ঈদের আগে ত্বক ও চুলের যত্ন

ঈদের আগে ত্বক ও চুলের যত্ন

ঈদের আর মাত্র একদিন বাকি। ঈদ নিয়ে অনেক প্রস্তুতি থাকে সবার। কত শত প্রস্তুতি থাকলে ও আপনি নিজে প্রস্তুত তো? নতুন জামা-জুতা কেনার পাশাপাশি ত্বকেরও কিছু বাড়তি যত্ন নিতে হয়।
ব্যস্ততার জন্য অনেক সময়ই নানা কাজে ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়ে ওঠে না। তাছাড়া অপর্যাপ্ত পানি পান, অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া, ধুলাবালি, দূষন ইত্যাদি কারণে ত্বকে নানান সমস্যা দেখা দেয়। ঈদের দিনটায় নিজেকে সবার মাঝে উজ্জ্বল দেখাতে সবাই চায়। আর তাই তো ঈদের আগে অন্তত ত্বক ও চুলের একটু বাড়তি যত্ন না নিলেই নয়। জেনে নিন ঈদের আগে ত্বক ও চুলের যত্ন সম্পর্কে কিছু পরামর্শ-
চিত্রঃঈদের আগে ত্বক ও চুলের যত্ন।
ঈদের আগে ত্বক ও চুলের যত্ন। ছবিঃ সংগৃহিত

ব্ল্যাক হেডস বা বা হোয়াইট হেডস দূর করুন

চিত্রঃপ্রথমেই ব্লাক হেডস তুলে ফেলুন
প্রথমের ব্লাক হেডস তুলে ফেলুন
তৈলাক্ত ত্বকে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডস বেশি হয়। তাই নিয়ম করে স্ক্রাবিংও করতে হয়। তবে ব্রণের সমস্যা থাকলে স্ক্রাব করা উচিত নয়। অথবা ব্রণ এড়িয়ে তারপর স্ক্রাবিং করতে হবে।

  • সর্বপ্রথম দূর করে ফেলুন ত্বকের সব ব্ল্যাক হেডস। ঘরেই ব্ল্যাক হেডস দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন চালের গুড়া কিংবা বেকিং সোডা। এছাড়াও আধা বাটা মসুর ডাল ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে ত্বক পরিষ্কার করে হালকা গরম পানির ভাপ মুখে নিন। এতে রোমকূপ গুলো খুলে যাবে। এরপর বেকিং সোডা, চালের গুড়া কিংবা আধা বাটা মসুর ডাল দিয়ে ব্ল্যাক হেডস যুক্ত স্থান গুলোতে আঙ্গুলের সাহায্যে ম্যাসাজ করুন। খুব জোরে চাপ দিয়ে ম্যাসাজ করবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। 
  • এছাড়া সময় কম থাকলে টুথপেস্টের সাথে একটু লবন ও দুই ফোটা পানি মিশিয়ে পেস্ট করে সেটা ব্ল্যাক হেডস বা হোয়াইট হেডস যুক্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিট।এরপরে আঙ্গুল দিয়ে ঘষে হাল্কা করে ধুয়ে ফেলুন।
  • চিনি ও মধু মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে হালকা ভেজা ত্বকে হাত ঘুরিয়ে মালিশ করতে হবে। সপ্তাহে দুবার এই স্ক্রাব ব্যবহারে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডসের প্রকোপ কমবে।
 ব্ল্যাক হেডস পরিষ্কার হয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে এক টুকরো বরফ ঘষে নিন পুরো মুখে।

ফেস প্যাক লাগান

তৈলাক্ত ত্বকে গ্রন্থির আধিক্য থাকে আর তাই প্রচুর তেল বের হয়। এ ধরনের ত্বক পরিষ্কার করার কিছুক্ষণ পরই আবার ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যেতে পারে। আবার কিছু ত্বকের অংশ বিশেষ তৈলাক্ত থাকে এবং বাকি অংশ শুষ্ক হয়। এ ধরনের ত্বককে মিশ্র ত্বক বলা হয়। কিছু ত্বক হয় শুষ্ক। তাই ত্বকের ধরন বুঝে ফেস প্যাক ব্যবহার করুন।
চিত্রঃত্বকের ধরন বুঝে লাগান ফেস প্যাক
ত্বকের ধরন বুঝে লাগান ফেস প্যাক
  • তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি বেশ উপকারী। গোলাপ জলের সঙ্গে মুলতানি মাটি ও এক চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের জন্য এটি বেশ ভালো একটি মাস্ক। পরিষ্কার মুখে মাস্ক লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। ঠান্ডা পানিতে মুখ ধোয়ার পর হালকা কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।
  • কাচা দুধের সঙ্গে মসুর ডাল বাটা মিশিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। একদিন পর পর এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। এই ফেসপ্যাকটি ত্বক উজ্জ্বল করবে এবং ত্বকের ময়লা দূর করবে
  • এছাড়াও প্রাকৃতিক ভাবে ত্বক ব্লিচ করতে চাইলে টমেটোর রস এক চা চামচ ও লেবুর রস এক চা চামচ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
  • শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রেও ঘরোয়া বিভিন্ন উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করা যায়। শুষ্ক ত্বক দেখতে প্রাণহীন মনে হয় কারণ আলাদা কোনো আভা থাকে না। তাই এমন মাস্ক ব্যবহার করা উচিত যাতে ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
  • দুধের সরের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ ও কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে উপরের দিকে হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করুন পাঁচ মিনিট। এরপর পানি ঝাপটা দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সম্ভব হলে এই মিশ্রণ প্রতিদিন ব্যবহার করা যেতে পারে। টানা সাত দিন ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কভাব অনেকটাই কমে আসবে
  • মধুর সঙ্গে মাল্টার রস মিশিয়ে মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ‍কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পাশাপাশি বলিরেখা দূর করতেও এই মিশ্রণ উপকারী।

হাত পা ও ঘাড়ের যত্ন

চিত্রঃঈদের আগে করুন হাত পা ও ঘাড়ের যত্ন
ঈদের আগে করুন হাত পা ও ঘাড়ের যত্ন
হাত, পা আপনার ব্যক্তিত্ব এবং চেহারার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অথচ স্বাভাবিক সৌন্দর্য রুটিনে আপনি  হয়তো হাত, পা উপেক্ষা করে থাকেন। আপনার মুখ এবং হাত, পায়ের ত্বকের মধ্যে একটি বিশাল পার্থক্য থেকে যায় ফলে আপনার মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। ত্বক ফর্সা করার পাশাপাশি হাত, পা আর ঘাড়ের যত্নের জন্য ব্যবহার করতে পারেন প্রাকৃতিক ঘরোয়া প্রতিকার। এই প্রাকৃতিক প্রতিকার হাত, পা, ঘাড় ফর্সা, নরম এবং সুস্থ করবে।
  • আধা চা-চামচ সিরকা এবং আধা কাপ টক দই মিশিয়ে পা ও গোড়ালিতে ভালোমতো মালিশ করতে পারেন। পা ধুয়ে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান। এতে জীবাণুর সংক্রমণ হবে না। যেকোনো ধরনের ত্বকের জন্যই এটি উপকারী।
  • ধুলা লেগে পায়ের কোমল ত্বক ও নখের অবস্থা হয়ে যায় যাচ্ছেতাই। চালের গুঁড়ার সঙ্গে শসা ও গাজরের রস মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। সঙ্গে একটু মসুর ডালও মিশিয়ে নিতে পারেন।
  • ১ চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে আধা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে হাতের বিভিন্ন অংশে মালিশ করে নিন। এটা স্ক্রাবের কাজ করবে। যাঁদের তৈলাক্ত ত্বক, তাঁরা নারকেল তেলের পরিবর্তে অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব করতে পারেন। স্ক্রাবের পর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এতে ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর হয়ে যায়। প্যাকটি পায়েও লাগানো যেতে পারে।
  • ২ টেবিল চামচ বেসন, ২ চিমটি কাঁচা হলুদ, ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস আর ১ চা চামচ দুধ দিয়ে প্যাক বানিয়ে ফেলুন। হাতে এবং পায়ে ৫ মিনিট ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন এই প্যাকটি। তারপর ২০ মিনিট পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে মনে রাখবেন হলুদ কিন্তু সবাইকে স্যুট করে না। তাই আগে একটু টেস্ট করে নিবেন কাঁচা হলুদ আপনার বন্ধু না শত্রু।

রাতে ঘুমানোর আগেও ত্বকের যত্ন নিন

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বকের খুব সাধারণ কিছু যত্ন করলে, সকালে ঘুম থেকে উঠে সতেজ ত্বক পাওয়া সম্ভব। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই সব ধরণের মেকআপ ত্বক থেকে তুলে ফেলতে হবে। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর অ্যালোভেরার রস মুখে লাগিয়ে নিতে হবে। সকালে উঠে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এছাড়াও পানির সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে সেটাকে আইস কিউব করে রেখে দিতে পারেন। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুখে এই বরফটা ঘষে নিন। মুখ ধোয়ার প্রয়োজন নেই। সকালে উঠে দেখবেন আপনার ত্বক বেশ সতেজ হয়ে আছে।

চুলের যত্ন
চিত্রঃঈদের আগে চুলের যত্ন
ঈদের আগে চুলের যত্ন

বর্ষা আর গরম মিলিয়ে ঘাম, ধুলাবালিতে চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য ও কোমলতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই প্রতিদিন গোসল এবং প্রায়ই শ্যাম্পু ব্যবহার করার পাশাপাশি চুলকে সুন্দর রাখতে দরকার একটু পরিচর্যার। ঈদের আগে ও তাই দরকার চুলের ও বিশেষ যত্ন

দই ও ডিমের হেয়ার প্যাকঃ
১ টি ডিম ফেটিয়ে ৩-৪ টেবিল চামচ দই ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান। হেয়ার প্যাকটি ব্রাশের সাহায্যে চুলে লাগান। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি খুশকি ও চুল পড়া রোধ করবে। তবে পূর্বে অবশ্যই কোন তেল কুসুম গরম করে ভালো করে মেসেজ করে পুরো মাথায় লাগিয়ে নিবেন।
এছাড়া আপনি ব্যবহার করতে পারেন এলোভেরা,মেহেদি, মধু কিংবা পেয়াজের বিভিন্ন হেয়ার প্যাক।

ঈদ স্পেশালঃ গরুর মেজবানি মাংস রেসিপি

ঈদ স্পেশালঃ গরুর মেজবানি মাংস রেসিপি

বিয়ের অনুষ্ঠানে বা রেস্টুরেন্টে গেলে খেতে পারেন গরুর মেজবানি মাংস। কিন্তু চাইলে এইে ঈদে আপনিও ঘরে তৈরি করতে পারেন চট্টগ্রামের সুস্বাদু গরুর মেজবানি মাংস!
চিত্রঃঈদ স্পেশালঃ গরুর মেজবানি মাংস রেসিপি
গরুর মেজবানি মাংস রেসিপি

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ 

উপকরণ-১
গরুর মাংস ২ কেজি(মাংসের সাথে বুকের হাড়, কলিজা, গুর্দা, ফুসফুস ও নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে মশলার পরিমান বাড়িয়ে দিতে হতে)
পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ(বেরেস্তার জন্য)
পেঁয়াজ বাটা ২ কাপ
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়া ২ চা চামচ
মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ
জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ 
সরিষার তেল ১ কাপ, 
টক দই ১ কাপ
কাঁচামরিচ ১০/১২টি
সাদা সরষেবাটা ১ টেবিল চামচ
টমেটো ৩টি
পোস্তদানাবাটা ২ চা চামচ
ঘি আধা কাপ
গরমমসলা পরিমাণমতো
লবণ স্বাদমতো
পানি পরিমানমতো।

উপকরণ-২
জিরা ২ চা চামচ
ধনে ২ চা চামচ
তেজপাতা ৫টি
রাঁধুনি ১/২ চা চামচ
শুকনো মরিচ ৪টি

উপকরণ-৩
এলাচি ৩-৪ টি
দারচিনি ২ টুকরা
জয়েত্রি ১ টুকরা
জয়ফল অধের্ক
মৌরি ১/২ চা চামচ
মেথি ১/২ চা চামচ
গোলমরিচ ১ চা চামচ
জৈন ১/২ চা চামচ 

প্রস্তুত প্রণালীঃ

# প্রথমে মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। উপকরণ-১-এর তালিকায় থাকা কাঁচা মরিচ আর ঘি ছাড়া বাকি উপাদানগুলো মাংসের সঙ্গে ভালোভাবে মাখিয়ে রাখুন।

# তেলে পেঁয়াজকুচি লাল করে ভেজে ওই পাত্রে মাখিয়ে রাখা মাংস ঢেলে ভালোভাবে কষান।

# ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর নেড়ে দুই কাপ গরম পানি দিয়ে নেড়েচেড়ে আবার ঢেকে দিতে হবে।

# মাঝে উপকরণ-২-এর মসলা ভেজে গুঁড়া করে নিতে হবে। এই মসলা মাংসে দিয়ে নেড়ে আবার ঢেকে দিতে হবে। উপকরণ-৩ এর মসলা তাওয়ায় টেলে গুঁড়া করতে হবে। 

