অতিরিক্ত গ্রিন টি পানের স্বাস্থ্য ঝুঁকি

অতিরিক্ত গ্রিন টি পানের স্বাস্থ্য ঝুঁকি

গ্রিন টি স্বাস্থ্যকর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে, রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ওজন কমতে সাহায্য করে। এতো সব উপকারিতা সত্ত্বেও অতিরিক্ত গ্রিন টি পান করার ফলে স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
চিত্রঃ অতিরিক্ত গ্রিন টি পানের স্বাস্থ্য ঝুঁকি
অতিরিক্ত গ্রিন টি পানের স্বাস্থ্য ঝুঁকি

১। ক্যাফেইন এর মাত্রাতিরিক্ততাঃ গ্রিন টি ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয়। তাই হৃদস্পন্দন দ্রুত হওয়া, পেটের সমস্যা, অস্থিরতা, উদ্বিগ্নতা, ইনসমনিয়া এবং কম্পনের মত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যদি কেউ নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন তাহলে তার শরীর ক্যাফেইন এর প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়বে এবং এটি পান করা বন্ধ করে দিলে ব্যক্তির শরীরে বিরক্তিভাব, নিদ্রালুতা এবং মাথাব্যথার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। কারন কেউ যদি এর প্রতি সংবেদনশীল হন তখন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

২। আয়রনের শোষণে বাঁধাঃ চা এ ফ্লেভনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আপনার শরীরে সুরক্ষা প্রভাব দিতে পারে এবং শরীরে আয়রন শোষিত হওয়া প্রতিরোধ করে। খাওয়ার সময় গ্রিন টি পান করলে আয়রনের শোষণ ৭০ শতাংশ কমে। তাই খাওয়ার পর পরই চা পান করতে হলে চায়ের সাথে লেবুর রস মেশান, এতে আয়রন যুক্ত হয়ে যাওয়ার প্রভাব কমবে।

৩। মিষ্টি চাঃ যদি আপনি গ্রিন টি এর সাথে চিনি মেশান তাহলে আপনি অস্বাস্থ্যকর ক্যালোরি গ্রহণ করছেন। বোতলজাত গ্রিন টি এর প্রতি কাপে ৩০-৯০ ক্যালোরি থাকে। আপনার চায়ের কাপে প্রতি চামচ চিনিতে ১৬ ক্যালোরি থাকে।

৪। স্বাস্থ্য জটিলতাঃ যদিও গ্রিন টি পান করা নিরাপদ, তবে অতিরিক্ত পান করার ফলে স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে যেমন- দুশ্চিন্তায় ভোগেন যারা তাদের উদ্বিগ্নতা আরো বৃদ্ধি পায় এবং ডায়রিয়া হলে চা পান করলে সমস্যা আরো বৃদ্ধি পায়। মেডলাইন প্লাস এর মতে, অ্যানেমিয়া, গ্লুকোমা, হৃদরোগ বা ব্লিডিং সমস্যা থাকলে গ্রিন টি পান করা নিরাপদ নয়।

দিনে কতবার পান করা যায় গ্রিন টি?
দিনে ৫ বারের বেশি গ্রিন টি পান করা ঠিক নয়। দিনে ৩ কাপ গ্রিন টি পান করাই যথেষ্ট ওজন কমানোর জন্য। খালি পেটে গ্রিন টি পান করা ভালো, এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের শোষণ ভালো হয়।

নতুন জুতায় পায়ে ফোস্কা!

নতুন জুতায় পায়ে ফোস্কা!

পায়ের সুরক্ষা ও ময়লা থেকে পা-কে নিরাপদ রাখতে কিংবা ফ্যাশানের অনুষঙ্গ হিসেবে জুতা ছাড়া কোন বিকল্পই নেই। তবে নতুন জুতার ক্ষেত্রে হতে পারে পায়ে জ্বালাপোড়া এবং পরে দেখা যায় নতুন জুতার কারণে পায়ে ফোস্কা পড়ে গেছে। পায়ের ফোস্কা এড়াতে যা করতে পারেনঃ
চিত্রঃনতুন জুতায় পায়ে ফোস্কা!
নতুন জুতায় পায়ে ফোস্কা!

নারিকেল তেলঃ
নারিকেল তেল জুতা স্যান্ডেল থেকে পায়ে পরা ফোস্কা সারাতে সব থেকে ভালো উপাদান। এক চা চামচ কর্পূর এর সাথে সামান্য নারিকেল তেল মিশিয়ে আপনার পায়ের ফোস্কা পড়া জায়গাতে লাগান। দিনে দুইবার এটি লাগান দেখবেন তাড়াতাড়ি ফোস্কা সারার সাথে সাথে এটি আক্রান্ত জায়গার চুল্কানিও কমিয়ে দেবে। আপনি চাইলে জুতা পরার আগেও নারিকেল তেল লাগিয়ে নিতে পারেন এতে পায়ে ফোস্কা পরবে না।

লবনঃ ঠান্ডা পানিতে লবণ দিয়ে ফোস্কা পড়া জায়গা ভিজিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। এতে জ্বালাপোড়া কমবে এবং ফোস্কার ফুলে উঠা অনেকাংশে কমে যাবে বেশ সহজেই।

টুথপেস্টঃ খুব সহজ ঘরোয়া সমাধানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে টুথপেস্টের ব্যবহার। ফোস্কা পড়া স্থানে যতো দ্রুত সম্ভব টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন। এতে ফুলে উঠা এবং ফোস্কার ভেতরের পানি খুব সহজেই কমে যাবে এবং এতে জ্বালাপোড়াও কমে আসবে অনেক।

গ্রিন টিঃ গ্রিন টির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান খুব দ্রুত ফোলা কমাতে এবং জ্বালা বন্ধ করতে সহায়তা করে। যদি হাতের কাছে গ্রিন টি না থাকে তাহলে ব্ল্যাক টি দিয়েও কাজ চালাতে পারেন। এতেও ভালো ফল পাবেন।

