নখ কাটি যত্নে!

নখ কাটি যত্নে!

নখ আমাদের শরীরের অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই নখ নিয়েই মেয়েরা অনেক ধরণের স্টাইল করতে ভালোবাসে। বিভিন্ন শেপে নখ কেটে নখকে করে তোলে আকর্ষণীয়। অনেকেই নখ কাটতে গিয়ে বিপত্তি ঘটায়। কখনও কখনও নখ চিকন কেটে ফেলার সাথে সাথে নখের নিচের চামড়া কেটে গিয়ে রক্ত বের হয়। তাই নখ কাটার সময় সাবধানে কাটা উচিত।
চিত্রঃ নখ কাটি যত্নে!
নখ কাটি যত্নে!

নখ কাটার আগে হালকা গরম পানিতে কিছুক্ষণ হাত ও পা ভিজিয়ে রাখলে নখগুলো নরম হবে এবং সহজে ইচ্ছামতো নখ কাটা। কখনই নখ খুব চিকন গভীরে কাটা ঠিক না। নখ কাটার জন্য ধারালো নেইল কাটার ব্যবহার করতে হবে। কখনই ভোঁতা কোন নেইল কাটার অথবা ব্লেড দিয়ে নখ কাটা উচিত নয়।

চিত্রঃ নখ কাটি যত্নে!
নখ কাটি যত্নে!

নখ শুকিয়ে যাওয়ার পর নেইল শেপার দিয়ে পছন্দ মতো শেইপ করে নিন। নখ ভেজা অবস্থায় কখনও নেইল শেপার ব্যববার করবেন না, এতে নখ খাঁজ কাটা হয়ে যাবে এবং শুঁকানোর পর নখ অমসৃণ হয়ে যাবে এবং ভেঙে যাবে। নেইল শেপার দিয়ে এমন ভাবে শেইপ করতে হবে যেন নখের মাথা মসৃণ হয়, অমসৃন নখ বিভিন্ন জায়গায় যেমন কাপড়ে, চুলে লেগে নখ ভেঙে যেতে পারে। ছবিঃসংগৃহীত

চুলে থাকুক ফুলের সাঁজ

চুলে থাকুক ফুলের সাঁজ

ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে বহে কিবা মৃদু বায়।।
তটিণী-র হিল্লোল তুলে কল্লোলে চলিয়া যায়।
পিক কিবা কুঞ্জে কুঞ্জে।।

ঋতুচক্রে বছর ঘুরে বসন্ত আসে। বাংলা পঞ্জিকা বর্ষের শেষ ঋতু বসন্তের প্রথম দিনে পালিত হয় ‘পহেলা ফাল্গুন-বসন্ত উৎসব’। বসন্ত মানেই ফুলেল উৎসব, বাসন্তিরঙা শাড়ি। শুধু কি তাই! বসন্ত মানেই তো রঙের সমাহার। বাসন্তী রঙের শাড়ি পড়ে তরুণী ও নারীরা ঘর থেকে বের হন।  কাল পহেলা ফাল্গুন আর ফাল্গুনের দ্বিতীয় দিনই আবার ভালোবাসা দিবস। তাই ফাল্গুনের সাজে রঙের ছোঁয়ায় রাখুন ফুলের বাহার। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া যা-ই পরা হোক না কেন, প্রকৃতির রঙে নিজেকে সাজাতে বসন্তের উজ্জ্বল রংগুলোর সাথে চুলের সাজে বসন্তের ফুলের ব্যবহার নিয়ে আসবে একটু ভিন্ন মাত্রা। চলুন জেনে নেই চুলের সাজে ফুলের ব্যবহারঃ

চিত্রঃ চুলে থাকুক ফুলের সাঁজ
ছবিঃ সংগৃহীত
বসন্তের ফুলঃ  রঙিন ফুলের ভিড়ে হলুদ গাঁদা মন কাড়বেই। কিন্তু অন্য ফুলগুলোও নজর কাড়তে কম যায় না। হলুদ গাঁদা ছাড়াও মেরুন, হলুদ, সাদা, নীল রঙের চন্দ্রমল্লিকা, ক্যালানডুলা ফুলগুলোর চাহিদা থাকে পয়লা ফাল্গুনের সাজে অনেক বেশি। এছাড়া হলুদ-লাল রঙের চায়নিজ চেরিও তাল মেলাচ্ছে অন্যদের সঙ্গে। বসন্ত উৎসবে আরও পরা যায় গ্ল্যাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবারা। এছাড়া গাঁদা, গোলাপ আর অর্কিড তো থাকছেই।

খোলা চুলের দোলাঃ উৎসবে চুল খোলা রাখতে পছন্দ করেন অনেকেই। এ ক্ষেত্রে একপাশে ক্লিপ আটকে তার ওপর ফুল গুঁজে দিতে পারেন। অথবা কানের পাশ দিয়ে হালকাভাবে গুঁজে দিতে পারেন কয়েকটি ফুল। ফুল বড় হলে একটি, ছোট হলে তিন-চারটি। চাইলে সামনের দিকের কিছুটা চুল ব্যাককোম্ব করে নিতে পারেন। পেছনে চুল আটকানোর জায়গাটিতে আটকে দিতে পারেন পছন্দের ফুলটি। দুই পাশ থেকে চুল পেঁচিয়ে এনেও (টুইস্ট) পুরো চুল খোলা রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দুল ও মেকআপের সঙ্গে মিলিয়ে সঠিক জায়গায় ফুলটিকে আটকে নিন।
এছাড়াও খোলা চুলে ভালো লাগবে ফুলের ব্যান্ড। চারদিকে ফুল না দিয়ে একটু ভিন্নভাবে গড়ে নিন ফুলের ব্যান্ড। ব্যান্ডের দুই পাশে অথবা যেকোনো এক পাশে ফুল গুঁজে আর বাকি অংশটা চেইন, রঙিন কাপড় অথবা ফিতা দিয়ে জড়িয়ে নিতে পারেন। ফুলের ব্যান্ডে ছোট ছোট ফুল ব্যবহার করলে বেশি ভালো লাগবে। বসন্তে ছোট আকৃতির চন্দ্রমল্লিকা, ক্যালেন্ডুলা আর গোলাপও পাবেন।