# মাংস মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে। সেদ্ধ নাহলে প্রয়োজনে আরও গরম পানি দিয়ে দিন। মাংস সেদ্ধ হলে উপকরণ-৩ এর গুঁড়া মসলা, কাঁচা মরিচ ও ঘি ছড়িয়ে দিন।

# মাংসের মশলা থেকে তেল ছেড়ে দিলে ঝোল  মাখা মাখা থাকা অবস্থায় চুলা থেকে নামিয়ে নিন।

# পরিবেশন পাত্রে মাংস নিয়ে ওপরে বেরেস্তা দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার মেজবানি মাংস।

মাটন চপ রেসিপি

মাটন চপ রেসিপি

কোরবানী ঈদের সাথে রয়েছে মুখরোচক খাবারের দারুণ সম্পর্ক। ঈদ উৎসব মানেই মজাদার সব খাবারের আয়োজন। কোরবানির ঈদ হলে গরু এবং খাসির মাংসের রেসিপির জয়জয়কার অবস্থা।

এবারের ঈদে খাসির মাংসের আয়োজনে মাটন চপস রাখতে পারেন। এটি পরোটা, নানরুটি বা পোলাউয়ের সঙ্গে খেতে বেশ সুস্বাদু। তাহলে জেনে নিন, কীভাবে তৈরি করবেন সুস্বাদু মাটন চপ।
মাটন চপ রেসিপি। ছবিঃ সংগৃহীত
মাটন চপ রেসিপি। ছবিঃ সংগৃহীত

উপকরণঃ

  • খাসির মাংসের কিমা ১/২ কেজি
  • সয়াসস ২ চা চামচ
  • পেয়াজ কুঁচি ১/২ কাপ
  • আদা বাটা ১ চা চামচ
  • রসুন বাটা ১ চা চামচ
  • কাচামরিচ কুঁচি ৩টি
  • জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ
  • মরিচ গুঁড়া ১চা চামচ
  • হলুদ গুঁড়া ১চা চামচ
  • কাবাবের মসলা ১ টেবিল চামচ
  • গোল মরিচ গুড়া ১/২ চা চামচ
  • লবণ ও সয়াবিন তেল পরিমান মত

প্রস্তুত প্রনালীঃ

  • প্রথমে মাংসের কিমাতে সয়াসস মিশিয়ে ১০-২০ মিনিট ম্যারিনেট করুন।
  • ২০ মিনিট পরে বাকি সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • এরপরে মশলা মাখানো কিমা দুই হাতের তালুতে চেপে আপনার পছন্দমতো আকারের চপ বানিয়ে নিন।
  • চুলায় একটি পাত্রে তেল গরম করে এর মদ্ধে চপগুলো দিয়ে বাদামি করে ভেজে তুলুন।
  • যে কোন সস বা আপনার পছন্দনুযায়ী পোলাউ, পরোটা কিংবা সালাদ দিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম মজাদার মাটন চপ।

ঈদ স্পেশালঃ খাসির মাংসের কোরমা

ঈদ স্পেশালঃ খাসির মাংসের কোরমা

ঈদে বাসায় অতিথি আপ্যায়নে কিংবা পরিবারের সবাইকে নিয়ে খেতে খাসির গোস্তের একটা পদ না হলেই নয়। খাসির মাংসের কোরমা দুইভাবেই রান্না করা যায়। প্রথমে সব কিছু মিশিয়ে ম্যারিনেটেড করে বা আগে তেলে ঝোল বানিয়ে পরে মাংস দিয় রান্না করতে পারেন। কম পরিমান বা কম মানুষের জন্য রান্না রান্না হলে ম্যারিনেটেড করে কম সময়ে রান্না করা যায়। চলুন দেখে নেয়া যাক খাসির মাংসের কোরমা রেসিপিঃ

উপকরণঃ

১। খাসির মাংস ১ কেজি
২। আদাবাটা ১ টেবিল চামচ
৩। পেঁয়াজবাটা ৩ টেবিল চামচ
৪। রসুনবাটা ২ চা চামচ
৫। পেঁয়াজকুচি ১/২ কাপ(বেরেস্তা জন্য)
৬। লবঙ্গ ৪/৫ টা
৭। দারুচিনি ১ টুকরা
৮। তেজপাতা ২ টি
৯। এলাচি ৪ টি
১০। জয়ত্রী সামান্য/ এক চিমটি
১১। জয়ফল সামান্য/ এক চিমটি
১২। গোল মরিচ ১/২ চামচের কম
১৩। বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ
১৪। টকদই ১ কাপ
১৫। জিরাবাটা ১ চা চামচ
১৬। কিসমিস ৬/৭ টা
১৭। কাচা মরিচ ঝাল বুঝে কয়েকটা (৮/১০টা) (ঝাল বাড়াতে হাফ চা চামচ শুকনা মরিচ গুড়া দিতে পারেন এবং কাচা মরিচ তখন কম দিলেও চলবে)
১৮। কেওড়া জল ১/২ টেবিল চামচ
১৯। তেল সামান্য পরিমান (কম তেলেই রান্না করা ভালো, আপনি চাইলে একটু তেল বেশী দিতে পারেন)
২০। লবণ পরিমান মত
২১। পানি পরিমানমতো
২২। চিনি ৩ চা চামচ

চিত্রঃঈদ স্পেশালঃ খাসির মাংসের কোরমা
ঈদ স্পেশালঃ খাসির মাংসের কোরমা

যেভাবে রান্না করবেনঃ

# সব মসলা দিয়ে মাংস ম্যারিনেট করে ফ্রিজে রেখে দিন এক ঘণ্টা। রান্না করার আগে নরমাল তাপমাত্রায় নেয়ার জন্য মাংস ফ্রিজ থেকে বের করে কিছুক্ষন বাইরে রেখে দিন।

# এবার কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি দিয়ে বেরেস্তা (বেরেস্তা -সকল স্বাদের কাজী) ভেজে তুলে রাখুন। বেরেস্তা ভাজা তেলেই ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে ভাল করে নেড়ে অল্প পানি দিন। ঢাকা দিয়ে মাঝারি আঁচে আধা ঘণ্টা রান্না করুন।

# কিছুক্ষন পর পর একটু নেড়ে দিতে হবে যাতে পাতিলের নিচে পুড়ে না যায়। পানি শুকিয়ে গেলেও মাংস সেদ্ধ না হলে আরও পানি দিতে হবে। পানি অর্ধেক টেনে গেলে কেওড়া দিয়ে আবারো ঢেকে দিন।

 # মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে চিনি দিয়ে দিন। যখন কোরমা মাখা মাখা হয়ে বাদামি রং হবে এবং মসলা থেকে তেল ছাড়া শুরু করবে তারপর কয়েকটি কাঁচামরিচ দিয়ে নামিয়ে রাখুন। লবণ ঠিক আছে কিনা দেখে নিন।

# পরিবেশনের আগে বেরেস্তা গুঁড়ো করে এর মধ্যে দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে দিন। বেরেস্তা খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দিবে কয়েকগুন।

ব্যস, হয়ে গেলো সুস্বাদু খাসির মাংসের কোরমা। অতিথি আপ্যায়নে কিংবা পোলাউ বা রুটির সাথে পরিবারের সবাইকে নিয়ে উপভোগ করুন মজাদার এই খাবার।

ঈদের আগে চুলের যত্ন

ঈদের আগে চুলের যত্ন

বাইরে বের হলেই দেখবেন প্রচুর ধুলো ময়লা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। আসছে সামনে ঈদ। তাই যত্নের তালিকা আগে থেকেই লম্বা হচ্ছে। তবে এত প্রস্তুতির মাঝেও সঠিক যত্নের অভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে আপনার চুল। তাই চুলের যত্নে রইলো কিছু ঘরোয়া টিপস। যা করে তুলবে আপনার চুলকে সুস্থ, সুন্দর আর স্বাস্থ্যবান।
চিত্রঃঈদের আগে চুলের যত্ন
 ঈদের আগে চুলের যত্ন

অ্যালোভেরা 


অ্যালোভেরার জেল বের করে এর সাথে ৩ চামচ অলিভ ওয়েল, ৪ চামচ মধু ও ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে সরাসরি চুলে এবং মাথার তালুতে লাগিয়ে ফেলুন। চাইলে এর সাথে টক দই ও যোগ করতে পারেন। চুল ঘন করার সাথে সাথে এটি আপনার চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ করবে।
ঈদের আগে চুলের যত্নে এলোভেরা
ঈদের আগে চুলের যত্নে এলোভেরা

ডিম 

একটি ডিমের সাদা অংশ নিয়ে ভালো ভাবে ফেটিয়ে এর সাথে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর পরিষ্কার চুলে সরাসরি হাত অথবা ব্রাশের সাহায্যে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত লাগাতে হবে। আগে অবশ্যই কোন তেল লাগিয়ে নিবেন। ২০-৩০ মিনিট রেখে নরমাল পানিতে চুল ধুয়ে নিন এবং শ্যাম্পু করুন। যেদিন ডিম দেবেন সেদিন আর আলাদা করে কন্ডিশনার দেবার প্রয়োজন হবেনা। প্রতি ৭ দিনে ১ বার করুন দেখবেন চুল ঘন হওয়ার সাথে সাথে আসবে বাউন্স।
চিত্রঃঈদের আগে চুলের যত্নে ডিমের হেয়ার প্যাক
ঈদের আগে চুলের যত্নে ডিমের হেয়ার প্যাক

পেঁয়াজ 

আপনার মাথায় খুশকি বা হেয়ার ফলিকল এর কোনও অংশ ক্ষতিগ্রস্ত থাকলে নিয়মিত পেয়াজের রস ব্যবহারে তা সারিয়ে তোলে। যাদের চুল পাতলা তারা সপ্তাহে ২ দিন ৩০ মিনিটের জন্য মাথার তালুতে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে কিছুদিনের মধ্যেই ফল পাবেন।
চিত্রঃঈদের আগে চুলের যত্নে পেয়াজের রস
ঈদের আগে চুলের যত্নে পেয়াজের রস

মেহেদি 

চুলে মেহেদি দেয়ার আগে ভালোমতো যেকোন তেল কুসুম গরম করে মাথায় মাসাজ করে নিন। মেহেদি লাগিয়ে সাথে সাথে চুল ধুয়ে না ফেলে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। তাই হাতে সময় নিয়ে চুলে মেহেদি লাগান। মেহেদির প্যাকের সাথে টকদই, মধু ব্যবহার করুন। মেহেদি চুলে শুকিয়ে গেলে প্রথমে পানি দিয়ে ভালোমতো মেহেদি পরিষ্কার করে নিন। পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ১ বার এটি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। ভালো ফল পাবেন।
চিত্রঃঈদের আগে চুলের যত্নে মেহেদির হেয়ার প্যাক
ঈদের আগে চুলের যত্নে মেহেদির হেয়ার প্যাক


ঈদে রান্নার কাজগুলো সহজ ও দ্রুত করতে পারেন যেভাবে

ঈদে রান্নার কাজগুলো সহজ ও দ্রুত করতে পারেন যেভাবে

দেখতে দেখতে আমাদের মাঝে আবারও এসে পড়েছে পবিত্র ঈদ- উল আযহা। আর ঈদ মানেই হরেক রকমের মজার মজার রান্নাবান্না। ঈদের দিন প্রত্যেক বাড়িতেই নানান রকমের রান্নার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন গৃহিণীরা। কিন্তু ঈদের দিনটা যদি পুরোটাই রান্না ঘরে কাটিয়ে দিতে হয় তাহলে ঈদটাই একদম মাটি হয়ে যায়। আর তাই ঈদে রান্নার কাজগুলোকে আরেকটু সহজ করতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস জেনে নিন ।

১। ঈদের মেনুতে খাবারের মেনু আগে থেকেই ঠিক করে ফেলুন। সহজ ও চটপটে সব খাবার বাছাই করুন, যেগুলোর তৈরি করতে খুব বেশি সময় লাগেনা। এই পরিকল্পনার সুবাদে আপনি আপনার কাজগুলো গুছিয়ে করতে পারবেন এবং নিজেকেও পরিপাটি রাখতে পারবেন।

২। খাবারের মেনুর ব্যাপারে বিচক্ষন হোন, এমন খাবার বাছাই করবেন না যেগুলো ঈদের দিনে গরুর মাংসেরমতো ভারি খাবারের পর আপনার পরিবারকে ক্লান্ত ও অলস করে তুলবে।

৩। আদা, রসুন, পেঁয়াজ ইত্যাদি মশলাগুলো ঈদের দুই একদিন আগেই বেঁটে ফ্রিজে রেখে দিন। মসলা বাটার ঝামেলা মিটিয়ে দিয়েছে ব্লেন্ডার। সহজে যেকোনো মসলা ব্লেন্ড করে নিতে পারবেন। জিরা, গরম মশলা এবং অন্যান্য মশলাও আগেই গুড়ো করে রেখে দিতে পারেন। এতে করে আপনার রান্নার সময় অনেকখানি বেঁচে যাবে।
চিত্রঃঈদে রান্নার কাজগুলো সহজ ও দ্রুত করতে পারেন যেভাবে
সময় বাঁচাতে ঈদে রান্নার কাজগুলোর কিছুটা আগের দিন করে রাখা যায়