অ্যালোভেরা জেলঃ ফোস্কা পড়ার জ্বালা পোড়া থেকে মুক্তি পেতে আপনি অ্যালোভেরা জেল লাগান। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে পর পর ব্যবহার করলে আপনার ফোস্কার জ্বালা পোড়া কমে যাবে।

শীতে ব্রণের সমস্যার সহজ সমাধান

শীতে ব্রণের সমস্যার সহজ সমাধান

শীতকালটা অনেকেই খুব পছন্দের হলেও খুব বেশি শুষ্ক ত্বকে শীতকালে অনেকেরই ব্রণের উপদ্রব দেখা দেয়। আর তখন বেশ বিপাকে পড়তে হয়। কারণ এসময়ে ঠিক কিভাবে ত্বকের যত্নটা নেয়া উচিত এটা বুঝতে হিমসিম খেয়ে যান অনেকেই। এই শীতে ব্রণের উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়ার খুব সহজ উপায় জেনে নেয়া যাক।
চিত্রঃশীতে ব্রণের সমস্যার সহজ সমাধান
শীতে ব্রণের সমস্যার সহজ সমাধান

>> শীতকালে ব্রণের উপদ্রব থেকে বাঁচার জন্য ত্বকটাকে কিভাবে পরিষ্কার করছেন সেদিকে একটু খেয়াল রাখুন। এসময় সাবান দিয়ে মুখের ত্বক পরিষ্কার না করে ভালো ব্র্যান্ডের অয়েল ফ্রি ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। গরম পানি দিয়ে ভুলেও ত্বক ধোবেন না। সবসময়ে মুখ ধোয়ার জন্য ঠান্ডা পানি ব্যবহার করবেন। ক্ষারমুক্ত ভালো ফেসওয়াশ দিয়েও ত্বক পরিষ্কার করতে পারেন সকালে এবং রাতে।

>> অনেকেই ব্রণ উঠেছে বলে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতেও ভয় পায়। ফলে ত্বকটা আরো শুষ্ক হয়ে ওঠে এবং ব্রণের সমস্যাও কমে না। হেভি ক্রিম ব্যবহার না করে হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার সবচাইতে ভালো বন্ধু হতে পারে বেবি ক্রিম। ছোট শিশুদের ত্বকের জন্য তৈরি করা হয় বলে ক্ষতিকর কোনো কেমিক্যাল থাকে না এগুলোতে। ফলে আপনার ব্রণের সমস্যাটাকে আরো বাড়িয়ে দেয়ার সম্ভাবনা থাকে না এই প্রোডাক্টগুলোতে।

>> কম পানি পানের ফলেই শীতে দেখা দেয় ব্রণের উপদ্রব। তাই শীতেও প্রচুর পানি পান করুন।অন্তত দিনে ৮ গ্লাস পানি অবশ্যই পান করা উচিত ত্বক এবং শরীর ভালো রাখার জন্য।

>> ত্বকে ব্রণের সমস্যা হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম একটি হলো বালিশের কভার পরিষ্কার না রাখা। চুলের ধুলোময়লা বালিশের কভারে লেগে থাকে এবং তা আপনার ত্বকেও লেগে যায়। ফলে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। তাই সপ্তাহে অন্তত একবার বালিশের কভারটা বদলে ফেলা উচিত।

স্কাল্পে চুলকানি ?

স্কাল্পে চুলকানি ?

শ্যাম্পু করার পরদিন থেকেই মাথার স্কাল্প চুলকাচ্ছে? খুবই যন্ত্রণাদায়ক এই ব্যাপারটা। অনেকেই এই মাথার স্কাল্পে চুলকানির সমস্যায় ভুগছেন। খুশকিও থাকে মাথায়। জেনে নেয়া যাক স্কাল্পের চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু টিপসঃ
চিত্রঃস্কাল্পে চুলকানি?
স্কাল্পে চুলকানি?

স্কাল্পে চুলকানির কারণঃ

>> স্কাল্পে চুলকানির কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত ময়েশ্চার স্কাল্পে জমা হওয়া।

>> আরেকটি কারণ হচ্ছে, চুলের গোড়া পরিষ্কার না রাখা। অনেকেই আছেন, যারা নিয়মিত শ্যাম্পু করেন না। তাদের স্কাল্পের ঘাম, ধুলোবালি, অয়েল জমতে জমতে এক পর্যায়ে চুলকানি শুরু হয়।

>> যারা হ্যাট, হিজাব, হেয়ার এক্সটেনশন ব্যবহার করেন, তাদের মাথার ত্বক দীর্ঘ সময় ধরে ঢাকা থাকে। এ সময় ঘাম, অয়েল জমে স্কাল্পে চুলকানি হতে পারে।

>> এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, যাতে কড়া গন্ধ নেই। হার্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন এবং অ্যামোনিয়া, প্যারাবেন ফ্রি শ্যাম্পু ব্যবহারের চেষ্টা করবেন।

>> কখনোই আপনার হেয়ার ক্লিপস, হিজাব, ক্যাপ, টাওয়াল, চিরুনি  ইত্যাদি কারো সাথে শেয়ার করবেন না। এতে একজনের স্কাল্পের সমস্যা অন্যজনেরও হতে পারে।

চুলকানি দূর করার উপায়ঃ

১। একটি বড় আদার টুকরা নিয়ে এটি গ্রেট করে নিন মিহি করে। চাইলে বেটেও নিতে পারেন। আদার রসটুকু চিপে আলাদা করে নিন। আদার রসের মধ্যে ১ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস যোগ করুন। সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। একটি কটন প্যাড এই মিশ্রণে চুবিয়ে নিয়ে চুলের গোড়ায় সিঁথি কেটে নিয়ে ব্যবহার করুন। পুরো চুলে লাগানোর দরকার নেই। ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলবেন।

২। একটি বাটিতে ২ টেবিল চামচ মেথি দানা নিয়ে সারারাত অল্প পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানিসহ মেথি বেটে নিন। এর মধ্যে ১/৩ কাপ টক দই, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন।প্যাকটি মাথার স্কাল্পসহ পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন ৪০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে নিন।