চিত্রঃ চুলে থাকুক ফুলের সাঁজ
ছবিঃ সংগৃহীত
খোঁপা অথবা বেণিতেঃ হালকা অথবা অাঁটসাঁট করে খোঁপাও করে নিতে পারেন। খোঁপার চারপাশ দিয়ে মালা না পেঁচিয়ে একটু অন্যভাবেও পরতে পারেন। খোঁপার চারপাশ দিয়ে পরপর ছোট ফুল গেঁথে নিন অথবা একটি বড় ফুল খোঁপা ও কানের মধ্যে আটকে নিন। বেণিতেও অন্যভাবে ফুল আটকে তৈরি করতে পারেন ভিন্ন লুক। সামনে দুই পাশ থেকে চুল টুইস্ট করে টেনে পেছনে নিয়ে আটকে নিন ক্লিপ দিয়ে। এবার সাধারণভাবে বেণি করে মাঝেমধ্যে ফুল আটকে নিতে পারেন। সামনের টুইস্ট করা অংশেও ছোট ফুল আটকে নিতে পারেন।এছাড়া বতর্মানে কাঁচা ফুল দিয়ে বানানো যে ফুলের ব্যান্ড পাওয়া যায় সেটিও পরতে পারেন। পুঁতি আর ফুল দিয়ে চেইনের মতো বানিয়ে মাথার এক পাশ থেকে শুরু করে পুরো বেণিতে বেঁধে নিতে পারেন।

চুলে তাজা ফুলের ব্যবহার তো আপনাকে রঙিন করেই। তবে তারও আগে বাছাই করে নিতে হবে বসন্তের পোশাকটা। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ফুল ব্যবহার করতে। যেমন পোশাকে হলুদ গোলাপের নকশা থাকলে চুলে গুঁজতে পারেন ছোট ছোট হলুদ গোলাপ। যেহেতু বসন্তের পোশাক আর সাজে রঙের একটা প্রভাব থাকে, তাই নখেও ফুল আর পোশাকে থাকা রঙের ছোঁয়া দেওয়া ভালো। ম্যাট অথবা গ্লসি একরঙা নেইল পলিশ ব্যবহার করতে পারেন। চুল যে রঙের ফুলের আধিক্যে সাজাবেন, সেই রঙের নেইল পলিশ ভালো লাগবে। এ ছাড়া পোশাকের প্রধান রঙের সঙ্গে মিলিয়েও নেইল পলিশ ব্যবহার করা যাবে। তবে ফুলের রঙের মিল আনবে ভিন্নতা।

ভালোবাসা! সে কি কেবল ব্যস্ততার খামেই বন্দি?

ভালোবাসা! সে কি কেবল ব্যস্ততার খামেই বন্দি? 

ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। ভালোবাসা আসলে সমস্ত শুভ ও সৃষ্টির শক্তি। এটা শুধুমাত্র জৈবিক বা শারীরিক ব্যাপার নয়, আবার শুধুমাত্র মানসিক বিষয়ও নয়।

চিত্রঃ ভালোবাসা! সে কি কেবল ব্যস্ততার খামেই বন্দি?
ছবিঃ সংগৃহীত
প্রায় প্রতিটি মানুষের জীবনেই কিন্তু কোনো না কোনো সময় ভালোবাসা এসে উঁকি দেয়। প্রেম-ভালোবাসায় যেমন একরাশ সুখ-শান্তি বিরাজ করে তেমনি প্রেম-ভালোবাসায় জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত অনিবার্য। ভালোবাসা ধনী-গরীব মানে না, ভালোবাসা জাত-কুল মানে না, ভালোবাসা কালো-সাদা মানে না, ভালোবাসা ধর্মের বাঁধন মানে না, ভালোবাসা বয়স দেখেও আসে না। একের প্রতি অন্যের প্রচণ্ড এক মানসিক আশক্তির নামই তো ভালোবাসা। জীবন আর ভালোবাসা একে অপরের পরিপূরক। এক জীবনের সাথে অন্য জীবনের পরিপূর্ণতার জন্যই কিন্তু ভালোবাসার প্রয়োজন।
স্বভাবতই ভালো দিকের উল্টো দিকে যেমন মন্দ আছে তেমনি ভালোবাসার বিপরীতে বিরহের জ্বালাও আছে। তখন আমরা অন্যের প্রতি ভালোবাসার কোনো মানেই খুঁজে পাই না। জীবনের সুন্দর ও ভালো দিকগুলো তখন আমাদের কাছে অসুন্দর হয়ে ধরা দেয়। সবকিছু কেমন জানি পরিত্যক্ত মনে হয়। এত এত ভালোবাসায় মাঝে তখন কত কত অভিযোগ! আচ্ছা ভালোবাসলে এর মাঝে ব্যস্ততা বলে কোনো বাহানা কি হানা দিতে পারে? ব্যস্ততা সবার সাথে দেখানো যায়না, কিছু স্পেশাল মানুষ থাকে যাদের সাথে আমরা, ব্যস্ত থাকলেও ব্যস্ততা দেখানো যায় না, ঠিক যেনো ভালোবাসার অতল গভীর সমুদ্রে আর তখন মনে হয় ভালবাসা যেন উঁকি মারে পাথরের ফাঁকে ফাঁকে। আর যখন থাকে না, তখন..? ভালোবাসা ছাড়া আর আছে কী... ভালোবাসা হলো শ্বাস-প্রশ্বাস এ দেহে ... শ্বাস বিনা মানুষ কখনো বাঁচে কি'... —সম্পর্কের শুরুতে কিংবা বিয়ের আগে এমনই মধুরতম ভালোবাসাময় বাক্য বিনিময় করেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। কিন্তু সম্পর্ক শুরু হয়ে গেলে বা বিয়ের পর?

