সহজ দুটি চাটনি রেসিপি

সহজ দুটি চাটনি রেসিপি

আনারসের চাটনি

উপকরণঃ  আনারস ১টি, চিনি ১ কাপ, সরষে ফোড়নের জন্য, লবন স্বাদমতো, তেল ১/২ চা চামচ।
চিত্রঃআনারসের চাটনি
আনারসের চাটনি
প্রণালিঃ আনারস অর্ধেক করে কেটে ভেতর থেকে কুরিয়ে শাঁস বের করে নিন। কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে সরষে ফোড়ন দিন। সরষে ফেটে সুন্দর গন্ধ বেরোলে আনারস, লবন ও অর্ধেক চিনি দিয়ে অল্প জল দিয়ে নেড়েচেড়ে ২০ মিনিট হাল্কা আঁচে রাখুন। আনারস গলে মিশ্রণ আঠালো হয়ে আসতে থাকলে আঁচ বাড়িয়ে বাকি চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। নাড়তে নাড়তে চিনি গলে গেলে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে ফ্রিজে রেখে দিন। পরিবেশনের আগে ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা ঠান্ডা চাটনি পরিবেশন করুন।

আমড়ার চাটনি

উপকরণঃ  আমড়া ৪টি, চিনি ১ কাপ, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ, দারুচিনি গুঁড়া আধা চা চামচ, পাঁচফোড়ন আধা চা চামচ, শুকনো মরিচ ২টি, আদা কুচি ১ চা চামচ, সিরকা ১ কাপের তিন ভাগের ১ ভাগ, লবণ ১ চা চামচ।
চিত্রঃআমড়ার চাটনি
আমড়ার চাটনি
প্রণালিঃ প্রথমে আমড়ার খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে আঁটি ফেলে সিদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে পাঁচফোড়ন ভেজে সব মসলা দিয়ে দিন। শুকনো মরিচ ভেজে গুঁড়া করে দিন। চিনি দিয়ে দিন। আমড়া ও সিরকা দিয়ে আঁচ কমিয়ে কষাতে থাকুন। ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।

সুস্বাদু কুমড়ো পাতার বড়া

সুস্বাদু কুমড়ো পাতার বড়া

কুমড়ো ফুলের বড়া অতি পরিচিত একটি খাবার। তবে এবার শুধু ফুল নয় পাতা দিয়েও বানানো যাবে বড়া। কুমড়ো পাতায় রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, লৌহ এবং কম ক্যালরি। এই পাতা কোলেস্টরল কমায় ও লিভার ভালো রাখে। এটি শুধু ব্যাকটেরিয়ারোধীই নয়, একইসাথে আমাদের ইমিউন সিস্টেমেরও উন্নতি ঘটায়। কুমড়ো পাতায় প্রচুর আয়রন থাকে। রক্তস্বল্পতায় এটি দারুন কার্যকর হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীরা এটি নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
চিত্রঃকুমড়ো পাতার বড়া
কুমড়ো পাতার বড়া

উপকরণঃ আতপ চাল ও মসুরের ডাল এক মুঠো করে, ধনেপাতা ও পেঁয়াজ কুচি ২টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১/২ চা চামচ, আদার রস ১/২ চা চামচ, কাঁচামরিচ কুচি এক চা চামচ, হলুদগুঁড়ো সামান্য, জিরাগুঁড়ো ১/২ চা চামচ, কুমড়ো পাতা, লবণ , তেল পরিমাণমতো।

প্রণালিঃ প্রথমে আতপ চাল ও মসুরের ডাল ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ভাল করে ধুয়ে বেটে কুমড়ো পাতা ও তেল বাদে বাকি সব উপকরণ এর সাথে ভালোভাবে মাখিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এবার কচি দেখে কুমড়ো পাতা বেছে ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ঝেড়ে মাঝখানে মিশ্রণটি দিয়ে মুড়ে নিন। এরপর ওপর-নীচ দুপিঠেই মিশ্রণটি লাগান। একটি ননস্টিক প্যানে সামান্য তেল দিয়ে গরম করে বড়াগুলো দিয়ে এপিঠ-ওপিঠ বাদামী করে ভেজে তুলুন।
টমেটোর সস দিয়ে বিকালের নাস্তায় কিংবা গরম ভাতের সাথেও খেতে পারেন স্বাস্থ্যসম্মত কুমড়ো পাতার বড়া।

রুই মাছের মালাই কোপ্তা রেসিপি

রুই মাছের মালাই কোপ্তা রেসিপি

আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী। মাছ আমদের প্রধান খাবার। প্রতিদিনের খাবারে মাংস হোক বা না হোক মাছ আমদের চাই চাই। এটি আমিষ জাতীয় খাবার যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিশুরা মাছ খেতে পছন্দ করে না তাই তাদের জন্য যদি  মাছ দিয়ে একটি ভিন্নধর্মী খাবার তৈরি করা যায় তাহলে তারা খেতে আগ্রহী হবে। তাই শিশুদের কথা চিন্তা করে আজ রইল রুই মাছের মালাই কোপ্তা।
চিত্রঃরুই মাছে মালাই কোপ্তা
রুই মাছে মালাই কোপ্তা

উপকরন-১ঃ

১. রুই মাছের কিমা ২ কাপ,

২. পেয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ,

৩.কাচামরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ,

৪.ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ ,

৫.জিরা গুঁড়া ১/২ চা চামচ্‌

৬.লবন পরমান মত

গ্রেভির জন্য উপকরন-২ঃ

১. পেয়াজ কুচি ১ কাপ,

২. আদা বাটা ১/২ চা চামচ ,

৩. রসুন বাটা ১/২ চা চামচ,

৪. মরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ ,

৫. হলুদ গুঁড়া ১/২ চা চামচ,

৬. টমেটো পিউরি ১/২ কাপ ,

৭. টমেটো সস ১/২ কাপ,

৮. জিরা গুঁড়া ১/২ চা চামচ ,

৯. লবন পরিমান মত

১০. নারিকেলের দুধ ১ কাপ

প্রস্তুত প্রনালিঃ 
প্রথমে উপকরন-১ এর সব  একত্রে মেখে কোপ্তার আকারে করে নিয়ে ডুবো তেলে লাল করে ভেজে তুলুন। ওই তেলে উপকরন-২ এর পেয়াজকুচি লাল করে ভেজে নিয়ে এতে আদা বাটা ,রসুন বাটা দিয়ে একটু ভেজে হলুদ ও মরিচ গুঁড়া দিন। এরপর টমেটো পিউরি দিয়ে নেড়ে একটু কষান। এবার টমেটো সস, জিরা গুঁড়া ও লবন দিয়ে কিছুক্ষন কষাতে হবে। এরপর কোপ্তাগুলো ও নারকেলের দুধ দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন ৫ মিনিটের জন্য। এবার ঢাকনা খুলে কাচামরিচ ফালি ও ধনে পাতা কুচি দিয়ে আরো ১ মিনিটের মত রাখতে হবে। তেল উপরে উঠে এলে নামিয়ে সার্ভিং ডিশে ঢেলে নিন ।
পরিবেশন করুন মজাদার রুই মাছের মালাই কোপ্তা।

মশলাপাতি সংরক্ষনের প্রয়োজনীয় টিপস

মশলাপাতি সংরক্ষনের প্রয়োজনীয় টিপস

রান্নার কাজে মশলার ব্যবহার তো করতেই হবে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় একটু অসাবধানতা কিংবা বেখেয়ালে প্রয়োজনীয় অনেক মশলাপাতি নষ্ট হয়ে যায়। একটু কৌশল করে রাখলেই যেকোনো মশলাই ভালো রাখা যাবে দীর্ঘদিন। চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে সংরক্ষন করলে মশলাপাতি দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
চিত্রঃমশলাপাতি সংরক্ষনের প্রয়োজনীয় টিপস
মশলাপাতি সংরক্ষনের প্রয়োজনীয় টিপস। ছবিঃ সংগৃহীত



  • গরম মশলা ও জিরা রোদের মধ্যে রাখবেন না। এতে মশলার গন্ধ রোদের তাপে নষ্ট হয়ে যায়।
  • গরম মশলা কাচের বয়ামে ভরে মুখ আটকে রেখে রোদে রাখুন। এতে গরম মশলা ঝরঝরে থাকবে ও গন্ধ ভালো থাকবে।
  • ডাল বেশি করে কিনে রেখে দিলে পোকা লেগে যায়। কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল ডালে ছিটিয়ে রেখে প্লাস্টিকের বয়ামে ভরে রাখুন। অনেক দিন ডাল ভালো থাকবে।
  • চা পাতা অনেক দিন রাখার আগে কড়া রোদে শুকিয়ে নিন। বেশি দিন চা পাতা তাজা থাকবে এবং চায়ের স্বাদও ভালো হবে।
  • চাল রাখার পাত্রে কয়েকটা শুকনো নিমপাতা রেখে দিন। গমের মধ্যে শুকনা মেথি বা শুকনা নিমপাতা দিয়ে মজুত করুন। এতে পোকা লাগবে না, অনেক দিন ভালো থাকবে।
  • চিনি বেশি দিন রাখলে জারে চিনির মদ্ধে কয়েকটি লবঙ্গ দিয়ে ভালোমতো ঢাকনা দিয়ে আটকে রাখুন।
  • সুজি বেশি দিন রাখলে এর মধ্যে পোকা হয়। তাই সুজি টেলে ঠাণ্ডা করে এরপর বয়ামে ভরে মুখ আটকে রাখুন।
  • গুঁড়া করা মশলা যেমন- জিরা, ধনিয়া, গোলমরিচ ইত্যাদি মজুত করার আগে হালকা তাপে টেলে নিয়ে ঠাণ্ডা করে কৌটায় রাখুন। অনেক দিন গন্ধ ভালো থাকবে।
  • কারিপাতা ও পুদিনা পাতা কয়েক দিন রাখলে শুকিয়ে যায় ও পচে যায়। তাই কয়েকদিন রাখতে চাইলে ভালো করে শুকিয়ে নিয়ে গুঁড়া করে বোতলে রাখুন।
  • কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম অনেক দিন ভালো রাখতে সামান্য চিনি মিশিয়ে রাখুন, অনেক দিন ভালো থাকবে।


