নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি!

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি!

চিত্রঃ নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি!
নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি!
শীত, গরম বা বর্ষাকালেও খুশকির যন্ত্রনা যেন মেটে না। পার্লারের আহামরি কোন ট্রিটমেনট নয়, কিংবা ঘণ্টার পর ঘণ্টা রূপচর্চাও করতে হবে না। জেনে নিন অতি সাধারণ নারিকেল তেল দিয়েই খুশকি চিরতরে দূর করার দারুণ একটি কৌশল।
নারিকেল তেল তাঁর অ্যান্টি ফাঙ্গাল গুণাবলীর জন্য খুশি দূর করতে ভীষণ কারজকরী। আর খুবই সহজ লভ্য বলে এটা ব্যবহারও সোজা। নারিকেল তেলে খুশকি দূর করতে চাইলে তেলের সাথে আমাদের আরও লাগবে লেবুর রস।

* চুলের ঘনত্ব বুঝে পরিমাণমত বিশুদ্ধ নারিকেল তেল এবং ঠিক তার অর্ধেক পরিমাণ তাজা লেবুর রস খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন।
* নারিকেল তেল ও লেবুর রসের মিশ্রণটি খুব ভালো করে মাথার তালুতে ঘষে ঘষে লাগান।
* তেল লাগানো হয়ে গেলে মিনিট পাঁচেক ভালো করে মাথার তালু ম্যাসাজ করুন।
* ২০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করবেন না। সম্ভব হলে পরদিন শ্যাম্পু করুন। একান্তই না পারলে কয়েক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন।
* সপ্তাহে ২/৩ দিন এই পদ্ধপ্তি অবলম্বন করুন খুশকি দূর না হওয়া পর্যন্ত। ছবিঃ সংগৃহীত

ঘরের কাজ করে খুব সহজে আকর্ষণীয় ফিগার পাবার ৫টি উপায়!

ঘরের কাজ করে খুব সহজে আকর্ষণীয় ফিগার পাবার ৫টি উপায়!

আপনি মোটা না রোগা, সেটা জরুরী বিষয় নয় যদি আপনার থাকে আকর্ষণীয় ফিগার। অনেক মোটা মেয়েদেরও ঢেউ খেলানো চমৎকার ফিগার থাকে, আবার অনেকের ওজন কম হলেও দেখা যায় ফিগারের শেপ সুন্দর নয়। সুন্দর আকর্ষিণীয় ফিগার চাইলে জিমে গিয়ে কঠোর ব্যায়াম কিংবা ক্রাশ ডায়েটের চিন্তা না করে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে ঘরের কাজ করে পারফেক্ট পেতে পারেন আকর্ষিণীয় ফিগার।
চিত্রঃ ঘরের কাজ করে খুব সহজে আকর্ষণীয় ফিগার পাবার ৫টি উপায়!
চিত্রঃ ঘরের কাজ করে খুব সহজে আকর্ষণীয় ফিগার পাবার ৫টি উপায়!
১। দিনে একবার ঘর মুছুন। এতে করে হাতের ও পেটের মেদ একদম থাকবে না। ঘরদোর ঝাড়ামোছার কাজটিও প্রতিদিন নিজে করুন। বারান্দার গ্রিল থেকে শুরু করে জানালা, সিলিং কিচ্ছু বাদ দেবেন না। ঘরের কাজ তো হবেই, আপনার শরীরটা দারুণ হয়ে উঠবে।
২।
নিজের কাপড় গুলো নিজে ধুয়ে ফেলুন। ওয়াশিং মেশিনে নয়, হাতে। দেখবেন ওজন কমার পাশাপাশি শরীরটাও দারুণ হয়ে উঠছে। হাতের ভালোই ব্যায়াম হবে।
৩।
লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করুন। দিনে অন্তত কয়েকবার সিঁড়ি ভাঙুন। এটি হিপস ও কোমরের শেপ সুন্দর করতে খুবই কার্যকর। সিঁড়ি ভাঙা না হলে গান ছেড়ে দিয়ে ইচ্ছামত নাচুন।
৪। দিনে একবার লাঞ্চ কিংবা ডিনার করুন সালাদ দিয়ে। পছন্দের ফল ও সবজির সাথে টক দই মিশিয়ে স্বাস্থ্যকর সালাদ বানিয়ে নিন। এটা আপনার শরীরের বাড়তি মেদ কমিয়ে আপনাকে রাখবে ঝরঝরে ও সুন্দর।
৫। যত যাই করুন না কেন, অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুমাবেন ও বিশ্রাম নেবেন। বিশ্রামের অভাবে আমাদের শরীরের নানান জায়গায় বিচ্ছিরি মেদ জমতে থাকে। তবে বিশ্রাম নেয়া মানে দিনরাত বসে থাকা নয়, সেটাও খেয়াল রাখবেন। সেই সাথে পান করবেন প্রচুর পানি। মেদ কমাতে ও ফিগারকে আকর্ষিণীয় করতে এর জুড়ি মেলা ভার। একই সাথে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কমিয়ে প্রোটিন বেশী খাওয়া শুরু করুন। ছবিঃ সংগৃহীত

মুখের তেলতেলে ভাব দূর করুন সহজেই

মুখের তেলতেলে ভাব দূর করুন সহজেই 

মুখ সারাদিন তেলতেলে হয়ে থাকলে ত্বক অনেক কালো, রোদে পোড়া দাগ বেশী বোঝা যায় এবং প্রচুর ব্রন ওঠে। দিনের শুরুতে করুন ২ মিনিটের একটি ছোট্ট কাজ। আর সারাদিন তেলতেলে হবে না আপনার ত্বক, ব্রনও থাকবে দূরে।
চিত্রঃ মুখের তেলতেলে ভাব দূর করূন সহজেই
চিত্রঃ মুখের তেলতেলে ভাব দূর করূন সহজেই
* দিনের শুরুতেই মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। রাতে যদি ডিপ ক্লিন করে থাকেন ত্বক, তাহলে সকালে পরিষ্কার করুন সাধারণ ফেসওয়াশ দিয়ে। *মুখে উষ্ণ পানির ঝাপটা দিন। তারপর ফেসওয়াশ লাগান। ম্যাসাজ করে ধুয়ে তারপর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। * এবার ১ মগ হালকা উষ্ণ পানির সাথে ১ চামচ লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে, এই পানি দিয়ে মুখে ধুয়ে ফেলুন ভালো করে ধুয়ে নিন। * লবণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে মুখ ভালো করে মুছে নিন। যদি চিটচিটে ভাব বেশী মনে হয়, বা অস্বস্তি লাগে, তাহলে মিনিট দশেক পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে মুছে নিন। * মনে রাখবেন , তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সাধারণ পানির বদলে ফিল্টার করা পানি বা ফুটানো পানি ব্যবহার করাই ভালো। ছবিঃসংগৃহীত

কলা, কমলার মজাদার স্মুদি !