৪। জর্দা, ফিরনি কিংবা সেমাই সাজানোর জন্য বাদাম কুঁচি ব্যবহার করা হয়। ঈদের দিন এই ঝামেলা এড়াতে আগেই বাদাম কুঁচি করে একটি বাক্সে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর পরিবেশনের আগে ঝটপট ছিটিয়ে দিন সেমাই কিংবা জর্দার উপর।

৫। অল্প সময়ে ভাত, মাংস  রান্নার জন্য নিতে পারেন রাইস কুকার। এ ছাড়া এতে সবজি এমনকি মাছও রান্না করা যায়। কুকারে ভাত রেঁধে আপনাকে হয়তো অন্য কাজে যেতে হবে। যাওয়ার আগে কুকারে ম্যানুয়েল থেকে টেম্পারেচার ঠিক করে দিয়ে গেলে যখনই বাসায় ফিরবেন ভাত,মাংস গরম থাকবে এবং নষ্ট হবে না। এসব সরঞ্জামে রান্না করলে আলাদা পাত্রে পরিবেশন করতে হয় না বলে বাসন ধোয়ার সময়টাও বেঁচে যায়।

৬। ঈদের দিন অনেকেই মুগির রোস্ট করে থাকেন। রোস্ট করতে চাইলে ঈদের আগের দিনই মুরগি গুলোকে কেটে ধুয়ে একটু ভেজে রেখে দিন। আপনার রান্নার সময় অনেকটাই বেঁচে যাবে ।

৭। যদি ঈদে কারো বিরিয়ানি রান্না করার ইচ্ছে থাকে তাহলে বিরিয়ানির মাংস আগেই রেঁধে রাখতে পারেন। আগে থেকেই রেঁধে ফ্রিজে রেখে দিলে খুব কম সময়েই বিরিয়ানি রান্না করা যাবে। ঈদের দিন অল্প সময়ে খুব সহজেই ঝটপট আপ্যায়ন করাতে পারবেন আপনার অতিথিকে।

৮। ঈদে যদি কেউ কাবাব তৈরি করতে চান, তাহলে মাংস কিমা করে মশলা মিশিয়ে আগেই কাবাব তৈরী করে রাখুন। এরপর একটি প্লেটে সাজিয়ে কিছুক্ষন ডিপ ফ্রিজে রেখে শক্ত করে নিন। তারপর শক্ত করে নেয়া কাবাব গুলো একটি বাক্সে ভরে ফেলুন । ঈদে মেহমান এলে চটপট ভেজে ফেলতে পারবেন আপনার পছন্দের কাবাব।

৯। ঈদের দিনের ঝামেলা এড়াতে কিছু রান্না ঈদের আগের দিনই রেঁধে রাখতে পারেন। ফিরনি, পুডিং, মুরগীর মাংস সহ বিভিন্ন ধরণের খাবার গুলো ঈদের আগের দিন রাতেই রেঁধে রাখলে ঈদের দিন আর রান্নাঘরে খুব বেশি সময় ব্যয় করতে হয়না।

১০। রান্নার ক্ষেত্রে বিভিন্ন মসলা সেদ্ধ হতে বিভিন্ন ধরনের সময় লাগে। এ কারণে রান্নায় দেওয়ার জন্য পেঁয়াজ, রসুন, আদা, টমেটো, মসলা-এই ধারা বজায় রাখুন।

রক্তসল্পতা ভোগা মানুষ কানে কম শোনে

রক্তসল্পতা ভোগা মানুষ কানে কম শোনে

ছবিঃ রক্তসল্পতা ভোগা মানুষ কানে কম শোনে, সংগ্রহীত

রক্তসল্পতা ও শ্রবণ সমস্যার মধ্যে সম্পর্ক আছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় দেখা গেছে, লোহার ঘাটতিজনিত রক্তসল্পতা ভোগা মানুষ কানে কম শোনে। গবেষকেরা বলছেন, রক্তসল্পতা দ্রুত চিহ্নিত ও চিকিৎসা করা গেলে হয়তো শ্রবণ সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক ১ দশমিক ৬ শতাংশ বয়স্ক মানুষ শ্রবণ সমস্যায় আক্রান্ত। এদের একটি অংশ মধ্য কানের হাড়ের সমস্যার কারণে কম শোনে (কমবাইন্ড হেয়ারিং লস)। অন্য অংশটি স্নায়বিক কারণে কানে কম শোনে, জন্মত্রটির কারণেও এটা হতে পারে। অন্যদিকে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বয়স্ক মানুষ রক্তসল্পতা আক্রান্ত। গবেষণা ফলাফলকে বাংলাদেশের নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ও পুষ্টিবিদেরা গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, রক্তে লোহার পরিমাণ কম থাকলে রক্ত অক্সিজেন কম বহন করে। রক্তে অক্সিজেন কম থাকলে শ্রবণ ইন্দ্রিয়গুলো স্বাভাবিক কাজ করে না। এটাই কানে কম শোনার অন্যতম কারণ। বাংলাদেশে কত মানুষ শ্রবণ সমস্যায় ভুগছে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, জন্মগত ত্রুটি , কানের পর্দায় ফুটো, মুঠোফোনের যথেচ্ছ ব্যবহার, ডায়াবেটিস, শব্দদূষণ এবং রক্তস্বল্পতার কারণে মানুষ শ্রবণ সমস্যায় ভুগছে। কমপক্ষে ২০ শতাংশ মানুষের এ সমস্যা আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক নাজমা শাহীন জাতীয় জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের ৭ শতাংশ মানুষ লোহাজনিত রক্তসল্পতা ভুগছে। গ্রামে ও শহরে এই হার যথাক্রমে ৬ ও ১০ শতাংশ। গবেষণায় দেখা যায় সাধারণ মানুষ,রক্তসল্পতা ভোগা মানুষ ও শ্রবণ সমস্যায় ভোগা মানুষের মধ্যে গবেষকেরা তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, লোহাজনিত রক্তসল্পতা ভোগা মানুষের মধ্যে শ্রবণ সমস্যা বেশি। গবেষকেরা বলেছেন, লোহাজনিত রক্তসল্পতা সঙ্গে শ্রবণ সমস্যার সম্পর্ক আছে এটা এই গবেষণা থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলেন, এ দেশের মানুষ প্রাণিজ খাদ্য (মাছ, মাংস) থেকে লোহা কম পায়। অন্যদিকে গর্ভবতী মায়েদের বড় অংশ রক্তসল্পতা ভোগে, এর প্রভাব পড়ে গর্বের শিশুর ওপর।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।

যে খাবারগুলো কখনোই ফ্রিজে রাখা উচিত না

যে খাবারগুলো কখনোই ফ্রিজে রাখা উচিত না

প্রতিদিন অনেক খাবারই আমরা ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিই তা হোক গ্রীষ্মকাল বা শীতকাল। তা না হলে অনেক খাবারই নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের মাঝে প্রচলিত একটি সাধারণ বিশ্বাস হলো ঠাণ্ডা আবহাওয়া আমাদের খাদ্য উপাদানগুলোর জন্য নিরাপদ এবং আরো বেশি স্বাস্থ্যকর। কেননা নিচু তাপমাত্রা খাদ্যকে নষ্ট করে দিতে পারে এমন সব অণুজীব এবং ব্যাকটেরিয়াকে দমণ করে। আর এই বিশ্বাসের কারণেই আমরা কাঁচা মাংসের মতো খাবার ফ্রিজে রাখি। কিন্তু একই নিয়ম অন্য সব খাবারের বেলায়ও প্রয়োগ করতে গিয়েই আমরা বিপত্তিটা বাধাই। বাস্তবে সব খাবারের বেলায়ই এই নিয়মটা প্রযোজ্য নয়। বেশ কিছু খাদ্য বা সবজি আছে যেগুলো ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় রাখলেই ভালো থাকে, আবার এমন কিছু খাদ্য আছে যেগুলো স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখতে হয়। এমন কিছু খাদ্য রয়েছে যেগুলো ফ্রিজে না রেখে বরং স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলেই বেশি ভালো থাকবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবারগুলো ফ্রিজে রাখা উচিত নাঃ

টমেটোঃ

টমেটো এমন একটি সবজি যার অনেক গুণাগুণ রয়েছে। এই সবজিটি কাঁচা খেলে দেহের ভিটামিন ও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। আবার বিভিন্ন তরকারিতে দিলে তরকারির স্বাদে পরিবর্তন আনে। সতেজ রাখার জন্য অনেকেই টমেটো ফ্রিজে রাখেন। কিন্তু ফ্রিজে রাখলে টমোটোর বর্ণ ফ্যাকাশে হয়ে যায়, নিস্তেজ ও ময়দার তালের মতো তুলতুলে হয়ে যায়। তাই ফ্রিজে না রেখে একটা খোলা পাত্রে টমেটো ভরে জানালার পাশে রাখতে পারেন। এতে টমেটো সতেজ ও টুসটুসে থাকবে। অথবা পরিষ্কার কোনো পলিথিন ব্যাগে কিংবা কাগজের প্যাকেটেও রাখতে পারেন। এভাবে সংরক্ষণ করলে টমেটো ৩ দিন পর্যন্ত ফ্রেশ থাকে। তবে পুরোপুরি পেকে গেলে এরপর আপনি টমেটো প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে ফ্রিজ রাখতে পারবেন।

চিত্রঃযে কোন খাবারই ফ্রিজে রাখা স্বাস্থ্যস্মমত নয়
যে কোন খাবারই ফ্রিজে রাখা স্বাস্থ্যস্মমত নয়

পাউরুটিঃ

পাউরুটির নিজস্ব আর্দ্রতা রয়েছে। ফ্রিজে রাখলে পাউরুটি আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে, দ্রুত শুষ্ক হয়ে শক্ত হয়ে যায়। খেতেও ভালো লাগেনা। তাছাড়া ঠাণ্ডা এবং আর্দ্র তাপমাত্রা রুটি/পাউরুটি আরো দ্রুত বাসি হয়ে পড়তে পারে। তাই পাউরুটি ফ্রিজে রাখবেন না। বাইরেই পাউরুটি ৪ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।

রসুনঃ

আপনি যদি ফ্রিজে রসুন সংরক্ষণ করেন তাহলে তা খুব তাড়াতাড়ি অঙ্কুরিত হয়ে যায়। এবং তা রাবারের মতো হয়ে যেতে থাকবে। ফ্রিজে রাখলে এমনকি রসুন অপেক্ষাকৃত নরম হয়ে যায়। সুতরাং শুকনো এবং শীতল স্থানে রসুন সংরক্ষণ করুন। বাইরেই এটি ২ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে রসুন বেটে বা ব্লেন্ড করে ঢাকনাযুক্ত কিছুতে ভরে ফ্রিজে রাখতে পারেন।

পেঁয়াজঃ

পেঁয়াজ কেনার পর বাইরে খোলা স্থানে রাখুন কিংবা এমন কোনো জায়গায় রাখুন যেন বাতাস লাগে। তবে পেঁয়াজ সবসময় আলু থেকে দুরে রাখুন। কারণ আলু থেকে আর্দ্রতা ও গ্যাস নির্গত হয়ে থাকে যার জন্য পেঁয়াজ পচে যায়। ফ্রিজের ভিতরের আর্দ্রতা টেনে নেওয়ার ফলে পেয়াজ নরম ও ঝলসা প্রকৃতির হয়ে যায়। ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখতে গেলে তা সবসময়ই খোসা ছাড়িয়ে বা ব্লেন্ড করে ঢাকনাযুক্ত পাত্রে রাখবেন।

আলুঃ

আলু যে ফ্রিজে রাখতে নেই—এ কথা অনেকেরই জানা। ফ্রিজে রাখলে আলুর শর্করার গুণাগুণ নষ্ট হয়। আলুতে যে মিষ্টি ভাব থাকে, ফ্রিজের হিমাগার তা শুষে নেয়। এতে আলুর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। ফ্রিজে রাখার চেয়ে খোলা ঝুড়িতে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় যে কোনও অন্ধকার স্থানে আলু রাখবেন। আলু বাইরে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে।

আদাঃ

যদিও আদা ফ্রিজের অতিরিক্ত কম তাপমাত্রাতেও অঙ্কুরিত হতে সক্ষম। তারপরও আদা ফ্রিজে রাখলে স্যাঁতস্যাঁতে ও নরম হয়ে যায়। এর পরিবর্তে আদা বাইরে শুকনো জায়গায় রাখলেই ভালো থাকে। তবে আদা বেটে বা ব্লেন্ড করে ঢাকনাযুক্ত পাত্রে ভরে ফ্রিজে রাখতে পারেন।

কুমড়াঃ 

কুমড়া একটি সুস্বাদু সবজি। আমাদের দেহের জন্যও খুব ভালো এই সবজিটি। এটি ফ্রিজে না রাখাই ভালো। কারণ বাইরেই এটি কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ দিন রাখা যায়।

শাকঃ

যে কোন শাক অন্যান্য খাবারের সঙ্গে থাকলে নিজের ফ্লেভার হারিয়ে ফেলে। ফ্রিজে শাক রাখলে অনেক তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়, ভাল থাকে না। না পঁচলেও খাওয়ার উপযোগী থাকে না। এরচেয়ে গোড়া পানিতে দিয়ে দু’এক দিন রাখা যেতে পারে। তবে অল্প সময়ের জন্য পলি ব্যাগে করে ফ্রিজে রাখা যেতে পারে।