দশমীর ১২ পদ রান্না

দশমীর ১২ পদ রান্না

চিত্রঃদশমীর ১২ পদ রান্না
দশমীর ১২ পদ রান্না। ছবিঃ সংগ্হীত

কাজু, কিসমিস পোলাও 

উপকরণঃ বাসমতি চাল ৫০০ গ্রাম, মটরশুটি ৫০০ গ্রাম, কাঁচামরিচ ৪টি, কাজুবাদাম ১০০ গ্রাম, কিসমিস ১ টেবিল চামচ, দুধ ১/২ কাপ, তেজপাতা ২টি, জায়ফল গুঁড়ো ১ চা চামচ, দারচিনি ২ ইঞ্চি, ছোট এলাচ ৪টি, লবঙ্গ ৪টি, ঘি ৫০ গ্রাম, লবন স্বাদমতো, চিনি৩ চা চামচ।
চিত্রঃকাজু , কিসমিস পোলাও
কাজু , কিসমিস পোলাও
প্রণালীঃ চাল ধুয়ে জল ঝরিয়ে শুকিয়ে নিন। মটরশুটি সেদ্ধ করে একটু ভেজে তুলে রাখুন। এবারে কড়াইতে ঘি গরম করে তেজপাতা, লবঙ্গ, এলাচ, দারচিনি ফোড়ন দিয়ে এর মধ্যে চাল দিয়ে অল্প নেড়েচেড়ে সুন্দর গন্ধ বেরোলে চালের দ্বিগুণ পরিমান জল লবন দিয়ে, চাপা দিয়ে সেদ্ধ হতে দিন। জল শুকিয়ে আসতে থাকলে মটরশুটি, কাজু, কিসমিস, চিনি ও কাঁচামরিচ চেরা দিয়ে আঁচ কমিয়ে দমে রাখুন। জল শুকিয়ে চাল ঝরঝরে হয়ে গেলে উপরে অল্প ঘি ছড়িয়ে আঁচ বন্ধ করে চাপা দিয়ে রাখুন।

নবরত্ন শুক্তো

উপকরণঃ করল্লা ১ টি, কাঁচা পেঁপে ১/২ টি, কচু ১০০ গ্রাম, কাঁচকলা ২টি, বেগুন ১টি, আলু ২ টি, পটল ৩টি, বড়বটি ২৫ গ্রাম, ডালের বড়ি ১০ টি, কাঁচামরিচ ৫ টি, পাঁচপোড়ন ১ চামচ, ঘি ১ চা চামচ, তেজপাতা ২টি , শুকনো মরিচ ২টি, আদাবাটা ১ চামচ, সরষে ১ ১/২ চা চামচ, ধনেগুড়ো ১ চা চামচ, মৌরি ১চামচ, দুধ ১ ১/২ কাপ, চিনি ৩ চা চামচ, লবন স্বাদমত, তেল পরিমানমতো।
চিত্রঃনবরত্ন শুক্তো
নবরত্ন শুক্তো
প্রণালীঃ সবগুলি সবজি লম্বা লম্বা করে কেটে ধুয়ে রাখুন। প্রথমে শুকনো কড়াইয়ে হাফ চামচ পাঁচপোড়ন ভেজে গুড়ো করে রাখুন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে করল্লা ও বড়ি আলাদা করে ভেজে রাখুন। তারপর ওই তেলের সঙ্গে আন্দাজমতো আরও একটু তেল মিশিয়ে সব সবজি গুলো দিয়ে ভেজুন। ভাজা হয়ে গেলে আদাবাটা, ধনে, সরষে, মৌরি দিয়ে ভাল করে কষান। কষা হয়ে গেলে জল দিয়ে ঢেকে দিন। জল ফুটে উঠলে চিনি দিয়ে দিন। সবজি গুলি সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে রাখুন। এবার অন্য একটি পাত্রে ঘি গরম করতে দিন। গরম হয়ে গেলে পাঁচপোড়ন ও শুকনো মরিচ ফোড়ন দিন। মশলার গন্ধ বেরোলে সেদ্ধ সবজি ও ভেজে রাখা উচ্ছে ও বড়ি দিয়ে দিন। ভালো করে নেড়ে দুধ ঢেলে দিন। নামানোর আগে গুড়ো করে রাখা পাঁচপোড়ন দিন।

লাবড়া

উপকরণঃ  আলু, করলা, বরবটি, পটল, বেগুন, ফুলকপি, মিষ্টিকুমড়া, বাঁধাকপি ও শিম সবগুলো পরিমানমত,  আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ৬টি, তেজপাতা ১টি, পাঁচফোড়ন ১/২ চামচ, ঘি ১ চামচ, লবন, তেল পরিমাণমতো।
চিত্রঃলাবড়া
লাবড়া
প্রণালীঃ  আলু, করলা, বরবটি, পটল, বেগুন, ফুলকপি, মিষ্টিকুমড়া, বাঁধাকপি, শিম কেটে নিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। কড়াইতে তেল গরম করে পাঁচফোড়ন দিয়ে সব সবজি ঢেলে দিয়ে নাড়তে হবে।এবার আদাবাটা, তেজপাতা, লবণ, হলুদ ও কাঁচামরিচ দিয়ে নাড়তে থাকুন। সবজি সিদ্ধ হয়ে আসলে ঘি দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করতে হবে।



কচুশাকের ঘণ্ট

উপকরণঃ কচুশাক, থোড় , নারকেল কোড়া, আদাবাটা, গোলমরিচ বাটা, তেজপাতা, শুকনোমরিচ, হলুদ, চিনি, তেল, লবন।
চিত্রঃকচুশাকের ঘন্ট
কচুশাকের ঘন্ট
প্রণালীঃ  কচুশাক ও সামান্য থোড় কেটে আলাদা ভাবে সেদ্ধ করে, ভাল করে জল ঝরিয়ে নিন। এবার ২ টো চটকে মেখে নিন। তেল গরম করে জিরে, তেজপাতা ও শুকনোমরিচ ফোড়ন দিয়ে কচুশাক ও থোড় মাখা মিশিয়ে ভাল করে কষে নিন।এবার লবন, হলুদ ও চিনি দিয়ে নারকেল কোড়া মেশাতে দিন। স্বাদে মিষ্টিভাব বেশি হবে।

পনিরের তরকারি

উপকরণঃ পনির, আলু, পেঁপে, গাজর, পটোল, তেজপাতা, কালোজিরা, কাঁচামরিচ, নারকেল, সামান্য হলুদগুড়া, চিনি, তেল, লবন।(প্রতিটির পরিমান আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী)
চিত্রঃপনিরের তরকারি
পনিরের তরকারি
প্রণালিঃ সবজিগুলো ধুয়ে বড় বড় করে কেটে হলুদগুড়া ও লবনসহ কড়াইতে দিয়ে অল্প তেলে হাল্কা ভেজে নিন। এরপর পনিরের টুকরা ছোট ছোট করে কেটে তেলে ভেজে নিতে হবে। এগুলো আলাদা বাটিতে উঠিয়ে রেখে কড়াইয়ে তেল ও ঘি একসঙ্গে দিয়ে তেজপাতা, সামান্য কালোজিরা, কাঁচামরিচ দিয়ে ফোড়ন দিন। এরপরে আগে থেকেই নারকেল বাটা দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে। কষানো শেষে পনিরের টুকরাসহ সব উপকরণ কড়াইয়ের মধ্যে ঢেলে দিন। কিছুক্ষন রান্না করুন। তৈরি হয়ে গেল পনিরের তরকারি।

শাপলা দিয়ে চিংড়ি মাছের তরকারি

উপকরণঃ  শাপলা ১/২ কেজি, মাঝারি সাইজের চিংড়ি মাছ দেড় কাপ, কাঁচামরিচ ফালি ৫টি, আদা ও রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়ো ১ চা চামচ, কালোজিরা ১/২ চা চামচ, শুকনোমরিচ ২ টি, লবণ স্বাদমত, তেল ১ কাপ।
চিত্রঃশাপলা চিংড়ি
শাপলা চিংড়ি
প্রণালীঃ প্রথমে শাপলার আঁশ ছাড়িয়ে এক ইঞ্চি সমান কেটে ভালো করে ধুয়ে ভাপিয়ে নিতে হবে। এবার কড়াইতে তেল গরম করে কালোজিরা ফোড়ন দিয়ে আদা-রসুন-জিরা বাটা, হলুদগুঁড়ো, লবণ ও সামান্য পানি দিয়ে পাঁচ মিনিট কষান। এরপর চিংড়ি দিয়ে আর একটু কষিয়ে পানি শুকিয়ে তেল উপরে উঠলে ভাপিয়ে রাখা শাপলা আর কাঁচামরিচ দিয়ে দিন। তারপর আঁচ বাড়িয়ে শাপলা ভাজতে হবে পানি না শুকানো পর্যন্ত।  চাইলে ঝোল ও রাখতে পারেন। হয়ে গেলে নামিয়ে তেল গরম করে শুকনো মরিচ ভেঙ্গে তেলে ছেড়ে দিন। একটু নাড়াচাড়া করে শাপলায় ফোঁড়ন দিন।

রুই মাছের মালাই কোপ্তা

উপকরন-১ঃ রুই মাছের কিমা ২ কাপ, কাচামরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ , জিরা গুঁড়া ১/২ চা চামচ লবন পরমানমতো।
উপকরন-২ঃ আদা বাটা ১/২ চা চামচ, রসুন বাটা ১/২ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ,হলুদ গুঁড়া ১/২ চা চামচ, টমেটো পিউরি ১/২ কাপ, টমেটো সস ১/২ কাপ, জিরা গুঁড়া ১/২ চা চামচ , লবন পরিমান মত, নারিকেলের দুধ ১ কাপ।
চিত্রঃরুই মাছের মালাই কোপ্তা
রুই মাছের মালাই কোপ্তা
প্রনালিঃ প্রথমে উপকরন-১ এর সব  একত্রে মেখে কোপ্তার আকারে করে নিয়ে ডুবো তেলে লাল করে ভেজে তুলুন। ওই তেলে উপকরন-২ এর আদা বাটা ,রসুন বাটা দিয়ে একটু ভেজে হলুদ ও মরিচ গুঁড়া দিন। এরপর টমেটো পিউরি দিয়ে নেড়ে একটু কষান। এবার টমেটো সস, জিরা গুঁড়া ও লবন দিয়ে কিছুক্ষন কষাতে হবে। এরপর কোপ্তাগুলো ও নারকেলের দুধ দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন ৫ মিনিটের জন্য। এবার ঢাকনা খুলে কাচামরিচ ফালি ও ধনে পাতা কুচি দিয়ে আরো ১ মিনিটের মত রাখতে হবে। তেল উপরে উঠে এলে নামিয়ে সার্ভিং ডিশে ঢেলে নিন ।

সরষে ইলিশ

উপকরণঃ ইলিশ মাছ ১টি, সরষেবাটা ১ কাপ, কাঁচামরিচ১০টি, তেজপাতা ২ টি, জিরা ১/২ চা চামচ, আদাবাটা  ১চা চামচ, রসুনবাটা ২ চা চামচ, হলুদগুঁড়া২ চা চামচ, চিনি ৩ চা চামচ, লবণ, তেল পরিমাণমতো।
চিত্রঃসরষে ইলিশ
সরষে ইলিশ
প্রণালীঃ প্রথমে ইলিশ মাছ টুকরা করে ধুয়ে সামান্য হলুদ ও লবণ মাখিয়ে রাখুন। একটি প্যানে তেল গরম এর মধ্যে জিরা ও তেজপাতা দিয়ে এক এক করে বাটা মসলা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন। এবার এর মধ্যে মাছের টুকরোগুলো দিয়ে এক কাপ পানি দিয়ে চুলার জ্বাল মাঝারি আঁচে রেখে সরষে
বাটা দিয়ে ভালো করে নাড়ুন। সরষে বাটা ঘন হয়ে এলে কাচামরিচ, চিনি দিয়ে কিছুক্ষন রেখে নামিয়ে
গরম গরম পরিবেশন করুন সুস্বাদু সরষে ইলিশ।