কলা, কমলার মজাদার স্মুদি !

রমজানের সময় ইফতারে কিংবা বাচ্চাদের সকালের নাস্তায় (প্রোটিনভিত্তিক ব্রেকফাস্ট ) অথবা অতিথি আপ্যায়নে কমলা ও কলার স্মুদি হতে পারে চমৎকার একটি পানীয়। এটি ঠান্ডা,  চকলেট এবং ভ্যানিলা স্বাদে  তেরি বলে ইফতারের সময় শরীর রিফ্রেশ করতে করতে এটি অতুলনীয়।

চিত্রঃ কলা, কমলার মজাদার স্মুদি! ছবিঃ সংগৃহীত
কলা, কমলার মজাদার স্মুদি! ছবিঃ সংগৃহীত

উপকরণঃ

    ১। আলমন্ড দুধ ১ কাপ
    ২।  বরফ ১ কাপ
    ৩। মাঝারি হিমায়িত অথবা তাজা কলা ১টি
    ৪। কমলা রস  ১/৩ কাপ
    ৫। ভ্যানিলা প্রোটিন পাউডার বা আইসক্রিম

প্রস্তুত প্রনালীঃ

একটি ব্লেন্ডার সব উপাদান একসাথে নিয়ে ব্লেন্ড করুন এবং গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন।

চুল থাকবে খুশকিমুক্ত!

চুল থাকবে খুশকিমুক্ত!

রাস্তার ধুলোবালি মাথার স্কাল্পে জমে, জন্ম দেয় খুশকির। চুল খুশকিমুক্ত রাখতে হয়তো অনেক কিছুই করছেন। কিন্তু কিছু অভ্যাস জানা থাকলে এবং পালন করলে আপনি খুশকির হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন। ধুলোবালিপূর্ণ রাস্তায় যখন বের হচ্ছেন তখন ওড়না বা স্কার্ফ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন।
 জেনে নিন কী করবেন-
চুল থাকবে খুশকিমুক্ত!
চুল থাকবে খুশকিমুক্ত!

  • >> আপনার খুশকি তাড়ানো ও প্রতিরোধের জন্য সবার আগে চিরুনির দিকে খেয়াল রাখুন। প্রতিদিন একটু শ্যাম্পু দিয়ে ব্রাশের সাহায্যে ঘষে ধুয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, আপনার চিরুনি যাতে অন্য কেউ ব্যবহার না করে।
  • >> ফাস্টফুড, কোল্ড ড্রিংকস এড়িয়ে চলুন। বদলে প্রচুর পানি, প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার ও ফলমূল খান। খুশকি প্রতিরোধের পাশাপাশি আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
  • >> নিয়মিত ভালো কম্পানির শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। মাথার স্ক্যাল্পে ময়লা জমতে দেবেন না। প্রতিদিন বাইরে বের হতে হলে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন শ্যাম্পু করুন। কয়েক মাস পর পর শ্যাম্পুর ব্র্যান্ড বদলে নিন
  • >> চুলে খুশকি দেখামাত্রই আপনার শ্যাম্পু বদলে নিন। কিছুদিন অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। সঙ্গে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। নয়তো অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পুতে থাকা অতিরিক্ত ক্ষার, সিলিকন, সালফেট আপনার চুল আরো রুক্ষ করে দেবে।
  • >> প্রতিদিন না পারলে দু-তিন দিন পর পর বালিশের কভার পরিবর্তন করুন। সাধারণ পানিতে ধুয়ে রোদে শুকান। মাথা থেকে ঝরে পড়া খুশকি বালিশে লেগে থাকলে চুল বা ত্বকের ক্ষতি হবে।
  • >> চুলে তেল দিয়ে ২ ঘণ্টা বা এক রাতের বেশি রাখবেন না।  চুলে তেল দিয়ে কয়েক দিন থাকা বা সে অবস্থায় বাইরে গেলে বাতাসের ধুলোবালি সহজেই চুলে আটকে যায়। এ থেকে দ্রুত খুশকি হতে পারে।
  • >> বাইরে বের হওয়ার আগে ছাতা বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আপনার চুল ও মাথার তালুকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করে ও খুশকি বাড়িয়ে দেয়।

হাইহিলের কারনে হতে পারে হাড়ের ক্ষতি

হাইহিলের কারনে হতে পারে হাড়ের ক্ষতি

বর্তমানে ফ্যাশন জগতে মেয়েদের কাছে হাইহিলের জুতা খুবই জনপ্রিয়। শুধু শহরের মেয়েরাই নন, বর্তমানে গ্রামের মেয়েরাও হাইহিলের জুতা পায়ে দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই হাইহিলের জুতা সত্যিকার অর্থে মেয়েদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

চিত্রঃহাইহিলের কারনে হতে পারে হাড়ের ক্ষতি
হাইহিলের কারনে হতে পারে হাড়ের ক্ষতি

আপনি যদি দুই ইঞ্চি হিলের জুতা পরেন তাহলে আপনার অস্টিও আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। অস্টিও আর্থ্রাইটিস এমন একটা যন্ত্রণাদায়ক অবস্থা, যে ক্ষেত্রে অস্থিসন্ধিগুলোর অবনতি ঘটে। যেসব লোক তাদের কোমর ও হাঁটুর অস্থিসন্ধিতে অবিরাম চাপ দেন বা ভার বহন করেন তাদের অস্টিও আর্থ্রাইটিস বা গেঁটে বাতের ঝুঁকি খুবই বেশি থাকে।
নারীরা হাইহিলের জুতা পরে হাঁটলে তাদের কোমর ও হাঁটুর অস্থিসন্ধিতে অতিরিক্ত ওজন বহন করার মতোই চাপ পড়ে আর এটা অস্টিও আর্থ্রাইটিসের একটা ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়। যেসব নারী খালি পায়ে হাঁটেন, তাদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এই গবেষণা থেকে এটা আরও স্পষ্ট হয়েছে নারীরা কেন পুরুষদের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ অস্টিও আর্থ্রাইটিসে ভোগে থাকেন।
তাই অস্টিও আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি এড়াতে গবেষকরা পরামর্শ দিচ্ছেন সর্বদা ফ্ল্যাট হিলের জুতা পরতে। হাইহিল যদি পরতেই হয়, তাহলে সেটা রেখে দেবেন বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানের জন্য। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জুতা খুলে ফেলবেন। কর্মক্ষেত্রে কিংবা সাধারণভাবে কখনোই হাইহিলের জুতা পরবেন না। মনে রাখবেন, হাইহিলের জুতা পরলে আপনার গোড়ালি দুটিতে যে চাপ পড়ে তার কারণে আপনার হাঁটু দুটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ছবিও তথ্যঃ সংগৃহীত

নখ কাটি যত্নে!