গলা ব্যথা রোধের কিছু পরামর্শ

গলা ব্যথা রোধের কিছু পরামর্শ

ঋতু পরিবর্তনের ফলে হঠাৎ ঠাণ্ডা লাগা, খুব সহজেই ঠাণ্ডায় গলা ব্যথা হওয়া। সর্দি, খুসখুসে কাশি আর জ্বরও অনেক সময় গলা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ সময় কণ্ঠনালীতে সংক্রমণ হয়, প্রদাহ হয়, অনেক সময় টনসিল এবং অন্যান্য গ্রন্থি ফুলে যায় ও ব্যথা করে৷ তাই এসকল সমস্যা প্রতিরোধের জন্য সবসময় সচেতন থাকতে হবে এবংঘরোয়া উপায়ে মেনে চলুন কিছু পরামর্শ।
চিত্রঃ গলা ব্যথা রোধের কিছু পরামর্শ
গলা ব্যথা রোধের কিছু পরামর্শ

১। গলা ব্যথার জন্য গরম পানীয় খুব কার্যকর। আদা চা, কফি, মধু মিশানো জল, গরম দুধ প্রভৃতি পান করতে হবে।
২। অনেক সময় টনসিল ফুলে গলা ব্যথা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ মতো নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে।
৩। গলা ব্যথার সঙ্গে যদি ঢোক গেলার সময় কাঁটা কাঁটা অনুভূতি হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। গ্ল্যান্ড ফুলে, গ্ল্যান্ডে ইনফেকশন হলে এরকম হয়ে থাকে। সময়মত চিকিৎসা না করালে পরবর্তীতে এটি থেকে জ্বর ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪। কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে গার্গল করা, শুধুমাত্র গলার জীবাণুকেই ধ্বংস করে না, প্রদাহ ও ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। তাই এক কাপ হালকা গরম পানিতে আধা চা চামচ লবন মিশিয়ে দিনে দুই তিন বার গার্গল করা প্রয়োজন।
৫। হাঁচি, কাশি ও গলার ভিতর প্রচুর তরল নিঃসরণের জন্য শরীর অনেকটাই পানিশুন্য হয়ে পড়ে। তাই প্রচুর পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। তবে অবশ্যই ঠাণ্ডা পানি বর্জন করা প্রয়োজন।
৬। আদা, বা রসুন দিয়ে রান্না করা ধোঁয়া উঠা গরম সূপ গলা ব্যাথায় দারুণ কাজে দেয়।
৭। গলা ব্যাথায় দিনে দুই তিনবার গরম চা আমাদের অনেকটাই আরাম দিতে পারে। সেক্ষেত্রে গ্রিন টি বা হারবাল চা অনেক বেশি কার্যকর। চাইলে চায়ের মধ্যে লেবুর রস বা লবঙ্গ জাতীয় জিনিস যোগ করুন, যা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে৷

উপরোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করলে এসব সমস্যা থেকে অনেকখানি সমাধান পাওয়া যায়। তবে একটি প্রবাদ আছে, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভালো। শীতকালে পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরতে হবে। ভোর সকালে বা সন্ধ্যায় বের হওয়ার সময় মাথা ঢেকে বের হন। মাফলার, টুপি প্রভৃতি ব্যবহার করুন। মাথায় কুয়াশা পড়লে তা থেকে মারাত্মক ঠাণ্ডা লেগে থাকে। যাদের টনসিলের সমস্যা আছে তাদেরকে অবশ্যই গলা ঢেকে রাখতে হবে। ঠান্ডা পানীয় পান, ঠাণ্ডা জল ব্যবহার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।

চুলের যত্নে অ্যাভোকাডোর হেয়ার প্যাক

চুলের যত্নে অ্যাভোকাডোর হেয়ার প্যাক

শীতে চুলের রুক্ষতা এড়ানোর জন্য ব্যবহার করুন দারুন কার্যকরএকটি হেয়ার প্যাক। সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এই প্যাক নরমাল, কম্বিনেশন, ড্রাই, অয়েলি সব রকম স্কিনের অধিকারীরা ব্যাবহার করতে পারেন।
চিত্রঃচুলের যত্নে অ্যাভোকাডোর হেয়ার প্যাক
চুলের যত্নে অ্যাভোকাডোর হেয়ার প্যাক

অ্যাভোকাডোর খোসা ছিলে মাঝখান থেকে টুকরো করে ভেতরের বীজ ফেলে দিন। এরপর ছোট ছোট টুকরো করে নিন। ব্লেন্ডারে এই টুকরো অ্যাভোকাডো আর আধা কাপ দুধ ঢেলে ব্লেন্ড করে নিন, যতক্ষণ পর্যন্ত একটা ক্রিমি পেস্ট তৈরি হয়।
চুলে বিলি কেটে আঙ্গুল দিয়ে এই প্যাক পুরো চুলে লাগিয়ে নিন। এরপর চুল হাল্কা করে ক্লিপ দিয়ে খোপার মত করে বেধে রাখুন। যেটুকু রয়ে যাবে সেটুকু লাগিয়ে ফেলুন মুখে, হাতে পায়ে। ৩০ মিনিট পরে পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক চুলে পুষ্টি জোগাবে আর রুক্ষতা দূর করবে।

মেকআপ টিপস

মেকআপ টিপস

পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ওপর নির্ভর করে বাকি সাজ। শীতের সময় কেমন হবে মেকআপ, সেটি খেয়াল রাখুন। পোশাকের সঙ্গে মেকআপ ঠিক রাখতে কী কী করবেন রইল সেই রকম কিছু টিপসঃ
চিত্রঃমেকআপ টিপস
মেকআপ টিপস