মুরগির কষা মাংস

উপকরণঃ মুরগির মাংস ১ কেজি, পেঁপে বাটা ২ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ১০টি,  রসুন কুচি 8 কোয়া, কাশ্মীরী লঙ্কারগুঁড়ো আন্দাজমতো, মরিচগুড়ো ২চামচ, জিরে বাটা ১ টেবিল চামচ, টমেটো কুচি ২ টি, দারচিনি , ছোট এলাচ ও লবঙ্গ থেঁতো করা আন্দাজমতো, চিনি , হলুদ ও সরষের তেল, সয়াবিন তেল পরিমানমতো।
চিত্রঃমুরগির কষা মাংস
মুরগির কষা মাংস
প্রণালীঃ মাংস ভাল করে ধুয়ে পেঁপে বাটা মাখিয়ে রাখুন ১ ঘন্টা মতো। এবার মাংসে একে একে রসুন কুচি ,টমেটো কুচি , জিরেবাটা, আদাবাটা,কাশ্মীরী লঙ্কার গুঁড়ো ,লবন, হলুদ, মরিচগুড়ো মাখিয়ে রাখুন আধঘণ্টা মতো। কড়াইতে সরষের তেল দিয়ে খুব গরম হলে তাতে তেজপাতা, গরম মশলা থেঁতো দিয়ে ফোঁড়ন দিন। এরপরে মাখানো মাংস দিয়ে কষতে থাকুন। মাঝে মাঝে নাড়া দিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে কাঁচামরিচ ও চিনি দিয়ে আরো কিছুক্ষন রেখে নামিয়ে নিন।

আনারসের চাটনি

উপকরণঃ  আনারস ১টি, চিনি ১ কাপ, সরষে ফোড়নের জন্য, লবন স্বাদমতো, তেল ১/২ চা চামচ।আনারস অর্ধেক করে কেটে ভেতর থেকে কুরিয়ে শাঁস বের করে নিন। কড়াইতে অল্প তেল
চিত্রঃআনারসের চাটনি
আনারসের চাটনি
প্রণালিঃ
দিয়ে সরষে ফোড়ন দিন। সরষে ফেটে সুন্দর গন্ধ বেরোলে আনারস, লবন ও অর্ধেক চিনি দিয়ে অল্প জল দিয়ে নেড়েচেড়ে ২০ মিনিট হাল্কা আঁচে রাখুন। আনারস গলে মিশ্রণ আঠালো হয়ে আসতে থাকলে আঁচ বাড়িয়ে বাকি চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। নাড়তে নাড়তে চিনি গলে গেলে নামিয়ে নিন।

ছানার পায়েস

উপকরণঃ দুধ(১ লিটার), ছানা ২৫০ গ্রাম, চিনি ১০০ গ্রাম, এলাচ ৪টি, পেস্তা বাদাম, কিসমিস পরিমানমতো।
চিত্রঃছানার পায়েস
ছানার পায়েস
প্রণালীঃ প্রথমে মাঝারি উত্তাপে দুধ ভালো করে ফুটিয়ে ঘন করুন। এবার ছানাটাকে ভালো করে মেখে তা থেকে ছোটো ছোটো গোল গোল বল তৈরী করে ফোটানো দুধের মধ্যে ছানার বলগুলি হাল্কা আঁচে ফুটতে দিন। ভালোভাবে ফুটলে এর মধ্যে চিনি ঢালুন ও আস্তে আস্তে নাড়তে থাকুন। এবার এর মধ্যে এলাচ থেঁতো করে দিন ও আরও একটু নাড়ুন। ঘন ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে কিসমিস পেস্তা বাদাম দিয়ে পরিবেশন করুন।

পানতুয়া

উপকরণঃ ছানা, গোটা এলাচ, নকুলদানা, ঘি ও চিনি।

পানতুয়া
পানতুয়া
প্রণালীঃ আগে থেকে আলাদা করে চিনির পাতলা রস ও ঘন রস বানিয়ে রাখুন। দু’টো শিলের মধ্যে নতুন গামছায় মুড়ে ছানা চেপে রাখতে হবে যাতে পুরো জল বেরিয়ে যায়। এবার এলাচের দানা মিশিয়ে ছানা ভাল করে মেখে নিন। ছোট ছোট লেচি করে প্রত্যেকটি লেচির মধ্যে একটি করে নকুলদানা দিয়ে গোল করে হাতের চেটোয় পাকাতে হবে। ঘিয়ে ছানার গোলা ভাজতে হবে যতক্ষণ না লালচে রং আসছে। পরে ভাজা ছানার মণ্ড পাতলা রসে ডুবিয়ে, ঘন রসে ফেলতে হবে।

মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্ট

মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্ট

চিত্রঃমাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্ট
মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্ট
বাঙালীর প্রিয় খাবারগুলোর একটি হচ্ছে মুড়িঘণ্ট। মাছের মাথা দিয়ে যেহেতু রান্নাটি করা হয় তাই এর নাম আসলে মুড়োঘণ্ট কিন্তু কালের বিবর্তনে এর নাম এসে দাঁড়িয়েছে মুড়িঘণ্টে। চলুন জেনে নেয়া যাক মুড়িঘণ্টের রেসিপি।

উপকরণঃ বড় মাছের মাথা ১টি, মুগডাল ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি ১/২ কাপ, আদাবাটা ২ চা চামচ, রসুনকুচি ২ চা চামচ , মরিচ গুঁড়ো ২ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ, বড় টমেটো কুচি ১ টি, জিরা ফোঁড়নের জন্য সামান্য, জিরাবাটা ১ চা চামচ, গরমমসলা গুঁড়ো আন্দাজমতো, তেজপাতা ২টি, কাঁচামরিচ৫ টি, ঘি ২ চা চামচ, সরিষার তেল ১/২ কাপ, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালিঃ প্রথমে মাছের মাথা ভাল করে ধুয়ে সামান্য হলুদ ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে রাখুন। মুগডাল হালকা ভেজে  আধা সেদ্ধ করে নিন। এবার ম্যারিনেট করে রাখা মাছের মাথা সরিষার তেলে এপিঠ ওপিঠ ভালো করে ভেজে ওই ভাজা তেলেই জিরা ও তেজপাতা ফোঁড়ন দিন। এরপরে পেঁয়াজকুচি দিয়ে হাল্কা ভেজে একে একে টমেটো, রসুন, আদাবাটা দিয়ে পাঁচ মিনিট ভেজে মরিচগুঁড়ো, লবণ, সেদ্ধ ডাল ও ভাজা মাথা দিয়ে ভালো করে নেড়ে পানি এবং সামান্য হলুদ দিয়ে ঢাকা দিন। রান্না হয়ে এলে উপরে ঘি ও গরমমসলা গুঁড়ো দিয়ে খানিকবাদে নামিয়ে নিন। পোলাও বা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন গরম গরম মাছের মাথার মুড়িঘণ্ট।

সুস্বাদু নিরামিষ বিরিয়ানি রেসিপি

সুস্বাদু নিরামিষ বিরিয়ানি রেসিপি

চিত্রঃসুস্বাদু নিরামিষ বিরিয়ানি রেসিপি
সুস্বাদু নিরামিষ বিরিয়ানি রেসিপি
উপকরণঃ 
• বাসমতি চাল • মাঝারি সাইজের আলু • পনির (বড় টুকরো করে কাটা) • কাজুবাদাম • জিরে • কাঁচামরিচ • জয়িত্রি • জায়ফল গুঁড়ো • কাশ্মিরী লঙ্কাগুঁড়ো • স্বাদমতো লবন, কেওড়াজল, তেল ও ঘি

প্রণালিঃ
• সামান্য দুধে জাফরান ভিজিয়ে তার সঙ্গে কেওড়াজল মিশিয়ে নিন।
• বাসমতি চাল ধুয়ে, জল ঝরিয়ে নিতে হবে।
• তেলে গোটা গরমমশলা ফোড়ন দিয়ে পনিরের টুকরোগুলো হাল্কা আঁচে সোনালি রং আসা পর্যন্ত ভেজে নিন।
• আলু সেদ্ধ করে দু’ টুকরো করে কেটে হাল্কা আঁচে ভেজে তেলে জিরে, মরিচ, জয়িত্রি, জায়ফলগুঁড়ো, সামান্য কাশ্মিরী লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে তার সঙ্গে চাল দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করতে হবে।
• এবার যত পরিমাণ চাল, তার দ্বিগুণ পরিমাণ জল দিয়ে চাল ফুটিয়ে নিন।
• ফুটে চাল ও জল সমান হলে আলু ও পনির মিশিয়ে জাফরানের মিশ্রণ ঢেলে দিন।
• ঘি ও কাজুবাদাম ছড়িয়ে গ্যাসের আঁচ নিভিয়ে দিন।
• পাত্রের মুখ ভাল করে বন্ধ করে ঢাকনার ওপরে ভারী কিছু দিয়ে রেখে দিন। পরিবেশনের সময় গরম গরম পরিবেশন করুন।

নবমীতে বিভিন্ন পদ রান্না

নবমীতে বিভিন্ন পদ রান্না
চিত্রঃনিরামিষ বিরিয়ানি
চিত্রঃ নিরামিষ বিরিয়ানি

নিরামিষ বিরিয়ানি

উপকরণঃ  • বাসমতি চাল • মাঝারি সাইজের আলু • পনির (বড় বড় টুকরো করে কাটা) • কাজুবাদাম • জিরে • মরিচ • জয়িত্রি • জায়ফল গুঁড়ো • কাশ্মিরী লঙ্কাগুঁড়ো • লবন, কেওড়াজল, তেল ও ঘি।
প্রণালিঃ সামান্য দুধে জাফরান ভিজিয়ে তার সঙ্গে কেওড়াজল মিশিয়ে নিন। বাসমতি চাল ধুয়ে, জল ঝরিয়ে নিন। তেলে গোটা গরমমশলা ফোড়ন দিয়ে পনিরের টুকরোগুলো হাল্কা আঁচে সোনালি রং আসা পর্যন্ত ভেজে নিন। আলু সেদ্ধ করে দু’ টুকরো করে কেটে হাল্কা আঁচে ভেজে তেলে জিরে, মরিচ, জয়িত্রি, জায়ফলগুঁড়ো, সামান্য কাশ্মিরী লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে তার সঙ্গে চাল দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করতে হবে। এবার যত পরিমাণ চাল, তার দ্বিগুণ পরিমাণ জল দিয়ে চাল ফুটিয়ে নিন। ফুটে চাল ও জল সমান হলে আলু ও পনির মিশিয়ে জাফরানের মিশ্রণ ঢেলে দিন। ঘি ও কাজুবাদাম ছড়িয়ে গ্যাসের আঁচ নিভিয়ে দিন। পাত্রের মুখ বন্ধ করে ঢাকনার ওপরে ভারী কিছু দিয়ে রেখে দিন।