নখ কাটি যত্নে!

নখ আমাদের শরীরের অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই নখ নিয়েই মেয়েরা অনেক ধরণের স্টাইল করতে ভালোবাসে। বিভিন্ন শেপে নখ কেটে নখকে করে তোলে আকর্ষণীয়। অনেকেই নখ কাটতে গিয়ে বিপত্তি ঘটায়। কখনও কখনও নখ চিকন কেটে ফেলার সাথে সাথে নখের নিচের চামড়া কেটে গিয়ে রক্ত বের হয়। তাই নখ কাটার সময় সাবধানে কাটা উচিত।
চিত্রঃ নখ কাটি যত্নে!
নখ কাটি যত্নে!

নখ কাটার আগে হালকা গরম পানিতে কিছুক্ষণ হাত ও পা ভিজিয়ে রাখলে নখগুলো নরম হবে এবং সহজে ইচ্ছামতো নখ কাটা। কখনই নখ খুব চিকন গভীরে কাটা ঠিক না। নখ কাটার জন্য ধারালো নেইল কাটার ব্যবহার করতে হবে। কখনই ভোঁতা কোন নেইল কাটার অথবা ব্লেড দিয়ে নখ কাটা উচিত নয়।

চিত্রঃ নখ কাটি যত্নে!
নখ কাটি যত্নে!

নখ শুকিয়ে যাওয়ার পর নেইল শেপার দিয়ে পছন্দ মতো শেইপ করে নিন। নখ ভেজা অবস্থায় কখনও নেইল শেপার ব্যববার করবেন না, এতে নখ খাঁজ কাটা হয়ে যাবে এবং শুঁকানোর পর নখ অমসৃণ হয়ে যাবে এবং ভেঙে যাবে। নেইল শেপার দিয়ে এমন ভাবে শেইপ করতে হবে যেন নখের মাথা মসৃণ হয়, অমসৃন নখ বিভিন্ন জায়গায় যেমন কাপড়ে, চুলে লেগে নখ ভেঙে যেতে পারে। ছবিঃসংগৃহীত

চুলে থাকুক ফুলের সাঁজ

চুলে থাকুক ফুলের সাঁজ

ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে বহে কিবা মৃদু বায়।।
তটিণী-র হিল্লোল তুলে কল্লোলে চলিয়া যায়।
পিক কিবা কুঞ্জে কুঞ্জে।।

ঋতুচক্রে বছর ঘুরে বসন্ত আসে। বাংলা পঞ্জিকা বর্ষের শেষ ঋতু বসন্তের প্রথম দিনে পালিত হয় ‘পহেলা ফাল্গুন-বসন্ত উৎসব’। বসন্ত মানেই ফুলেল উৎসব, বাসন্তিরঙা শাড়ি। শুধু কি তাই! বসন্ত মানেই তো রঙের সমাহার। বাসন্তী রঙের শাড়ি পড়ে তরুণী ও নারীরা ঘর থেকে বের হন।  কাল পহেলা ফাল্গুন আর ফাল্গুনের দ্বিতীয় দিনই আবার ভালোবাসা দিবস। তাই ফাল্গুনের সাজে রঙের ছোঁয়ায় রাখুন ফুলের বাহার। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া যা-ই পরা হোক না কেন, প্রকৃতির রঙে নিজেকে সাজাতে বসন্তের উজ্জ্বল রংগুলোর সাথে চুলের সাজে বসন্তের ফুলের ব্যবহার নিয়ে আসবে একটু ভিন্ন মাত্রা। চলুন জেনে নেই চুলের সাজে ফুলের ব্যবহারঃ

চিত্রঃ চুলে থাকুক ফুলের সাঁজ
ছবিঃ সংগৃহীত
বসন্তের ফুলঃ  রঙিন ফুলের ভিড়ে হলুদ গাঁদা মন কাড়বেই। কিন্তু অন্য ফুলগুলোও নজর কাড়তে কম যায় না। হলুদ গাঁদা ছাড়াও মেরুন, হলুদ, সাদা, নীল রঙের চন্দ্রমল্লিকা, ক্যালানডুলা ফুলগুলোর চাহিদা থাকে পয়লা ফাল্গুনের সাজে অনেক বেশি। এছাড়া হলুদ-লাল রঙের চায়নিজ চেরিও তাল মেলাচ্ছে অন্যদের সঙ্গে। বসন্ত উৎসবে আরও পরা যায় গ্ল্যাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবারা। এছাড়া গাঁদা, গোলাপ আর অর্কিড তো থাকছেই।

খোলা চুলের দোলাঃ উৎসবে চুল খোলা রাখতে পছন্দ করেন অনেকেই। এ ক্ষেত্রে একপাশে ক্লিপ আটকে তার ওপর ফুল গুঁজে দিতে পারেন। অথবা কানের পাশ দিয়ে হালকাভাবে গুঁজে দিতে পারেন কয়েকটি ফুল। ফুল বড় হলে একটি, ছোট হলে তিন-চারটি। চাইলে সামনের দিকের কিছুটা চুল ব্যাককোম্ব করে নিতে পারেন। পেছনে চুল আটকানোর জায়গাটিতে আটকে দিতে পারেন পছন্দের ফুলটি। দুই পাশ থেকে চুল পেঁচিয়ে এনেও (টুইস্ট) পুরো চুল খোলা রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দুল ও মেকআপের সঙ্গে মিলিয়ে সঠিক জায়গায় ফুলটিকে আটকে নিন।
এছাড়াও খোলা চুলে ভালো লাগবে ফুলের ব্যান্ড। চারদিকে ফুল না দিয়ে একটু ভিন্নভাবে গড়ে নিন ফুলের ব্যান্ড। ব্যান্ডের দুই পাশে অথবা যেকোনো এক পাশে ফুল গুঁজে আর বাকি অংশটা চেইন, রঙিন কাপড় অথবা ফিতা দিয়ে জড়িয়ে নিতে পারেন। ফুলের ব্যান্ডে ছোট ছোট ফুল ব্যবহার করলে বেশি ভালো লাগবে। বসন্তে ছোট আকৃতির চন্দ্রমল্লিকা, ক্যালেন্ডুলা আর গোলাপও পাবেন।