"দুজনেই সারাদিন ব্যস্ত থাকেন। দিনশেষে অপেক্ষায় থাকেন কখন সঙ্গী বা সঙ্গিনী ফোন করবে। কিন্তু অপেক্ষা ফুরায় না। অপেক্ষার প্রহর চলতে চলতে এক বুক অভিযোগ জমিয়ে ক্লান্ত মনে হয়তো ঘুমিয়েই পড়েছেন! এতে করে অভিমান আরো গাঢ় হয়। একটা ফোন করার সময়ও কি মেলে না! কীসের এত ব্যস্ততা! কিন্তু চাইলেই তো অপেক্ষায় থাকা মানুষটি ফোন করে খোঁজ নিতে পারে! কিন্তু না, সেটা আর হয়ে ওঠেনা। তখন উত্তর হয় আমি কি তার রুটিন জানি নাকি, কেন আমিই সবসময় খোঁজ নেবো, আগে তো প্রতিবেলায় খোঁজ নিতো, মিনিটে মিনিটে ফোন!"- প্রায় সব জুটির মধ্যেই একটি কমন অভিযোগ থাকে! এই অভিযোগ আসতে পারে যেকোনো একপক্ষ থেকে অথবা দুইপক্ষ থেকেই। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অভিযোগটি করেন অপেক্ষায় থাকা মানুষটি। দুজনেই হয়তো পড়াশোনা করছেন অথবা দুজনেই চাকুরিজীবী। ব্যস্ততা দুজনেরই। তবু অপরপক্ষ থেকে একটু সময়, একটু খেয়াল আশা করা দোষের কিছু নয়। যদি আলাদা করে খোঁজ নাই রাখেন, যদি ব্যস্ততাকেই বড় করে দেখা হয় তবে সম্পর্ক শীতল হতে বাধ্য!

সম্পর্ক হচ্ছে একটি সুতোর মতো। যদি দুইপক্ষ থেকেই টানটান করে ধরে রাখা হয় তবেই এটি ঠিক থাকে। যেকোনো একপক্ষ একটু শিথিল হলেই সম্পর্ক আর আগের অবস্থায় থাকে না। যখন আমরা কারো সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে সম্পর্কিত হই, সেখানে আলাদা কোনো চুক্তিপত্র থাকে না, থাকে কিছু প্রত্যাশা। সে আমাকে বুঝবে, সে আমাকে চাইবে, সে আমাকে ভাববে- এমন চাওয়া না থাকলে সেই সম্পর্ক প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে না। ঝামেলা বাঁধে যখন প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তি ঠিক মেলে না। তখনই সেই কমন অভিযোগ উঠে আসে- "তুমি আর আমাকে আগেরমতো বোঝো না!"
আর একারণেই কি সম্পর্কের শুরুতে একপক্ষের আগ্রহ বেশি থাকে আর সম্পর্কের পরে সেটি কমে যায়? বিশেষজ্ঞরা হয়তো সেটাকে ব্যাখ্যা করে এভাবেই বলবেন যে, একটা সময় দায়িত্ববোধের জন্য ব্যস্ততা তুলনামূলক বেড়ে যায়, আর একারণেই এই দূরত্ব। কিন্তু অপরপক্ষ তো সেটি মানতে নারাজ।  তার ভাষ্যমতে, ব্যস্ততা তো আমারো আছে। তারমানে তো এই না যে আমি তোমায় মনে করছিনা বা তোমাকে ভুলেই গিয়েছি। এভাবেই মান-অভিমান-অভিযোগ চলতে থাকে আর মধুময় ভালোবাসায় তিক্ততা বাড়ে।

আপনার এতসব ব্যস্ততার মাঝে নিজেকে একটু জিজ্ঞাসা করুন তো, এই যে ব্যস্ততার মাঝে যে রোদ আপনাকে ছুঁয়ে যায়, তা বুঝতে পারেন কিনা। বাড়ি ফেরার পর যে মানুষটা ঘরের দরজা খুলে তার ভালোবাসার অনুভব হয় কিনা। হয়তো বলবেন কাছের মানুষগুলোকে সুখী দেখতে চাওয়া, তাদের আর্থিক নিরাপত্তা, তাদের সুখের জন্যই তো এত আয়োজন, এত ব্যস্ত থাকা। আজ এখন ব্যস্ততাকে ভালোবেসে হয়তো একদিন কাছের মানুষগুলোকে ভালোবাসা দেয়ার ইচ্ছা অবাধে। এমনও তো হতে পারে যখন অবসর মিলবে, তখন ভালোবাসা নেয়ার মানুষগুলোর অস্তিত্বই হয়তো আর জীবনে থাকবেনা! আজ যেখানে আপনার বাড়িতে আসার অপেক্ষায়, খাবার টেবিলে, চায়ের কাঁপে, কিংবা  বিছানার চাদরে যে মানুষগুলোর হাত পড়েছে, সেই হাতগুলো যদি একদিন পঙ্গু হয়ে মরে যায় কেবল আপনার অবসরের অপেক্ষায় থেকে থেকে, কেবল আপনার কাছ থেকে ভালোবাসার দুটো শেষ কথা শুনবার আশায়? ব্যস্ততা কি তবে অবসরেও মুক্তি দেবে তাকে?