আপেলঃ

স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আপেল মিষ্টি আর রসাল থাকে। ফ্রিজে রাখলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। এ ছাড়া বাইরের আবরণ শুষ্ক হয়ে যায়। আপেলের রসাল ভাব থাকে না।

কিছু কিছু ফল, যেমনঃ

কলা, টক জাতীয় ফল, জাম, পিচেস, এপ্রিকটস্ এবং নেকটারাইন ফ্রিজে রাখা ঠিক না। ফ্রিজে রাখলে এসব ফলের গুণমান নষ্ট হয়। তবে একটু তরতাজা অবস্থায় খাওয়ার জন্য খাওয়ার ঠিক আধাঘণ্টা আগে এসব ফল ফ্রিজে রাখা যেতে পারে। টক জাতীয় পল সহজে নষ্ট হয় না, তবে এগুলো একটির সাথে আরেকটি লাগিয়ে না রেখে সংরক্ষণ করতে হবে।

চা-কফিঃ

বায়ু চলাচল করতে পারে না—এমন কনটেইনারে কফি রাখা উচিত। এরা স্বাদ শোষক। ফ্রিজে রাখলে কফি বিন বা পাউডারের আর্দ্রতায় নষ্ট হয়ে যায়। ফ্রিজে রাখা সমস্ত জিনিসের ফ্লেভার নিয়ে নেওয়ায় কফি বা চায়ের স্বাদ খারাপ হয়ে যায়। এর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। কফির গন্ধ চলে যায়। এর বদলে একধরনের দুর্গন্ধ তৈরি হয়। তাই চা, কফি ভালো একটি পাত্রে রেখে ঢাকনা দিয়ে ভালোভাবে আটকে রাখুন। এগুলো অনেকদিন ভালো থাকবে।

মধুঃ 

মধু কখনোই ফ্রিজে সংরক্ষণ করার দরকার নেই। মধুর মধ্যে থাকা সুগার ঠান্ডা হাওয়ায় কেলাসিত হয়ে যায়, যা মধুর স্বাদ ও গুণাগুণ একদম কমিয়ে দেয়। তাই মধু ফ্রিজের বাইরে রাখাই উচিত।
ফ্রিজের বাইরে স্বাভাবিক তাপমাত্রায়ও মধু খুবই মসৃণ এবং তাজা থাকবে। তবে মধু যে পাত্রে রাখবেন তার মুখটি ভালো ভাবে আটকে রাখুন।

পুদিনা পাতাঃ

আপনি যদি পুদিনা পাতা ফ্রিজে রাখেন তাহলে সেগুলোর স্বাদ এবং গন্ধ নষ্ট হয়ে যাবে। ঠাণ্ডা তাপমাত্রা তাদের সতেজভাব দ্রুত নষ্ট করে এবং শুষ্ক করে তোলে। পুদিনা পাতা সংরক্ষণের সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো সেগুলোকে পানিভর্তি জারে রাখা এবং সেই জারের মুখ খুলে রাখা।

তুলসী পাতাঃ

তুলসী পাতা ফ্রিজে রাখলে দ্রুত তার তাজা ভাব হারিয়ে যায়। এটি ফ্রিজে রাখা সব খাবারের গন্ধ শুষে নেয়। আমরা যেভাবে একটা টবে বা কাপে জল দিয়ে ফুল ডুবিয়ে রাখি ঠিক সেভাবেই তুলসী পাতাকে রাখা যেতে পারে। এতে এর সতেজতা বজায় থাকবে।

বাদাম এবং শুকনো ফলঃ

আমাদের অনেকেই বাদাম এবং শুকনো ফল ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন এই আশায় যে এতে সেগুলোর স্বাদ ও গন্ধ নষ্ট হবে না বা পঁচে যাবে না। ‍কিন্তু এতে বরং হিতে বিপরীত হয়। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় বরং তাদের স্বাদ ও গন্ধ নষ্ট হয়ে যায় এবং ফ্রিজে থাকা অন্যান্য গন্ধও তাদের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। এরচেয়ে বরং তাদেরকে বায়ুরোধী পাত্রে রেখে খোলা জায়গায় রাখুন।

অলিভ অয়েল ও অন্যান্য তেলঃ

অলিভ অয়েল অন্ধকারাচ্ছন্ন একটা ঠান্ডা পরিবেশে সংরক্ষণ করতে পারেন। কখনই কোন ধরনের তেল, ঘি ফ্রিজের বেশি ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় রাখা উচিৎ না। কেননা ফ্রিজে এগুলো আরও বেশি ঘনীভূত হয়ে পড়ে। ফ্রিজের ঠান্ডা বাতাসে এটি মাখনের মত জমে যায়। এতে তেলের ঘনত্ব বেড়ে যায়। তবে বাদাম তেল ফ্রিজে সংরক্ষণ করা ভাল।

মাখনঃ

পাস্তুরাইজড দুধ দিয়ে তৈরি করা হয় এজন্য মাখন সহজে খারাপ হয় না। বিনা দ্বিধায় শীতল স্থানে মাখন রেখে দিতে পারেন যেন গলে না যায়। কারণ ফ্রিজ মাখনের জলীয় অংশ শুষে নেয়।

চিজঃ

আপনি যদি নরম তুলতুলে চিজ খেতে চান তাহলে ভুলক্রমেও একে ফ্রিজে রাখবেন না। কারন চিজ ফ্রিজে রাখলে এর গুন ও মান দুটোই নষ্ট হয়ে যায়।

সস, ভিনেগারঃ

ভিনেগার, সস, সয়াসস, কেচাপ ফ্রিজের বাইরেই ভাল থাকে। এগুলো ফ্রিজে রাখার দরকার নেই।

হট সসঃ

ফ্রিজে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ এটি ৩ বছর পর্যন্ত বাইরে নিশ্চিন্তে রাখা যায়।

শুকনো খাবারঃ

কুড়মুড়ে খাবারগুলো বায়ুরোধক পাত্রে রেখে দিলে ভাল থাকে। এগুলো ফ্রিজে রাখার দরকার নেই।

আচারঃ

আচার এমনিতেই ভাল থাকে। আচারের চারপাশে বায়ু চলাচল করলে ভাল হয়। এগুলো ফ্রিজের বাইরে রাখা ভাল।

তরমুজঃ

আস্ত তরমুজ ফ্রিজে রাখলে গুণমান নষ্ট হয়, তবে কাটা তরমুজ দুই তিনদিন রাখা যেতে পারে।

জামঃ

ফ্রিজে রাখলে গুণমান নষ্ট হয়, তাই এগুলো কিনে দ্রুত খেয়ে ফেলা ভাল।

মশলাঃ

মসলা ফ্রিজে রাখতে নেই, তবে বাটা মশলা ফ্রিজে রাখতে হয়, যদিও তাতে ঘ্রাণ ঠিক থাকে না।
এছাড়াও শুকনো ফল, শুটকী মাছ, মরিচ এগুলোও ফ্রিজে রাখার দরকার নেই। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এগুলো ভাল থাকে।

সকালে লেবু পানি পানের উপকারিতা

সকালে লেবু পানি পানের উপকারিতা

লেবু, সাধারণত আমরা খাবারের স্বাধ বাড়াতে এবং গরমের দিনে সরবত তৈরী করতে ব্যবহার করি। কিন্তু আমরা কি জানি এর উপকারীতা কত? লেবুর গুনাগুন প্রচুর, বিশেষ করে এর ভিটামিন সি এবং খনিজ উপাদান সমূহ আমাদের প্রচুর উপকার করে। হৃদযন্ত্রের ধড়ফড়ানি কমানো থেকে ফুসফুসকে ঠিক ভাবে কাজ করতে পর্যন্ত সাহায্য করে লেবু। যদি নিয়মিত রোজ সকালে এক গ্লাস লেবু পানি পান করেন, আপনার দেহ পাবে জাদুকরী উপকারিতা। জেনে নিন বিস্তারিতঃ

১. লেমন, অর্থাৎ পাকা লেবুতে থাকে ইলেকট্রোলাইটস ( যেমন পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি)। সকাল সকাল লেবু পানি আপনাকে হাইড্রেট করে, শরীরে যোগান দেয় এইসব প্রয়োজনীয় উপাদানের যা দেহের পানিশূন্যতা দূর করে

২. লেবু পানি টক্সিক উপাদান দূর করে লিভারকে পরিষ্কার রাখে। অন্য যে কোন খাবারের চাইতে লেবু পানির ব্যবহারে লিভার অনেক বেশী দেহের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম তৈরি করতে পারে।

৩. লেবু পানি আমাদের দেহের মেটাবোলিজম বৃদ্ধি করে ও লেবুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ওজন দ্রুত কমাতে সহায়তা করে। লেবুতে থাকে পেকটিন ফাইবার যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকরে।

৪. লেবু পানি দেহের ত্বকের জন্য খুবই ভাল। লেবুর ভিটামিন সি উপাদান দেহের ত্বক ও টিস্যুর জন্য খুব জরুরি। তাই ত্বকের যে কোন সমস্যা রোধ করতে প্রতিদিন লেবু পানি পান করুণ। আপনার ত্বককে করে তোলে সুন্দর ও পরিষ্কার।
চিত্রঃসকালে লেবু পানি পানের উপকারিতা
সকালে লেবু পানি পানের উপকারিতা। ছবিঃ সংগৃহিত

৫. গর্ভবতী নারীদের জন্য খুবই ভালো লেবু পানি। এটা শুধু নারীর শরীরই ভালো রাখে না। বরং গর্ভের শিশুর অনেক বেশী উপকার করে। লেবুর ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম শিশুর হাড়, মস্তিষ্ক ও দেহের কোষ গঠনে সহায়তা করে। মাকেও গর্ভকালে রোগ বালাই থেকে দূরে থাকে।

৬. যাদের বাতের/ হাঁটুতে ব্যথা আছে বা প্রদাহ/ফুলে যায় তাদের জন্য এই সরবত উপকারী। কারণ লেবু পানি ইউরিক এসিড কমিয়ে বা দূর করে দেয় ফলে ব্যথা কম হয়ে যায়।

৭. লেবুতে থাকে সাইট্রিক এসিড। সকাল সকাল উষ্ণ পানির সাথে পান করলে সেটা আপনার হজমতন্ত্রকে উন্নত করে সমস্যা রাখে দূরে। পেট পরিষ্কার ও ভালো টয়লেট হতে সহায়তা করে।

৮. আপনার নার্ভাস সিস্টেমে দারুণ কাজ করে। সকাল সকাল লেবুর পটাশিয়াম আপনার বিষণ্ণতা ও উৎকণ্ঠা দূর করতে সহায়ক।

৯. লেবু পানি শরীরের রক্তবাহী ধমনী ও শিরাগুলোকে পরিষ্কার রাখে। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। রোজ পান করলে হাই ব্লাড প্রেশার ১০% কমে যায়।

১০. শরীরের পি এইচ লেভেল উন্নত করে। পি এইচ লেভেল যত উন্নত, শরীর রোগের সাথে লড়াই করতে তত সক্ষম। ইউরিক এসিড সমস্যা দূর করতে সহায়ক।

১১. বুক জ্বলা পড়া দূর করে। যাদের এই সমস্যা আছে রোজ আধা কাপ পানির মাঝে ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।

১২. লেবু পানি আমাদের দেহের প্রদাহ দূর করে, গলা ব্যথা, টনসিলের সমস্যা, শ্বাসযন্ত্রের ইনফেকশনও সাড়িয়ে তোলে।

১৩. যাদের ঘন ঘন ঠাণ্ডা লাগার অভ্যাস আছে, তারা ভালো থাকবেন। সহজে ঠাণ্ডা লাগবে না বা সর্দি-কাশি হবে না।

১৪. সকাল সকাল চা বা কফি পান করে দিন শুরু করেন ? বদলে এই লেবু পানি পান করে দেখুন। নিজের এনার্জিতে নিজেই বিস্মিত হবেন! আপনার নার্ভাস সিস্টেমে দারুণ কাজ করে। সকাল সকাল লেবুর পটাশিয়াম আপনার বিষণ্ণতা ও উৎকণ্ঠা দূর করতে সহায়ক।

১৫. যাদের মধ্যে পানি শুন্যতার সমস্যা রয়েছে তাদের দেহের চামড়া অনেক রুক্ষ হয়ে থাকে এবং ফাটা ফাটা দেখা যায়। তারা তাদের দিনের শুরুটা করুন ১ গ্লাস হালকা গরম পানি, মধু এবং লেবুর সরবত দিয়ে, ভিটামিন সি চামড়া সুন্দর ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে এবং এন্টিওক্সিডেন্ট বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে আপনাকে।

লেবুর অনেক গুলো গুন জেনে নিলেন, এবার সকালটা শুরু করুন ১ গ্লাস লেবুর সরবত দিয়ে আর হয়ে উঠুন সতেজ ও চনমনে।