চিত্রঃ চুলে থাকুক ফুলের সাঁজ
ছবিঃ সংগৃহীত
খোঁপা অথবা বেণিতেঃ হালকা অথবা অাঁটসাঁট করে খোঁপাও করে নিতে পারেন। খোঁপার চারপাশ দিয়ে মালা না পেঁচিয়ে একটু অন্যভাবেও পরতে পারেন। খোঁপার চারপাশ দিয়ে পরপর ছোট ফুল গেঁথে নিন অথবা একটি বড় ফুল খোঁপা ও কানের মধ্যে আটকে নিন। বেণিতেও অন্যভাবে ফুল আটকে তৈরি করতে পারেন ভিন্ন লুক। সামনে দুই পাশ থেকে চুল টুইস্ট করে টেনে পেছনে নিয়ে আটকে নিন ক্লিপ দিয়ে। এবার সাধারণভাবে বেণি করে মাঝেমধ্যে ফুল আটকে নিতে পারেন। সামনের টুইস্ট করা অংশেও ছোট ফুল আটকে নিতে পারেন।এছাড়া বতর্মানে কাঁচা ফুল দিয়ে বানানো যে ফুলের ব্যান্ড পাওয়া যায় সেটিও পরতে পারেন। পুঁতি আর ফুল দিয়ে চেইনের মতো বানিয়ে মাথার এক পাশ থেকে শুরু করে পুরো বেণিতে বেঁধে নিতে পারেন।

চুলে তাজা ফুলের ব্যবহার তো আপনাকে রঙিন করেই। তবে তারও আগে বাছাই করে নিতে হবে বসন্তের পোশাকটা। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ফুল ব্যবহার করতে। যেমন পোশাকে হলুদ গোলাপের নকশা থাকলে চুলে গুঁজতে পারেন ছোট ছোট হলুদ গোলাপ। যেহেতু বসন্তের পোশাক আর সাজে রঙের একটা প্রভাব থাকে, তাই নখেও ফুল আর পোশাকে থাকা রঙের ছোঁয়া দেওয়া ভালো। ম্যাট অথবা গ্লসি একরঙা নেইল পলিশ ব্যবহার করতে পারেন। চুল যে রঙের ফুলের আধিক্যে সাজাবেন, সেই রঙের নেইল পলিশ ভালো লাগবে। এ ছাড়া পোশাকের প্রধান রঙের সঙ্গে মিলিয়েও নেইল পলিশ ব্যবহার করা যাবে। তবে ফুলের রঙের মিল আনবে ভিন্নতা।

ভালোবাসা! সে কি কেবল ব্যস্ততার খামেই বন্দি?

ভালোবাসা! সে কি কেবল ব্যস্ততার খামেই বন্দি? 

ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। ভালোবাসা আসলে সমস্ত শুভ ও সৃষ্টির শক্তি। এটা শুধুমাত্র জৈবিক বা শারীরিক ব্যাপার নয়, আবার শুধুমাত্র মানসিক বিষয়ও নয়।

চিত্রঃ ভালোবাসা! সে কি কেবল ব্যস্ততার খামেই বন্দি?
ছবিঃ সংগৃহীত
প্রায় প্রতিটি মানুষের জীবনেই কিন্তু কোনো না কোনো সময় ভালোবাসা এসে উঁকি দেয়। প্রেম-ভালোবাসায় যেমন একরাশ সুখ-শান্তি বিরাজ করে তেমনি প্রেম-ভালোবাসায় জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত অনিবার্য। ভালোবাসা ধনী-গরীব মানে না, ভালোবাসা জাত-কুল মানে না, ভালোবাসা কালো-সাদা মানে না, ভালোবাসা ধর্মের বাঁধন মানে না, ভালোবাসা বয়স দেখেও আসে না। একের প্রতি অন্যের প্রচণ্ড এক মানসিক আশক্তির নামই তো ভালোবাসা। জীবন আর ভালোবাসা একে অপরের পরিপূরক। এক জীবনের সাথে অন্য জীবনের পরিপূর্ণতার জন্যই কিন্তু ভালোবাসার প্রয়োজন।
স্বভাবতই ভালো দিকের উল্টো দিকে যেমন মন্দ আছে তেমনি ভালোবাসার বিপরীতে বিরহের জ্বালাও আছে। তখন আমরা অন্যের প্রতি ভালোবাসার কোনো মানেই খুঁজে পাই না। জীবনের সুন্দর ও ভালো দিকগুলো তখন আমাদের কাছে অসুন্দর হয়ে ধরা দেয়। সবকিছু কেমন জানি পরিত্যক্ত মনে হয়। এত এত ভালোবাসায় মাঝে তখন কত কত অভিযোগ! আচ্ছা ভালোবাসলে এর মাঝে ব্যস্ততা বলে কোনো বাহানা কি হানা দিতে পারে? ব্যস্ততা সবার সাথে দেখানো যায়না, কিছু স্পেশাল মানুষ থাকে যাদের সাথে আমরা, ব্যস্ত থাকলেও ব্যস্ততা দেখানো যায় না, ঠিক যেনো ভালোবাসার অতল গভীর সমুদ্রে আর তখন মনে হয় ভালবাসা যেন উঁকি মারে পাথরের ফাঁকে ফাঁকে। আর যখন থাকে না, তখন..? ভালোবাসা ছাড়া আর আছে কী... ভালোবাসা হলো শ্বাস-প্রশ্বাস এ দেহে ... শ্বাস বিনা মানুষ কখনো বাঁচে কি'... —সম্পর্কের শুরুতে কিংবা বিয়ের আগে এমনই মধুরতম ভালোবাসাময় বাক্য বিনিময় করেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। কিন্তু সম্পর্ক শুরু হয়ে গেলে বা বিয়ের পর?