* শুষ্ক ত্বকে অয়েল বেসড ময়েশ্চারাইজার, তৈলাক্ত ত্বকে অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ও কম্বিনেশন ত্বকের টি জোনে অয়েল ফ্রি এবং বাকি অংশে অয়েল বেসড ময়েশ্চারাইজার লাগান।
* হালকা মেকআপ করতে চাইলে ফাউন্ডেশনের বদলে বেছে নিন বিবি ক্রিম। গার্নিয়ার বিবি ক্রিম এই শীতে সব ধরনের ত্বকের উপযোগী।
* ডার্ক সার্কেল, ব্রণের দাগ ও ডার্ক স্পট ঢাকতে বেছে নিন লিকুইড বা ক্রিম কন্সিলার।
* শীতে বেছে নিন একটু ভারী ধরনের ক্রিম কমপ্যাক্ট পাউডার, যাতে অয়েল কন্টেন্ট বেশি থাকে। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখবে, অতিরিক্ত শুষ্ক করবে না।
* শীতে চোখের সাজে বেছে নিন ফ্রস্টি, শিমারি আইশ্যাডো। স্মোকি লুক বেশ মানাবে শীতের রাতের পার্টিতে। আইশ্যাডোর আগে লাগান ক্রিম কন্সিলার ও আইপ্রাইমার। আইশ্যাডো দীর্ঘস্থায়ী করার পাশাপাশি এটি আর্দ্রতাও দেবে।
* লিপস্টিক দেওয়ার আগে ঠোঁটে ভালো মানের লিপবাম লাগান। লিপস্টিকের বদলে ব্যবহার করতে পারেন টিন্টেড লিপবাম আর লিপগ্গ্নস।
* শীতের ফ্যাকাশে ত্বককে রঙিন করতে বেছে নিন ব্লাশ। যাদের রঙ ফর্সা ও আন্ডারটোন পিংক, তারা বেছে নিন গোলাপি বা কোরাল শেড। হলুদ আন্ডারটোন ও চাপা রঙ হলে পিচ, টেরাকোটা শেডগুলো বেশি মানাবে। পাউডার ব্লাশ-অনের বদলে বেছে নিন ক্রিম ব্লাশ।

মজাদার পনির ভেজিটেবল সালাদ

মজাদার পনির ভেজিটেবল সালাদ

উপকরণঃ পনির ৮/১০ টুকরা, শসা ২টি, টমেটো ২টি, ক্যাপসিকাম ১টি, লেটুস পাতা ১টি, বড় পেঁয়াজ গোল করে কাটা
* সবজিগুলো (পনিরসহ) চার কোনা করে কেটে নিতে হবে।
চিত্রঃমজাদার পনির ভেজিটেবল সালাদ
মজাদার পনির ভেজিটেবল সালাদ

সসের জন্যঃ  জলপাই তেল ১ কাপ, দেশি পেঁয়াজ ২টি (বড়), রসুন ৩ বা ৪টি কোয়া, আস্ত গোলমরিচ ৮/১১টি, সরিষা বাটা ১ চা-চামচ, লেবুর রস ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো
* সবগুলো উপকরণগুলো ভালো করে ব্লেন্ড করতে হবে।

প্রণালিঃ সব উপকরণ (লেটুস পাতা বাদে) সসের সঙ্গে মেখে নিন। পরিবেশনের সময় ওপরে লেটুস পাতা দিয়ে দিন।

ত্বক থাকুক সতেজ

ত্বক থাকুক সতেজ 

শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক হয়ে পড়ছে নির্জীব। কারণ শীতের রুক্ষ আবহাওয়া এবং ধুলো-ময়লায় ত্বক হয়ে ওঠে রুক্ষ এবং শুষ্ক, কেড়ে নেয় ত্বকের আর্দ্রতা। এর ফলে ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। তাই ত্বকের জন্য চাই বিশেষ পরিচর্যা।
চিত্রঃত্বক থাকুক সতেজ। ছবিঃ সংগৃহীত
ত্বক থাকুক সতেজ। ছবিঃ সংগৃহীত

* এই সময় ত্বকে ঘন ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে, যেন ত্বক শুষ্ক হয়ে না ওঠে।
শুষ্ক আবহাওয়ায় ধুলো-ময়লা বেশি থাকে। ফলে ময়লা জমে ত্বকে মৃত কোষের সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন গোসল না করলে ধুলো-ময়লা জমে লোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ত্বকে ব্রণ হয় এবং নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দেয়। প্রয়োজন হলে হালকা কুসুম গরম পানির সঙ্গে নিমপাতা সিদ্ধ পানি মিশিয়ে প্রতিদিন গোসল করতে হবে।
* ফেসিয়াল ত্বকের যত্নের জন্য জরুরি। ত্বককে সজীব রাখতে শুষ্ক আবহাওয়ায় ১৫ দিন পর পর ফেসিয়াল এবং মেনিকিউর-পেডিকিউর করা উচিত।
* তৈলাক্ত ত্বকে ময়লা বেশি জমে। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা প্রতিবার ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে লোশন লাগাবেন। যাদের ত্বক কিছুটা শুষ্ক তাদের একটু ভারী ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।
* ধুলোবালি থেকে চুল খুব তাড়াতাড়ি রুক্ষ হয়ে ওঠে। চুলের ত্বকে ময়লা জমে সৃষ্টি হয় খুশকির সমস্যা। ফলে ত্বকে অক্সিজেন প্রবেশ করতে পারে না এবং চুল ভঙ্গুর হয়ে ওঠে। নির্জীব হয়ে ঝরে পড়তে শুরু করে চুল। তাই একদিন পর পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধোয়া উচিত।
* এছাড়া চুলের রুক্ষতা কমাতে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার চুলে তেল ম্যাসাজ করে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে এবং ১৫ দিন পর পর পার্লারে গিয়ে হেয়ার ট্রিটমেন্ট করালে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
* গোসলের সময় অত্যধিক গরম পানি ব্যবহার করবেন না। গরম পানি ত্বকের তেল শোষণ করে ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। তাই এই শীতে গোসলের সময় ত্বকের জন্য সহনীয় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।
* মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে সাবানের পরিবর্তে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
* ঠোঁট ফাটা থেকে রক্ষা পেতে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মধু এবং গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান।
* খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি এবং ফলমূল রাখুন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
* আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় এ সময় খুশকি বাড়ে। খুশকি কমাতে লেবুর রস চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করতে পারেন।
* তেলের সঙ্গে আমলকি মিশিয়ে লাগান। বেশি কেমিক্যালসমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। মেহেদি, লেবুর রস, ডিম মিশিয়ে চুলে এক ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে নিন।