আমি যদি বলি কাছের মানুষগুলোর চোখে চোখ মেলে একবার দেখুন, একটাবার তার বা তাদের হাত ধরুন, আজই খাবার টেবিলে অন্তত একবার তাদের বলুন, আপনার জীবনে সে কতটা মূল্যবান। তাহলে হয়তো বলবেন, আবেগে জীবন চলে না, জীবনে চলতে গেলে ব্যস্ত হতে হয়, আর সেই ব্যস্ততাকে ভালোও বাসতে হয়! আপনার কাছে প্রিয়জনের মূল্য নেই, কিন্তু সেই একটা-দুটো মানুষের কাছে হয়তো আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান কেউ। আপনার ভালোবাসা অকাতরে বিলিয়ে দিলে হয়তো সেটা কেবল সময়ের অপচয় বলেই মনে হবে, কিন্তু যে মানুষটা রোজ আপনার ঘরে ফেরার প্রতীক্ষায় থাকে, যে মানুষটা রোজ আপনার সুন্দর জীবনের প্রার্থনায় মগ্ন থাকে, সেই মানুষটার জীবনে আপনিই কিন্তু সময়! সেই মানুষটার জীবনে সময় মানেই ভালোবাসা! জীবনে বড় হতে পারাটা বাধ্যতামূলক, কোন কিছুর বিনিময়েই তাকে এড়ানো যায় না, কিন্তু বেড়ে উঠতে পারাটা ঐচ্ছিক। আর সেই ইচ্ছেটাকে পূরণ করার ক্ষমতা-যোগ্যতা সবার থাকে না।

ভালোবাসার জন্য আপনি কী করতে চান?  এমন প্রশ্নের উত্তরে হয়তো অনেকগুলা বিষয়ে একটি লম্বা কর্মতালিকা করতে পারবেন। কিন্তু তা না করে ভালোবাসার মানুষের জন্য এমন কিছু কাজ আছে যেগুলো করা উচিত নয় সেটা আগে বুঝুন। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গেলে অনেক সমঝোতা এবং ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, তার মানে এই নয় যে আপনি আপনার জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে সুখি রাখতে গিয়ে নিজে যন্ত্রণা ভোগ করবেন। আপনি যখন কাউকে ভালবাসবেন তখন সেই কেবল হবে আপনার চিন্তাশক্তির মালিক। তার ভালোলাগা মন্দ লাগা আপনার কাছে বিশাল ব্যাপার হবে। ছোট ছোট ব্যপার নিয়ে আপনি তার সাথে ঝগড়া করবেন। তার করা কাজগুলোতে আপনি আপনার নিজেকে খুঁজবেন, তাকে কীভাবে সুখে রাখা যায় তা খুঁজে বের করবেন। আবেগের ক্ষেত্রে আপনি অনেক কিছুই বলতে পারবেন কিন্তু শেষ মুহুর্তে এসে আর করতে পারবেন না। তার চিন্তাশক্তিতে আপনি নিজেকে না আপনার চিন্তাশক্তিতে তাকে রাখতে চাইবেন।

তাই রাগ, অভিমান হয়ে থাকলে শুরুতেই সেটা ভুলতে চেষ্টা করুন। ক্ষমা মানুষের একটা বড় গুণ। তবে এই গুণ রয়েছে এমন মানুষ বিরল। মুখে বললেও কাউকে ক্ষমা করতে উদারতায় টান পড়ে। সঙ্গীর আচরণ আপনাকে আহত করলেও মুখ ফুটে তা না বলায় জমতে থাকে অভিমানের পাহাড়। আর তার ফলে নিজের অজান্তেই তৈরি হয় প্রতিশোধ স্পৃহা। যার পরণতি ভয়ানক। তাই সময় থাকতে সাথের মানুষটিকে বুঝিয়ে বলুন। সম্পর্কের সজীবতা বজায় রাখতে গেলে অনবরত ভাবনা বিনিময় খুব দরকারি বলে মত মনোবিদদের। তাদের মতে, যোগাযোগের অভাব থেকেই সম্পর্কে ফাটল তৈরি হয়। আর তাতে ঢুকে পড়ে তৃতীয় ব্যক্তি। তাই অভিমান জমিয়ে না রেখে বলে ফেলুন প্রিয়জনকে।

আমাদের জীবনে ভালোবাসা আছে বলেই তো ভালোবাসার মানুষের মাঝে আমরা খুঁজে বেড়াই আমাদের মনের মাঝে সুপ্ত থাকা সকল চাওয়া-পাওয়াগুলো। আপনি কিভাবে তাকে নিয়ে কোথায় যেতে চান কি করতে চান সবকিছু থাকে এই ভালোবাসার কাছে বন্দি। ভালোবাসার কোন আকার নেই। তবে আপনি ভালোবাসাকে যেদিকে নিয়ে যাবেন আপনার সামনে থাকা সময়গুলো ঠিক সেদিকেই যাবে। ভালোবাসায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যাকে ভালোবাসেন সে আপনাকে ঠিক কিভাবে চায় সেটাও লক্ষ্য করুন! ভালোবাসায় আকাঙ্ক্ষা থাকবেই। তবে আপনি আকাঙ্ক্ষাকে ভালোবাসা মনে করছেন কিনা সেটা আগে বুঝে নিন। ভালোবাসা কোনো চুক্তিবদ্ধ দলিল নয়। তবে এটি হচ্ছে সেই যোগাযোগ মাধ্যম যাতে প্রয়োজন পড়ে না কোনো তারের কিংবা সংযোগের। মনের টানই একে অন্যের প্রতি বিশ্বাস জন্ম নেয় ভালোবাসা হিসেবে। ভালোবাসায় যেমন থাকে মধুর স্মৃতি তেমনি থাকে খারাপ মুহূর্তের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতাও। আর এসব কিছুই একটি প্যাকেটে পুরেই জীবনের যাত্রা শুরু হয়। ভালোবাসা একটি পরিবারকে জুড়ে রাখার অদৃশ্য বন্ধন। ভালোবাসা কিছুটা লবণের মতো! যা ব্যবহার না করলে আপনার জীবনের স্বাদ আপনি বুঝবেন না। এই তর্ক, বিতর্কের মাঝেই বেঁচে থাকে সত্যিকারের ভালোবাসা। কারণ মান-অভিমান যতোই হোক, দিনশেষে তো সেই প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসাটাই সত্যি!