"দুজনেই সারাদিন ব্যস্ত থাকেন। দিনশেষে অপেক্ষায় থাকেন কখন সঙ্গী বা সঙ্গিনী ফোন করবে। কিন্তু অপেক্ষা ফুরায় না। অপেক্ষার প্রহর চলতে চলতে এক বুক অভিযোগ জমিয়ে ক্লান্ত মনে হয়তো ঘুমিয়েই পড়েছেন! এতে করে অভিমান আরো গাঢ় হয়। একটা ফোন করার সময়ও কি মেলে না! কীসের এত ব্যস্ততা! কিন্তু চাইলেই তো অপেক্ষায় থাকা মানুষটি ফোন করে খোঁজ নিতে পারে! কিন্তু না, সেটা আর হয়ে ওঠেনা। তখন উত্তর হয় আমি কি তার রুটিন জানি নাকি, কেন আমিই সবসময় খোঁজ নেবো, আগে তো প্রতিবেলায় খোঁজ নিতো, মিনিটে মিনিটে ফোন!"- প্রায় সব জুটির মধ্যেই একটি কমন অভিযোগ থাকে! এই অভিযোগ আসতে পারে যেকোনো একপক্ষ থেকে অথবা দুইপক্ষ থেকেই। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অভিযোগটি করেন অপেক্ষায় থাকা মানুষটি। দুজনেই হয়তো পড়াশোনা করছেন অথবা দুজনেই চাকুরিজীবী। ব্যস্ততা দুজনেরই। তবু অপরপক্ষ থেকে একটু সময়, একটু খেয়াল আশা করা দোষের কিছু নয়। যদি আলাদা করে খোঁজ নাই রাখেন, যদি ব্যস্ততাকেই বড় করে দেখা হয় তবে সম্পর্ক শীতল হতে বাধ্য!

সম্পর্ক হচ্ছে একটি সুতোর মতো। যদি দুইপক্ষ থেকেই টানটান করে ধরে রাখা হয় তবেই এটি ঠিক থাকে। যেকোনো একপক্ষ একটু শিথিল হলেই সম্পর্ক আর আগের অবস্থায় থাকে না। যখন আমরা কারো সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে সম্পর্কিত হই, সেখানে আলাদা কোনো চুক্তিপত্র থাকে না, থাকে কিছু প্রত্যাশা। সে আমাকে বুঝবে, সে আমাকে চাইবে, সে আমাকে ভাববে- এমন চাওয়া না থাকলে সেই সম্পর্ক প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে না। ঝামেলা বাঁধে যখন প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তি ঠিক মেলে না। তখনই সেই কমন অভিযোগ উঠে আসে- "তুমি আর আমাকে আগেরমতো বোঝো না!"
আর একারণেই কি সম্পর্কের শুরুতে একপক্ষের আগ্রহ বেশি থাকে আর সম্পর্কের পরে সেটি কমে যায়? বিশেষজ্ঞরা হয়তো সেটাকে ব্যাখ্যা করে এভাবেই বলবেন যে, একটা সময় দায়িত্ববোধের জন্য ব্যস্ততা তুলনামূলক বেড়ে যায়, আর একারণেই এই দূরত্ব। কিন্তু অপরপক্ষ তো সেটি মানতে নারাজ।  তার ভাষ্যমতে, ব্যস্ততা তো আমারো আছে। তারমানে তো এই না যে আমি তোমায় মনে করছিনা বা তোমাকে ভুলেই গিয়েছি। এভাবেই মান-অভিমান-অভিযোগ চলতে থাকে আর মধুময় ভালোবাসায় তিক্ততা বাড়ে।

আপনার এতসব ব্যস্ততার মাঝে নিজেকে একটু জিজ্ঞাসা করুন তো, এই যে ব্যস্ততার মাঝে যে রোদ আপনাকে ছুঁয়ে যায়, তা বুঝতে পারেন কিনা। বাড়ি ফেরার পর যে মানুষটা ঘরের দরজা খুলে তার ভালোবাসার অনুভব হয় কিনা। হয়তো বলবেন কাছের মানুষগুলোকে সুখী দেখতে চাওয়া, তাদের আর্থিক নিরাপত্তা, তাদের সুখের জন্যই তো এত আয়োজন, এত ব্যস্ত থাকা। আজ এখন ব্যস্ততাকে ভালোবেসে হয়তো একদিন কাছের মানুষগুলোকে ভালোবাসা দেয়ার ইচ্ছা অবাধে। এমনও তো হতে পারে যখন অবসর মিলবে, তখন ভালোবাসা নেয়ার মানুষগুলোর অস্তিত্বই হয়তো আর জীবনে থাকবেনা! আজ যেখানে আপনার বাড়িতে আসার অপেক্ষায়, খাবার টেবিলে, চায়ের কাঁপে, কিংবা  বিছানার চাদরে যে মানুষগুলোর হাত পড়েছে, সেই হাতগুলো যদি একদিন পঙ্গু হয়ে মরে যায় কেবল আপনার অবসরের অপেক্ষায় থেকে থেকে, কেবল আপনার কাছ থেকে ভালোবাসার দুটো শেষ কথা শুনবার আশায়? ব্যস্ততা কি তবে অবসরেও মুক্তি দেবে তাকে?

আমি যদি বলি কাছের মানুষগুলোর চোখে চোখ মেলে একবার দেখুন, একটাবার তার বা তাদের হাত ধরুন, আজই খাবার টেবিলে অন্তত একবার তাদের বলুন, আপনার জীবনে সে কতটা মূল্যবান। তাহলে হয়তো বলবেন, আবেগে জীবন চলে না, জীবনে চলতে গেলে ব্যস্ত হতে হয়, আর সেই ব্যস্ততাকে ভালোও বাসতে হয়! আপনার কাছে প্রিয়জনের মূল্য নেই, কিন্তু সেই একটা-দুটো মানুষের কাছে হয়তো আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান কেউ। আপনার ভালোবাসা অকাতরে বিলিয়ে দিলে হয়তো সেটা কেবল সময়ের অপচয় বলেই মনে হবে, কিন্তু যে মানুষটা রোজ আপনার ঘরে ফেরার প্রতীক্ষায় থাকে, যে মানুষটা রোজ আপনার সুন্দর জীবনের প্রার্থনায় মগ্ন থাকে, সেই মানুষটার জীবনে আপনিই কিন্তু সময়! সেই মানুষটার জীবনে সময় মানেই ভালোবাসা! জীবনে বড় হতে পারাটা বাধ্যতামূলক, কোন কিছুর বিনিময়েই তাকে এড়ানো যায় না, কিন্তু বেড়ে উঠতে পারাটা ঐচ্ছিক। আর সেই ইচ্ছেটাকে পূরণ করার ক্ষমতা-যোগ্যতা সবার থাকে না।

