালে প্রথমে সবার চোখ পড়ে নখের দিকে। সুন্দর নখ হাতকে যেমন আকর্ষনীয় করে তেমনি পা’কে করে মনকাড়া। পরিচ্ছন্ন নখ শুধু হাত-পায়ের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না। একইসঙ্গে এটি ব্যক্তিত্বও তুলে ধরে। ঝাঁ তকতকে, ঝকঝকে, আকর্ষনীয়, সুন্দর নখ কার না পছন্দ।
নারীদের জন্য হাতের নখের সৌন্দর্য রক্ষা করা একটু কঠিন। নখ সুন্দর রাখতে পানির ব্যবহার যত কম করা যায় ততই ভাল। কিন্তু নারীদের প্রায় সব কাজেই পানির ছোঁয়া আছে। একটু ইচ্ছা এবং সচেতন থাকলেই সম্ভব নখের যত্ন নেওয়া। সময় কিংবা অর্থের কারণে যারা পার্লারে গিয়ে নখের পরিচর্চা করতে পারেন না তারা ঘরে বসেই নিতে পারেন যত্ন। তাই আসুন জেনে নেই নখের যত্নের কিছু করণীয়।
চিত্রঃঘরে বসেই করুন নখের যত্ন
ঘরে বসেই করুন নখের যত্ন
১। নখের যত্ন নেয়ার আগে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে হবে। যেমন- নেইল কাটার, নেইল ফাইল, নেইল হার্ডনার, অলিভ অয়েল, ব্রাশ, হ্যান্ডক্রিম, বাফার, সল্ট, স্যাভলন, লেবু ও হালকা গরম পানি।
চিত্রঃনখের যত্ন
২। একটি পাত্রে উষ্ণ গরম পানি নিয়ে তাতে শ্যাম্পু, লেবু, সল্ট, স্যাভলন মিশিয়ে, নখগুলি ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মতো ভিজিয়ে রেখে ব্রাশ দিয়ে ঘষতে হবে। ঘষা হয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে মুছে নিন।
চিত্রঃনখের যত্ন
৩। এরপর নেইল কাটার দিয়ে নখের অতিরিক্ত অংশ কেটে কিছুক্ষন পড়ে নেইল ফাইল দিয়ে ঘষে নখ চাহিদামতো আকারে নিয়ে আসতে হবে। এতে আপনার নখ শক্ত থাকবে। সহজে ভাঙবে না।
চিত্রঃনখের যত্ন
৪। এবার বাফার দিয়ে নখের ওপরের লেগে থাকা ময়লা ঘষে পরিষ্কার করে নিলে, এতে নখের হলদেটে ভাব দূর হবে এবং উজ্জ্বলতা বাড়বে। আপনার পছন্দমতো ময়েশ্চারাইজিং লোশন দিয়ে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন।

চিত্রঃনখের যত্ন
৫। মাসে অন্তত দুবার ম্যানিকিউর, পেডিকিউর করতে হবে। সম্ভব হলে ম্যানিকিউর, পেডিকিউর প্রতি সপ্তাহে একবার করা ভালো। সাপ্তাহিক যত্নের পাশাপাশি প্রতিবার গোসলের সময় ছোট ব্রাশ নিয়ে নখ ঘষে পরিষ্কার করে নিন। এতে নখের সমস্যা অনেকখানি কমে যাবে।
চিত্রঃনখের যত্ন
৬। লেবুর রস নখের রং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। একটি পাত্রে লেবুর রস নিয়ে কিছুক্ষণ নখ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভালোভাবে হাত ধুয়ে ফেললেই নখের রং স্বাভাবিক হয়ে আসবে। এই পদ্ধতি বার বার অনুসরণ করলে নখের হলদেভাব কমে আসবে।
চিত্রঃনখের যত্ন
৭। রাতে ঘুমানোর আগে নখে পেট্রোলিয়াম জেলি এবং অলিভ অয়েল মালিশ করে নিলে নখ শক্ত হয়। যাদের নখ বেশি নরম তারা রাতে ঘুমানোর আগে পুরু করে পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে মোজা পরে ঘুমাতে পারেন। এতে নখ শক্ত হবে। এছাড়া নখ কখনও অতিরিক্ত বড় করা ঠিক নয়। এতে নখ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
চিত্রঃনখের যত্ন
৮। নেইলপলিশ দিয়ে নখ রাঙাতে পছন্দ করলেও কিছু দিনের বিরতিতে নেইলপলিশ লাগানো উচিত। সবসময় নেইলপলিশ ব্যবহার না করাই ভালো। এতে নখের স্বভাবিক রং নষ্ট হয়ে যায়। দু-সপ্তাহ অন্তর নেইল পলিশ ফেলে কয়েকদিন নখ এমনই রেখে দিন। এতে নখে আলো-হাওয়া লাগে, যা নখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। একবার নেইলপলিশ ওঠানোর অন্তত দুদিন পর আবার লাগাতে হবে। অবশ্যই ভালো মানের এবং ভালো ব্র্যান্ডের নেইলপলিশ বেছে নেওয়া উচিত। কারণ সস্তা নেইলপলিশে সিসা থাকে যা নখের জন্য ক্ষতিকর।

