ঠোঁটের কালচে দাগ দূর করুন ঘরোয়া উপায়ে
মুখের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অংশ হলো ঠোঁট। কারণ, ঠোঁটের ত্বকে কোনো তেল গ্রন্থি (অয়েল গ্ল্যান্ড) না থাকায় এটা বেশি শুষ্ক দেখায়। শুধু শুষ্ক ত্বকেই নয় তৈলাক্ত ত্বকেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ এ ছাড়া অনেক সময় রোদে পুড়েও কালচে হয়ে পড়ে ঠোঁট। ঠোঁটের এই কালো দাগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তার মধ্যে কিছু হলো, সঠিকভাবে ঠোঁটের যত্ন না নেওয়া, ঠোঁটের মরা চামড়া তুলে না ফেলা, সঠিক মাত্রায় পানি না পান করা, ভিটামিন-বি এর অভাব দেখা দেওয়া, হরমোনের সমস্যা থাকা ইত্যাদি।তবে, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ঠোঁটের কালো দাগ অথবা কালচে ভাব দূর করে ফেলা যায় ঘরোয়া কিছু সহজ উপাদানের ব্যবহারে, সহজ নিয়মের মাধ্যমে। ঠোঁটের মরা চামড়া তুলে ফেলার প্রক্রিয়াকে বলা হয় এক্সফলিয়েট করা। ঠোঁটের জন্যে যা খুবই জরুরি। কারণ ঠোঁটে মরা চামড়া জমে থাকার ফলে অনেক সময় ঠোঁট কালো দেখা যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে ঠোটের কালচে দাগ দূর করা যায়।
![]() |
ঠোঁটের কালচে দাগ দূর করুন ঘরোয়া উপায়ে |
১। সঠিক উপায়ে এক্সফলিয়েট করার ফলে ঠোঁটের মরা চামড়া উঠে গিয়ে ঠোঁটে হালকা গোলাপি আভা চলে আসে এবং দ্রুত রক্ত চলাচল নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। ঠোঁটের এক্সফলিয়েট করার জন এক চা চামচ বাদামী চিনিতে পাঁচ ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে সেই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে এক মিনিট সময় নিয়ে খুব যত্ন সহকারে ঘষতে হবে। এরপর ভালমতো ধুয়ে ফেলে পছন্দমত লিপবাম দিতে হবে ঠোঁটে। প্রতি সপ্তাহে দুইবার এক্সফলিয়েট করাই যথেষ্ট।
২। প্রতিদিন রাতে কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল ঠোঁটে খুব ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর তেল ধুয়ে না ফেলে ঠোঁটে থাকা অবস্থাতেই ঘুমিয়ে যেতে হবে। সকালে উঠে ঠোঁট ভালোভাবে ধুয়ে পছন্দ মতো লিপবাম ব্যবহার করতে হবে।
৩। ত্বকের যেকোনো কালচে দাগ দূর করতে শসার রস খুবই উপকারী। এ ক্ষেত্রে ২ টেবিল চামচ শসার রসের সঙ্গে ১ চা-চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে স্ক্রাবিং করতে পারেন৷
৪। পাকা কলা ও সমপরিমাণ টক দই মিশিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করলে কালচে দাগ সহজেই দূর হবে।
৫। ঠোঁটের শুষ্কতা রোধে পেট্রোলিয়াম জেলি, লিপবাম কিংবা কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে লিপজেল ব্যবহারে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। এ ছাড়া প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল কিংবা ক্যাস্টর অয়েলও খুব উপকারী।
টিপসঃ
* ভালো ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। যাঁদের শুষ্কতার সমস্যা বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে ম্যাট বা ড্রাই লিপস্টিক বা লিপগ্লস ব্যবহার না করাই ভালো। আর লিপস্টিক দীর্ঘক্ষণ রাখার পর মেকআপ কিট দিয়ে তুলে ফেলুন।
* রোদ থেকে সুরক্ষার জন্য সানস্ক্রিনসমৃদ্ধ লিপবাম ব্যবহার করতে পারেন। কেনার সময় জেনে নিন কতক্ষণ এর কার্যকারিতা থাকে।
* প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এতে ঠোঁটের কোমল ভাব বজায় থাকবে।
* অনেকেরই দাঁত দিয়ে ঠোঁট কিংবা নখ কাঁটার অভ্যাস থাকে৷ এটি খুবই ক্ষতিকর। কেননা এতে ঠোঁটের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা শুকিয়ে যায়।
* কখনো লিপস্টিক লাগানো অবস্থায় ঘুমাতে যাওয়া ঠিক নয়। এমনকি দীর্ঘক্ষণ ঠোঁটে প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভালো।
No comments:
Post a Comment