ভালোবাসার জন্য আপনি কী করতে চান?  এমন প্রশ্নের উত্তরে হয়তো অনেকগুলা বিষয়ে একটি লম্বা কর্মতালিকা করতে পারবেন। কিন্তু তা না করে ভালোবাসার মানুষের জন্য এমন কিছু কাজ আছে যেগুলো করা উচিত নয় সেটা আগে বুঝুন। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গেলে অনেক সমঝোতা এবং ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, তার মানে এই নয় যে আপনি আপনার জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে সুখি রাখতে গিয়ে নিজে যন্ত্রণা ভোগ করবেন। আপনি যখন কাউকে ভালবাসবেন তখন সেই কেবল হবে আপনার চিন্তাশক্তির মালিক। তার ভালোলাগা মন্দ লাগা আপনার কাছে বিশাল ব্যাপার হবে। ছোট ছোট ব্যপার নিয়ে আপনি তার সাথে ঝগড়া করবেন। তার করা কাজগুলোতে আপনি আপনার নিজেকে খুঁজবেন, তাকে কীভাবে সুখে রাখা যায় তা খুঁজে বের করবেন। আবেগের ক্ষেত্রে আপনি অনেক কিছুই বলতে পারবেন কিন্তু শেষ মুহুর্তে এসে আর করতে পারবেন না। তার চিন্তাশক্তিতে আপনি নিজেকে না আপনার চিন্তাশক্তিতে তাকে রাখতে চাইবেন।

তাই রাগ, অভিমান হয়ে থাকলে শুরুতেই সেটা ভুলতে চেষ্টা করুন। ক্ষমা মানুষের একটা বড় গুণ। তবে এই গুণ রয়েছে এমন মানুষ বিরল। মুখে বললেও কাউকে ক্ষমা করতে উদারতায় টান পড়ে। সঙ্গীর আচরণ আপনাকে আহত করলেও মুখ ফুটে তা না বলায় জমতে থাকে অভিমানের পাহাড়। আর তার ফলে নিজের অজান্তেই তৈরি হয় প্রতিশোধ স্পৃহা। যার পরণতি ভয়ানক। তাই সময় থাকতে সাথের মানুষটিকে বুঝিয়ে বলুন। সম্পর্কের সজীবতা বজায় রাখতে গেলে অনবরত ভাবনা বিনিময় খুব দরকারি বলে মত মনোবিদদের। তাদের মতে, যোগাযোগের অভাব থেকেই সম্পর্কে ফাটল তৈরি হয়। আর তাতে ঢুকে পড়ে তৃতীয় ব্যক্তি। তাই অভিমান জমিয়ে না রেখে বলে ফেলুন প্রিয়জনকে।

আমাদের জীবনে ভালোবাসা আছে বলেই তো ভালোবাসার মানুষের মাঝে আমরা খুঁজে বেড়াই আমাদের মনের মাঝে সুপ্ত থাকা সকল চাওয়া-পাওয়াগুলো। আপনি কিভাবে তাকে নিয়ে কোথায় যেতে চান কি করতে চান সবকিছু থাকে এই ভালোবাসার কাছে বন্দি। ভালোবাসার কোন আকার নেই। তবে আপনি ভালোবাসাকে যেদিকে নিয়ে যাবেন আপনার সামনে থাকা সময়গুলো ঠিক সেদিকেই যাবে। ভালোবাসায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যাকে ভালোবাসেন সে আপনাকে ঠিক কিভাবে চায় সেটাও লক্ষ্য করুন! ভালোবাসায় আকাঙ্ক্ষা থাকবেই। তবে আপনি আকাঙ্ক্ষাকে ভালোবাসা মনে করছেন কিনা সেটা আগে বুঝে নিন। ভালোবাসা কোনো চুক্তিবদ্ধ দলিল নয়। তবে এটি হচ্ছে সেই যোগাযোগ মাধ্যম যাতে প্রয়োজন পড়ে না কোনো তারের কিংবা সংযোগের। মনের টানই একে অন্যের প্রতি বিশ্বাস জন্ম নেয় ভালোবাসা হিসেবে। ভালোবাসায় যেমন থাকে মধুর স্মৃতি তেমনি থাকে খারাপ মুহূর্তের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতাও। আর এসব কিছুই একটি প্যাকেটে পুরেই জীবনের যাত্রা শুরু হয়। ভালোবাসা একটি পরিবারকে জুড়ে রাখার অদৃশ্য বন্ধন। ভালোবাসা কিছুটা লবণের মতো! যা ব্যবহার না করলে আপনার জীবনের স্বাদ আপনি বুঝবেন না। এই তর্ক, বিতর্কের মাঝেই বেঁচে থাকে সত্যিকারের ভালোবাসা। কারণ মান-অভিমান যতোই হোক, দিনশেষে তো সেই প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসাটাই সত্যি!

চিত্রঃ ভালোবাসা! সে কি কেবল ব্যস্ততার খামেই বন্দি?
ছবিঃ সংগৃহীত
যুদ্ধ কিংবা হিংসা নয় আসলে এই পৃথিবীকে টিকিয়ে রেখেছে ভালোবাসা। ব্যস্ততা হচ্ছে জীবনের জন্য আর জীবন হচ্ছে ভালোবাসার জন্য। তাই এক্ষেত্রে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে ভালোবাসাকেই জয়ী ঘোষণা করে কাছের মানুষটিকে বলে ফেলুন ভালোবাসি সেই সাথে গানের ভাষায় বলতে পারেন-
"ভালোবেসে সখি নিভৃতে যতনে, আমার নামটি লিখো,
তোমার মনের মন্দিরে... আমার পরাণে যে গান বাজিছে,
তাহার তালটি শিখো তোমার চরণ মঞ্জিরে..."


বসন্তের ছোঁয়া লাগুক প্রানে.........

বসন্তের ছোঁয়া লাগুক প্রানে.........

শীতের হিম বিদায় নেবার কাল প্রায় উপস্থিত, ক'দিন বাদেই চলে আসবে বসন্ত। কোকিল যেন তার কুহু সুরে প্রকৃতিতে বসন্তের আগমনী বার্তা পাঠাচ্ছে। এ সময়েই শীতের জীর্ণতা সরিয়ে ফুলে ফুলে সেজে ওঠে প্রকৃতি। গাছে প্রকৃতিতে চলে মধুর বসন্তে সাজ সাজ রব। কচি পাতায় আলোর নাচনের মতই বাঙালির মনেও দোলা লাগায়। প্রকৃতির মতোই তরুণ-তরুণীর মনে দোলা দিয়ে যাচ্ছে বসন্তের রং। তাই তো তরুণীর রঙিন সাজেও ঘটে এই বসন্তের বহিঃপ্রকাশ। বসন্ত মানেই প্রকৃতিতে রঙের ছড়াছড়ি। তাই এই দিন নিজেকে রাঙান প্রকৃতির রঙে। তাহলে জেনে নিন কীভাবে সাজতে পারেন এই বসন্তে।