৯। শুধু বাইরের যত্ন নয়, ভেতর থেকে যত্ন নিতে ভিটামিন বি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রনযুক্ত খাবার খান। কারণ পুষ্টির অভাবেও নখ ভেঙে যায়।

১০। দাঁত দিয়ে নখ কাটা অথবা নখের চারপাশের চামড়া কাটার বদ অভ্যাস যত তাড়াতাড়ি ছাড়তে পারবেন ততই ভালো।

তুলে রাখা কাপড়ের যত্ন নেয়ার উপযুক্ত সময় এখনি

তুলে রাখা কাপড়ের যত্ন নেয়ার উপযুক্ত সময় এখনি 

বর্ষার শেষ এবং শীতের আগে এখনই উপযুক্ত সময় ঘরে তুলে রাখা কাপড় চোপড়ের দিকে নজর দেয়ার। বর্ষাকালে সাধারণত সংরক্ষিত কাপড়চোপড় স্যাঁতসেঁতে হয়ে পড়ে আর আলমারিতে রাখা কাপড়ে ফাঙ্গাস পড়ে। তাছাড়া আদ্র আবহাওয়ায় বাক্সে তুলে রাখা কাপড় গুলোও ছত্রাকের আক্রমনে পড়ে হারাতে পারে ঔজ্জ্বল্য আর স্থায়ীত্ব। সঠিক যত্নের অভাবে নষ্টও হয়ে যেতে পারে আপনার ঈদ কিংবা বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার দামি জামা কাপড়গুলো। বর্ষার মাঝে যেমন কাপড়ের যত্ন নেয়া সম্ভব হয়না তেমনি শীতের মৃদু তাপের হালকা রোদেও তা সম্ভব হয় না। তাই ভেজা মৌসুমে কাপড়ের বাড়তি যত্ন নিতে কেউ ভুলবেন না তাই তুলে রাখা পছন্দের এবং প্রয়োজনীয় কাপড়ের উপযুক্ত যত্নের সময় এখনই।
চিত্রঃতুলে রাখা কাপড়ের যত্ন নেয়ার উপযুক্ত সময় এখনি।
তুলে রাখা কাপড়ের যত্ন নেয়ার উপযুক্ত সময় এখনি। ছবিঃ সংগৃহীত
১। আলমারিতে তুলে রাখা কাপড়ের যত্ন নিশ্চিত করতে অবশ্যই কড়া রোদে শুকিয়ে নিন। কাপড়ের ভাঁজ খুলে পুরো কাপড়ে রোদ লাগাতে পারলে ছত্রাক বা পোক মাকড়ের উপদ্রব কমবে।

২। যদি আলমারিতে রাখা কাপড়ে ছাতা বা ফাঙ্গাস পড়েই যায়, তবে সঙ্গে সঙ্গে তা ধুয়ে ফেলুন। শুধু ধুলেই হবে না, শুকানোর পর কড়া ইস্ত্রি করে তারপর আলমারিতে কাপড় তুলে রাখুন। কারণ ধোয়া কাপড় কড়া ইস্ত্রি করে রাখলে ফাঙ্গাস বা ছাতা পড়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না।

৩। অল্প ভেজা বা ঠাণ্ডাভাব লেগে থাকা কাপড় কখনো আলমারিতে রাখবেন না। শুকনা কাপড় কড়া ইস্ত্রি করে তারপর রাখুন।

৪। ভেজা আবহাওয়ার কারণে অনেকসময় সাদা কাপড়ে ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। যাকে তিলা পড়াও বলে। এই দাগ একবার পড়লে আর উঠে না। তাই তিলা যাতে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

৫। কাপড় আলমারিতে রাখার আগে আলমারিতে ন্যাপথ্যালিন অথবা নিমপাতা দিয়ে নিন, এতে করে কাপড়ে পোকা ধরবে না।