চিত্রঃকরলার শুক্তো
চিত্রঃ করলার শুক্তো
করলার শুক্তো

উপকরণঃ মাঝারি আকারের করলা ১টি, কাঁচকলা ১টি, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া সামান্য, হলুদগুঁড়া সামান্য, ভাজা জিরার গুঁড়া ১/২ চা-চামচ, কাঁচামরিচ ৪টি, নারকেলের দুধ ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, তেল প্রয়োজনমতো।
প্রণালিঃ কড়াইয়ে তেল দিয়ে রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, লবণ ও সামান্য পানি দিয়ে মসলা কষাতে হবে। মসলা কষানো হলে কাঁচকলা ও করলা দিয়ে একটু কষিয়ে ১ কাপ নারকেলের দুধ দিতে হবে। কাঁচকলা ও করলা সেদ্ধ হয়ে মাখা মাখা হলে কাঁচামরিচ ও ভাজা জিরার গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন করলার শুক্তো।

চিত্রঃ আলুর তরকারি
চিত্রঃ আলুর তরকারি
আলুর তরকারি

উপকরণঃ সিদ্ধ আলু ৬ টি, সিদ্ধ টমেটো  ৪ টি, কাঁচামরিচ ৫ টি, আদাবাটা ১ চা চামচ, ধনেগুড়া ১/২চা চামচ, তেজপাতা ২ টি, গরম মশলা ১ চামচ , হলুদ গুড়া ১/২ চা চামচ, জিরা গুড়া ১/২ চা চামচ, মরিচগুড়া ১/২ চা চামচ, ধনেপাতা কুঁচি  ৩ টেবিল চামচ, আস্ত ধনে ও সরষে  ১ চা চামচ,  তেল,  লবণ পরিমানমত।
প্রণালিঃ সিদ্ধ টমেটো পেস্ট করে নিন। কড়াইতে তেল  গরম করে তাতে আস্ত ধনে ও সরষে দিয়ে ফোড়ন দিন। আদাবাটা, সব গুড়ামশলা আর সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। মশলা কষান হলে টমেটো পাস্ট দিয়ে ৬-৮ মিনিট রান্না করুন। আলু কিউব করে কেটে টমেটোর সাথে আলু ও ১/৪ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিন। টমেটো গ্রেভি ফুটে উঠলে ধনেপাতা দিয়েঅল্প ঝোল থাকতে নামিয়ে নিন।
চিত্রঃছোলার ডাল
চিত্রঃ ছোলার ডাল

নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল

উপকরণঃ ছোলার ডাল সেদ্ধ করে রাখা  ১বাটি, তেজপাতা ২ টি , গোটা শুকনো মরিচ ৪ টি, জিরে গুঁড়ো ২ চামচ, নারকেল কোরানো ৫ চামচ, কাঁচামরিচ ৫ টি, গোটা সরষে ১ চামচ, শুকনো মরিচ গুঁড়ো ২ চামচ, ঘি ৪ চামচ, আদাবাটা ২ চামচ, হলুদ গুঁড়ো ২ চামচ, চিনি ২ চামচ, নারকেল টুকরো করে কেটে ভেজে রাখা ১/২ বাটি, সরষের তেল, জল , লবন পরিমাণমতো।
প্রণালিঃ কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে গোটা সরষে, তেজপাতা, শুকনো মরিচ ফোড়ন দিয়ে কড়াইয়ে আদাবাটা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে সেদ্ধ করে রাখা ছোলার ডাল দিয়ে একে একে হলুদ গুঁড়ো, শুকনো মরিচ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, লবন, কাঁচামরিচ আর সামান্য জল দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। ডাল ফুটে উঠলে কড়াইয়ে ভেজে রাখা নারকেলের টুকরো দিয়ে নাড়তে থাকুন। ভালোভাবে ডাল নাড়াচাড়া করে নিয়ে সামান্য ঘি ছড়িয়ে দিন। নামানোর আগে চিনি দিয়ে দিন। তৈরি, নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল।

চিত্রঃ পাঁচ তরকারি

পাঁচ তরকারি 

উপকরণঃ ফুলকপি ৩ কাপ, গাজর ৩ কাপ, পেঁপে ৩ কাপ, মটরশুটি ১ কাপ, আলু ৩ কাপ,বরবটি টুকরা ১ কাপ, নারিকেলের দুধ ২ কাপ, কাঁচামরিচ ৪ টি, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১\২ টেবিল চামচ ,মরিচ গুঁড়ো ১\২ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১\২ চা চামচ, ধনে গুঁড়ো ১/২ চা চামচ, জিরা গুঁড়ো ১\২ চা চামচ,গরম মশলা গুঁড়ো ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, ঘি\তেল ৩ টেবিল চামচ, চিনি ১ চা চামচ।

প্রণালিঃ কড়াইতে ঘি গরম করে গরম মশলা ব্যতীত সব আদা, রসুনবাটা ও গুঁড়ো মশলা জল দিয়ে কষাতে হবে। মশলা থেকে তেল আলাদা হলে নারকেল দুধ দিয়ে দিন। ফুটে উঠলে প্রথমে আলু ,গাজর,বরবটি ও মটরশুটি দিতে হবে আর ফুলকপি,  পেপে পরে দিয়ে সাথে লবণ ও চিনি দিয়ে দিন পরিমানমত। মাঝারি আচে সিদ্ধ করুন। সবজি সিদ্ধ হয়ে ঝোল মাখা মাখা হয়ে গেলে কাঁচামরিচ, গরম মশলা গুঁড়ো দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট ভাপিয়ে নামিয়ে নিন।

চিত্রঃ  মুড়িঘন্ট
চিত্রঃ মুড়িঘন্ট
মুড়িঘণ্ট

উপকরণঃ বড় মাছের মাথা ১টি, মুগডাল ১ কাপ, আদাবাটা ২ চা চামচ, রসুনকুচি ২ চা চামচ , মরিচ গুঁড়ো ২ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ, বড় টমেটো কুচি ১ টি, জিরা ফোঁড়নের জন্য সামান্য, জিরাবাটা ১ চা চামচ, গরমমসলা গুঁড়ো আন্দাজমতো, তেজপাতা ২টি, কাঁচামরিচ৫ টি, ঘি ২ চা চামচ, সরিষার তেল ১/২ কাপ, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালিঃ প্রথমে মাছের মাথা ভাল করে ধুয়ে সামান্য হলুদ ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে রাখুন। মুগডাল হালকা ভেজে  আধা সেদ্ধ করে নিন। এবার ম্যারিনেট করে রাখা মাছের মাথা সরিষার তেলে এপিঠ ওপিঠ ভালো করে ভেজে ওই ভাজা তেলেই জিরা ও তেজপাতা ফোঁড়ন দিন। এরপরে একে একে টমেটো, রসুন, আদাবাটা দিয়ে পাঁচ মিনিট ভেজে মরিচগুঁড়ো, লবণ, সেদ্ধ ডাল ও ভাজা মাথা দিয়ে ভালো করে নেড়ে পানি এবং সামান্য হলুদ দিয়ে ঢাকা দিন। রান্না হয়ে এলে উপরে ঘি ও গরমমসলা গুঁড়ো দিয়ে নামিয়ে নিন।
চিত্রঃকুমড়ো পাতার বড়া
চিত্রঃ কুমড়ো পাতার বড়া

কুমড়ো পাতার বড়া

উপকরণঃ আতপ চাল ও মসুরের ডাল এক মুঠো করে, ধনেপাতা, রসুনবাটা ১/২ চা চামচ, আদার রস ১/২ চা চামচ, কাঁচামরিচ কুচি এক চা চামচ, হলুদগুঁড়ো সামান্য, জিরাগুঁড়ো ১/২ চা চামচ, কুমড়ো পাতা, লবণ , তেল পরিমাণমতো।
প্রণালিঃ প্রথমে আতপ চাল ও মসুরের ডাল ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ভাল করে ধুয়ে বেটে কুমড়ো পাতা ও তেল বাদে বাকি সব উপকরণ এর সাথে ভালোভাবে মাখিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এবার কচি দেখে কুমড়ো পাতা বেছে ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ঝেড়ে মাঝখানে মিশ্রণটি দিয়ে মুড়ে নিন। এরপর ওপর নীচ দুপিঠেই মিশ্রণটি লাগান। একটি ননস্টিক প্যানে সামান্য তেল দিয়ে গরম করে বড়াগুলো দিয়ে এপিঠ-ওপিঠ বাদামী করে ভেজে তুলুন।
চিত্রঃ আমড়ার চাটনি

আমড়ার চাটনি

উপকরণঃ  আমড়া ৪টি, চিনি ১ কাপ, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ, দারুচিনি গুঁড়া আধা চা চামচ, পাঁচফোড়ন আধা চা চামচ, শুকনো মরিচ ২টি, আদা কুচি ১ চা চামচ, সিরকা ১ কাপের তিন ভাগের ১ ভাগ, লবণ ১ চা চামচ।
প্রণালিঃ প্রথমে আমড়ার খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে আঁটি ফেলে সিদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে পাঁচফোড়ন ভেজে সব মসলা দিয়ে দিন। শুকনো মরিচ ভেজে গুঁড়া করে দিন। চিনি দিয়ে দিন। আমড়া ও সিরকা দিয়ে আঁচ কমিয়ে কষাতে থাকুন। ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।
চিত্রঃ পায়েস
চিত্রঃ পায়েস

পায়েস

উপকরণঃ  দুধ ২ লিটার, বাসমতি চাল ২০০ গ্রাম, চিনি ৭৫০ গ্রাম, তেজপাতা ৩টি,
খেজুর গুড় সামান্য,  কিশমিশ, কাজু, কাঠ বাদাম, এলাচ পছন্দমতো।
প্রণালীঃ একটি পাত্রে চাল ভিজিয়ে রাখুন ১/২ ঘন্টা। কিশমিশ, কাজু, কাঠ বাদাম ভিজিয়ে রাখুন। কম আঁচে দুধ অনেকক্ষণ ধরে জাল দিয়ে বেশ ঘন করুন। দুধ ঘন হয়ে এলে তাতে চাল মিশিয়ে দিন। চাল যখন সেদ্ধ হয়ে আসবে, তখন চিনি ঘন হওয়ার আগে প্রযন্ত নাড়তে থাকুন। এরপরে তেজপাতা, কিশমিশ, কাজু, কাঠ বাদাম, এলাচ সব দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। যখন গরম ভাবটা কমে আসবে, তখন ভালো করে গুড়ো করে নেওয়া খেজুর গুড় মিশিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন।

নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল

নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল

যতই কষা মাংস বা আলুর দম থাকুক না কেন, লুচি কিন্তু সবসময়ই ছোলার ডাল দিয়েি খেতে বেশি মজা। আর এই ডাল যদি হয় নারকেল দিয়ে তবে তো কথাই নেই। নবমীর রান্নায় রাখতে পারেন নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল।
চিত্রঃনারকেল দিয়ে ছোলার ডাল
নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল

উপকরণঃ

১। ছোলার ডাল সেদ্ধ করে রাখা  ১বাটি
২। তেজপাতা ২ টি
৩। গোটা শুকনো মরিচ ৪ টি
৪। জিরে গুঁড়ো ২ চামচ
৫। নারকেল কোরানো ৫ চামচ
৬। কাঁচামরিচ ৫ টি
৭। গোটা সরষে ১ চামচ
৮। শুকনো মরিচ গুঁড়ো ২ চামচ
৯। ঘি ৪ চামচ
১০। আদাবাটা ২ চামচ
১১। হলুদ গুঁড়ো ২ চামচ
১২। চিনি ২ চামচ
১৩। নারকেল টুকরো করে কেটে ভেজে রাখা ১/২ বাটি
১৪। সরষের তেল, জল , লবন পরিমাণমতো।