চিত্রঃ বসন্তের ছোঁয়া লাগুক প্রানে.......।  ছবিঃ সংগৃহীত

বসন্তকে আপন রঙে সাজাতেই যেন হলুদ ফুলেরা সোনা রং ধারণ করে। হলুদ রংটার ভেতর একটা আগুনলাগা সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। হলুদ আর কমলায় মাখামাখি হয়ে বসন্তের একটা আলাদা রং দাঁড়িয়ে গেছে। বাসন্তী বা হলুদ বসনেই বসন্তবরণ উৎসব পার হয়। অনেকে তা থেকে খুব একটা সরতে চান না, আবার ভিন্নতাও চাচ্ছেন, তেমন মেয়েরা গেরুয়া বা বাদামি রঙ বেছে নিন চোখ বুজে। শাড়িতে এসব রঙ দিনের উৎসবে বেশ মানানসই। শাড়ির পাশাপাশি এখন সালোয়ার-কামিজ,কুর্তি কিংবা ফতুয়াও চলে বেশ।

চিত্রঃ বসন্তের ছোঁয়া লাগুক প্রানে.......।  ছবিঃ সংগৃহীত

শাড়ি পরতে চাইলে সুতি, অ্যান্ডি, তাঁত বা জামদানি যাই পরা হোক, রঙের বেলায়ও সহমত অধিকাংশ তরুণীর। বাসন্তী, সবুজ, কমলা, লাল, নীল এগুলোই থাকবে পোশাকে। শাড়ি হতে পারে একদম এক রঙের। শুধু পাড়ে থাকতে পারে রঙের ছড়াছড়ি কিংবা পুরো শাড়িতেই থাকতে পারে ব্লক ও জরির কাজ। ব্লাউজের কাটে আনতে পারেন ভিন্নতা। যারা ছোট হাতা পরেন তাদের জন্য ব্লাউজ হতে পারে ম্যাগি হাতা কিংবা ঘটি হাতা। একপেঁচে শাড়ি পরা হলে এরকম ব্লাউজ ভালো দেখাবে। আর যারা ছোট হাতা পরেন না, তারা পরতে পারেন হাতের থ্রি-কোয়াটার হাতা বর্ডারে কুচি, কিংবা বর্ডারে বসাতে পারেন চুমকি বা জরির লেস। তবে সেটা যেন চিকন হয়। বসন্তের সাজে যেকোনো রঙের শাড়ির সঙ্গেই গাড় লাল রঙের ব্লাউজ ভালো দেখায়। এক রঙা ব্লাউজে এমব্রয়ডারী করানো যেতে পারে, সেই সাথে করাতে পারেন জারদৌসি ওয়ার্কও।

চিত্রঃ বসন্তের ছোঁয়া লাগুক প্রানে.......।  ছবিঃ সংগৃহীত

বসন্তকে আপন রঙে সাজাতেই যেন হলুদ ফুলেরা সোনা রং ধারণ করে। হলুদ রংটার ভেতর একটা আগুনলাগা সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। হলুদ আর কমলায় মাখামাখি হয়ে বসন্তের একটা আলাদা রং দাঁড়িয়ে গেছে। বাসন্তী বা হলুদ বসনেই বসন্তবরণ উৎসব পার হয়। তাই এইদিনে মেকাপে ত্বকের খুঁত ঢাকা নয়; বরং ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করুন। বেশি কিছু নয়, হালকা আইশ্যাডো, কাজল আর লিপগ্লসটাই এ দিনের সাজে পূর্ণতা আনবে। বসন্তের প্রথম দিনটার স্বাভাবিক যে বর্ণচ্ছটা, তাকে আর কৃত্রিম রঙে রাঙানোর প্রয়োজন নেই। পোশাকের রঙে ঔজ্জ্বল্য তো থাকছেই, সাজটা না হয় সেদিন সাদাসিধেই থাকল। সুতির শাড়ি হলে মাটির গয়না পরতে পারেন। কিংবা কাঠ বা পুঁতির গয়নাও ভালো লাগবে সুতি শাড়ির সাথে। হাত ভর্তি কাঁচের চুড়ি পরে নিন। তবে যদি সম্পূর্ণ ব্লাউজেই জমকালো কাজ থাকে, তাহলে গলা ও হাত বাদ দিয়ে কানে ঝুমকা পরে নিন।

চিত্রঃ বসন্তের ছোঁয়া লাগুক প্রানে.......।  ছবিঃ সংগৃহীত

উজ্জ্বল হলুদরঙা ফুল ছাড়া যেন পূর্ণই হয় না বসন্তে বাঙালি নারীর সাজ। কারণ, বাঙালি নারীর লাবণ্যের সঙ্গে ফুলটা জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে। চুলে তাজা ফুলের ব্যবহার তো আপনাকে রঙিন করেই। চুলটা খোলাই ভালো লাগবে এমন দিনে। আর যদি কেউ চুল খোলা রাখাতে না চান, সেক্ষেত্রে হালকা করে চুলটা বেঁধে নিন। তবে এই সময়ে চুলে মেসি ভাবটা অনেক ভালো লাগবে। এ ছাড়া খোলা চুলে পরতে পারেন ফুলের কোনো ব্যান্ড। খোঁপায় গুজে দিতে পারেন কয়েকটা ফুল। আপনার চুল যদি বেশ বড় হয় সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে চুলে বেনুনিও করে নিতে পারেন। আর হ্যাঁ হাতে কিন্তু অবশ্যই থাকবে রিনিঝিনি রেশমি কাচের চুড়ি।

যারা সারাদিন বাইরে থাকার পরিকল্পনা করছেন, তারা হাই হিল ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। এতে আপনার পায়ের ক্ষতি কম হবে, আর আপনি নিজেও স্বস্তি অনুভব করবেন। শাড়ির সাথে নিতে পারেন মিডিয়াম সাইজের ব্যাগ কিংবা বটুয়া। এক পেঁচে শাড়ি পরলে বটুয়া মানায় ভাল। আর কুচি দিয়ে পরলে ব্যাগ কিংবা ক্লাচ নিতে পারেন। দুটোতেই মানিয়ে যাবে আপনাকে। ব্যাগে একটি পানির বোতল আর ছাতা বহন করুন। ছবিঃ সংগৃহীত

মজাদার কুমড়ো ফুলের বড়া রেসিপি

মজাদার কুমড়ো ফুলের বড়া রেসিপি

বিকেলের নাস্তায় যত রকমের ভাজা বড়া রাখা যায় তারমদ্ধে কুমড়ো ফুলের বড়ার স্বাদটা অসাধারণ। এই অসাধারণ খাবারের আয়োজন আর প্রস্তুতি খুব স্বল্প পরিসরেই হয়ে যায়। এই বড়া গরম ভাতের সাথে খেতে ও অসাধারণ।