৬।
দীর্ঘ সময়ের জন্য কাপড় কিংবা পোশাক সংরক্ষণ করতে হলে ভালোভাবে ধুয়ে, শুকিয়ে, ইস্তিরি করে রাখতে হবে। মাড় দেওয়া কাপড় বেশি দিন তুলে রাখলে পোকা ধরে যেতে পারে।

৭। আকৃতি ও ব্যবহারভেদে কাপড়চোপড় আলাদা প্যাকেটে সংরক্ষণ করতে হবে। ব্লাউজ, অন্তর্বাস, রুমাল, শার্ট, ন্যাপকিন প্রভৃতি ছোট কাপড় যেন বড় কাপড় যেমন- শাড়ি, বিছানার চাদর প্রভৃতির সঙ্গে মিলে না যায়।

৮। অনেকসময় আলমারিতে পুরান কাপড়ের একটা গন্ধ হয়। এটা দূর করতে ওডোনিল বা এয়ারফ্রেশনার ধরনের কোনো সুগন্ধি আলমারিতে রাখুন। এতে ভেতরটা সুন্দর গন্ধে ভরে থাকবে।

৯। সুতি ও লিনেন কাপড় ধুয়ে পরিষ্কার করে, ভালোভাবে শুকিয়ে ইস্তিরি করে কিছুক্ষণ বাতাসে রেখে তারপর নির্দিষ্ট স্থানে তুলে রাখতে হবে।

১০। পশমি কাপড় যদি ময়লা হয় তাহলে পোকার উপদ্রব বেড়ে যায়। তাই পশমি কাপড় সুন্দর করে ধুয়ে শুকিয়ে আলমারি বা বাক্সের মধ্যে রাখতে হবে।

১১। বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের পাশাপাশি লেপ, কম্বল, কাঁথা, তোশক এসব খোলা অবস্থায় রাখলে ধুলোবালি জমে ময়লা হয়ে যায়। তাই এগুলো ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে ঝেড়ে পরিষ্কার করে রাখতে হবে।

১২। দামি কাপড়চোপড় এবং যেসব কাপড় মাঝেমধ্যে ব্যবহার করা হয়, সেগুলো যত্নসহ আলমারির তাকে বা বাক্সের নিচের দিকে সংরক্ষণ করতে হবে।

১৩। প্রায় সব ঘরেই অতিথিদের জন্য কিছু অতিরিক্ত লেপ, কম্বল, মশারি, চাদর থাকে। এগুলো খোলা জায়গায় রাখলে ইঁদুরে কেটে ফেলতে পারে। তাই রোদে শুকিয়ে পরিষ্কার বস্তায় ভরে মুখ ভালোভাবে বন্ধ করে নির্দিষ্ট নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে।

১৪। কাপড়ের গায়ে যেসব ধাতব বোতাম, হুক প্রভৃতি থাকে সেগুলোর কারণে অনেক সময় কাপড়ে মরিচা পড়ার দাগ লেগে যায়। তাই জামাকাপড় সংরক্ষণ করার সময় কাপড়ে লাগানো এসব ধাতব বোতাম, হুক প্রভৃতি খুলে রাখতে হবে।

১৫। অন্ধকার ও স্যাঁতসেঁতে জায়গায় রাখলে ভেতরের কাপড় স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায় এবং ছত্রাক জন্মাতে পারে। তাই আলমারি, ওয়্যারড্রোব বা যে বাক্সে কাপড় রাখা হবে সেটি যেন আলো-বাতাসপূর্ণ শুকনো স্থান হয়।

জেনে নিন অন্তর্বাস (ব্রা) সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য

জেনে নিন অন্তর্বাস (ব্রা) সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য

নারীর দৈনন্দিন জীবনের পোশাকগুলোর মাঝে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অন্তর্বাস (ব্রা)। এটা এমন এক পোশাক, যেটা প্রত্যেক নারী প্রতিদিনই ব্যবহার করেন। শুধু সৌন্দর্য নয়, নারীর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও একটি বড় বিষয় এই ব্রা। তারপরে ও নিয়মিত ব্রা পরিধানের ক্ষেত্রে দেখা যায় বিভিন্ন ভুলভ্রান্তি। যেমন
সঠিক মাপের ব্রা পরছেন তো? কীভাবে বুঝবেন এটাই সঠিক ও স্বাস্থ্যসম্মত ব্রা আপনার জন্য? কেন নিজের ব্রাগুলোকে করতে হবে বিশেষ যত্ন? আর কেনই বা এই পোশাকটি সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরী? তাই চলুন জেনে নেয়া যাক অন্তর্বাস (ব্রা) পরিধানের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।
চিত্রঃজেনে নিন অন্তর্বাস (ব্রা) সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
জেনে নিন অন্তর্বাস (ব্রা) সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
* অন্তর্বাস যেটাই হোক না কেন, সেটা ব্যবহার করবেন সঠিক সাইজের। এমনকি গেঞ্জিটাও খুব বেশী ঢিলেঢালা বা টাইট ব্যবহার করবেন না। ভুল মাপের অন্তর্বাস পরিধান করলে যে উদ্দেশ্য আপনি অন্তর্বাস পরেন, সেটিই পূরণ হয় না।