শীত ফ্যাশনে নতুনত্ব

শীত ফ্যাশনে নতুনত্ব

শীতে কাবু হয়ে গরম কাপড়ে জবুথুবু হয়ে থাকলেও এ সময় পোশাক এবং অনুষঙ্গের ব্যবহার থাকে চোখে পড়ার মতো। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এটি এখন আরও আধুনিক রূপ ধারণ করেছে।  আমাদের দেশীয় পোশাকেও এসেছে ওয়েস্টার্ন কম্বিনেশন। শীত এলেই শুরু হয় বাহারি ডিজাইনের পোশাকের সমাহার। সোয়েটার, জ্যাকেট আর অন্যসব শীতের পোশাকে আকর্ষণীয় করে তোলে এর এক্সেসরিজ। এর মধ্যে অন্যতম মাফলার ও টুপি। শীতের ফ্যাশনে অনেক বড় ভূমিকা রাখে টুপি। পুরো স্টাইলকে যেন পাল্টে দেয়। তবে মাফলরও বেশি মানানসই।
চিত্রঃশীত ফ্যাশনে নতুনত্ব
শীত ফ্যাশনে নতুনত্ব
মাফলারের ব্যবহার অনেক আগে থেকেই। শীত এলেই একটি মোটা উলের কাপড় দিয়ে মুখমণ্ডল ও গলা পেঁচিয়ে রাখতে দেখা যেত। তখন শুধু শীতের হাত থেকে বাঁচতে এর ব্যবহার ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে এ যেন নিয়েছে ভিন্নরূপ। পরিণত হয়েছে শীত স্টাইলের নতুন মাত্রা। প্যাটার্ন, স্টাইল এবং কাপড়ে আনা হয়েছে অনেক পরিবর্তন। যে কোনো পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে যায় এসব মাফলার। অনেকে স্কুল ড্রেসের সঙ্গে মানিয়ে মাফলার পরে। অনেক কালারফুল হলেও মনে হয়, পোশাকটির জন্যই তৈরি এটি। সাথে বেছে নেয়া যায় নানারকম টুপি। উলের এসব টুপি কান পর্যন্ত টেনে পরা যায়। তাই উষ্ণ আরাম পেতে এর জুড়ি নেই। তবে বাইরে টুপি বেশ মানানসই। ভাবছেন, এটা শীতে কেন। আসলে শীতের কুয়াশা থেকে রক্ষা পেতে এটা বেশ কার্যকর।
আধুনিক ফ্যাশনে সোয়েটার বা জ্যাকেট দুটিই পরতে দেখা যায় মেয়েদের। এর সঙ্গে কম্বিনেশন করে নিতে হবে টুপি ও মাফলার। ছেলেরা মাথা ঢাকতে টুপি পরে থাকে। কিন্তু এটা মেয়েদের ক্ষেত্রে একেবারে সুবিধার নয়। এতে চুলের স্টাইল একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। অবশ্য চাইলে মাফলার ওড়নার স্টাইলে ব্যবহার করতে পারবেন। মেয়েদের এই স্টাইলটি বেশি দেখা যায়। পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে নিজেই লুকগুলো তৈরি করে নিতে হবে। এ ধরনের ফ্যাশন আপনার ড্রেসকোডের ওপর নির্ভর করে। যেমন, অফিসিয়াল লুকে কোট-প্যান্ট থাকলে তার সঙ্গে মানিয়ে একই কালারের মাফলার পরতে পারেন। এটা হতে পারে ওড়নার মতো করে মাথায় পেঁচিয়ে। আবার যদি থ্রিপিস পরে থাকেন, তাহলে শুধু মাফলারটি গলায় পেঁচিয়ে নিন। এমন সব আইডিয়া নিজে থেকে করতে হবে, যা মেইনটেন করে আপনার নিজস্ব লুকে। ছবিঃ সংগৃহীত

ব্লেজারে শীতের ফ্যাশন

ব্লেজারে শীতের ফ্যাশন

ফ্যাশন প্রিয়াসীরা বরাবরই শীতের ফ্যাশন নিয়ে বেশ চিন্তিত। তাদের জন্য শীতের কাপড় আর শীত ফ্যাশনে এসেছে বৈচিত্র। শীতকালের ফ্যাশনের জন্য এখন অনেক ভিন্ন ধর্মী শীতের পোশাক পাওয়া যায়। তবে শীতে ফ্যাশনেবল পোশাকের মধ্যে ব্লেজার অন্যতম।
চিত্রঃ ব্লেজারে শীতের ফ্যাশন
ব্লেজারে শীতের ফ্যাশন

অফিস, পার্টি কিংবা যে কোন জায়গাতে বেড়াতে বের হলেই সাধারণত ব্লেজার ও স্যুটই পরে ছেলেরা। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও এখন পরছেন ফরমাল ব্লেজার। ছেলেদের শুধু শার্ট-প্যান্টের সঙ্গে ব্লেজার পরলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে প্যান্ট, স্কার্ট এমনকি কেউ কেউ শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গেও পরছেন ব্লেজার। আবার সব সময় ফরমাল নয়, একটু ক্যাজুয়াল ধাঁচেও তৈরি হচ্ছে এখনকার ব্লেজারগুলো। ব্লেজারের নকশা ও কাটছাঁটে থাকছে নানা বৈচিত্র্য।