*** কীভাবে পান করবেন এই লেবু পানি?

অনেকেই মনে করেন, গরম পানির সাথে লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করলেই সেটা খুব স্বাস্থ্যকর। আসলে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল! গরম পানিতে লেবু ও মধু উভয়েরই গুণাবলী নষ্ট হয়ে যায়। গরম পানি নয়, সামান্য উষ্ণ পানি বা এই গরমের দিনে কক্ষ তাপমাত্রার পানিতেই মিশিয়ে নিন লেবুর রস।
সকালে খালি পেটে এক গ্লাস লেমন বা পাকা লেবুর রস মেশানো উষ্ণ পানি পান করুন। চাইলে সাথে যোগ করতে পারেন মধু। বড় লেবু হলে ১/২টি ও ছোট হলে একটি লেবুর রস মিশিয়ে নিন।


কিছু বিষয় যা অবশ্যই জীবনসঙ্গীকে বলবেন

কিছু বিষয় যা অবশ্যই জীবনসঙ্গীকে বলবেন

একটি সম্পর্ককে সফলভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সংলাপ খুবই জরুরি। এমন অনেক বিষয় আছে, যা হয়তো প্রিয় মানুষটিকে বর্তমান মুহূর্তে বলাটা একটু অস্বস্তিকর। কিন্তু তারপরও সম্পর্কের সুন্দর একটি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ভেতরে চেপে না রেখে অকপটে তা বলে ফেলাই উচিত। সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমন সাতটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, যা জীবনসঙ্গীকে বলে ফেলা উচিত।

প্রত্যাশার কথা

জীবনসঙ্গীর কাছে আপনার প্রত্যাশার কথা জানাতে কখনোই ভুলবেন না। শুরুতেই প্রিয় মানুষটিকে সম্পর্কের গতিপথ সম্পর্কে স্পষ্ট একটি ধারণা দিয়ে দিন। তাঁর কাছে আপনার চাওয়া-পাওয়ার কথা অকপটে খুলে বলুন। আপনার ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার জন্য পছন্দের মানুষটির করণীয় সম্পর্কে তাঁকে স্পষ্ট ধারণা দিন। সম্পর্কের শুরুতেই চাওয়া-পাওয়ার হিসাব কষতে একটু অস্বস্তি হতেই পারে। তার পরও এমনটা করতে পারলে আপনার প্রত্যাশা পূরণে আপনার জীবনসঙ্গীর মনোভাব ধরতে পারবেন আপনি।
চিত্রঃকোন লুকোচুরি নয়, যা অবশ্যই জীবনসঙ্গীকে বলবেন
কোন লুকোচুরি নয়, যা অবশ্যই জীবনসঙ্গীকে বলবেন

পছন্দ, অপছন্দ এবং অন্যান্য…

নিজের পছন্দ-অপছন্দের কথা খুলে বলতে হবে জীবনসঙ্গীকে। আপনি কী খেতে ভালোবাসেন কিংবা কী করতে সবচেয়ে ভালো লাগে—ছোট-খাটো এমন সবকিছুই জানিয়ে দিন প্রিয় মানুষটিকে। অতীতে অন্য কারও সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে থাকলে কখনোই তা বর্তমান জীবনসঙ্গীর কাছে লুকানো উচিত নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। ভবিষ্যতে অশান্তির ঢেউ উঠতে পারে আপনার সাজানো সংসারে।

একাকিত্ব চাই!

প্রতিটি মানুষেরই নিজের মতো করে একাকী কিছু সময় কাটানোর ইচ্ছা জাগতেই পারে। সঙ্গী কষ্ট পাবেন ভেবে কখনোই মনের এ ইচ্ছার গলা টিপে ধরবেন না। আপনার সঙ্গীকে বুঝিয়ে বলুন কিছু সময় একাকী কাটাতে চান আপনি।

নতুন ভালোবাসা

হয়তো চার বছর ধরে কারও সঙ্গে প্রেমের তরি বাইছেন আপনি। কিন্তু হঠাত করেই সবকিছু এলোমেলো করে দিয়ে নতুন এমন কাউকে খুঁজে পেলেন যাকেই আপনি আজীবন খুঁজছিলেন। এমন অবস্থায় দুই নৌকায় পা রেখে চলার কৌশল অবলম্বন করলে অবশ্যই আপনাকে পস্তাতে হবে। বর্তমান জীবনসঙ্গীর মন ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা কিংবা সমাজের জন্য ভয় থেকে নতুন খুঁজে পাওয়া মানুষটির বিষয় নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রাখবেন না। এতে করে কেবল নিজের সঙ্গেই নয়, প্রিয় মানুষটির সঙ্গেও প্রতারণা করা হবে।

যৌনতা

শরীর-মন সাঁয় না দিলে সঙ্গীকে নির্দ্বিধায় তা বলে ফেলুন। এ ক্ষেত্রে ‘না’ বলার মধ্যে দোষের কিছু নেই। মনে রাখবেন, ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো কিছু করতেই আপনি বাধ্য নন।

খরচাপাতি

কথায় বলে, শখের তোলার দাম নাকি লাখ টাকা। হঠাত্ করেই হয়তো আপনার হাতে অনেক টাকা এসে গেল। প্রচুর অর্থ ব্যয় করে শখের একটি জিনিস কিংবা সম্পদ কিনে ফেললেন আপনি। কিন্তু কেনার পরই মনে হলো, সঙ্গীকে বিষয়টি জানালে সে খেপে যেতে পারে। এজন্য বিষয়টি বেমালুম চেপে গেলেন আপনি। ভুলেও এমনটা করবেন না। এতে করে ভবিষ্যতে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে বিশাল দূরত্ব তৈরি হয়ে যেতে পারে, যার পরিণতি মোটেও সুখকর হবে না। এ ধরনের লুকোচুরি কখনোই সুফল বয়ে আনে না।

অস্থিরতা

নিজের ভেতর কখনোই অস্থিরতা পুষে রাখবেন না। হয়তো আপনার জীবনসঙ্গীর খালা কিংবা চাচি আপনার পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে বাজে মন্তব্য করল। কিংবা সঙ্গীর ভাইয়ের প্রেমিকা আপনাকে বিরক্তিকর বলে রায় দিল। সঙ্গীর পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধুবান্ধবদের কোনো মন্তব্য বা আচরণে আপনার মনে অস্থিরতা দেখা দিলে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করুন সঙ্গীর সঙ্গে। এ অবস্থা থেকে মুক্তির পরামর্শও আপনি চাইতে পারেন প্রিয় মানুষটির কাছে। সূত্রঃওয়েবসাইট

মুখ ঘামানো রোধ করুন ৫টি উপায়ে

মুখ ঘামানো রোধ করুন ৫টি উপায়ে

গরমের সময়ে ঘাম হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে যখন এটি মুখে হয়, এর প্রভাব সৌন্দর্যের ওপর পড়ে। এ কারণে দেখা দেয় মুখের ত্বকে নানান সমস্যা। মুখে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার ফলে ত্বকে ময়লা জমে এবং মুখ খুব তৈলাক্ত দেখায়। মুখে ব্রন, হোয়াইট হেডস, ব্ল্যাক হেডস ইত্যাদি সমস্যা তো থাকেই। এটি দেখতে মোটেও সুখকর নয়। ঘামের কারণে মুখে মেকআপ করেও শান্তি পাওয়া যায় না। আর তাই অতিরিক্ত ঘাম বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মুখের অতিরিক্ত ঘাম কমাতে কিছু বিষয় জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই। মুখের অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দূর করা সম্ভব ঘরোয়া কিছু উপায়ে। আসুন জেনে নেই মুখ ঘামানো রোধ করার উপায়গুলোঃ

১। বরফের টুকরো

পরিষ্কার একটা কাপড়ে এক টুকরো বরফ নিয়ে নিন। তারপর সেই কাপড় বেঁধে নিয়ে মুখের উপর কিছুক্ষণ রেখে দিন। এমনটা করলে ত্বকের ছিদ্রগুলি বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে ঘাম আর হবে না।

২।  ঠান্ডা পানি

মুখে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন। ঠান্ডা পানি লোমকূপের ছিদ্রগুলো বন্ধ করে দেবে । যা অতিরিক্ত ঘাম হওয়া রোধ করবে। যখনই মুখে ঘাম হবে, তখন ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। বিশেষ করে গরমকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার অভ্যাস করুন। আপনি চাইলে বরফ কুচি মেশানো পানি দিয়ে মুখ ধুতে পারেন।
চিত্রঃ ঘাম দূর করতে বরফ এবং ঠান্ডা পানি
ঘাম দূর করতে বরফ এবং ঠান্ডা পানি নিয়োমিত ব্যবহার করুন

৩। বেবি পাউডার

বেবি পাউডার মুখের অতিরিক্ত ঘাম শুষে নেয়। হাতের তালুতে কিছু পরিমাণ পাউডার নিয়ে সেটি ত্বকে ব্যবহার করুন। বেবি পাউডার ব্যাগে রাখুন। যখন ত্বক অতিরিক্ত ঘেমে যাবে, তখন পাউডার ব্যবহার করুন। দেখবেন ঘাম হওয়া অনেকখানি কমে গেছে।
চিত্রঃবাইরে যাওয়ার আগে ব্যবহার করুন বেবি পাউডার
বাইরে যাওয়ার আগে ব্যবহার করুন বেবি পাউডার

৪। শসার রস

শসা কুচি করে রস বের করুন। এটি ত্বকে ব্যবহার করুন। সারারাত এভাবে রাখুন। সকালে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করুন। শসার রস ঘাম হওয়ার প্রবণতা হ্রাস করে।এরসাথে ত্বকের কালো দাগ দূর করে থাকে।
চিত্রঃরাতে মুখে শসার রস লাগান
রাতে মুখে শসার রস লাগান

৫। কম মেকআপ 

গরমকালে যতদূর পারেন মেকআপ এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে ক্রিম লাগানো থেকে বিরত থাকুন।অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণে এমনই মুখ তেলতেলে হয়ে থাকে। তার উপরে যদি তৈলাক্ত কোনও ক্রিম মুখ লাগান তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যতদূর পারেন এই সময়টায় মেকআপ একটু কম ব্যবহারের চেষ্টা করুন। হালকা মেকআপ ত্বককে সতেজ ও স্বাস্থ্যকর দেখাতে সাহায্য করবে।
চিত্রঃঘাম প্রতিরোধে মেকাপ কম ব্যবহার করুন
ঘাম প্রতিরোধে মেকাপ কম ব্যবহার করুন
এছাড়াও বাহিরে বের হওয়ার অন্তত ১৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে পারেন, এতে মুখের ঘাম কিছুটা কমবে।

*** টিপসঃ

সপ্তাহে দু’দিন ফেসিয়াল স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। সেজন্য চালের গুঁড়ার সঙ্গে টকদই মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। এবার হালকা হাতে ঘুরিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসেজ করুন। ৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হবে।

নিজেকে সময় দিন খুঁজে পান নতুন "আমিকে"!

নিজেকে সময় দিন খুঁজে পান নতুন "আমিকে"!

চিত্রঃ সুগন্ধী ফুল
বেলি ফুল
পড়ালেখা আর কর্মব্যস্ত সংসারের এই ব্যস্ত শহরে আজ দম ফেলার সময় নেই কারোই। দিনের পর দিন একই রুটিনে কাজ করতে করতে ক্লান্ত আমরা সবাই। ছুটির দিনটায় বিছানায় মুখ গুঁজে ঘুম, বা বাজার সদাই করা বা কোন আত্মীয় স্বজনদের দেখতে যাওয়া। শেষবার কবে শুধু নিজের জন্য সময় কাটিয়েছেন হয়তো মনেই করতে পারছেন না।
এভাবে ছুটতে ছুটতে হয়তো আর নিজের যত্ন নেয়ার সময়ই পাচ্ছেন না। দুঃখজনক হলেও সত্যি, উচ্চবিত্তদের জীবনে এই নিজের মত করে থাকার জন্য আছে অনেক সুযোগ। দামি কোন পার্লারে বসে পুরো একটা স্পা প্যাকেজ বুকিং দিলেই চোখ বুজেই তারা কাজটি সেরে ফেলতে পারেন। আপনি উচ্চবিত্ত নন, তাই বলে আপনি সেটা করতে পারবেন না তা কেন হবে। শুধু একটু খানি ইচ্ছা আর বুদ্ধি খাটিয়েই আপনি নিজেই করতে পারেন এসব কিছু, আর খরচ? সেতো আপনার হাতের নাগালেই।

১। সপ্তাহের যেকোনো দিন আপনি বেছে নিতে পারেন, ছুটির দিন হলে ভালো। বৃহস্পতিবার রাতের সময়টা হলে বেশি ভাল হয়। বাইরে থেকে ফেরার সময় অথবা দিনের বেলায়ই কাউকে দিয়ে কিনে নিন কয়েকটি গোলাপ বা রজনীগন্ধা বা আপনার পছন্দের যেকোনো ফুল। বাড়ি ফিরে সেগুলো রেখে দিন আপনার বিছানার পাশের ফুলদানিতে। আর অল্প কিছু ফুলের পাপড়ি রেখে দিন আপনার বাথটাবে অথবা বালতিতে।
চিত্রঃ পরিপাটি বিছানা


২। বাড়ি ফিরেই প্রথমে ঘর গুছিয়ে নিন। তারপরে ঝটপট তৈরি করে নিন আপনার প্রিয় কোন ফলের জুস অথবা প্রিয় কোন স্ন্যাক্স। সময় কম থাকলে চাইলে এগুলো বাইরে থেকেই নিয়ে আসতে পারেন।