* এমন দোকান থেকে অন্তর্বাস বা ব্রা কিনতে যাবেন না যেখানে বিভিন্ন ধরনের সরবরাহ কম। ছোট সাইজ যেমন ২৮ বা ৩০ ইঞ্চি থেকে শুরু করে বড় সাইজের সব ধরনের ব্রা এমন দোকানে কিনতে যাবেন।

* অনেকেই ভাবেন, ডি সাইজ কাপটি গড় মাপের। আসলে তা নয়। সব সাইজের ডি মাপ আছে। যদি দুই হাতের নিচের নিকে ত্বক ব্রার বন্ধনীতে কুঁচকে থাকে, তবে আরেকটু বড় মাপের ব্রা লাগবে।

* যদি সঠিক সাইজ না খুঁজে পান, তবে কাজ চালানোর জন্যে হলেও ভুল সাইজটি নেয়ার প্রয়োজন নেই। অন্য কোনো শপে গিয়ে খুঁজুন। ভুল সাইজের ব্রা স্বাস্থ্যের জন্যে মারাত্মক হুমকি।

* অন্তর্বাসের ক্ষেত্রে ফেব্রিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভুল ফেব্রিকে আপনি যে কেবল অস্বস্তি বোধ করবেন তাই নয়, এর ফলে আপনার ত্বকেও দেখা দেবে নানান রকম সমস্যা।

*  অন্তর্বাসের ফিতা বা অন্য কোন অংশ যদি শরীরের সাথে একদম চেপে বসে থাকে বা ব্যথা পেতে থাকেন আপনি, তবে বুঝবেন অন্তর্বাসটি ভুল সাইজের। সেক্ষেত্রে সেটা ব্যবহার না করাই উত্তম।

* বর্তমানে যে সাইজের ব্রা ব্যবহার করছেন সেই সাইজটি যদি গত এক বছর ধরে ব্যবহার করতে থাকেন এবং বর্তমানে মাপের ফিতায় একই মাপ আসে, বুঝবেন কোথাও ভুল হচ্ছে। এক বছরের ব্যবধানে এই মাপ বদলাতে বাধ্য।

* একই অন্তর্বাস বছরের পর বছর ব্যবহার করবেন না। একটি অন্তর্বাস ৬ মাসের বেশী ব্যবহার না করাই উত্তম।

* অন্তর্বাস প্রতিদিন বদলে ফেলুন ও ধুয়ে ফেলুন। যারা খুব বেশী ঘামেন তাঁরা দিনে দুবার বদল করুন। একই অন্তর্বাস পর পর দুদিন পরিধান করবেন না।

* রাতের বেলা অন্তর্বাস পড়ে ঘুমানোর অভ্যাস বাদ দিন। এতে শরীরের তেমন কোন উপকার হয় না। বরং অন্তর্বাস ছাড়া রাতে ঘুমালে শরীর আরাম পায়।

* যত বড় স্টোর থেকেই অন্তর্বাস কিনুন না কেন, কখনোই না ধুয়ে পরিধান করবেন না। অবশ্যই দোকান থেকে কেনার পর ভালো করে ধুয়ে তারপর পরিধান করুন।

* প্রতিবার অন্তর্বাস ধোয়ার পর জীবাণুনাশক দ্রব্যে ভিজিয়ে পরিষ্কার করে নিন। ডেটল বা অন্য যে কোন জীবাণুনাশক পণ্য ব্যবহার করুন।

* সিনথেটিক কাপড়ের অন্তর্বাস পরিহার করুন। সুতি বা প্রাকৃতিক তন্ত হতে তৈরি এমন অন্তর্বাস বেছে নিন। অন্তর্বাস কেনার পর ভেতরের ট্যাগগুলো খুলে ফেলে দিন। এতে অনেক আরামদায়ক ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