প্রণালিঃ
কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে গোটা সরষে, তেজপাতা, শুকনো মরিচ ফোড়ন দিয়ে কড়াইয়ে আদাবাটা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে সেদ্ধ করে রাখা ছোলার ডাল দিয়ে একে একে হলুদ গুঁড়ো, শুকনো মরিচ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, লবন, কাঁচামরিচ আর সামান্য জল দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। ডাল ফুটে উঠলে কড়াইয়ে ভেজে রাখা নারকেলের টুকরো দিয়ে নাড়তে থাকুন। ভালোভাবে ডাল নাড়াচাড়া করে নিয়ে সামান্য ঘি ছড়িয়ে দিন। নামানোর আগে চিনি দিয়ে দিন। তৈরি, নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল।

নিজের ব্যবহারের যে জিনিসগুলো অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেয়া উচিত না

নিজের ব্যবহারের যে জিনিসগুলো অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেয়া উচিত না

প্রাত্যহিক জীবনে আমরা প্রায়ই নিজের ব্যবহারের জিনিস অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেই। এমনি কি কোথায় গেলে হুটহাট অন্যের ব্যবহারের জিনিস ও না বুঝে কাহ সারতে ব্যবহার করে ফেলি। এর মাধ্যমেই কিন্তু ছড়াতে পারে বিভিন্ন রোগ জীবাণু আর এই সকল অভ্যাস থেকে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারি। এমন কিছু জিনিস আছে যে গুলো একান্তই ব্যক্তিগত আর তাই, যত প্রিয়জনই হোক না কেন, কখনোই কাউকে সেগুলো ব্যবহারের জন্য দেয়া উচিত না। চলুন জেনে নেয়া যাক কি কি জিনিস একাই ব্যবহার করা উচিত।

১। তোয়ালে, গামছাঃ  তোয়ালের প্রধান কাজ সর্বোচ্চ পরিমাণ তরল শুষে নেয়া। বাথরুমের আর্দ্রতার কারণে অনেক সময় তোয়ালে ডাম্প হয়ে যায় এবং তরল শুষে নেয়ার ক্ষমতা কমে যায়। ডাম্প তোয়ালে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যার ফলে একজনের ব্যবহৃত তোয়ালে এবং গামছা কখনোই অন্য আরেকজনের ব্যবহার করা উচিৎ নয়। আপনি হয়ত জানেনও না, আপনার যে আত্মীয় অথবা বন্ধুর ব্যবহৃত তোয়ালে অথবা গামছা থেকে আপনার চর্মরোগ হতে পারে, এটি খুবই সংক্রামক। গামছা, তোয়ালে সব সময় শুষ্ক ও পরিষ্কার রাখা উচিত। তোয়ালে শুকানোর পর আয়রন করে নিতে ভুলবেন না যেন।

২। হেডফোন/ ইয়ার ফোনঃ প্রত্যেকের কানের উপাদানে একটা নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়াল ফ্লোরা থাকে। ইয়ার ফোন শেয়ার করলে কানের উপাদানের এই ব্যাকটেরিয়াল ফ্লোরার ব্যালেন্স নষ্ট হতে পারে ফলে কানের ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। তাই কাউকে ইয়ার ফোন দিলে কিংবা অন্যের ব্যবহৃত ইয়ার ফোন ব্যবহার করার সময় ইয়ার ফোনের সারফেস ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।

৩। লিপ গ্লস এবং লিপস্টিকঃ মনে করুন আপনি অথবা আপনার বান্ধবী ভুলে তার মেকাপ বক্স রেখে এসেছেন, এই মুহূর্তে আপনার লিপস্টিকটি ব্যবহার করা জরুরী। এরকম পরিস্থিতিতে পড়লেও কখনো অন্যের ব্যবহৃত লিপস্টিক কিংবা লিপগ্লস ব্যবহা্র করা উচিত নয়। কারণ লিপস্টিক ও লিপগ্লসের মাধ্যমে হার্পিস(herpes) রোগ ছড়ায়। এছাড়াও অন্যের জীবাণু সহজেই আপনার ঠোঁটে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে তেমন কোন উপসর্গ দেখা দেয় না, অর্থাৎ র‍্যাশ দেখা দেয় না। কিন্তু তার মুখের মিউকাস এবং স্যালাইভাতে রোগের ভাইরাস থেকে যায়। অন্যের লিপিস্টিক এবং লিপগ্লস ব্যবহারে সেই রোগের ভাইরাস আপনার কাছে চলে আসতে পারে খুব সহজেই। এবং জেনে রাখা ভালো, এখনও পর্যন্ত হার্পিস রোগের শতভাগ নিরাময়যোগ্য চিকিৎসা আবিস্কৃত হয়নি।

৪। চিরুনি, চুলের ক্লিপ, ব্যান্ডঃ চিরুনি, চুলের ক্লিপ বা হেয়ার ব্যান্ডের মাধ্যমে খুব সহজেই একজনের চুলের খুশকি, ছত্রাক ও উকুন অন্যজনের মাথায় চলে যায়। তাই চুলের ক্লিপ, ব্যান্ড এইসব অন্য কাউকে দেয়া নেয়া থেকে বিরত থাকুন।বিশেষ করে বাসায় প্রতেকে আলাদা চিরুনি ব্যবহার করুন। বাইরে যাওয়ার সময় একটি চিরুনি এবং ব্যান্ড নিজের পার্সে রাখুন।প্রোয়জনে বাসায় মেহমানের জন্য বাড়তি চিরুনি,ক্লিপ,ব্যান্ড রাখুন।


৫। ডিওডরেন্টস/ সুগন্ধিঃ যদিও বলা হয়ে থাকে যে ডিওডরেন্টে এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে, কিন্তু ডিওডোরেন্ট এর যে অংশটা ত্বকের সংস্পর্শে আসে সেটাতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশী। যেসব ডিওডরেন্টস কিংবা সুগন্ধির মুখ শরীরের সাথে লাগিয়ে ব্যবহার করতে হয় সেগুলো একাই ব্যবহার করুন। কারন এসব সুগন্ধির মুখে ত্বকের ব্যাকটেরিয়া লেগে থাকতে পারে। তাই নিজের কিংবা অন্যের সুগন্ধি শরীরে লাগিয়ে ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


৬। ম্যানিকিউর ও কসমেটিক্স সামগ্রীঃ নখের ক্লিপার, শেভিং রেজার, জাতীয় জিনিসপত্র অনেকে মিলে ব্যবহার করলে এগুলোর সাথে রক্তের অতি সূক্ষ্ম কণা লেগে থাকে। এসব খালি চোখে দেখা না গেলেও ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় আমরা পরিচিত কারো অথবা বান্ধবীর ফেইস পাউডার, তাদের পাউডার পাফ দিয়েই ব্যবহার করে থাকি। যা কিনা আমাদের ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এলার্জি কিংবা ইনফেকশন থেকে রক্ষা পেতে এসব মোটেও শেয়ার করা উচিত না।

৭। স্কিন কেয়ার সামগ্রীঃ একজন মানুষের মুখের ত্বক সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর। রূপচর্চার জন্য ব্যবহৃত মেকাপ রিমুভার, মেকাপ ব্রাস, তুলি, পাফ এসবের মাধ্যমে ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়। অনেকের মুখের ত্বকে ব্রণের সমস্যা থাকে অথবা এলার্জির সমস্যা থাকে। যা কিনা খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। আপনার ব্যবহৃত জিনিস যদি এমন কেউ ব্যবহার করে থাকে, যার ত্বকের সমস্যা রয়েছে তবে সেক্ষেত্রে আপনার ত্বকেও সমস্যা দেখা দিতে শুরু করবে যদি আপনি সেই সকল জিনিস ব্যবহার করে থাকেন। তাই অন্যের স্কিন কেয়ার সামগ্রী ব্যবহার করা উচিত নয়।
৮। ঘরে পড়া জুতো/ স্লিপারঃ ঘরে অতিথি এলেই স্লিপার পড়তে দেয়া হয়। তবে অন্যের ব্যবহৃত স্লিপার দেয়া একদমই উচিত নয়। ব্যবহৃত স্লিপারে যিনি ব্যবহার করেছেন তার পায়ের ঘাম লেগে থাকে। এর মাধ্যমে ছত্রাকের সংক্রমণ হয়। তাই এসব জিনিস শেয়ার করার আগে সাবধান হওয়া উচিত।



একইভাবে নিজের পোশাক কিংবা রুমাল অন্যকে বা কারও পোশাক, রুমাল নিজে ব্যবহার করা ঠিক নয়। শুধু শরীরে এলার্জি বা ইনফেকশন ছড়ানো না বলা হয়, তাঁর জীবনে যে সমস্যা রয়েছে, তা ছড়িয়ে পড়তে পারে আপনার জীবনেও। তথ্যসূত্র ও ছবিঃ ব্রাইট সাইট

পাঁচমিশালী তরকারি রেসিপি

পাঁচমিশালী তরকারি রেসিপি

চিত্রঃপাঁচমিশালী তরকারি রেসিপি
পাঁচমিশালী তরকারি রেসিপি

উপকরণঃ

১। ফুলকপি ৩ কাপ
২। গাজর ৩ কাপ
৩। পেঁপে ৩ কাপ
৪। মটরশুটি ১ কাপ
৫। আলু ৩ কাপ
৬। বরবটি টুকরা ১ কাপ
৭। নারিকেলের দুধ ২ কাপ
৮। পেঁয়াজকুচি ৩ টেবিল চামচ
৯। কাঁচামরিচ৩\৪ টি
১০। আদাবাটা ১ টেবিল চামচ
১১। রসুনবাটা ১\২ টেবিল চামচ
১২। মরিচ গুঁড়ো ১\২ চা চামচ
১৩। হলুদ গুঁড়ো ১\২ চা চামচ
১৪। ধনে গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
১৫। জিরা গুঁড়ো ১\২ চা চামচ
১৬। গরম মশলা গুঁড়ো ১ চা চামচ
১৭। লবণ স্বাদমতো
১৮। ঘি\তেল ৩ টেবিল চামচ
১৯। চিনি ১ চা চামচ।

প্রণালীঃ
কড়াইতে ঘি দিন।গরম হলে পেঁয়াজকুচি বাদামী করে ভেজে গরম মশলা ব্যতীত সব আদা, রসুনবাটা ও গুঁড়ো মশলা সামান্য পানি দিয়ে কষাতে হবে। মশলা থেকে তেল আলাদা হলে নারকেল দুধ দিয়ে দিন। ফুটে উঠলে প্রথমে আলু ,গাজর ,বরবটি ও মটরশুটি দিতে হবে আর ফুলকপি, পেপে পরে দিয়ে সাথে লবণ ও চিনি দিয়ে দিন পরিমানমত। মাঝারি আচে সিদ্ধ করুন। সবজি সিদ্ধ হয়ে ঝোল মাখা মাখা হয়ে গেলে কাঁচামরিচ, গরম মশলা গুঁড়ো দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট ভাপিয়ে নামিয়ে নিন।