৩। হাতে অন্তত ২ ঘণ্টার মত সময় রাখুন, এই সময়টাতে অন্য কোন কাজে যাতে যেতে না হয়, সেরকম ব্যাকআপ প্ল্যান করে রাখুন।

৪। ভালমতো হাতমুখ ঠান্ডা পানিতে পরিষ্কার করে মুছে নিন। রুমে ঢুকে চালিয়ে দিন কোন মিউজিক।

৫। প্রথমেই চুলে কোন একটি ভালো সুগন্ধি তেল ম্যাসাজ করুন ১০ মিনিটের মত। লেবুর রসের সাথে ১ টি ডিম মিশিয়ে পুরো চুলে লাগিয়ে নিয়ে শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। এই প্যাকটি চুলে প্রায় ৩০ মিনিট রাখা যায়। এছাড়া ও চুলের যত্নে দ্রুত করা যায় এমন যেকোন হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
চিত্রঃকিছুটা সময় রাখুন নিজের জন্য
কিছুটা সময় রাখুন নিজের জন্য
৬। সামান্য অলিভ অয়েল দিয়ে পুরো মুখ ম্যাসাজ করুন ৫ মিনিট। এবারে ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। চালের গুঁড়ো, গোলাপজল আর সামান্য হলুদ বাটা দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে সারা মুখে ম্যাসাজ করুন ৫ মিনিট। পরে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।

৭। এবার আপনার ত্বকের ধরন বুঝে একটি প্যাক লাগান মুখে। ফেসপ্যাকটি শুকাতে যে সময় লাগবে সেই সময়ে কুসুম গরম পানিতে হাত-পা ডুবিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। পানিতে মেশাতে পারেন লেবুর রস ও শ্যাম্পু। যাদের টনসিল বা সাইনাসের সমস্যা আছে তারা চাইলে এইধাপ এড়িয়ে হাতে, তখন হাতে পায়ে লেবুর রস লাগিয়ে অপেক্ষা করুন।

৮। এবারে একটি লুফায় প্রয়োজন মত শাওয়ার জেল নিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিন। পিউমিস স্টোন দিয়ে পা পরিষ্কার করে নিন। হাত-পায়ের নখ ও এসময় কেটে নিতে পারেন।

৯। এতক্ষনে আপনার ফেসপ্যাক শুকিয়ে গেছে। হালকা গরম পানির ঝাপটা দিয়ে হালকা হাতে ঘষে তুলে ফেলুন। এরপর গোলাপজল দিয়ে মুখ মুছে নিন। অথবা এক টুকরো বরফ ঘষে নিন।


চিত্রঃ শাওয়ার টাব
১০। এবার সোজা চলে যান স্নানঘরে। চুল শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন। শাওয়ার জেল ব্যবহার করাটা অতিরিক্ত খরচ মনে মনে করলে প্রতিদিন ব্যবহার না করে সপ্তাহে একবার করুন। বেশি খরচও হবে না আবার শাওয়ার জেলের ঘ্রানে মনটাও হবে ফুরফুরে। অথবা কোন সুগন্ধী সাবান ও ব্যবহার করতে পারেন।

১১। বাথটাব থাকলে চুপ করে পানিতে গা এলিয়ে দিয়ে মৃদু লয়ের কোন গান শুনুন। বাথটাব নেই? শাওয়ার এর নিচে দাঁড়িয়ে ঠিক ঘাড়ের ওপর পানির ধারা পড়তে দিন ৫ মিনিট। সারা দিনের ক্লান্তি অনেকখানি কমে যাবে। এইসময় কোন দুশ্চিন্তা না করে নিজের প্রিয় মানুষের কথা ভাবুন।

১২। তারপর যথারীতি একটা পরিষ্কার কাপড় পরে বেড়িয়ে আসুন। ভালোমতো হাতে ,পায়ে মশ্চরায়জার লাগিয়ে চুল শুকিয়ে নিন। এইসময় নিজের পছন্দের গান শুনতেও পারেন। আপনি যদি ডায়েট করেন তাহলে আজকেও সেটি বজায় রেখে পছন্দের কোন পুষ্টিকর খাবার খেয়ে নিন।

১৩। খাওয়া শেষ করে প্রিয় মানুষটির সাথে সময় কাটান। আপনি যদি পরিবাররে সাথে থাকেন তাহলে ঘুমানোর আগে তাদের সাথে কিছুক্ষন আড্ডা দিতে দিতে জরুরী কথা ও সেরে নিতে পারেন।

১৪। প্রতিদিনের মতোই নিদির্ষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান। আপনি যদি চাকুরীজীবী হন তাহলে ঘুমানোর আগে কোন প্রিয় লেখকের বই পড়তে পারেন সপ্তাহের এই সময়টুকুতে। তখন পাশে রাখতে পারেন কোন সুগন্ধী মোম আর ফুল ।

ভাবছেন এতো সাধারন কথা এতো আয়োজন করে কেন লেখা হল? কারণটা এই আমরা যারা মধ্যবিত্ত, তারা প্রায় সময়ই অন্যদের দেখে ডিপ্রেসড হয়ে যাই। সারাক্ষন কাজের পেছনে ছুটে আমরা নিজদের দিকে তাকানোর সময় পাই না। যার প্রভাব পরে আমাদের কাজে ও আচরণে। তাই নিজেকে এই সময়টুকু দেয়ার মাধ্যমে আমরা খুঁজে পাবো নিজেকে। নিজেকে আবার পরের সপ্তাহের জন্য তৈরি করতে পারবো। আয়নায় নিজের ক্লান্ত চেহারার বদলে একটি উজ্জ্বল মুখ দেখলে নিজের কাছেই নিজেকে নতুন বলে মনে হবে।

জেনে নিন পানি পানের উপযুক্ত সময়

জেনে নিন পানি পানের উপযুক্ত সময়

সুস্থ আর সুন্দর একটা জীবনের আশায় রোজ যোগব্যয়াম, খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চাসহ আরো কত কসরত্ করি আমরা। কিন্তু আপনি কি জানেন যে আপনার এই এত শত চেষ্টার কোনটাই কাজে আসবে না যদি না কেবল ঠিক সময়ে পানি পান করেন আপনি। ভাবছেন পানি পানের আবার সঠিক সময়! কিন্তু হ্যাঁ! সত্যিই পানি পান করার জন্যেও রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট সময় যে সময়গুলোতে পানি পান করলে এর উপকারিতা পুরোটুকু পাই আমরা। অন্যথায় অনেক সময় তৈরি হয় শরীরে নানারকম ঝামেলা। শরীর ভালো রাখতে স্বাভাবিক খাবারের সাথে প্রয়োজন পরিমাণ মতো পানি পান করা ও ঘুম। চিকিৎসকরা বলছেন, দিনে ৮ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করতেই হবে। তবে পানি পানেরও নিয়ম রয়েছে। চলুন জেনে নেই পানি পানের সেই সঠিক সময়গুলোকে।
চিত্রঃপানি পানের উপযুক্ত সময়
                   পানি পানের উপযুক্ত সময়। ফটোসোর্স-clock-desktop.com

জেনে নিন কখন কখন পানি পান করবেন:

ঘুম থেকে উঠে
সকালে ঘুম থেকে উঠে দু’গ্লাস পানি পান করুন। এটি আপনাকে কেবল ঘুমঘুম ভাব থেকেই জাগিয়ে তুলবে না, বরং সচল করে তুলবে আপনার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকেও। এতে সারারাতে জমা হওয়া টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। পানি পানের জন্যে অনেকেই দাঁত মাজার পরের সময়টা বেছে নেন। বিশেষ করে সকালবেলা দাঁতটা মেজে বা রাতের খাবার খেয়ে দাঁত ব্রাশ করেই একটু পানি পান করেন অনেকেই। তবে দাঁত মাজার পরপরই পানি পান না করাটাই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। কারণ এসময় পানি পান করলে তাতে ফ্লুরাইডের মাত্রা বেশি থাকে যা আসে টুথপেস্টের অতিরিক্ত পরিমাণ ফ্লুরাইড থেকে। তাই পানি পান করতে চাইলে দাঁত ব্রাশ করার আগেই অনেকটা পান করে নিন। আর চেষ্টা করুন ব্রাশ করার ৪০-৪৫ মিনিটের ভেতরে কিছু না পান করার।

খাবারের আগে
স্বাস্থ্যকে সুন্দর করে তৈরি করতে এই একটি পদ্ধতিকে অনুসরণ করুন এবং পান প্রচন্ড ভালো ফলাফল। এটা কেবল আমাদের কথাই নয়, চিকিত্সকেরাও খাবারের ৩০ মিনিট আগে পানি পান করাকে উত্সাহ দিয়ে থাকেন ( বিজনেস ইনসাইডার )। বিশেষ করে আপনি যদি হন বেশ স্থুল। সেক্ষেত্রে খাবারের আগে পান করা পানিটুকু আপনার পেটের খালি স্থানটিকে কমাতে সাহায্য করবে।
দিনে যত বার ভারি খাবার খাবেন তার অন্তত ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস পানি পান করুন। এতে হজম ভাল হবে।

গোসলের আগে
গোসলের আগে এক গ্লাস পানি পান করুন। এই পানি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।

শরীরচর্চা
যদি নিয়মিত শরীরচর্চা করার অভ্যাস থাকে তাহলে অবশ্যই শরীরচর্চার আগে ও পরে এক গ্লাস করে পানি পান করুন। এতে শরীর টক্সিনমুক্ত থাকবে এবং এনার্জি বাড়বে।

ঘুমনোর আগে
চিকিত্সকদের মতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পান করা এক গ্লাস পানি একজন মানুষের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতন ঝুঁকিগুলোকে প্রতিরোধ করে। করে তোলে অনেক বেশি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের হাত থেকেও মানুষকে দুরে রাখে ঘুমের আগে পান করা এক গ্লাস পানি।
তাই রাতে শুতে যাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে এক গ্লাস পানি পান করুন। সারাদিনের ফ্লুইডের ঘাটতি মেটাবে পানি।

কোথাও বের হওয়ার আগে
যখনই বাড়ি থেকে কোথাও বের হবেন, তার আগে এক গ্লাস পানি পান করে বের হন। এতে তেষ্টা কম পাবে। বাইরের পানি পানের প্রবণতা কমবে। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।

অসুস্থতার সময়
মানুষের শরীরে নানারকম অসুখ সবসময়ই বাসা বেঁধে থাকে। আর কিছু না হলেও একটু মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা বা মাংসপেশীর জড়তা- এমনটা ছোটখাটো বিষয় নিত্যদিনই লেগে থাকে। আর এই ছোট অথচ বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপারগুলোর হাত থেকে মুক্তি পেতেই দিনে কমপক্ষে আট গ্লাস পানি পান করবার চেষ্টা করুন। এতে করে শরীর ঘামবে, খাবার হজম হবে এবং শরীরের সমস্ত রোগ-জীবাণু বাইরে বেরিয়ে যাবে। আর সময়টা যদি হয় অসুস্থতার তবে তো কোন কথাই নেই। একটু বেশি করে পানি পান করুন অসুস্থ হয়ে গেলে।

এ ছাড়াও দিনে যখনই তেষ্টা পাবে তখনই অবশ্যই পানি পান করুন। সূত্র: ওয়েবসাইট

ঘরেই তৈরি করুন চিকেন-ক্যাশুনাটস সালাদ

ঘরেই তৈরি করুন চিকেন-ক্যাশুনাটস সালাদ

উপকরণ:
১। মুরগির বুকের মাংস– ২ কাপ (পাতলা, চিকন স্ট্রিপ করে কাটা)
২। কাজু বাদাম (ক্যাশুনাটস)– ১ কাপ
৩। লাল, হলুদ, সবুজ বেলপেপার(ক্যাপসিকাম)– জুলিয়ান কাটে কাটা ১ কাপ
৪। টমেটো- সিকি কাপ (বীজ ফেলে জুলিয়ান কাট)
৫। বাঁধাকপি– ১/২ কাপ(ঝুরি করে কাটা)
৬। বাটন মাশরুম– ৫টি
৭। ব্রকোলি– ২কাপ
৮। লেটুস পাতা– ১টি
৯। কোয়া ছাড়ানো পেঁয়াজ– ১ কাপ
১০। গোলমরিচ গুঁড়া– স্বাদ মতো
১১। আদা, রসুন বাটা– ১ চা চামচ
১২। সয়াসস– ১ টে চামচ
১৩। রসুন কুঁচি– ২ কোয়া
১৪। অলিভ অয়েল– ১ টে চামচ
১৫। কাঁচা মরিচ কুচি– ১ চা চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ
১৬। ১তেল– ভাজার জন্যে
১৭। শুকনা কর্নফ্লাওয়ার– প্রয়োজনমতো
১৮। লবন– স্বাদমতো

সালাদ ড্রেসিং-এর জন্যেঃ
১। টমাটো সস– ৪ টে চামচ
২। চিলি সস- ১/২ কাপ
৩। সয়াসস– ২ টে চামচ
৪। গোলমরিচ গুঁড়া– স্বাদমতো
৫। অলিভ অয়েল– ১ চা চামচ
৬। চিনি– ১/২ চা চামচ
৭। লেবুর রস– ১ চা চামচ
* গাজর এবং লেটুস পাতা সাজানোর জন্য পছন্দমতো ব্যবহার করুন
* একটি বাটিতে ড্রেসিং-এর সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে রাখুন।
চিত্রঃচিকেন-ক্যাশুনাটস সালাদ
চিকেন-ক্যাশুনাটস সালাদ