* অতিমাত্রায় স্তনের বোঁটা দেখা যায়, এমন ব্রা পরিধান করা উচিত নয়। এতে করে স্তনের বোঁটার ক্ষতি হয়। তাছাড়া সামাজিকভাবেও এটা দৃষ্টিকটূ।

আমলকির বিভিন্ন গুনাগুন

আমলকির বিভিন্ন গুনাগুন

আমলকি একপ্রকার ভেষজ ফল। আমলকি আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ ফলগুলোর মধ্যে একটি। আমলকি খেলে অনেক রোগের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায় বা অনেক রোগ সেরে যায়। এ ফলের গুণাগুণ অমৃত সমান, তাই একে অমৃতফল বলা হয়ে থাকে। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকায় একে ভিটামিন ‘সি’র রাজা বলা হয়। লেবু জাতীয় অন্য কোনো ফলে এত ভিটামিন ‘সি’ নেই। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ দরকার। দিনে দুটো আমলকি খেলে এ পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়।
চিত্রঃআমলকির বিভিন্ন গুনাগুন
আমলকির বিভিন্ন গুনাগুন
এটি দামে যেমন সস্তা ও সহজলভ্য, তেমনি এর রয়েছে নানাবিধ উপকারিতা। চলুক জেনে নেয়া যাক মৌসুমী এই ফলটি আমাদের কি কি উপকার করে থাকে।

* শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি মেটাতে আমলকির জুড়ি নেই। ভিটামিন সি এর অভাবে যেসব রোগ হয়, যেমন – স্কার্ভি, মেয়েদের লিউকরিয়া, অর্শ প্রভৃতি ক্ষেত্রে আমলকি খেলে উপকার পাওয়া যায়।

* নিয়মিত আমলকি খেলে পেটের আলসার দূর হয়। এছাড়া আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে  ও পাইলস রোগ থেকে মুক্তি দেয়।

* হার্টের রোগীরা আমলকি খেলে ধরফরানি কমবে। টাটকা আমলকি তৃষ্ণা মেতে, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বন্ধ করে, পেট পরিষ্কার করে।

 * আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে। আমলকি খিদে বাড়ায়, শরীর ঠান্ডা রাখে। এছাড়া পেটের পীড়া, সর্দি, কাশি ও রক্তহীনতার জন্যও খুবই উপকারী।

* দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে আমলকি খুবই উপকারী। এছাড়া চোখ লাল হওয়া, চুলকানো ও চোখ দিয়ে পানি পড়া রোধেও আমলকি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

* দেহের অতিরিক্ত মেদ দূর করতে আমলকি কার্যকরী।

* আমলকি চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের যত্ন নেয়ার জন্য এটি একটি অপরিহার্য উপাদান। আমলকি খেলে শুধু চুলের গোড়াই শক্ত হয় না, চুল দ্রুত বড় হতেও সাহায্য করে।

* বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরিতে আমলকি ব্যবহার হয়। আমলকি থেকে তৈরী তেল মাথা ঠান্ডা রাখে। 

* চুলকে খুশকিমুক্ত ও কম বয়সে চুল পাকা রোধে আমলকি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

*  কাঁচা আমলকি বেটে রস প্রতিদিন চুলে লাগিয়ে দুতিন ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এভাবে একমাস মাখলে চুলের গোড়া শক্ত, চুল উঠা এবং তাড়াতড়ি চুল পাকা বন্ধ হবে।

* প্রতিদিন সকালে মধুর সঙ্গে আমলকির রস মিশিয়ে খেলে চর্মরোগ নিরাময় হয়, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় ও মুখের চামড়ায় কোনো দাগ পড়ে না।

প্রাকৃতিক উপায়ে চোখের পাপড়ি ঘন ও লম্বা করুন

প্রাকৃতিক উপায়ে চোখের পাপড়ি ঘন ও লম্বা করুন

চোখের পাপড়ি ঘন ও একটু বড় হলে পুরো চোখের আকারই বদলে যায়। আমরা কেউ কেউ মেকআপের মাধ্যমে চোখের পাপড়ি বড় করে থাকি। আবার কেউ কেউ মোটা করে মাশকারা ব্যবহার করি। অনেকে আবার ফলস আইল্যাশ লাগিয়ে নেন। ঘরোয়া কিছু প্রাকৃতিক এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন উপায়ে খুব সহজেই চোখের পাপড়ির আকার বড় ও ঘন করে নেওয়া সম্ভব। ব্যাপারটি একেবারেই কঠিন কিছু না। আসুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে চোখের পাপড়ি বড় ও ঘন করবেন প্রাকৃতিক উপায়ে।