শারদীয় সাজের কিছু টিপস

শারদীয় সাজের কিছু টিপস

শুরু হয়ে গেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাঙালিদের সবচাইতে বড় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতিমা দেখার সাথে সাথে নিজেকে সাজিয়ে তুলতে যেন ব্যস্ত সবাই। সকালে চোখের সাজ হালকা রেখে ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক,  শাড়ির সঙ্গে কপালে টিপ আর হাতে চুড়ি না হলে সাজে পূর্ণতাই আসবে না। তবে  মনে রাখতে হবে দুর্গা পুজো বিয়ে বাড়ির সাজ নয়। অনেকটা সময় বাইরে থাকতে হবে, ভিড় ঠেলে প্যান্ড্যাল হপিং করতে হবে। স্থির হয়ে বসার উপায় নেই। তাই মেকআপ বা সাজের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন কিছু ব্যাপার।
চিত্রঃপূজার সাজের মেকআপ টিপস
পূজোর সাজে মেকআপ টিপস
১। কোন ধরনের পোশাক পরছেন তার ওপর নির্ভর করেই মেকআপ করতে হবে। না হলে যে পুরো সাজটাই মাটি হবে। সুতারাং পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে মেকআপের কথা ভাবুন।

২। অষ্টমীর অঞ্জলির দিন যে ঢাকাই শাড়িটি পরবেন তার মেকআপ যা হবে, নবমীর নাইট আউটের লং ড্রেসের মেকআপ অবশ্যই আলাদা হবে।  তাই সময় বুঝে মেকআপ করুন আর চড়া মেকআপ করলে গরমে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা। তাই বেস মেকআপ একেবারেই প্রাথমিক রাখুন।

৩। সকালে সান স্ক্রিনই যথেষ্ট। রাতে হালকা ফাউন্ডেশন লাগান। তবে সকাল বা বিকেল একটা নামী কোম্পনীর বিবি ক্রিম, বা সিসি ক্রিম থাকলে এই বেস মেকআপের ঝামেলাটা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। সানস্ক্রিন, ফাউন্ডেশন, বা কনসিলার–সব কাজ এক সঙ্গেই হয়ে যাবে। একটু শিমারি লুক ট্রাই করা যেতে পারে। বেস মেক-আপের পর হালকা করে একটু ট্রান্সলুসেন্ট শিমারি কমপ্যাক্ট বুলিয়ে নিন। খুব চড়াও দেখাবে না। আবার মুখও ঝলমল করবে।

৪। মেকআপের জন্য পরিষ্কার ত্বক খুবই জরুরি। ক্লিনজিং জেল বা ক্রিম ভালো করে লাগান। তারপর ভেজা তুলো দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। মেকআপ প্রডাক্ট কেনার আগেই খেয়াল করুন কী ধরনের প্রডাক্ট ব্যবহার করবেন ও কী রং ব্যবহার করবেন। এ সময় পারফেক্ট চয়েজ হলো ওয়াটার বেসড ও পাউডার মেকআপ। মেকআপ বেশিক্ষণ ফ্রেশ রাখার জন্য কিছু প্রস্তুতি নিতে পারেন।

৫। মেকআপ করার আগে পরিষ্কার কাপড়ে আইস কিউব জড়িয়ে মুখ মুছে ফেলুন। বড় রোমকূপের মুখ বন্ধ করতে সাহায্য করবে। তৈলাক্ত ত্বকে ফাউন্ডেশন বা পাউডার লাগানোর আগে অ্যাসট্রিনজেন্ট লোশন দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। কিছুক্ষণ পর ফাউন্ডেশন লাগান। ঘাড়, গলায় ও মুখে পাউডার লাগানোর সময় হালকা ভেজা স্পঞ্জ ব্যবহার করুন। পাউডার সহজে সেট করবে। লুজ পাউডারের থেকে কমপ্যাক্ট পাউডার বেশিক্ষণ থাকে আর স্মুথ ও ফিনিশ হয়।

৬। মেকআপ চড়া হয়ে গেলে কিছুটা মেকআপ রিমুভ করার জন্য টিস্যু ব্যবহার করুন। আই পেন্সিলের কাজল কিছুক্ষণ পর মুছে যায়। তার বদলে লিকুইড আই লাইনার ব্যবহার করুন। লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটে কিছুটা ফাউন্ডেশন লাগান। লিপস্টিক সহজে উঠে যাবে না।

৭। অবশ্যই বেশি করে পানি পান করুন। তাহলে সাজের সাথে সাথে আপনার ফ্রেশ লুক ফুটে উঠবে। শসা, পেঁপে ও তরমুজ এগুলো ত্বক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই বেশি করে ফল খান।

৮। মেকআপ করুন তবে নিজের ন্যাচারাল লুকটাকে প্রাধান্য দিয়ে। মেকআপ করার পর বারবার মুখে হাত দেবেন না। মেকআপ নষ্ট হয়ে যাবে। ব্যাগে টিস্যু রাখুন । ঘাম হলে হালকা করে টিস্যু দিয়ে মুছে নিন।

৯। মনে রাখবেন যতটুকু সময় মেকআপ করার জন্য দিবেন তার অর্ধেক সময় মেকআপ তোলার কাজে দিন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে মেকআপ তুলে ভালোমতো মুখ পরিষ্কার করে মশ্চরায়জার লাগিয়ে নিন।

১০। মেকআপ তোলার পরে একটি ফেস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ঠান্ডা রাখার জন্য শসার রসের সঙ্গে ২ চা-চামচ মিল্ক পাউডার, একটা ডিমের সাদা অংশ, সামান্য গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে গলায় ও মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক ঠান্ডা হবে, সঙ্গে ত্বকের কালো ভাবও দূর হবে।
উৎসবের পুরোটা সময় আপনার ত্বকের ক্লান্তির ছাপ মুছে হয়ে উঠুন উচ্ছ্বল।

পূজায় কেমন হবে আপনার সাজ?

পূজায় কেমন হবে আপনার সাজ?

আজ বাদে কাল ই শুরু হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাঙালিদের সবচাইতে বড় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা। তাই চলছে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি। আর পূজার মৌসুমে তরুণ, তরুনীসহ সবার কাছেই বেশি প্রাধান্য পায় সাজ পোশাক। আর সেখানে অনেকের মদ্ধে চলে প্রতিযোগীতা, সবার মদ্ধে নিজেকে আলাদাভাবে তুলে ধরার। পূজার দিন পোশাকের সঙ্গে মানানসই সাজ না হলে সবকিছুই যেন ভেস্তে যায়। তাই আগে থেকে নিন পূজার সাজের প্রস্তুতি।
মেয়েদের জন্য পূজোর পোশাক মানেই সাদা-লালপেড়ে শাড়ি। আবার শাড়ির জায়গায় সালোয়ার-কামিজ বা চুড়িদার কামিজ,কূর্তি কিংবা প্লাজোর সাথে লং কামিজ এর ট্রেডিশন চলছে এখন। তবে যাই পড়ের না কেন সেটা হতে হবে বয়সের সঙ্গে মানানসই। আর সাজটাও যে হতে হবে পোশাকের সঙ্গে সংগতিপূর্ন। সকালে চোখের সাজ হালকা রেখে ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক লাগানো যেতে পারে। শাড়ির সঙ্গে কপালে টিপ আর হাতে চুড়ি না হলে সাজে পূর্ণতাই আসবে না।
চিত্রঃপূজার সাজ।ছবিঃসংগৃহীত
পূজার সাজ।ছবিঃসংগৃহীত

মুখের মেকআপ

উৎসবে আমরা সবাই চাই ফ্রেশ আর সুন্দর দেখতে। মেকআপ করার সময় তাই আবহাওয়ার কথাটাও মাথায় রাখতে হবে। বর্ষা, গরম মিলিয়ে চলছে এখনকার আবহাওয়া। ফলে মেকআপ করা বেশ মুশকিল। এজন্য কিছু নিয়ম মেনে নিলে মেকআপ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। সঠিকভাবে মেকাপ করলে আপনি থাকবেন সারাদিন ফ্রেশ উজ্জ্বল।
এ সময়ের মেকআপ হবে অন্য সময়ের চেয়ে একটু অন্যরকম। দিন আর রাতের মেকআপ হবে আলাদা। দিনের সাজসজ্জা হবে ন্যাচারাল, লাইট ও সফট। আর রাতের মেকআপ হবে একটু গর্জিয়াস। মেকআপ করার সময় খেয়াল রাখবেন মেকআপ যেন খুব চড়া না হয়। দিনের বেলার সাজ হলে মুখের মেকআপ হালকা রাখুন। বেজ মেকআপের জন্য পুজোর সারা দিনের সাজে অবশ্যই আপনার স্কিন অনুযায়ী ম্যাচ করে বা এক ১/২ শেড উজ্জ্বল মেকআপ নির্বাচন করা প্রয়োজন। এতে আপনার ন্যাচারাল লুক ফুটে উঠবে।
রাতে উৎসবের মেকআপ হতে হয় একটু গর্জিয়াস। মুখ পরিষ্কার করার পর এক টুকরো বরফ ঘষে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার বা অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লোশন নিয়ে মুখ মুছে নিন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে মুখে, কপালে, নাকে ও থুঁতনিতে ফাউন্ডেশন ফোঁটা ফোঁটা করে লাগিয়ে নিন। ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে ফাউন্ডেশন ভালো করে ব্লেন্ড করুন। গরমে ক্রিম ফাউন্ডেশন একেবারেই ব্যবহার না করাই ভালো। ওয়াটার বেসড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা পানি মিশিয়ে নিতে পারেন। নিজের স্কিন টোনের সঙ্গে ম্যাচ করে ফাউন্ডেশন লাগাবেন। এতে ন্যাচারাল লুক বজায় থাকবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে মুখে, গলায়, ঘাড়ে কমপ্যাক্ট লাগিয়ে নিন।

ব্লাশন
পরিপূর্ণ মেকআপের ক্ষেত্রে সঠিক ব্লাশনের ব্যবহার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ব্লাশনের ওপর ন্যাচেরাল লুক অনেকটাই নির্ভর করে। তাই ব্লাশন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই ব্লাশন ব্যবহার করতে হবে। মেকআপ লাগানোর পর আপনার গালে ব্রাশ দিয়ে ব্লাশন লাগিয়ে ভালোভাবে মুখের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এতে আপনার গালে একটি সুন্দর আভা ফুটে উঠবে।