চিত্রঃ ভালোবাসা! সে কি কেবল ব্যস্ততার খামেই বন্দি?
ছবিঃ সংগৃহীত
যুদ্ধ কিংবা হিংসা নয় আসলে এই পৃথিবীকে টিকিয়ে রেখেছে ভালোবাসা। ব্যস্ততা হচ্ছে জীবনের জন্য আর জীবন হচ্ছে ভালোবাসার জন্য। তাই এক্ষেত্রে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে ভালোবাসাকেই জয়ী ঘোষণা করে কাছের মানুষটিকে বলে ফেলুন ভালোবাসি সেই সাথে গানের ভাষায় বলতে পারেন-
"ভালোবেসে সখি নিভৃতে যতনে, আমার নামটি লিখো,
তোমার মনের মন্দিরে... আমার পরাণে যে গান বাজিছে,
তাহার তালটি শিখো তোমার চরণ মঞ্জিরে..."


বসন্তের ছোঁয়া লাগুক প্রানে.........

বসন্তের ছোঁয়া লাগুক প্রানে.........

শীতের হিম বিদায় নেবার কাল প্রায় উপস্থিত, ক'দিন বাদেই চলে আসবে বসন্ত। কোকিল যেন তার কুহু সুরে প্রকৃতিতে বসন্তের আগমনী বার্তা পাঠাচ্ছে। এ সময়েই শীতের জীর্ণতা সরিয়ে ফুলে ফুলে সেজে ওঠে প্রকৃতি। গাছে প্রকৃতিতে চলে মধুর বসন্তে সাজ সাজ রব। কচি পাতায় আলোর নাচনের মতই বাঙালির মনেও দোলা লাগায়। প্রকৃতির মতোই তরুণ-তরুণীর মনে দোলা দিয়ে যাচ্ছে বসন্তের রং। তাই তো তরুণীর রঙিন সাজেও ঘটে এই বসন্তের বহিঃপ্রকাশ। বসন্ত মানেই প্রকৃতিতে রঙের ছড়াছড়ি। তাই এই দিন নিজেকে রাঙান প্রকৃতির রঙে। তাহলে জেনে নিন কীভাবে সাজতে পারেন এই বসন্তে।

চিত্রঃ বসন্তের ছোঁয়া লাগুক প্রানে.......।  ছবিঃ সংগৃহীত

বসন্তকে আপন রঙে সাজাতেই যেন হলুদ ফুলেরা সোনা রং ধারণ করে। হলুদ রংটার ভেতর একটা আগুনলাগা সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। হলুদ আর কমলায় মাখামাখি হয়ে বসন্তের একটা আলাদা রং দাঁড়িয়ে গেছে। বাসন্তী বা হলুদ বসনেই বসন্তবরণ উৎসব পার হয়। অনেকে তা থেকে খুব একটা সরতে চান না, আবার ভিন্নতাও চাচ্ছেন, তেমন মেয়েরা গেরুয়া বা বাদামি রঙ বেছে নিন চোখ বুজে। শাড়িতে এসব রঙ দিনের উৎসবে বেশ মানানসই। শাড়ির পাশাপাশি এখন সালোয়ার-কামিজ,কুর্তি কিংবা ফতুয়াও চলে বেশ।

চিত্রঃ বসন্তের ছোঁয়া লাগুক প্রানে.......।  ছবিঃ সংগৃহীত

শাড়ি পরতে চাইলে সুতি, অ্যান্ডি, তাঁত বা জামদানি যাই পরা হোক, রঙের বেলায়ও সহমত অধিকাংশ তরুণীর। বাসন্তী, সবুজ, কমলা, লাল, নীল এগুলোই থাকবে পোশাকে। শাড়ি হতে পারে একদম এক রঙের। শুধু পাড়ে থাকতে পারে রঙের ছড়াছড়ি কিংবা পুরো শাড়িতেই থাকতে পারে ব্লক ও জরির কাজ। ব্লাউজের কাটে আনতে পারেন ভিন্নতা। যারা ছোট হাতা পরেন তাদের জন্য ব্লাউজ হতে পারে ম্যাগি হাতা কিংবা ঘটি হাতা। একপেঁচে শাড়ি পরা হলে এরকম ব্লাউজ ভালো দেখাবে। আর যারা ছোট হাতা পরেন না, তারা পরতে পারেন হাতের থ্রি-কোয়াটার হাতা বর্ডারে কুচি, কিংবা বর্ডারে বসাতে পারেন চুমকি বা জরির লেস। তবে সেটা যেন চিকন হয়। বসন্তের সাজে যেকোনো রঙের শাড়ির সঙ্গেই গাড় লাল রঙের ব্লাউজ ভালো দেখায়। এক রঙা ব্লাউজে এমব্রয়ডারী করানো যেতে পারে, সেই সাথে করাতে পারেন জারদৌসি ওয়ার্কও।

চিত্রঃ বসন্তের ছোঁয়া লাগুক প্রানে.......।  ছবিঃ সংগৃহীত

বসন্তকে আপন রঙে সাজাতেই যেন হলুদ ফুলেরা সোনা রং ধারণ করে। হলুদ রংটার ভেতর একটা আগুনলাগা সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। হলুদ আর কমলায় মাখামাখি হয়ে বসন্তের একটা আলাদা রং দাঁড়িয়ে গেছে। বাসন্তী বা হলুদ বসনেই বসন্তবরণ উৎসব পার হয়। তাই এইদিনে মেকাপে ত্বকের খুঁত ঢাকা নয়; বরং ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করুন। বেশি কিছু নয়, হালকা আইশ্যাডো, কাজল আর লিপগ্লসটাই এ দিনের সাজে পূর্ণতা আনবে। বসন্তের প্রথম দিনটার স্বাভাবিক যে বর্ণচ্ছটা, তাকে আর কৃত্রিম রঙে রাঙানোর প্রয়োজন নেই। পোশাকের রঙে ঔজ্জ্বল্য তো থাকছেই, সাজটা না হয় সেদিন সাদাসিধেই থাকল। সুতির শাড়ি হলে মাটির গয়না পরতে পারেন। কিংবা কাঠ বা পুঁতির গয়নাও ভালো লাগবে সুতি শাড়ির সাথে। হাত ভর্তি কাঁচের চুড়ি পরে নিন। তবে যদি সম্পূর্ণ ব্লাউজেই জমকালো কাজ থাকে, তাহলে গলা ও হাত বাদ দিয়ে কানে ঝুমকা পরে নিন।