প্রাকৃতিক উপায়ে চোখের পাপড়ি ঘন ও লম্বা করুন
তেলঃ চোখের পাপড়ি ঘন করতে কয়েক প্রকারের তেল (অলিভ অয়েল, ক্যাস্টার অয়েল,নারকেল তেল) একসাথে মিশিয়ে প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে কটন বাড বা পরিষ্কার মাশকারার ব্রাশের সাহায্যে পাপড়িতে লাগিয়ে নিন। শুধু ক্যাস্টার অয়েল ও লাগাতে পারেন।

ভ্যাসলিনঃ পাপড়ি ঘন করে তুলতে ভ্যাসলিন কিন্তু বেশ উপকারি। ঘুমানোর আগে হাতের আঙুলে ভ্যাসলিন নিয়ে পাপড়িতে হাল্কা করে লাগিয়ে নিন। এতে করে দ্রুত পাপড়ি ঘন ও বড় হবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুলঃ ভ্যাসলিন বা অনিভ অয়েলের সাথে দুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে পরিস্কার কিছুতে রেখে দিন। প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে পাপড়িতে লাগিয়ে নিন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুল ও ত্বকের জন্য ও অনেক উপকারি।

সহজেই দূর করুন বগলের কালো দাগ

সহজেই দূর করুন বগলের কালো দাগ

আন্ডারআর্ম বা বগলের কালো দাগ অনেকের জীবনের খুব বিরক্তিকর সমস্যা। সাধারণত মরা কোষ জমে বগলের নিচের অংশ কালো হয়ে যায়। পোশাকের ঘর্ষণ থেকে শুরু করে লোম পরিষ্কার, নানা কারণে হয় কালো দাগ। এছাড়া বংশগত কারণে, অতিরিক্ত ডিওডোরেন্ট ও বডি স্প্রে ব্যবহারের কারণে, ডায়াবেটিস এর কারণে কিংবা হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার কারনে ও মুখোমুখি হতে হয় এই সমস্যার। নানান ক্রিম ব্যবহার করে এই দাগ সাময়িক ভাবে দূর করা যায়, কিন্তু আমাদেরই ভুলে সেটা আবার ফিরে আসে। যেহেতু এসব অঙ্গের যত্ন নিয়ে কেউ পার্লারে যেতে চান না এবং এখানে সব ধরণের পণ্য ব্যবহার করা যায় না, তাই জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়। যেগুলো কেবল আপনার বগলের কালো দাগ দূর করবেই না বরং দাগ সরিয়ে সবসময় বগলকে ফর্সা ও সুন্দর রাখবে খুব সহজে।
চিত্রঃসহজেই দূর করুন বগলের কালো দাগ
সহজেই দূর করুন বগলের কালো দাগ
১। আন্ডারআর্ম এর ত্বকের মৃত কোষ জমা হয়ে সেই অংশ কালো হয়। এজন্য এই মরা কোষগুলো দূর করা প্রয়োজন ।এই মরা কোষ দূর করার জন্য আপনি স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। তবে স্ক্রাবটি যেন ল্যাকটিক এসিড সমৃদ্ধ হয়।

২। বগলের কালো দাগের উপর সরাসরি লেবু ঘষুন। ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া লেবুর রসের সাথে চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিতে পারেন। এটি চক্রাকারে ত্বকে ম্যাসাজ করে লাগান। সপ্তাহে কয়েকবার এটি ব্যবহার করুন। লেবু প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। গোসলের পর ত্বক নরম করার জন্য ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগান।

৩। বগলের কালো দাগ দূর করতে আরেকটি কার্যকর পদ্ধতি হলো নারকেল তেল। নারকেল তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই যা ত্বকের কালো দাগ হালকা করে তোলে। কালো দাগের স্থানে নারকেল তেল ম্যাসাজ করুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি দিনে দুই তিনবার ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে বগলের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।

৪। দইয়ের সাথে এক চিমটি হলুদ, সামান্য লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি স্ক্রাবের মত ঘষে ঘষে লাগান, তবে খুব হালকা হাতে। তারপর রেখে দিন ২০ মিনিট। ধুয়ে ফেলুন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে।