অফিসিয়াল বা ফরমাল যাই হোক না কেন, ব্লেজারের কাটিংফিটিং থাকা চাই ঠিকঠাক। তা না হলে আপনার স্মার্টনেস নষ্ট হবে পুরোটাই। শারীরিক গঠন মোটা হলে এক বোতাম, চিকন ও মাঝারি গড়ন হলে দুই-তিন বোতাম দিয়ে ব্লেজার পরলে ভালো দেখাবে। ব্লেজার বা কোট পরার সময় শরীরের গঠন ও মুখের গড়ন বিবেচনা করা উচিত। যাদের কম উচ্চতা, তাদের স্ট্রাইপ আর যাদের উচ্চতা বেশি তাদের এক রঙের চেক ব্লেজার ভালো মানায়। শারীরিক গড়ন মোটা হলে এক বোতাম, চিকন ও মাঝারি হলে দুই-তিন বোতাম ব্লেজার পরলে ভালো দেখাবে। এক বোতামের ব্লেজারই এখন ফ্যাশনে ইন। তবে এক বাটনের ব্লেজার যেমন ফ্যাশনেবল তেমনি নিচে রাউন্ড শেপটাও এখন সবার পছন্দ।

কালোর পাশাপাশি মেয়েদের ব্লেজারে এখন গোলাপি, লাল, নীলসহ নানারকম উজ্জ্বল রঙের রাজত্ব চলছে। তরুণীদের ব্লেজার রঙের সঙ্গে ভেতরের টপটির রঙ না মিলিয়ে বিপরীত রঙ নির্বাচন করলে ভালো দেখাবে। একটির হালকা রঙ হলে আরেকটি হতে হবে গাঢ় রঙ। তবে কখন রঙ মিলিয়ে আর কখন বিপরীত রঙ পরা হবে তা ব্লেজারের নকশার ওপরও নির্ভর করে। তবে খুব বেশি শকিং কালার করপোরেট লুকে মানানসই নয়। ছবিঃ সংগৃহীত

আর নয় শুষ্ক ত্বক!

আর নয় শুষ্ক ত্বক!

ত্বক সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। ত্বক যত সুন্দর ও সজীব থাকবে, আপনিও থাকবেন তত সুস্থ ও সুন্দর। সুতরাং ত্বকের যত্ন নিন, সজীব থাকুন। শীতকালে ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা অনেকেরই বৃদ্ধি পায়। তবে মাঝে মধ্যে আবহাওয়া ছাড়াও শারীরিক কারণে ত্বকের শুষ্কতা দেখা দিতে পারে। ত্বকের শুষ্কতা থেকে বাঁচতে কিছু টিপস মেনে চলুন ত্বক সতেজ থাকবে!
চিত্রঃ আর নয় শুষ্ক ত্বক!
আর নয় শুষ্ক ত্বক!

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুনঃ ত্বকের যত্নে প্রথমেই দরকার ময়েশ্চারাইজ। ময়েশ্চারাইজ বলতে ত্বকের উপর অংশের কোষগুলো যাতে পর্যাপ্ত ভেজা থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা। প্রতিনিয়ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে। এজন্য গোসলের পরে এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বকে ভালোমতো ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা অলিভ অয়েল অথবা গ্লিসারিন  ব্যবহার করুন।
এছাড়া ও যে কাজগুলো ত্বক ভালো রাখার জন্য আপনাকে করতে হবে তাহলোঃ 
* প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পানি আপনার শরীরের মাঝে টক্সিন জাতীয় পদার্থগুলোকে পরিষ্কার করে এবং চামড়ার কোষগুলোকে সজীব রাখে।
* প্রতিদিন খাবারে প্রচুর শাকসবজি গ্রহণ করুন। মাংস কিংবা চর্বি জাতীয় খাবারের চাইতে শাকসবজি আপনার ত্বকের যত্নে বেশ কাজে দেবে। সবুজ শাক জাতীয় খাবারে যে খনিজ উপাদান থাকে তা ত্বকের সজীবতা রক্ষায় সাহায্য করে।
* অধিক পরিমাণে পানির ব্যবহার ত্বকের সুরক্ষা স্তর ধুয়ে নেয়। যার কারণে ত্বকের শুষ্কতার মাত্রা বাড়তে পারে। তাই শীতের সময়ে গরমের দিনেরমতো এত বেশিবার মুখ ধোবেন না।
* খুব বেশি টাইট জামা কাপড় না পরাই ভালো। এতে চামড়ার যে ফ্লেক্সিবিলিটি আছে সেটি নষ্ট হয়। নিজের জন্য আরামদায়ক কাপড় ব্যবহার করুন। এতে চামড়ার উপর বাড়তি চাপটা পড়বে না।
চাইলে ত্বকে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের সজীবতা রক্ষা করবে এবং শীতের প্রকোপ থেকে আপনার ত্বককে বাঁচিয়ে রাখবে।
* ঘরে থাকা নানা জিনিস ব্যবহার করে আপনি ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। অ্যালোভেরা, নারিকেল তেল, গ্লিসারিন এগুলো ত্বকের যত্নে বেশ কার্যকরী। তাই শীতের দিনে এগুলো নিয়মিত ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।

কেমন হবে শীতের সাজ!

কেমন হবে শীতের সাজ!

শীতে মেকআপ গলে পড়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় নেই বলে ম্যাটের পরিবর্তে ট্রেন্ডে উঠে আসে গ্লসি, শাইনি মেকআপ। এসময় চাইলে উজ্জ্বল বেইজ, ঝলমলে শেড, গাঢ় লিপস্টিক আর ডিপ ব্লাশঅন ব্যবহার করতে পারেন! তবে যতো সুন্দর করেই আপনি নিজেকে সাজান না কেন, সেটি সেট হবার জন্য প্রয়োজন সুস্থ ত্বক। না হলে কোনো মেকআপেই মানানসই মনে হবে না আপনাকে।
সাজের সঙ্গে সময়েরও একটা সম্পর্ক আছে। দিন ও রাতের মেকআপ সব মৌসুমে আলাদা। দিনে হালকা আর রাতের জন্য জমকালো সাজ। তবে কিছুটা ব্যতিক্রম তো হতেই পারে। মুড এবং অনুষ্ঠানের ধরন বুঝে শীতদুপুরেও মাঝে মাঝে ভারী সাজ বেমানান মনে হবে না।
চিত্রঃকেমন হবে শীতের সাজ!
কেমন হবে শীতের সাজ!