চোখ
চোখের মেকআপ খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চোখের মেকআপের ওপর অনেকটাই নির্ভর করবে আপনাকে কতটা সুন্দর দেখাবে। দিনে চোখের মেকআপ হবে হালকা, আই পেন্সিল ও মাসকারা দিয়ে চোখ হাইলাইট করুন। খুব সরু করে ওপরের পাতায় আইলাইনার লাগান। তবে লিকুইড আইলাইনারের পরিবর্তে আই পেন্সিল ব্যবহার করুন। আইশেড দিতে চাইলে আইলাইনার দেয়ার আগেই বেইজ কালার শেড ব্যবহার করতে পারেন হালকাভাবে।আইশ্যাডোর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্রাউন, ব্রোঞ্জ, গোল্ডেন, কপার এবং চাহিদা অনুযায়ী আইলাইনার ও ২/৩ কোট মাশকারার প্রলেপ দিন। চোখ উজ্জ্বল হবে আবার মেকআপ চড়া হবে না। রাতে উজ্জ্বল রঙের আইলাইনার ব্যবহার করুন। ফ্রস্টেড হাইলাইট ব্রো বোনে লাগান। স্মোকি লুক চাইলে স্পঞ্জ দিয়ে আইলাইনার ঘষে দিন।

লিপস্টিক
দুর্গাপূজায় এক প্যাঁচে লাল-সাদা গরদ শাড়ি, চুলের সাজে খোঁপা বা খোলা রাখা লম্বা চুল, সিঁথিতে সিঁদুর, কপালে লাল টিপ, হাতে শাখা—এ সাজে খুব সহজেই আমরা ঠোঁটে লাল লিপস্টিকই পছন্দ করি। তবে এক্ষেত্রে আপনার চোখের মেকআপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চোখের মেকআপকে গুরুত্ব দিতে চাইলে ঠোঁটকে হালকা রাখতে হয়। মুখে মেকআপ না করেও নজর কাড়তে পারেন দারুণ শেডের লিপস্টিক দিয়ে। লাল-মেরুনের মতো গাঢ় রং না নিয়ে মভ গোলাপির মতো হালকা ন্যাচারাল রং বেছে নিতে পারেন অথবা ফ্রস্টি লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। ঠোঁটে শাইন আসবে। পিঙ্ক বা মভ রঙের লিপস্টিক বাছুন। দিনে শুধু লিপগ্লস লাগাতে পারলেই ভালো। রাতে গাঢ় রং লাগান। প্লাম, ওয়াইন, বারগান্ডি, কোরাল, ব্রঞ্জ রঙের লিপস্টিক ট্রাই করুন। ন্যুড ন্যাচারাল লুকই ঠোঁটের জন্য এ সময় আদর্শ। পার্টি বা অনুষ্ঠানে গেলে হালকা করে লিপ লাইনার দিয়ে আউটলাইন করে নিন। তারপর ব্রাশ দিয়ে লিপ কালার লাগান। টিস্যু দিয়ে হালকা করে অতিরিক্ত লিপস্টিক মুছে নিন। তারপর আর একবার লিপস্টিক লাগান। শেষে লিপগ্লস লাগিয়ে টাচআপ করুন। যদি ঠোঁট শুকনো হয় ম্যাট লিপস্টিক না লাগিয়ে গ্লসি লিপস্টিক লাগান। ঠোঁট পাতলা হলে হালকা রঙের এবং গ্লসি লিপস্টিক ট্রাই করতে পারেন।

নখ
নখ পরিষ্কার করে সঠিক শেপে কেটে নিন। কালারলেস বেস কেটে লাগিয়ে শুকনো করে নিন। পরের স্টেপে প্রথমে নেইলপলিশ লাগিয়ে ১০ মিনিট পর আবার নেইলপলিশের সেকেন্ড কোট লাগান। শুকিয়ে গেলে আর একবার কালারলেস বেসকোট লাগিয়ে ফিনিশ করুন। পায়ের পাতায় লাগিয়ে নিতে পারেন আলতা।

চুল
চেহারার ধরন, সময়, পোশাক, কোথায় ঘুরতে যাচ্ছেন—সবকিছুর সঙ্গে মানানসই হওয়া চাই আপনার চুলের স্টাইল। কারণ, ঠিকঠাক মতো চুলের স্টাইলই এনে দিতে পারে আপনার সাজের পরিপূর্ণতা। আর পরিপূর্ণ একটি সাজ আপনার ভাবমূর্তিকে দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলতে সহায়ক। তাই কৌশল হিসেবে আগেভাগেই চুল বাঁধার কয়েকটি ধরন রপ্ত করে রাখতে পারেন। এবারের পূজায় পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ঝটপট চুলের সাজটি সেরে নিতে আর বেগ পেতে হবে না। চুলের স্টাইল গরম হওয়ায় বেঁধে নেয়াই ভালো, তবে খোলা চুলে স্বচ্ছন্দ্য থাকলে অসুবিধা নেই। চুলগুলোকে ঠিকমতো গুছিয়ে নিলে মেকআপ আরো ফুটে উঠবে। বেনী বা খোঁপা করলে চুলে জড়িয়ে নিন কোন ফুলের মালা।

অনুষঙ্গ
পূজায় সাজের ক্ষেত্রে আপনার অনুষঙ্গ সামগ্রী খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কানের দুল, গলার মালা, খোঁপার কাঁটা, সিঁথিতে সিঁদুর, কপালে লাল টিপ এসবই পূজার সাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সিঁথিতে সিঁদুর দেওয়ার ভিন্ন ভিন্ন ধরন আছে কিন্তু বিবাহিত মেয়েদের কাছে সিঁথিতে সিঁদুর কেবলমাত্র সাজের অনুষঙ্গ নয় পাশাপাশি হাতের শাঁখা-পলাও ঠিক তেমনই গুরুত্বপূর্ণ। কানের দুল, গলার মালা, খোঁপার কাঁটা সবই নির্ভর করে সাজের বিশেষত্ব, পোশাকের ধরন এবং মানুষটির পছন্দ ও ব্যক্তিত্বের ওপর। সুগন্ধি আপনার সৌখিনতা। পারফিউম লাগিয়ে তৈরি হন। পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে জুতো ও ব্যাগ নিন।

টিপস

* গরমে মেকআপ দীর্ঘক্ষণ ভালো রাখার জন্য মেকআপ শুরুর আগে পরিষ্কার কাপড়ে আইস কিউব জড়িয়ে ভালো করে মুখ মুছে নিন। রোমকূপের মুখ বন্ধ করতে সাহায্য করবে। ঘাম কম হবে। মেকআপ বসবে ভালো।
* মেকআপ করার পর বারবার মুখে হাত দেবেন না। মেকআপ নষ্ট হয়ে যাবে। ব্যাগে টিস্যু রাখুন । ঘাম হলে হালকা করে টিস্যু দিয়ে মুছে নিন।
* মেকআপ করুন তবে নিজের ন্যাচারাল লুকটাকে প্রাধান্য দিয়ে। দিনে বেশি করে পানি পান করুন। সতেজ থাকুন আর উৎসবে মাতিয়ে রাখুন নিজেকে।

মজাদার রাবড়ি রেসিপি

মজাদার রাবড়ি রেসিপি

চিত্রঃমজাদার রাবড়ি রেসিপি।ছবিঃ সংগৃহীত
মজাদার রাবড়ি রেসিপ। ছবিঃ সংগৃহীত

উপকরনঃ

১। ঘন দুধ ৩ কাপ
২। ক্রিম বা দুধের সর ৩ টেবিল চামচ
৩। ছানা ১ কাপ
৪। ঘি ২ টেবিল চামচ
৫। চিনি পরিমানমতো
৬। পেস্তা/কাঠবাদাম কুঁচি পরিমানমতো
৭। জাফরান সাজিয়ে পরিবেশনের জন্য পছন্দ অনুযায়ী

পদ্ধতিঃ
* প্রথমে ছানা হাত দিয়ে ভালোমতো ময়ান করে মিহি করে নিন। এরপরে একটি পাত্রে ঘি গরম করে তাতে ছানা দিয়ে হাল্কা ভেজে নিন।
* দুধের সর বা ক্রিম দিয়ে আরো কিছুক্ষন ভুলা করে বাদাম অ চিনি দিয়ে ২ মিনিট নেড়েচেড়ে আগে থেকে জ্বাল দিয়ে ঘন করে রাখা দুধ দিয়ে দিন।
* চুলার আচ কমিয়ে নাড়তে থাকুন যেন নিচে না লেগে যায়। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন।
* পরিবেশন পাত্রে ঢেলে উপরে বাদাম কুঁচি আর জাফরান ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন সুস্বাধু রাবড়ি।

পূজোয় নিরামিষ, আমিষে লাউয়ের তিন পদ

পূজোয় নিরামিষ, আমিষে লাউয়ের তিন পদ

চিত্রঃনিরামিষ, আমিষে লাউয়ের বিভিন্ন পদ
 নিরামিষ, আমিষে লাউয়ের বিভিন্ন পদ

লাউশুক্ত

উপকরণঃ
১। লাউ ২ কাপ
২। মুগডাল ১ কাপ
৩। শুকনা মরিচ ২ টি
৪। করলা ১ টি
৫। সরিষা ১/২ চা চামচ
৬। আদা বাটা ১/২  চা চামচ
৭। ঘি বা তেল ৩ টেবিল চামচ 
৮। লবণ স্বাদমতো
৯। তেজপাতা ১ টি
১০। চিনি ২ চা চামচ

প্রনালীঃ
* লাউ ডাল রান্না করার জন্য লাউয়ের বোটার কাছের অংশ ছোট টুকরা করে ধুয়ে, ডাল ও লাউ অল্প পানি দিয়ে সিদ্ধ করুন।
* করলা ধুয়ে চাক চাক করে কেটে আলাদা করে ভেজে লাউ ডালের কড়াইতে দিয়ে সাথে লবন দিয়ে দিন। সিদ্ধ হলে নামিয়ে রাখুন।
* ঘিয়ে তেজপাতা ছেড়ে মরিচ ও সরিষার ফোড়ন দিন। আদাবাটা ও  সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে ডাল দিয়ে নিন।
* নামানোর আগে চিনি দিয়ে দিন। ফুটে উঠলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।

লাউ চিংড়ি

উপকরনঃ
১। লাউ টুকরো করে কাটা ২ কাপ
২। চিংড়িমাছ ১ কাপ
৩। রসুনবাটা ১/২ চা চামচ
৪। আদাবাটা ১ চা চামচ
৫। হলুদ গুঁড়ো ১/৩ চামচ 
৬।মরিচ গুড়া ১/৩ চা চামচ
৭। কালোজিরা ১/২ চামচ 
৮। জিরাগুড়া  ১/৩ চামচ 
৯। ধনিয়াগুড়া ১/৩ চামচ 
১০। কাঁচামরিচ ৫টি 
১১। ধনেপাতা কুঁঁচি, লবন তেল পরিমাণমতো।

প্রনালীঃ
* প্রথমে লাউ ছোট কিউব করে টুকরা কেটে ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে নিন এবং কিছু ছোটো চিংড়িমাছ কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ঝড়িয়ে রাখুন।
* রান্নার পাত্রে তেল গরম করে তাতে রসুনবাটা ও আদাবাটা  দিয়ে নেড়ে তাতে হলুদগুড়া, মরিচগুড়া, জিরা ও  ধনিয়া গুড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে তাতে চিংড়িমাছ গুলো দিয়ে আরেকটু কষিয়ে নিন।
* তারপরে লাউ গুলো দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। লাউ থেকে পানি বের হবে এবং লাউ এর পানিতেই লাউ সিদ্ধ হবে। মাঝে লবন দিয়ে আবারো নেড়ে নিন।
* কিছুক্ষন রান্না করার পর লাউ সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে মাখা মাখা হলে চেরা কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়ে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