৫। বগলের কালো দাগ দূর করার জন্য শসা বা আলুর রস খুবই দারুণ একটি জিনিস। দিনে দুবার বগলে শসা বা আলুর রস লাগিয়ে রাখুন। ১৫/২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। রসের বদলে থেঁতো করা আলু বা শসাও ব্যবহার করতে পারেন।

৬। বেকিং সোডার সাথে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্ট বগলে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে বেশ কয়েকবার এটা করুন। কালো দাগ তো দূর হবেই, নতুন দাগ হবে না।

৭। বগলে শেভ না কয়ে ওয়াক্স করুন। খুব ভালো হয় যদি পার্লারে করতে পারেন। সেখানে যত্ন করে করা হয় আর ত্বকের কোন ক্ষতি হয় না। শেভ করলে চুলের গোঁড়াটা রয়ে যায় ফলে কালো দাগ বেশী মনে হয়।

৮। যদি শেভ করতেই হয়, তাহলে নারিকেল তেল ব্যবহার করুন বগলে শেভিং ক্রিমের বদলে। এছাড়াও প্রতিদিন বগলে নারিকেল তেল ম্যাসাজ করুন। নারিকেল তেল নিয়মিত ম্যাসাজে বগলের কালো দাগ দূর হয়ে তো যাবেই, ত্বকও থাকবে ফর্সা ও সুন্দর।

টিপসঃ

  • নিয়মিত গোসল করুন এবং সেই সময়ে পরিষ্কার করুন।
  • কেবল মুখে নয়, বগলেও স্ক্রাবিং করুন।
  • বগলে ক্ষতিকারক ঘাম প্রতিরোধক পণ্য ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়েই ঘাম প্রতিরোধ করুন।
  • এমন পোশাক পরুন, যাতে বগলে খুব বেশী ঘষা না লাগে।
  • গোসলের সময় প্রতিদিনি বগল আলাদা ভাবে পরিষ্কার করুন।
  • বগলে পারফিউম লাগাবেন না। কিংবা বগলের কাছের পোশাকেও নয়।

অনেক নারীরই রয়েছে বক্ষবন্ধনী (ব্রা) নিয়ে কিছু ভুল ধারণা!

অনেক নারীরই রয়েছে বক্ষবন্ধনী (ব্রা) নিয়ে কিছু ভুল ধারণা!

নারীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পোশাকের মদ্ধে অন্যতম হচ্ছে বক্ষবন্ধনী বা ব্রা। আকর্ষণীয় ও সঠিক মাপের ব্রা সবাই পছন্দ করে। কেননা ভুল মাপের ব্রা নারীদের সৌন্দর্য কমিয়ে দেয় শুধু তাই নয়, এটা শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। তবে ব্রা বিষয়ে নারীদের মাঝে বহু ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। এই ধারণাগুলো মাথায় নিয়ে ব্রা ব্যবহারে নানা নিয়ম পালন করতে দেখা যায় নারীদের। ভুল ধারণার কারণে ব্রা ব্যবহারে নারীরা স্বাস্থ্য বিষয়ক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকেন। তাহলে জেনে নেয়া যাক, ব্রা বিষয়ক কিছু প্রচলিত ভুল ধারণার কথা যেগুলা শুধুই গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়।
চিত্রঃব্রা নিয়ে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা। ছবিঃ সংগৃহীত
ব্রা নিয়ে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা।
১। নিয়মিত ব্রা পড়লে স্তন ক্যান্সার হয়ঃ  নব্বইয়ের দশকে একটি ভুল ধারণা ছড়িয়ে পড়ে যে, ব্রা স্তন ক্যান্সার ঘটায়। টাইট ব্রা পড়ে থাকলে তা বিষাক্ত উপাদানকে আটকে রাখে এবং ক্যান্সার সৃষ্টি করে। তবে আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি জানিয়েছে, এ গবেষণায় বিষয়টি সঠিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। তাই ব্রা পড়লে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।

২। ব্রা পরে ঘুমালে স্তনের আকার আকার আকর্ষণীয় হয়ঃ অনেকের ধারণা,ব্রা পরা অবস্থায় ঘুমালে স্তনের আকার ভালো থাকে। এটি সবচেয়ে বড় ভুলগুলোর একটি। সারাদিন ব্রা পরে থাকলেও তা স্তনের আকারে কোনো প্রভাব ফেলে না। ব্রা পরে ঘুমালেও তা যে স্তনের আকার ঠিক রাখবে, এমন কোনো প্রমাণ নেই। স্তনের আকারের ওপর প্রভাব বিস্তার করে গর্ভধারণ, সন্তান জন্মদান ও স্তন্যদান করা। এছাড়া বয়সের সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই স্তন ঢিলে হয়ে যাবে, যা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়।