চিত্রঃ বসন্তের ছোঁয়া লাগুক প্রানে.......।  ছবিঃ সংগৃহীত

উজ্জ্বল হলুদরঙা ফুল ছাড়া যেন পূর্ণই হয় না বসন্তে বাঙালি নারীর সাজ। কারণ, বাঙালি নারীর লাবণ্যের সঙ্গে ফুলটা জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে। চুলে তাজা ফুলের ব্যবহার তো আপনাকে রঙিন করেই। চুলটা খোলাই ভালো লাগবে এমন দিনে। আর যদি কেউ চুল খোলা রাখাতে না চান, সেক্ষেত্রে হালকা করে চুলটা বেঁধে নিন। তবে এই সময়ে চুলে মেসি ভাবটা অনেক ভালো লাগবে। এ ছাড়া খোলা চুলে পরতে পারেন ফুলের কোনো ব্যান্ড। খোঁপায় গুজে দিতে পারেন কয়েকটা ফুল। আপনার চুল যদি বেশ বড় হয় সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে চুলে বেনুনিও করে নিতে পারেন। আর হ্যাঁ হাতে কিন্তু অবশ্যই থাকবে রিনিঝিনি রেশমি কাচের চুড়ি।

যারা সারাদিন বাইরে থাকার পরিকল্পনা করছেন, তারা হাই হিল ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। এতে আপনার পায়ের ক্ষতি কম হবে, আর আপনি নিজেও স্বস্তি অনুভব করবেন। শাড়ির সাথে নিতে পারেন মিডিয়াম সাইজের ব্যাগ কিংবা বটুয়া। এক পেঁচে শাড়ি পরলে বটুয়া মানায় ভাল। আর কুচি দিয়ে পরলে ব্যাগ কিংবা ক্লাচ নিতে পারেন। দুটোতেই মানিয়ে যাবে আপনাকে। ব্যাগে একটি পানির বোতল আর ছাতা বহন করুন। ছবিঃ সংগৃহীত

মজাদার কুমড়ো ফুলের বড়া রেসিপি

মজাদার কুমড়ো ফুলের বড়া রেসিপি

বিকেলের নাস্তায় যত রকমের ভাজা বড়া রাখা যায় তারমদ্ধে কুমড়ো ফুলের বড়ার স্বাদটা অসাধারণ। এই অসাধারণ খাবারের আয়োজন আর প্রস্তুতি খুব স্বল্প পরিসরেই হয়ে যায়। এই বড়া গরম ভাতের সাথে খেতে ও অসাধারণ।

চিত্রঃ কুমড়ো ফুলের বড়া। ছবিঃ সংগৃহীত
কুমড়ো ফুলের বড়া। ছবিঃ সংগৃহীত

উপকরণঃ

কুমড়া ফুল, মসুরের ডাল বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা, পেয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, চালের গুঁড়া, হলুদ সামান্য, লবন, তেল পরিমানমতো

প্রনালীঃ

প্রথমেই কুমড়ো ফুল ভাল করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। কুমড়া ফুল বাদে সব উপকরন এক সাথে ভাল করে মাখিয়ে নিন। এবার ফুলের দুই পাশে ডালের পেস্ট দিয়ে ভাল করে ঢেকে দিন। ডুবো তেলে মচমচে বাদামি কালার করে ভাজুন। কাঁচা পেয়াজ দিয়ে গরম ভাতের সাথে এই বড়া খেতে অনেক ভীষণ মজা। 

মেকআপ ছাড়াই নিজেকে করে তুলুন অনন্য

মেকআপ ছাড়াই নিজেকে করে তুলুন অনন্য

সবার মাঝে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আজকাল যেন প্রতিযোগিতা চলতে থাকে। বেস মেকআপ, আই মেকআপ, গ্লস, সীমার ইত্যাদি কত রকমের মেকআপই না ব্যবহার করতে হয় নিজেকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে। আমরা এখন ভুলেই গিয়েছি মেকআপ ছাড়াই রয়েছে আমাদের আসল সৌন্দর্য। আসলে পরিচ্ছন্ন, সঠিক এবং মার্জিতভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারাটাই আসলে নিজেকে সুন্দর দেখানো। চলুন জেনে নেয়া যায় মেকআপ দেয়া ছাড়াও কিভাবে নিজেকে সুন্দভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়।
চিত্রঃ মেকআপ ছাড়াই নিজেকে করে তুলুন অনন্য
মেকআপ ছাড়াই নিজেকে করে তুলুন অনন্য। ছবিঃ সংগৃহিত

১। নিজেকে আবিষ্কার করুনঃ চেহারা সুন্দর দেখানোর জন্য একগাদা মেকআপের প্রয়োজন নেই। আবিষ্কার করুন আপনার চেহারার কোন বিষয়টি আকর্ষণীয় সুন্দর। হতে পারে তা আপনার স্কিন, আইভ্রু, চোখ, ঠোঁট, ফেস কাটিং, চুল ইত্যাদি। যে অংশটাই সুন্দর হোক না কেন তাই আপনার আসল বৈশিষ্ট্য। আর সে অংশটিই প্রকাশ করুন সুন্দরভাবে।

২। ফ্যাশনেবল এবং মার্জিত পোশাক পড়ু্নঃ বর্তমানে পোশাকের কোন ট্রেন্ড বেশি চলছে তার দিকে খেয়াল রাখুন এবং সে অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করুন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সেই পোশাকটি মার্জিত এবং আপনাকে মানিয়েছে কিনা। সেই সাথে খেয়াল রাখুন আপনার দৈহিক গড়নের দিকটিও যেমন- আপনার উচ্চতা, শারীরিক গঠন, গায়ের রঙ ইত্যাদি অবশ্যই বিবেচনায় রাখা উচিত।