সরষে বাটা দিয়ে লাউ

উপকরণঃ
১। লাউ টুকরো করে কাটা ১ কাপ
২। আলু টুকরো করে কাটা ১ কাপ
৩। সরষে বাটা ১ বাটি
৪। বড়ি ভেজে টুকরো করে রাখা ১/২ কাপ
৫। হলুদ গুঁড়ো ১ চামচ 
৬। আস্ত মেথি ১/২ চামচ 
৭। কালোজিরা ১/২ চামচ
৮। আস্ত জিরা ১/২ চামচ
৯। মৌরি ১/২ চামচ
১০। কাঁচামরিচ কুচি ২ চামচ
১১। লবন স্বাদমতো
১২। তেল পরিমাণমতো।

প্রণালীঃ
প্রথমে রান্নার কড়াইতে তেল গরম করে তাতে মেথি, মৌরি, কালোজিরা ও জিরা ফোড়ন দিন।
* ফোড়ন হালকা ভাজা হলে তারমদ্ধে কাঁচামরিচ কুচি ও হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিন। এরপরে টুকরো করে কেটে রাখা লাউ ও আলু দিয়ে নাড়াচাড়া করুন।
* এবার সরষে বাটা দিয়ে নাড়তে থাকুন। সরষে বাটার কাঁচা গন্ধ যেতেই সামান্য পানি ও লবন দিয়ে নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে লাউ সেদ্ধ হতে দিন।
* মিনিট পাঁচেক পর ঢাকনা খুলে ভেজে রাখা বড়ি দিয়ে খানিকক্ষণ নেড়েচেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল সরষে বাটা দিয়ে লাউ।

ছানার কোপ্তা রেসিপি

ছানার কোপ্তা রেসিপি

পূজোর নিরামিষ রেসিপির মদ্ধে অন্যতম হচ্ছে ছানার বিভিন্ন তরকারি। তাই আজ রইল ছানার কোপ্তা রেসিপটি। ভাত বা রুটি সবের সঙ্গেই ভালো লাগে এই তরকারি।
চিত্রঃছানার কোপ্তা রেসিপি
ছানার কোপ্তা রেসিপি
উপকরনঃ
১। ছানা ২০০ গ্রাম
২। টকদই ১/৩ কাপ
৩। ছোটো আলু ৪টি
৪। আদা বাটা ১ চামচ
৫। তেজপাতা ২টি
৬। কাঁচামরিচ ৩টি
৭। ধনে, জিরেগুড়ো ১ চামচ
৮। হলুদ গুঁড়ো ১ চামচ
৯। লবন পরিমানমতো
১০। ধনেপাতা কুচি ২ চামচ
১১। তেল পরিমানমতো
১২। ঘি ২ চামচ

প্রনালীঃ
* আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নিয়ে হাল্কা সোনালী করে ভেজে নিন।
* ছানা থেকে জল বের করে ছোটো ছোটো বলের আকারে গড়ে ঘিয়ে ভেজে তুলে রাখুন। একটা নন-স্টিক প্যানে তেল গরম করে তেজপাতা ফোড়ন দিন।
* ফোড়ন হলে আলু ও সব মশলা দিয়ে নাড়ুন। কাঁচামরিচ,  ছানা ও লবন দিয়ে আগে থেকে ফেটানো টক দই দিয়ে একটু পানি দিয়ে খানিকটা রান্না করুন।
* ইচ্ছেমতো ঝোল রাখতে পারেন আবার চাইলে ঝোল মাখা মাখা রাখতে পারেন। ওপরে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।

পূজোর শেষ প্রস্তুতিতে হয়ে যাক ত্বক ও চুলের যত্ন

পূজোর শেষ প্রস্তুতিতে হয়ে যাক ত্বক ও চুলের যত্ন

আকাশের ভেসে থাকা সাদা সাদা গুচ্ছ মেঘ আর জমিনের কাশফুল জানান দিয়েছে শরতের কথা। শরতের এ আগমনের সঙ্গে সঙ্গে বছর ঘুরে হাজির হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ প্রধান উৎসবকে কেন্দ্র করে ফ্যাশন সচেতনরা ব্যস্ত পছন্দের পোশাক খুঁজতে। কিন্তু পোশাক পরলেই তো হবে না, পূজার পুরো সপ্তাহ জুড়ে থাকতে হবে ফিট। তাই ত্বক ও চুলের যত্ন নিয়ে পূজায় সবার মাঝে নিজেকে আলাদা করে উপস্থাপনের জন্য পূজা শুরুর আগেই প্রস্তুত হয়ে যাক আপনার ত্বক এবং চুল। উৎসবের ঠিক দুইদিন আগে ত্বকের সৌন্দর্য্যে ফেশিয়ালটি করে ফেলুন। এ ক্ষেত্রে ক্লিনজিং ফেশিয়াল ভালো হবে। এতে ত্বক পরিষ্কার হবে এবং ব্রণ কম উঠবে। পার্লারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বাড়িতেই করতে পারেন। এতে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।
চিত্রঃপূজোর শেষ প্রস্তুতিতে হয়ে যাক ত্বক ও চুলের যত্ন। ছবিঃ সংগৃহীত
পূজোর শেষ প্রস্তুতিতে হয়ে যাক ত্বক ও চুলের যত্ন। ছবিঃ সংগৃহীত

ত্বকের যত্নঃ

গরমে ত্বকে ঘাম-তেল নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ওপর ধুলো-ময়লা, নোংরা জমে ত্বক নির্জীব ও অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে। এ সময় ত্বক ভালো রাখার জন্য ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং এই তিনটি বেসিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলতে হবে। যেহেতু এটা একদিনের উৎসব না তাই আগেই আপনি করে নিতে পারেন ফেসিয়াল স্পা। পার্লারে যে যেতে হবে তা কিন্তু নয়। ঘরেই করে নিন স্পা বা ফেসিয়াল। তার জন্য প্রথমে দূর করে ফেলুন ত্বকের সব ব্ল্যাক হেডস। প্রথমে ত্বক পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে হালকা গরম পানির ভাপ মুখে নিন। এতে রোমকূপ গুলো খুলে যাবে। এরপর বেকিং সোডা, চালের গুড়া কিংবা আধা বাটা মসুর ডাল দিয়ে ব্ল্যাক হেডস যুক্ত স্থান গুলোতে আঙ্গুলের সাহায্যে ম্যাসাজ করুন। খুব জোরে চাপ দিয়ে ম্যাসাজ করবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
এছাড়া সময় কম থাকলে টুথপেস্টের সাথে একটু লবন ও দুই ফোটা পানি মিশিয়ে পেস্ট করে সেটা ব্ল্যাক হেডস বা হোয়াইট হেডস যুক্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিট।এরপরে আঙ্গুল দিয়ে ঘষে হাল্কা করে ধুয়ে ফেলুন। এরপরে আপনার ত্বকের ধরন বুঝে যেকোন একটি ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি বেশ উপকারী। গোলাপ জলের সঙ্গে মুলতানি মাটি ও এক চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের জন্য এটি বেশ ভালো একটি মাস্ক। পরিষ্কার মুখে মাস্ক লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। ঠান্ডা পানিতে মুখ ধোয়ার পর হালকা কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।
এছাড়াও প্রাকৃতিক ভাবে ত্বক ব্লিচ করতে চাইলে টমেটোর রস এক চা চামচ ও লেবুর রস এক চা চামচ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রেও ঘরোয়া বিভিন্ন উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করা যায়। দুধের সরের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ ও কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে উপরের দিকে হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করুন পাঁচ মিনিট। এরপর পানি ঝাপটা দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সম্ভব হলে এই মিশ্রণ প্রতিদিন ব্যবহার করা যেতে পারে। টানা সাত দিন ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কভাব অনেকটাই কমে আসবে।

হাত,পা ও ঘাড়ের যত্নঃ

মুখের যত্ন তো থাকবেই, তবে সেই সাথে নিন হাত পায়ের যত্ন। এগুলো আপনার ব্যক্তিত্ব এবং চেহারার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নিয়মিত ম্যানিকিওর-পেডিকিওরের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন রাখুন হাত-পা। আর ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে কাঁচা দুধ ও মধু মেখে ৫ মিনিট পর গোসল করে ফেলুন। এতে রোদে পোড়া ভাব দূর হবে। ফলে ত্বক উজ্জল দেখাবে।হাত, পা  এই প্রাকৃতিক প্রতিকার হাত, পা, ঘাড় ফর্সা, নরম এবং সুস্থ করবে। তাই ত্বক ফর্সা করার পাশাপাশি হাত, পা আর ঘাড়ের যত্নের জন্য ব্যবহার করতে পারেন প্রাকৃতিক ঘরোয়া প্রতিকার।
১ চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে আধা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে হাতের বিভিন্ন অংশে মালিশ করে নিন। এটা স্ক্রাবের কাজ করবে। যাঁদের তৈলাক্ত ত্বক, তাঁরা নারকেল তেলের পরিবর্তে অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব করতে পারেন। স্ক্রাবের পর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এতে ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর হয়ে যায়। প্যাকটি একিভাবে ঘাড়ও পায়ে ব্যবহার করুন।

চুলের যত্নঃ

ঝলমলে চুলের আকাঙ্ক্ষা সবারই। আর উৎসবে সবাই চুলগুলোকে একটু সুন্দর রাখতে চায়। গরমে রোদে বেশিক্ষণ থাকার জন্য চুলে সানবার্নের সমস্যা দেখা দেয়। বর্ষা আর গরম মিলিয়ে ঘাম, ধুলাবালিতে চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য ও কোমলতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই প্রতিদিন গোসল এবং প্রায়ই শ্যাম্পু ব্যবহার করার পাশাপাশি চুলকে সুন্দর রাখতে দরকার একটু পরিচর্যার। আগেই আপনার চুলের ধরন বুঝে চেহারার সাথে সুন্দর মানিয়ে যায় এমন একটি হেয়ার কাট দিয়ে নিন। তারপরে বাসাতেই করে নিন হেয়ার স্পা। এছাড়া ও পছন্দমতো চুলে কয়েক রকমের তেল দিয়ে ঘন্টাখানেক রেখে একটি প্যাঁক ব্যাবহার করে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার লাগিয়ে নিতে পারেন। যেমনঃ
দই ও ডিমের হেয়ার প্যাকঃ
১ টি ডিম ফেটিয়ে ৩-৪ টেবিল চামচ দই ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান। হেয়ার প্যাকটি ব্রাশের সাহায্যে চুলে লাগান। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি খুশকি ও চুল পড়া রোধ করবে। তবে পূর্বে অবশ্যই কোন তেল কুসুম গরম করে ভালো করে মেসেজ করে পুরো মাথায় লাগিয়ে নিবেন।

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি!

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি! নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি! শীত, গরম বা বর্ষাকালেও খুশকির যন্ত্রনা যেন মেটে না। পার্লারের আহাম...

Our Popular Posts