৩। ব্রা পরার কারণে স্তন পাশ থেকে ঝুলে পড়েঃ ২০১৩ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায়, নিয়মিত ব্রা পরলে তাতে স্তনের আকার পাশ থেকে ঝুলে পড়তে পারে। এতে দাবি করা হয় স্তনের আকার ধরে রাখার মাংসপেশিগুলো ব্রা ব্যবহারের কারণে কার্যকারিতা হারায় এবং এতে তা নরম হয়ে পড়ে। ফলে সহজেই ঝুলে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও অন্য গবেষকরা বলছেন, এ ঘটনার বাস্তব ভিত্তি নেই। কারণ স্তনে রয়েছে ত্বক, ফ্যাট ও লিগামেন্ট। মাংসপেশি এতে নেই। এটি মূলত বক্ষকে ধরে রাখতে সহায়তা করে। এটি পরা না পরার সাথে স্তনের আকার নষ্ট হবার কোন সম্পর্ক নেই।

৪। ব্রা-র সাইজ সব ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রেই একরকমঃ অনেকেরই ধারণা ব্রা-র সাইজ সব ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রেই একি হবে। যে সাইজের ব্রা আপনার সঠিক সাইজের মনে হচ্ছে, তা অন্য ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে সঠিক নাও হতে পারে। কারণ বিভিন্ন ব্র্যান্ড বিভিন্ন আকারে ব্রা তৈরি করে। এক্ষেত্রে আপনার সঠিক মাপমতো ব্রা বেছে নিতে তাই পরে দেখার বিকল্প নেই। ব্রা কতটা ভালো তা হয়তো ব্র্যান্ডের ওপর নির্ভর করতে পারে, তবে সাইজ আপনার জন্যে দেখে নিতে হবে।

৫। নতুন ব্রা সর্বশেষ হুকে ফিট হওয়া উচিতঃ অধিকাংশ ব্রা-তে তিনটি হুক থাকে। নতুন ব্রা কেনার জন্য তা কোন হুকটিতে ফিট হবে তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বহু নারীরই ধারণা নতুন ব্রা শেষ হুকে ফিট হবে। যদিও বাস্তবতা হলো ব্রা যদি মাঝের হুকটিতে ফিট হয় তাহলেই তা কেনা উচিত।

৬। হালকা রংয়ের ব্রা বেশি ভালঃ অনেকের ধারণা, হালকা রংয়ের ব্রা পোশাকের ওপর দিয়ে স্পষ্ট হয়ে থাকে না। এ জন্যে সাদা রংয়ের ব্রা পড়তে বেশি আগ্রহ দেখা যায় নারীদের মধ্যে। কিন্তু কালো পাতলা পোশাকের উপর দিয়েও সাদা ব্রেসিয়ার দেখা যেতে পারে। তাই ত্বকের রংয়ের ব্রা সবচেয়ে মানানসই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

৭। ওয়াশিং মেশিনে ব্রা ধোয়া উচিতঃ ব্রা যদি ওয়াশিং মেশিনে অত্যন্ত কড়া করে ধোয়া হয় তাহলে ব্রার আকার নষ্ট হতে পারে। তাই ডিটারজেন্ট পাউডার ব্যবহার করে ঠাণ্ডা পানিতে হাতে করে ধোয়া যেতে পারে। এতে ব্রা বহুদিন ভালো থাকবে। কারণ মেশিনে ওয়াশের সময় এর কাপড়ের নমনীয়তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এবড়ো খেবড়ো কাপড় স্তনের নমনীয় ত্বকের জন্যে ক্ষতিকর হতে পারে।

৮। একটি ব্রা বহুদিন ব্যবহার করা যায়ঃ কোনো ব্রা-ই চিরদিন ব্যবহার করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে সাধারণ একটি নিয়ম হলো এক বছর। আপনি যদি নিয়মিত ব্রা পরেন তাহলে তা এক বছরের বেশি পরা উচিত নয়। তবে তা যদি মাঝে মাঝে পরেন তাহলে তা সর্বোচ্চ তিন বছর ব্যবহার করতে পারবেন। ছবি ও তথ্যঃ সংগৃহীত

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি!

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি! নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি! শীত, গরম বা বর্ষাকালেও খুশকির যন্ত্রনা যেন মেটে না। পার্লারের আহাম...

Our Popular Posts