৩। পরিচ্ছন্ন থাকুনঃ সুন্দর মানেই একগাদা মেকআপ ব্যবহার করা নয়। নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাটাই আসল সৌন্দর্য। শুধু দুর্গন্ধ এড়ানোর জন্যই নয় আপনার উপস্থিতি প্রকাশের জন্যও প্রয়োজন সুগন্ধের। তাই এমন পারফিউম ব্যবহার করুন, যা আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানায়। সেই সাথে প্রতিদিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধানের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলুন নিজেকে।

৪। মানসিকতার পরিবর্তনঃ পৃথিবীতে স্রষ্টার প্রতিটি সৃষ্টিই অতুলনীয় সুন্দর। তাকে আলাদাভাবে অন্যকিছুর মাধ্যমে বিশেষ সুন্দর করার আসলে প্রয়োজন নেই।এই জন্য যা প্রয়োজন তাহলো প্রচলিত কিছু চিন্তা ধারার পরিবর্তন করা। প্রথমে নিজের আত্মবিশ্বাস প্রয়োজন যে, আমি যা আছি যেভাবে আছি তাতেই নিজেরমতো সুন্দর। সুন্দর মানে গায়ের রঙ বা দামি পোশাক নয়। আসলে পরিচ্ছন্ন, সঠিক এবং মার্জিতভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারাটাই আসলে নিজেকে সুন্দর দেখানো।

শরীরের গড়ন অনুযায়ী হউক শাড়ির বাছাই

শরীরের গড়ন অনুযায়ী হউক শাড়ির বাছাই

নারীর সঙ্গে শাড়ি, দুটি শব্দ জড়িত। বাঙালি নারী বলতে যেনো একজন শাড়ি পরিহিতাকেই আমরা মনের চোখে কল্পনা করি। আধুনিককালে প্রতিদিন না পড়লেও বিশেষ দিনগুলোতে বাঙালি নারীদের অধিকাংশকেই দেখা যায় শাড়িতে। এমনকি অনেক কর্পোরেট ক্ষেত্রেও শাড়ি ইদানীং একটি আধুনিক ফ্যাশন। ১২ হাতের এই পোশাকটি যদি শারীরিক গঠনের সঙ্গে মানানসই হয় তাহলেই ফুটে ওঠে শাড়ি পড়ার আসল সোন্দর্য। তাই  শাড়ি বাছাই করার সময় আপনিও খেয়াল রাখুন কিছু দিকঃ

সাজপোশাক-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, খাটো, লম্বা বা মাঝারি গড়ন হিসেবে শাড়িও পড়তে হবে মানানসই ভাবে। শাড়ি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রধানত কাপড়ের ধরন ও রংয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হয়। নিজের জন্য কোন ধরনের শাড়ি উপযুক্ত তা বোঝার জন্য আগে বিভিন্ন ধরনের শাড়ি পরে দেখা যেতে পারে। তবে উচ্চতা, ওজন ও শারীরিক গঠন ইত্যাদি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। এরপর যেতে হবে শাড়ির কাপড় এবং নকশার দিকে।

চিত্রঃ শরীরের গড়ন অনুযায়ী হউক শাড়ির বাছাই। ছবিঃ সংগৃহীত
শরীরের গড়ন অনুযায়ী হউক শাড়ির বাছাই। ছবিঃ সংগৃহীত

>> হাল্কা পাতলা গড়নের মেয়েদের  শাড়ি বাছাইয়ে স্বাধীনতা বেশি। চাইলে এমন শাড়ি বেছে নিতে পারেন যাতে স্বাভাবিক শারীরিক গঠন ফুটে উঠবে বা এমন কাপড়ের শাড়ি বেছে নিন যাতে দেখতে কিছুটা মোটা লাগবে।
>> যারা তুলনামূলক বেশি চিকন স্বাস্থ্যের তারা সুতি, খাদি, সিল্ক ইত্যাদি শাড়ি পরতে পারেন। এই ধরনের শাড়িগুলো হালকা ফুলে থাকে। তাই সুন্দরভাবে গুছিয়ে পরলে দেখতে বেশ মানানসই লাগে।
>> তবে রংয়ের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যেকোনো রং বাছাই করা যেতে পারে। চাইলে আঁচলে, কাঁধের কাছে বা কোমরের অংশে কিছুটা কাজ করা করা শাড়ি বাছাই করা যেতে পারে।
>> স্বাস্থ্যবান বা স্থূল গড়ন হলে, হালকা ও পাতলা কাপড় যেমন- জর্জেট, ক্রেপ, শিফন ইত্যাদি কিছুটা ভারী শারীরিক গঠন যাদের তাদের জন্য উপযোগী।
>>ভারী কাপড়ে ও নকশায় তৈরি শাড়ি যেমন- সুতি, কাতান, বেনারসি ইত্যাদি পরলে কিছুটা ফুলে থাকে। ফলে আরও স্ফিত দেখাতে পারে।
>> হালকা রংয়ের পরিমিত এম্ব্রয়ডারি করা শাড়ি এই ধরনের শারীরিক গঠনের জন্য আদর্শ। নকশা ছাড়া শাড়ির ক্ষেত্রে গাঢ় রংগুলো প্রাধান্য দিতে পারেন। কারণ কালো বা এর আশপাশের গাঢ় রংগুলো পরার ফলে শারীরিক গঠন কিছুটা চাপা দেখায়।
>> খাটো গড়নের মেয়েরা প্রথমেই বেছে নিন গাঢ় রংয়ের শাড়ি। এতে দেখতে কিছুটা লম্বা লাগবে। চওড়া পাড়ের শাড়ি কখনও খাটোদের জন্য উপযোগী নয়। কারণ দেখতে আরও খাটো লাগতে পারে।
>> উচ্চতায় কম হলে, ব্লাউজের হাতা লম্বা রাখুন। এতে হাত দেখতে কিছুটা লম্বা লাগবে। গলা বেশি মোটা না হলে চায়নিজ কলারের ব্লাউজ বেছে নিতে পারেন। আর নিজেকে কিছুটা লম্বা হিসেবে উপস্থাপন করতে সুন্দরভাবে ভাঁজ গুছিয়ে শাড়ি পরুন।
>> লম্বা গড়নের মেয়েদের শাড়িতে স্বাভাবিকভাবেই দেখতে কিছুটা লম্বা লাগে। তারা ভারী কাজ করা কালো বা গাঢ় রংয়ের আকর্ষণীয় ছাঁটের ব্লাউজ বেছে নিন। প্রিন্টের শাড়ি লম্বাদের জন্য আদর্শ। অনুষ্ঠানের জন্য ল্যাহেঙ্গা শাড়ি বেশি মানানসই।