১। মুখের মেকআপঃ
মেকআপের আগে মুখ ভাল করে পরিষ্কার করে নিয়ে নিজের স্কিনটোনের সঙ্গে মিলিয়ে লিকুইড ফাউন্ডেশন নিন। মুখে হালকা ভিজে ভাব থাকা অবস্থায়, ভাল কোনও ময়শ্চারাইজ়ার ফাউন্ডেশনে মিশিয়ে, নিজের মুখে এবং ঘাড়ে ভাল করে মেখে ফেলুন। খেয়াল রাখতে হবে, ফাউন্ডেশন যেন ত্বকের সঙ্গে পুরোপুরি মিশে যায়। এবার ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার হালকা করে পুরো মুখে মেখে নিতে হবে। তবে খুব বেশি ড্রাই স্কিন হলে, শীতকালে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার ব্যবহার না করাই ভাল। ব্লাশার ব্যবহার করতে চাইলে, স্কিনটোনের সঙ্গে মানাবে এমন শেডই ব্যবহার করবেন।

২। চোখের মেকআপঃ
ভুরু যদি ঘন না হয়, তা হলে চুলের রংয়ের চেয়ে তিন শেড হালকা রংয়ের আই ব্রো পেনসিল ভুরুতে বুলিয়ে অথবা কালচে খয়েরি রংয়ের আইশ্যাডোও ভুরুতে লাগাতে পারেন। এবার ড্রেসের সঙ্গে ম্যাচ করে আইশ্যাডো লাগানোর জন্য চোখের উপরের অংশ থেকে আইশ্যাডো ক্রমশ গাঢ় থেকে ভুরুর দিকে হালকা হবে। ভুরুর নীচে হালকা কিন্তু উজ্জল রংয়ের (সিলভার, পিচ) হাইলাইটার লাগাতে পারেন। শীতকালে উজ্জল রংয়ের আইশ্যাডো দেখতে বেশ ভাল লাগে। তবে গায়ের রঙ চাপা হলে লাল, গোলাপি এবং গাঢ় শেডগুলি ব্যবহার না করাই ভাল, মেরুন, ব্রোঞ্জ, হালকা গোল্ডেন এবং যে কোনও ন্যাচারাল রং আপনি লাগাতে পারেন। এবার আই-লাইনারের তুলি দিয়ে উপরের চোখ মনমতো করে এঁকে নিন। এখন কিন্তু চোখ টেনে আঁকার স্টাইলটা বেশ চলছে। তবে চোখ খুব বড় হলে সরু করে লাইনার লাগাবেন। যাদের চোখ ছোট, তারা চোখের কোণ থেকে শুরু করে চোখের বাইরে একটু বের করে লাইনার পরতে পারেন, এতে চোখ বড় দেখাবে। এবার নীচের চোখে কাজল পেনসিল বুলিয়ে নিন। মাসকারার ব্রাশ দিয়ে ভাল করে আইল্যাশগুলো উপরের দিকে তুলে দিন।

৩। ঠোঁটের মেকআপঃ
মেকআপের সময় ঠোঁট ফাটা থাকলে, কিন্তু কোনও মেকআপ ভালো দেখাবে না। তাই সাজের শুরুতেই ঠোটে লিপবাম দিয়ে নিন। এখন প্রথমে লিপলাইনার দিয়ে সুন্দর করে ঠোঁট এঁকে নিন। যাদের ঠোঁট পাতলা, তারা বাইরের দিক দিয়ে ঠোঁট এঁকে নেবেন। ঠোঁট পুরু হলে ভিতরের দিক দিয়ে বর্ডার করবেন এবং অতিরিক্ত অংশে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নেবেন। এবার লিপ লাইনার এবং পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে লিপস্টিক লাগান। যাদের গায়ের রঙ চাপা বা ঠোঁট কালচে তাদের গ্লসি ন্যাচারাল রং ভাল লাগে। যারা ফরসা, তারা গাঢ় থেকে হালকা যে কোনও রংই পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন। শীতের জন্য ম্যাট ফিনিশ লিপস্টিক ভুলেও ব্যবহার করতে যাবেন না, ঠোঁট আরও শুকনো দেখাবে। যারা গাঢ় রংয়ের লিপস্টিক পরতে পছন্দ করেন না, তারা লিপস্টিকের বদলে ন্যাচারাল কালারের লিপগ্লসও ব্যবহার করতে পারেন। ছবিঃ সংগৃহীত

ওজন কমাতে পান করুন পুদিনা টক দইয়ের শরবত

ওজন কমাতে পান করুন পুদিনা টক দইয়ের শরবত

পুদিনা ও টকদই টুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এ দুইয়ের সংমিশ্রণে তৈরি শরবত হজমে সহায়ক ও পেট ভালো রাখে। সেই সাথে পেটের বাড়তি মেদ ঝড়াতে ও সহায়তা করে।
চিত্রঃওজন কমাতে পান করুন পুদিনা টক দইয়ের শরবত
ওজন কমাতে পান করুন পুদিনা টক দইয়ের শরবত

উপকরণঃ 
১। পুদিনা পাতা বাটা ১ চা চামচ
২। টক দই ১ কাপ
৩। ধনেপাতা ১ চা চামচ
৪। কাঁচামরিচ ১ টি
৫। গোলমরিচ গুঁড়া, আদা সামান্য
৬। লবন স্বাদমতো

প্রণালীঃ পুদিনা পাতা, ধনিয়াপাতা, কাঁচামরিচ ভালো করে ধুয়ে ব্লেন্ডারে নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এর মধ্যে টক দই, গোলমরিচের গুঁড়া, লবণ, আদা ও সামান্য পানি দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে একটি গ্লাসে মিশ্রণটি ঢেলে পান করুন। গরমের দিন হলে এতে বরফকুচি মিলিয়ে নিতে পারেন। চাইলে সামান্য চিনি মিশিয়ে নেয়া যায়, তবে মেদ কমানোই আসল উদ্দেশ্য হলে চিনি যত কম খাওয়া যায় ততই উপকার।