চিকেন-ক্যাশুনাটস সালাদ তৈরির পদ্ধতিঃ


  • একটি বাটিতে মাংসের সাথে আদা-রসুন বাটা, গোলমরিচ গুঁড়া, সয়াসস, অল্প একটু লবন মিশিয়ে নরমাল ফ্রিজে আধা ঘন্টার জন্যে রেখে দিন।
  • প্যানে তেল গরম করে একটা একটা করে চিকেনের টুকরা শুকনা কর্নফ্লাওয়ারে গড়িয়ে ডুবো তেলে হালকা সোনালি করে ভেজে নিন। আলাদা প্যানে ১ টে চামচ অলিভ অয়েল গরম করে তাতে সোনালি করে ক্যাশোনাট(কাজু বাদাম) ভেজে তুলে রাখুন।
  • একই প্যানে বাকি তেল গরম করে কুঁচি করা রসুন মিনিট খানেক ভেজে মাশরুম দিন। মাশরুম দিয়ে তিন-চার মিনিট ভেজে বেলপেপার বা ক্যাপসিকাম দিন। বেল পেপার থেকে সুগন্ধ বের হওয়া শুরু হলে পেঁয়াজ দিন।
  • মিনিট খানেট পেঁয়াজ নাড়াচাড়া করে লেটুস পাতা হাল্কা আঁচে নাড়াচাড়া করেই চুলা থেকে প্যান নামিয়ে নিন।
  • এবার একটা বড় বাটিতে টমেটো, কাঁচা মরিচ, বাঁধাকপি, সালাদ ড্রেসিং , ভেজে রাখা মুরগির মাংসসহ বাকি উপকরণ আর কাজুবাদাম হালকা করে চামচ দিয়ে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে গেল মজাদার চিকেন-ক্যাশুনাটস সালাদ ।

টিপসঃ
* মাশরুম, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি অলিভ অয়েলে ভেজে নিতে পারেন।
উপকরণের পরিমান আপনার স্বাদমতো কম বা বেশি করতে পারেন।
* চাইলে পছন্দমতো আরো কিছু উপকরণ যোগ করতে পারেন।
সালাদ ড্রেসিং মেশানোর পর সাথে সাথে পরিবেশন করতে হবে। ড্রেসিং মেশানোর পর সালাদ বেশীক্ষণ রেখে দিলে চিকেন ও ক্যাশোনাটের মুচমুচে ভাব চলে যাবে। তাই ড্রেসিং মেশানোর পর সাথে সাথেই এই সালাদ পরিবেশন করুন।

আর নয় সমালোচনা!

আর নয় সমালোচনা!

পরিবারিক কিংবা গল্পের ছলে আমরা প্রায় সময়ই কারও না কারও সমালোচনা করি। ইসলামী পরিভাষায় গীবত করে থাকি। কিছুই না, শুধুমাত্র মনের খোরাক যোগাতেই সমালোচনার আসরে বসে পড়ি। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি এই সমালোচনা করার ফলে আমাদের ব্যক্তিত্ব ও সম্পর্কগুলোতে কী ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে? আপনি হয়তো খেয়ালও করে দেখেন নি যে, এই সমালোচনার ফলে আপনার আশেপাশের সম্পর্কগুলোতে ধীরে ধীরে মরিচা পড়ছে। তাই আপনাকেই বলছি, আর সমালোচনা নয়। সমালোচনা আগে একবার ভাবুন-
১। যারা অনবরত সমালোচনায় অভ্যস্ত তারা চারপাশের কোনো ঘটনাকেই ইতিবাচকভাবে নিতে পারেন না। আশেপাশে ঘটা সব ঘটনাগুলোর মাঝেই তারা নেতিবাচক দিক খুঁজতে থাকেন। এতে করে তাদের চিন্তায় সাফল্য আসে না।
২। সমালোচনা একজন ব্যক্তিকে এটা ভাবতে বাধ্য করে যে, হয়ত তারই কোনো ভুলের জন্য এমনটা হচ্ছে আর এ কারণে সে কোনো উদ্যোগী কাজে মনোযোগী হতে পারে না।
৩। যখন কারো সামনে অন্য কারো সমালোচনা করা হয় সেই যদি চুপ থাকে তার মানে এই নয় যে সেও আপনাকে সমর্থন করে। হয়তো আপনাকে তখন কিছু বলছে না কিন্তু আপনার সম্পর্কে তার মনেও বিরুপ ধারনা জন্ম নেয়।
চিত্রঃপরচর্চা
সমালোচনা, পরচর্চা জীবনে অশান্তি আনে। ছবিঃ সংগৃহীত
৪। ধ্বংসাত্মক সমালোচনা একজনকে তার কাজে, জীবনে চলার পথে নিরুৎসাহিত করে তোলে। তার জীবনের অনুপেরণাগুলোকে গলা টিপে মেরে ফেলে।
৫। কথায় আছে, ক্রোধে ক্রোধ জন্মায়। কেউ কেউ নিজের সমালোচনা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে পড়েন। একসময় ভেতরে ভেতরে সমালোচনাকারীর প্রতি রাগ পোষণ করেন। আর সুযোগ পেলেই সেই রাগ সহিংসতায় পরিণত করেন।
৬। সমালোচনা যে একজনের জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে তা আমরা আন্দাজ করতে পারি না। সমালোচনা একজনকে মানসিক ও শারীরিকভাবে বিকারগ্রস্থও করে তুলতে পারে।
৭। একজনের সম্পর্কে নেতিবাচক কোনো মন্তব্য তার জীবনে স্থায়ী ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারে। আপনি ভাবতেও পারবেন না সমালোচনা একজনকে কতটা নীচে নামিয়ে দিতে পারে। মারভিন জে অ্যাশটন বলেন, ‘অনবরত সমালোচনা একজনকে এতটাই নিচে নামায় যে সে নিজেকে ক্রমশঃ দুর্বল মনে করতে থাকে।’

রান্নার জন্য সহজ ও মজার কিছু টিপস

রান্নার জন্য সহজ ও মজার কিছু টিপসঃ

রান্না আসলে একটা শিল্প। সুন্দর ও রুচিশীল রান্নার কদর বিশ্বব্যাপী। আমাদের জীবনযাত্রার সাথে তাল মিলিয়ে পাল্টাচ্ছে রান্নাবান্নার কৌশল ও ধরণ। মনে রাখবেন সুন্দর পরিপূর্ণ রান্নার জন্য দরকার সৃজনশীলতা, উপস্থিত বুদ্ধি, সঠিক অনুমান ক্ষমতা আর অভিজ্ঞতা।
রান্না করার সময় টুকটাক টিপস জানা থাকলে রান্না ভাল হয়, রান্নাকে করে তোলে আরও সহজ ও সুন্দর এবং সময় বাঁচে। আসুন জেনে নিই রান্নার জন্য এমন কিছু টিপস –

* চাল ধোয়ার পর ১০ মিনিট রেখে দিয়ে তারপর রান্না করুন অথবা রান্নার সময় ১ চা চামচ রান্নার তেল দিয়ে দিন। দেখবেন ভাত সুন্দর ঝরঝরে হয়েছে।

সবুজ সবজি রান্নার সময় সবুজ রং ঠিক রাখতে চাইলে এক চিমটি চিনি দিন।

রান্নার সময় গরম পানি ব্যবহার করুন। দ্রুত সেদ্ধ হবে।
চিত্রঃতাড়াতাড়ি রান্না করতে জানুন কিছু সহজ টিপস
তাড়াতাড়ি রান্না করতে জানুন কিছু সহজ টিপস


মাংস রান্নার শুরুতেই লবণ না দিয়ে রান্নার মাঝামাঝি সময়ে লবণ দিয়ে ভালভাবে নাড়ুন। এরপর দেখে নিন পরিমান ঠিক হল কিনা।

তরকারির ঝোল ঘন করতে চাইলে কিছু কর্ণ ফ্লাওয়ার পানিতে গুলে ঢেলে দিন। লক্ষ্য রাখুন যেন কর্ণ ফ্লাওয়ারের মিশ্রণটি ভালমত তরকারির সাথে মিশে যায়।

মাছ ভাজার সময় তেল ছিটা রোধ করতে একটু লবণ ছড়িয়ে দিন।

বেরেস্তা করার সময় পেঁয়াজ ভেজে নামানোর আগে সামান্য পানি ছিটিয়ে দিন এতে পেঁয়াজ তাড়াতাড়ি লালচে হবে।

কাঁচা মাছ বা মাংস ছুরি-চপিং বোর্ডে কাটতে চাইলে বেশ কিছুক্ষণ আগে থেকেই পানিতে ভিজিয়ে নরমাল করে নিন।

স্যুপ রান্নার সময় পাতলা হয়ে গেলে দুটি সিদ্ধ আলু ম্যাশ করে স্যুপে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন।

মাংস জাতীয় খাবার রান্না করে শেষে বেরেস্তা (পেঁয়াজ কুচি ভাজা) ছড়িয়ে দিন এতে স্বাদ বেড়ে যাবে।

ডিম সিদ্ব করতে পানিতে সামান্য লবন দিয়ে নিন এতে ডিম খেতে সুস্বাদু হবে। আর ঠান্ডা করে ডিমের খোসায় ছাড়িয়ে নিন, তাহলে খোসায় লেগে ডিম নষ্ট হবে না।

 রান্নার সময় খাবার পুড়িয়ে ফেলেছেন। প্যানটি সাবান মেশানো গরম পানিতে সিঙ্কে চুবিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক। প্যান পরিষ্কার সহজ হয়ে যাবে।

পেঁয়াজ কাটতে চোখ তো জ্বালাতন করবেই। পেঁয়াজটি খোসা ছাড়িয়ে গরম পানিতে ধুয়ে নিন কিংবা চুইংগামপ্রেমী হলে মুখে চুইংগাম পুরে চিবোতে থাকলে পেঁয়াজ কাটলে চোখ জ্বলবে না।

খুশকির ঘরোয়া সমাধান

খুশকির ঘরোয়া সমাধান

খুশকি সমস্যায় কখনোই ভোগেননি, এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়াই যাবে না। খুশকির সমস্যায় নারী-পুরুষে ভেদ নেই। চুলের খুশকি নিয়ন্ত্রণে রাখাটা অনেকের কাছেই যেন অসাধ্য! কিন্তু নানা প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে ঘরে বসেই বেয়াড়া খুশকির লাগাম টেনে ধরতে পারেন আপনি ও।
ছবিঃ খুশকির ঘরোয়া সমাধান
ছবিঃ খুশকির ঘরোয়া সমাধান

খুশকি কেন হয়?

অনেক কারণেই খুশকি হতে পারে।! কারণ এটা অতি সাধারণ একটা সমস্যা। মাথার ত্বকে নতুন কোষ তৈরি হয় এবং পুরনো কোষগুলো ঝরে যায়। কিন্তু পুরনো কোষগুলো যখন ঠিকঠাক মতো ঝরে যেতে পারে না তখন সেগুলো জমে যায় এবং ফাঙ্গাস সংক্রমিত হয়। ফলে খুশকি হয়। মাথা থেকে সাদা গুঁড়ার মতো খুশকি পড়ে এবং মাথা চুলকায়। মাথার ত্বক যদি অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়, চুল নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয় তাহলে সহজেই খুশকি হয়। স্কাল্প বা মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হলেও খুশকি হতে পারে। এমনি মানসিক দুশ্চিন্তার কারণেও খুশকি হয়। শীতকালে আবহাওয়া থাকে শুষ্ক ও ধুলাবালিযুক্ত। ফলে খুশকির প্রকোপও বেড়ে যায়। যাঁদের খুশকির সমস্যা অন্যান্য সময় থাকে না, দেখা যায় শীতকালে তাঁদেরও খুশকির সমস্যা হয়। মাথা ছাড়াও শরীরের অন্যত্রও শুষ্ক ত্বকের নমুনা দেখা যাবে। তবে, খুশকি হলে দ্রুত তার প্রতিকার করা দরকার। নইলে এই সমস্যা থেকে চুলপড়া, মুখে ব্রণসহ নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে। খুশকি থেকে রেহাই পেতে বাজারে নানান ধরনের শ্যাম্পু ও লোশন পাওয়া যায়। তবে খুশকির উপদ্রব দ্রুত দূর করার রয়েছে বেশ কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায়। একটু সময় বের করে নিয়ে এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করলে মুক্তি পাবেন যন্ত্রণাদায়ক খুশকির হাত থেকে।

১. নিম পাতার রস

মাথার খুশকি তাড়তে নিম অত্যন্ত উপযোগী। নিমের রস বা নিম পাতার পেস্ট বানিয়ে মাথায় লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। খুশকি তাড়ানোর পাশাপাশি চুলে পুষ্টি জোগাবে।

২. লেবুর রস

দুই টেবিল-চামচ লেবুর রস অল্প পানির সাথে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ২-৫ মিনিট ম্যাসাজ করার পর চুল ধুয়ে নিতে হবে। খুশকির সমস্যা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত এইভাবে চুলে লেবু ব্যবহার করা যাবে।