জেনে নিন ভ্যাসলিনের চমৎকার কিছু ব্যবহার

জেনে নিন ভ্যাসলিনের চমৎকার কিছু ব্যবহার

চিত্রঃ জেনে নিন ভ্যাসলিনের চমৎকার কিছু ব্যবহার
জেনে নিন ভ্যাসলিনের চমৎকার কিছু ব্যবহার
শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকায় ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে পড়ে। এ সময় ত্বকে আর্দ্রতার ঘাটতি পূরণে ভ্যাসলিনের জুড়ি মেলার ভার। পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভ্যাসেলিন ত্বককে নরম ও মসৃণ করে। কিন্তু ঠোট কিংবা পা ফাটা রোধ করা ছাড়াও আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজে রয়েছে ভ্যাসলিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার। যাদের ত্বক খুব বেশি শুষ্ক তারা ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ভ্যাসলিন ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বককে প্রয়োজনীয় ময়েশচার করে ত্বককে নরম করে। চলুন জেনে নেয়া যাক ভ্যাসলিনের এমন না জানা কিছু ব্যবহারের কথাঃ

ঠোঁটের যত্নেঃ
চিত্রঃ ভ্যাসলিনের ব্যবহার

ভ্যাসলিন ঠোঁটের জন্য খুব ভালো এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। নরম ও সুন্দর ঠোঁট পেতে ঠোঁটে ভ্যাসলিন লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর একটি টুথব্রাশ দিয়ে হালকা করে ঘষুন। এরপর নরম একটি কাপড় দিয়ে ঠোঁট মুছে ধুয়ে ফেলুন। এটি ঠোঁটের মরা কোষ দূর করে ঠোঁটকে নরম করে।

পারফিউমের গন্ধ ধরে রাখতেঃ


চিত্রঃভ্যাসলিনের ব্যবহার

পারফিউম দেওয়ার আগে হাতে বা গলায় ভ্যাসলিন লাগিয়ে সেখানে পারফিউম স্প্রে করুন। এটি অনেকক্ষণ পর্যন্ত পারফিউমের সুগন্ধ ধরে রাখতে সাহায্য করে।

চোখের পাপড়ি ঘন করতেঃ

চিত্রঃভ্যাসলিনের ব্যবহার

চোখের পাপড়ি ঘন ও লম্বা করতে ব্যবহার করতে পারেন ভ্যাসলিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখের পাপড়িতে ভ্যাসলিন লাগান এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন।

আংটি খুলতেঃ
চিত্রঃভ্যাসলিনের ব্যবহার

হাতের আঙ্গুলে টাইট হয়ে লেগে থাকা আংটি খুলতে সেখানে ভ্যাসলিন লাগান। সহজেই খুলে যাবে আংটি।

নখের ভাঙা রোধেঃ
চিত্রঃ ভ্যাসলিনের ব্যবহার

নখ ভাঙ্গা থেকে রক্ষা পেতে এবং নখকে শক্ত করতে ভ্যাসলিনের সঙ্গে গ্লিসারিন মিক্স করে নখে লাগান। অথবা শুধু ভ্যাসলিনও ব্যবহার করতে পারেন।

চুলের আগা ফাটা রোধেঃ

চিত্রঃ ভ্যাসলিনের ব্যবহার

চুলের আগা ফাটা রোধ করতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুলের আগায় একটু ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে চুলের আগা ফাটা কমে যাবে।

কানে দুল পরতেঃ
চিত্রঃভ্যাসলিনের ব্যবহার

যাদের কানের দুল পরতে সমস্যা হয় বা কানের ছিদ্রে ব্যথা অনুভব করেন তারা পরার আগে সেখানে ভ্যাসলিন মেখে নিন। তাহলে খুব সহজেই কানের দুল পরতে পারবেন এবং ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।

জুতার উজ্জলতা বৃদ্ধিতেঃ

চিত্রঃ ভ্যাসলিনের ব্যবহার

জরুরি কোন কাজে পরিপাটি হতে হবে কিন্তু হাতের কাছে সু পলিশ নেই। কোন চিন্তা নেই! সামান্য ভ্যাসেলিন নিয়ে জুতা ভাল করে কাপড় দিয়ে মুছে নিন। নতুনের মত ঝকঝকে হয়ে যাবে।

মরিচা প্রতিরোধেঃ

চিত্রঃ ভ্যাসলিনের ব্যবহার

লোহার তৈরি নানান টুলসে প্রায়ই মরিচা পড়ে। ভ্যাসলিন ব্যবহার করে সহজেই এ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কারণ ভ্যাসলিনের আস্তরনটির কারণে পানি ধাতুর সংস্পর্শে আসবে না। তাই মরিচাও পড়বে না!

পিঁপড়া ঠেকিয়ে রাখতেঃ

চিত্রঃ ভ্যাসলিনের ব্যবহার

খাদ্যপাত্রে রাখা আপনার পোষা প্রাণীর খাবার পিঁপড়ার সম্ভাব্য আক্রমন থেকে রক্ষা করতে পারেন। খাদ্যপাত্রের তলদেশের চারিদিকে ভ্যাসেলিন মাখিয়ে দিন যাতে পিঁপড়া এর থেকে দূরে থাকে। ছবিঃ সংগৃহীত

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি!

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি! নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি! শীত, গরম বা বর্ষাকালেও খুশকির যন্ত্রনা যেন মেটে না। পার্লারের আহাম...

Our Popular Posts