নিজেই তৈরি করুন মেকাপ রিমুভার

নিজেই তৈরি করুন মেকাপ রিমুভার

অনেকেই ফেইসওয়াশ দিয়েই মেকাপ উঠিয়ে ফেলেন। এতে কিন্তু পুরো মেকাপ উঠে আসেনা। আর তা ঠিকমতো মেকাপ না তোলার কারনে ব্রণ এবং ত্বকের সমস্যা হয়ে থাকে। এরজন্য প্রয়োজন মেকাপ রিমুভার।  তাই নিজেই তৈরি করুন মেকাপ রিমুভার।
চিত্রঃনিজেই তৈরি করুন মেকাপ রিমুভার
নিজেই তৈরি করুন মেকাপ রিমুভার

একটি খালি ছোট কন্টেইনার এ পরিমাণ মতো ফুটানো ঠান্ডা পানি নিয়ে এর মধ্যে ২ টেবিল চামচ বেবী অয়েল এবং ২ টেবিল চামচ বেবী শ্যাম্পু নিন। কন্টেইনার এর মুখ আটকে নিয়ে ভালোমতো ঝাঁকিয়ে মিশিয়ে নিন উপকরণগুলো। ব্যস, আপনার মেকাপ রিমুভার তৈরি।

এবার একটি কটন প্যাডে পরিমাণ মতো মেকাপ রিমুভার নিয়ে মেকাপের উপর হালকা হাতে রাব করতে থাকুন। দেখবেন, কটন প্যাডে মেকাপ উঠে এসেছে। এবার ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
তবে মুখ ফেইসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কারের পর টোনার এবং ময়েশ্চাইজার লাগাতে ভুলবেন না যেন।

ফলের খোসার ব্যবহার

ফলের খোসার ব্যবহার 

বিভিন্ন রকম ফল রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করার কথা সবাই জানে। আজ জেনে নিন ফলের খোসা দিয়ে দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যার সমাধান।
চিত্রঃফলের খোসার ব্যবহার
ফলের খোসার ব্যবহার 

ডিওডোরেন্ট হিসেবে লেবুঃ ডিওডোরেন্ট ফুরিয়ে গেলে গোসল করে বগলে লাগিয়ে নিন খানিকটা লেবুর রস, এতে কয়েক ঘন্টার ডিওডোরেন্টের সতেজতার কাজ।

কাশির সিরাপ হিসেবে আনারসঃ  খুশখুশে কাশিতে আনারসের খেয়ে দেখুন কাশি কমে যাবে।

কলার খোসায় সাদা দাঁতঃ কলার খোসা দিয়ে নিয়মিত কিছুদিন দাঁত ঘষুন। প্রাকৃতিক ভাবেই পেয়ে যাবেন ঝকঝকে সাদা দাঁত।

পায়ের যত্নে পেঁপের খোসাঃ পেঁপে খাবার পর খোসাটা দিয়ে পায়ের পাতা ও গোড়ালী একটু ঘষে নিন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি পা রাখবে কোমল আর মুক্তি দেবে গোড়ালী ফাটার সমস্যা থেকেও!

ধাতব আসবাব পরিস্কারে লেবুর খোসাঃ ধাতব আসবাব পরিস্কারে একটু লেবুর রসের সাথে সামান্য বেকিং সোডা মিশিয়ে মুছে নিন। ব্যস! আপনার আসবাব হয়ে যাবে নতুনের মতই চকচকে।

রান্নাঘরের ভ্যাঁপসা গন্ধকে দূর করে করতে লেবুর খোসাঃ বৃষ্টির দিনগুলোতে রান্নাঘরের ভ্যাঁপসা গন্ধ দূর করতে একটি পাতিলে পানি নিয়ে তাতে ব্যবহৃত লেবুর খোসা দিয়ে চুলোয় বসিয়ে রান্নাঘরের দরজা-জানালা আটকে দিন। পানি ফুটের ওঠার সাথে সাথে লেবুর সুগন্ধ রান্নাঘরের ভ্যাঁপসা গন্ধকে দূর করে দেবে।

লাঞ্চে থাকুক হেলদি ফ্রাইড রাইস

লাঞ্চে রাখুন হেলদি ফ্রাইড রাইস

উপকরনঃ
১। ডিম ১ অথবা ২ টি
২। সিদ্ধ ভাত পরিমানমতো
৩। গাজর মিহি কুচি ১/২ কাপ
৪। মটরশুঁটি সেদ্ধ ২টেবিল চামচ
৫। লবন পরিমানমত
৬। রসুন কুঁচি ১ চা চামচ
৭। তেল ১ টেবিল চামচ
৮। গোলমরিচ ২ চা চামচ
৯। কাঁচামরিচ ৩টি
১০। পেঁয়াজ কুঁচি ১ টেবিল চামচ


চিত্রঃলাঞ্চে রাখুন হেলদি ফ্রাইড রাইস
লাঞ্চে থাকুক হেলদি ফ্রাইড রাইস

প্রণালীঃ
প্রথমে পাত্রে তেল দিয়ে তাতেপেঁয়াজ হাল্কা করে ভেজে তাতে রসুন কুঁচি দিয়ে ডিম ফেটিয়ে ভেজে ঝুরি করে নিন। ডিম ভাজা ভাজা হলে কুচি করা গাজর আর সেদ্ধ মটরশুঁটি দিয়ে পরিমাণ মত লবন, কাঁচামরিচ, সিদ্ধ ভাত দিয়ে অল্প কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করে গোলমরিচ দিয়ে আরও কিছুক্ষন নেড়ে নামিয়ে নিন। সিদ্ধ ভাত টা যখন রান্না করবেন সেটা বেশি নরম বা শক্ত হবে না তাহলে রাইস ঝরঝরে হবে। শীতের যেকোন সবজি, ক্যাপসিকাম ও যোগ করে নিতে পারেন।

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি!

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি! নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি! শীত, গরম বা বর্ষাকালেও খুশকির যন্ত্রনা যেন মেটে না। পার্লারের আহাম...

Our Popular Posts