৩. জলপাই তেল

মাথার ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে চুলের গোড়ায় খুব ভালোভাবে জলপাই তেল ম্যাসাজ করুন। এতে চুলের গোড়ায় জমে থাকা খুশকি আলগা হয়ে আসবে। একটু গরম করে মাথার ত্বকে লাগাবেন ও ঘন্টাখানেক পর ধুয়ে ফেলুন।

৪. তুলসী ও আমলকির মিশ্রণ

কয়েকটি তুলসী পাতা নিয়ে আমলকী পাউডারের সঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট করে নিন। পাঁচ মিনিট এই পেস্ট মাথার ত্বকে মেসেজ করে লাগিয়ে আধা ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণ চুলের ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং খুশকি কমাতে সাহায্য করে।

৫. দই

টকদই খুশকি দূর করতে ও চুল ঝলমলে করতে খুবই কার্যকরী। খুশকি দূর করতে টক দইয়ের সাথে কয়েকফোটা লেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ২০ মিনিট রেখে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

৬. পেয়াজের রস

দুটো পেয়াজের রস নিয়ে এক চামচ নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে নিন। মাথায় এই রস ভালো করে লাগিয়ে মালিশ করুন। কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৭. মেথি

মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে নিয়ে বেটে নিন। ছেঁকে নেয়া পানি ফেলে দেবেন না। এবার বেটে নেয়া মেথি চুলের গোঁড়ায় মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ৩-৪ ঘণ্টা রেখে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার পর মেথি ভিজিয়ে রাখা পানি দিয়ে সব শেষে চুল ধুয়ে নিন।

লক্ষ্য করুনঃ
* চুল নিয়মিত পরিষ্কার করুন। কারণ অপরিচ্ছন্ন চুলে খুশকি হয় বেশি।
* নিয়মিত চুল আঁচড়ান। এতে খুশকি হবার সম্ভাবনা কমে যাবে।
* পুষ্টিকর খাবার খান। এতে মাথার ত্বক ও চুল ভালো থাকবে।
* কিছু চর্মরোগ সাধারণভাবে দেখতে খুশকির মতো হয়। তাই মাথায় খুশকির পরিমাণ বেশি হলে চিকিত্‍সকের শরণাপন্ন হোন।

দ্রুত চুল বড় করতে নিজেই বানিয়ে নিন জবা ফুলের তেল

দ্রুত চুল বড় করতে নিজেই বানিয়ে নিন জবা ফুলের তেল 

অনেক তেল এবং শ্যাম্পুতে জবা ফুলের নির্যাস ব্যবহার করা হয়। জবা ফুল চুল পড়া রোধ করে, নতুন চুল গজাতে এবং চুল সাদা হওয়া রোধ করে থাকে। চুল বৃদ্ধির জন্য একটি ঘরোয়া তেল ঠিক এই কাজটিই করে। এই ভেষজ তেলের প্রধান উপাদানগুলো হল- জবা ফুল, জবা ফুলের পাতা, নারকেল তেল, কারিপাতা, সর্ষের তেল, জলপাইয়ের তেল বা অলিভ অয়েল, পিয়াজের রস এবং ল্যাভেন্ডারের তেল।
চুল বৃদ্ধির জন্য এই আয়ুর্বেদীয় তেলে যে জবা ফুল আছে তা ভিটামিন এ, সি, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড এ সমৃদ্ধ যেটা চুল পড়া রোধ করে, চুলের বীজকোষ শক্তিশালী করে, ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার রাখে, রক্ত প্রবাহ উদ্দীপিত করে এবং চুল বৃদ্ধি করে। ফ্যাটি অ্যাসিড ও অত্যাবশ্যক ভিটামিনে সমৃদ্ধ নারকেল তেল মেদ থেকে ক্ষরিত রস গড়তে সাহায্য করে, মাথার ত্বকের পুষ্টি যোগায় এবং চুল পড়া রোধ করে।
চুল বৃদ্ধির এই ঘরোয়া তেলে কারিপাতা হল প্রোটিন ও বিটা ক্যারোটিনের উৎস যা চুল পাকা রোধ করে, চুলের বীজকোষ উদ্দীপিত করে এবং চুলকে তাড়াতাড়ি বাড়তে সাহায্য করে। এই উপাদানগুলো সাহায্য করতে পারে স্বাভাবিকভাবে অতি দ্রুত চুল বাড়াতে। আসুন চুল পড়া রোধে ও দ্রুত চুল বাড়াতে ওই ভেষজ তেল কিভাবে বানাতে হবে জেনে নেই।

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ

পাতাসহ ৫ টি জবা ফুল, এক টেবিল-চামচ নারকেল তেল, কয়েকটি কারি পাতা, দুই টেবিল-চামচ সর্ষের তেল, দুই টেবিল-চামচ জলপাইয়ের তেল, এক টেবিল-চামচ পেঁয়াজের রস, দশ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল, একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল।
চিত্রঃঘরোয়া উপায়ে জবা ফুলে তেল বানান নিজেই
ঘরোয়া উপায়ে জবা ফুলে তেল বানান নিজেই

প্রস্তুত প্রণালীঃ

পাতাসহ জবা ফুল মিহি করে বেঁটে রাখুন। মিক্সারে পেয়াঁজ বেঁটে নিয়ে তার রস ছেঁকে নিন। কম আঁচে নারকেল তেল গরম করে এতে কারি পাতা যোগ করুন। অল্প আঁচে কারি পাতা নাড়াচাড়া করে এর মধ্যে জলপাই তেল, পেঁয়াজের রস, সর্ষের তেল এবং ভিটামিন ই জেল যোগ করে নাড়ুন। এটি পাঁচ মিনিট অল্প আঁচে রেখে জবা ফুলের মিশ্রণটি যোগ করুন। রং পরিবর্তন হলে আঁচ নিভিয়ে দিন।
একটি বাটিতে তেলটি ঢালুন ও ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঠাণ্ড করুন। একটি তুলার বলের সাহায্যে আপনার মাথার ত্বকে ও চুলের সর্বত্র লাগিয়ে নিন। আঙুলের ডগা দিয়ে ৫ মিনিট মালিশ করুন। কিছুক্ষনের জন্য একটি তোয়ালে  গরম পানিতে ভিজিয়ে মাথায় জড়িয়ে নিন। এক ঘন্টা পরে শ্যাম্পু দিয়ে মাথা পরিষ্কার করে নিন। এই ভেষজ তেল চুল বৃদ্ধির সঙ্গে আপনার চুলকে মজবুত ও রেশমি করতে সাহায্য করবে।

আপনি জানেন কি কেন আপনার চুল পড়ে যাচ্ছে?

চুল পড়ার কারণসমুহ

চুল নারীদের রূপের অনেকটাই দখল করে রাখে। আর চুল পড়া তো তাদের কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। ক্লান্তি, অবসাদ, ভুল ডায়েটসহ বিভিন্ন কারণে খুব কম বয়সেই চুল পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন গড়ে মানুষের একশোটির মতো চুল পড়ার কথা বলে থাকেন। কিন্তু এর চেয়ে বেশি পড়লে সেটি চিন্তার কারণ হতে পারে।

অতিরিক্ত চুল পড়ার লক্ষণ দেখা দিলে আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে। শুরু থেকেই যত্ন না নিলে কিন্তু মাথায় টাক পড়তে বেশি সময় লাগবে না। সঠিক কারণগুলি জানা থাকলে তবেই আপনি চুল পড়ার সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। এবার জেনে নেয়া যাক, কি কি কারণে আপনি চুল পড়া সমস্যায় ভুগতে পারেন।
চিত্রঃহেয়ার ফল
চুল পড়তে পারে আপনার অভ্যাসের কারনেও। ছবিঃ সংগৃহীত

* অতিরিক্ত মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগের কারণেও চুল পড়ে। এছাড়া হঠাত্‍ করে কঠিন খাদ্য নিয়ন্ত্রণ শুরু করলেও চুল পড়ে।
* ক্লান্তি ধীরে ধীরে আমাদের শরীরের নানা ক্ষতি করে। চুল পড়াতেও অনুঘটক হিসাবে কাজ করে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি।
* মাতৃত্বের কারণে অনেক নারীরই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। যদিও বেশিরভাগ মায়েদের ক্ষেত্রেই সন্তান জন্মের তিনমাস পর মাথায় ফের চুল গজায়। তবে কারো কারো সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
* ভুল ডায়েট এবং অতিরিক্ত ওজন হ্রাস চুল পড়ার অন্যতম কারন।
* শরীরে ভিটামিন এ-র অভাব হলে তা মাথার চুল ঝরতে শুরু করে।
* চুল পড়ে যাওয়া বা টাক পড়ার পেছনে বংশগত কারণও থাকে। বংশে টাকের প্রবণতা থাকলে অতিরিক্ত চুল পড়তে পারে। তেমন শতাংশে অনেক কম।
* প্রোটিন শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। শরীরে প্রোটিনের অভাব হলেই চুল পড়ার সমস্যা হয়।
* বেশি ঠান্ডা বা গরম পানি ব্যবহার করলে চুল পড়তে পারে। শীতে কুসুম গরম পানি চুলের জন্য ভালো। কিন্তু প্রতিদিন চুলে গরম পানি ব্যবহার করা ভালো নয়। গরম তাপ চুলের আগা ভেঙ্গে ফেলে। এছাড়া চুলের প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে চুলকে রুক্ষ শুষ্ক করে তোলে।
* হরমোনের কারণে অনেকের হরমোনজনিত কারণে কমবয়সে চুল পড়ে যায়।
* শরীরে আয়রনের ঘাটতি বা রক্তশূন্যতা হলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়। চুল পড়া ছাড়াও চামড়া খসখসে হওয়া, উজ্জ্বলতা হারানো, দুর্বলতা, মাথাধরা ইত্যাদি সমস্যা হয়।
* থাইরয়েডের সমস্যা হলে চুল পড়ার পাশাপাশি মাংসপেশিতে টান, শরীরের ওজন বেড়ে যায়।
* ভিটামিন বি-র অভাবেও চুল পড়তে পারে। শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি কমাতে ডিম, শাক-সবজি ও মাছ খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে।
* আবহাওয়ার পরিবর্তন চুল পড়ার অন্যতম কারন। তাই এতে না ঘাবড়ে সঠিকাভাবে যত্ন নিলে ঠিক হয়ে যাবে।
* থাইরয়েডের সমস্যা, টাইফয়েড জ্বর এবং কিছু দীর্ঘমেয়াদী রোগে চুল পড়া বৃদ্ধি পেতে পারে।
* মাথায় ছত্রাকের সংক্রমণ, খুশকি, অপুষ্টি, রক্তশূন্যতা ও ভিটামিনের অভাবে চুল পড়তে পারে।
* বেশিমাত্রায় শরীরচর্চা করাও চুল পড়ায় ইন্ধন যোগায়।
* মেডিকেসন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া অভ্যাস করলে, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় চুল পড়ে যায়।
* বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুল পড়ার হার বাড়াটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে ৪০ বছর বয়সের পর নারীদের হরমোনের পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে চুল পড়া বৃদ্ধি পায়। আর পুরুষদের এন্ড্রোজেন হরমোনের প্রভাবে স্বাভাবিক ভাবেই টাক পড়ার প্রবণতা বেশি থাকে। কারো কম, কারো বা বেশি।
* ভেজা চুল আঁচড়ানোর বাজে অভ্যাস অনেকের রয়েছে। অভ্যাসের কারণে অনেকেই গোসল শেষে ভেজা চুল আঁচড়ে ফেলেন। এতে করে চুলের গোঁড়া নরম হয়ে যায় একেবারে। এবং চুলের জট ছাড়াতে গিয়ে চুলের ফলিকল নষ্ট হয়। ফলে অনেক বেশি মাত্রায় চুল পড়া শুরু হয়।
* চুল পরিষ্কার করার জন্য শ্যাম্পু করার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত শ্যাম্পু চুলের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত শ্যাম্পু চুল থেকে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার দূর করে এবং চুল করে তোলে রুক্ষ, শুষ্ক। সপ্তাহে তিনবার চুল শ্যাম্পু করার ভালো। যদি আপনার অনেক বেশি ঘাম হয় তবে দুই দিন পর পর শ্যাম্পু করতে পারেন।
* অনেকে মনে করেন শক্ত করে চুল বাঁধা চুলের জন্য ভালো। এতে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এটি একটি ভুল ধারণা, শক্ত করে চুল বাঁধার ফলে চুলের ফলিকল অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরবর্তীতে এই ক্ষতির কারণে নতুন করে চুল গজানো বন্ধ হয়ে যায়।
* হেয়ার ড্রাইয়ার, ব্লো ড্রাই, স্ট্রেইনার ইত্যাদি ব্যবহার করাও চুল পড়ার অন্যতম কারণ। প্রতিদিন হেয়ার স্টাইল করার পরিবর্তে মাঝে মাঝে হেয়ার স্টাইল করুন। এমনকি ঘন ঘন চুল রং করাও চুলের জন্য ক্ষতিকর।

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি!

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি! নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি! শীত, গরম বা বর্ষাকালেও খুশকির যন্ত্রনা যেন মেটে না। পার্লারের আহাম...

Our Popular Posts