চিত্রঃ কুমড়ো ফুলের বড়া। ছবিঃ সংগৃহীত
কুমড়ো ফুলের বড়া। ছবিঃ সংগৃহীত

উপকরণঃ

কুমড়া ফুল, মসুরের ডাল বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা, পেয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, চালের গুঁড়া, হলুদ সামান্য, লবন, তেল পরিমানমতো

প্রনালীঃ

প্রথমেই কুমড়ো ফুল ভাল করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। কুমড়া ফুল বাদে সব উপকরন এক সাথে ভাল করে মাখিয়ে নিন। এবার ফুলের দুই পাশে ডালের পেস্ট দিয়ে ভাল করে ঢেকে দিন। ডুবো তেলে মচমচে বাদামি কালার করে ভাজুন। কাঁচা পেয়াজ দিয়ে গরম ভাতের সাথে এই বড়া খেতে অনেক ভীষণ মজা। 

মেকআপ ছাড়াই নিজেকে করে তুলুন অনন্য

মেকআপ ছাড়াই নিজেকে করে তুলুন অনন্য

সবার মাঝে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আজকাল যেন প্রতিযোগিতা চলতে থাকে। বেস মেকআপ, আই মেকআপ, গ্লস, সীমার ইত্যাদি কত রকমের মেকআপই না ব্যবহার করতে হয় নিজেকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে। আমরা এখন ভুলেই গিয়েছি মেকআপ ছাড়াই রয়েছে আমাদের আসল সৌন্দর্য। আসলে পরিচ্ছন্ন, সঠিক এবং মার্জিতভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারাটাই আসলে নিজেকে সুন্দর দেখানো। চলুন জেনে নেয়া যায় মেকআপ দেয়া ছাড়াও কিভাবে নিজেকে সুন্দভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়।
চিত্রঃ মেকআপ ছাড়াই নিজেকে করে তুলুন অনন্য
মেকআপ ছাড়াই নিজেকে করে তুলুন অনন্য। ছবিঃ সংগৃহিত

১। নিজেকে আবিষ্কার করুনঃ চেহারা সুন্দর দেখানোর জন্য একগাদা মেকআপের প্রয়োজন নেই। আবিষ্কার করুন আপনার চেহারার কোন বিষয়টি আকর্ষণীয় সুন্দর। হতে পারে তা আপনার স্কিন, আইভ্রু, চোখ, ঠোঁট, ফেস কাটিং, চুল ইত্যাদি। যে অংশটাই সুন্দর হোক না কেন তাই আপনার আসল বৈশিষ্ট্য। আর সে অংশটিই প্রকাশ করুন সুন্দরভাবে।

২। ফ্যাশনেবল এবং মার্জিত পোশাক পড়ু্নঃ বর্তমানে পোশাকের কোন ট্রেন্ড বেশি চলছে তার দিকে খেয়াল রাখুন এবং সে অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করুন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সেই পোশাকটি মার্জিত এবং আপনাকে মানিয়েছে কিনা। সেই সাথে খেয়াল রাখুন আপনার দৈহিক গড়নের দিকটিও যেমন- আপনার উচ্চতা, শারীরিক গঠন, গায়ের রঙ ইত্যাদি অবশ্যই বিবেচনায় রাখা উচিত।

৩। পরিচ্ছন্ন থাকুনঃ সুন্দর মানেই একগাদা মেকআপ ব্যবহার করা নয়। নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাটাই আসল সৌন্দর্য। শুধু দুর্গন্ধ এড়ানোর জন্যই নয় আপনার উপস্থিতি প্রকাশের জন্যও প্রয়োজন সুগন্ধের। তাই এমন পারফিউম ব্যবহার করুন, যা আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানায়। সেই সাথে প্রতিদিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধানের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলুন নিজেকে।

৪। মানসিকতার পরিবর্তনঃ পৃথিবীতে স্রষ্টার প্রতিটি সৃষ্টিই অতুলনীয় সুন্দর। তাকে আলাদাভাবে অন্যকিছুর মাধ্যমে বিশেষ সুন্দর করার আসলে প্রয়োজন নেই।এই জন্য যা প্রয়োজন তাহলো প্রচলিত কিছু চিন্তা ধারার পরিবর্তন করা। প্রথমে নিজের আত্মবিশ্বাস প্রয়োজন যে, আমি যা আছি যেভাবে আছি তাতেই নিজেরমতো সুন্দর। সুন্দর মানে গায়ের রঙ বা দামি পোশাক নয়। আসলে পরিচ্ছন্ন, সঠিক এবং মার্জিতভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারাটাই আসলে নিজেকে সুন্দর দেখানো।

শরীরের গড়ন অনুযায়ী হউক শাড়ির বাছাই

শরীরের গড়ন অনুযায়ী হউক শাড়ির বাছাই

নারীর সঙ্গে শাড়ি, দুটি শব্দ জড়িত। বাঙালি নারী বলতে যেনো একজন শাড়ি পরিহিতাকেই আমরা মনের চোখে কল্পনা করি। আধুনিককালে প্রতিদিন না পড়লেও বিশেষ দিনগুলোতে বাঙালি নারীদের অধিকাংশকেই দেখা যায় শাড়িতে। এমনকি অনেক কর্পোরেট ক্ষেত্রেও শাড়ি ইদানীং একটি আধুনিক ফ্যাশন। ১২ হাতের এই পোশাকটি যদি শারীরিক গঠনের সঙ্গে মানানসই হয় তাহলেই ফুটে ওঠে শাড়ি পড়ার আসল সোন্দর্য। তাই  শাড়ি বাছাই করার সময় আপনিও খেয়াল রাখুন কিছু দিকঃ

সাজপোশাক-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, খাটো, লম্বা বা মাঝারি গড়ন হিসেবে শাড়িও পড়তে হবে মানানসই ভাবে। শাড়ি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রধানত কাপড়ের ধরন ও রংয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হয়। নিজের জন্য কোন ধরনের শাড়ি উপযুক্ত তা বোঝার জন্য আগে বিভিন্ন ধরনের শাড়ি পরে দেখা যেতে পারে। তবে উচ্চতা, ওজন ও শারীরিক গঠন ইত্যাদি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। এরপর যেতে হবে শাড়ির কাপড় এবং নকশার দিকে।

চিত্রঃ শরীরের গড়ন অনুযায়ী হউক শাড়ির বাছাই। ছবিঃ সংগৃহীত
শরীরের গড়ন অনুযায়ী হউক শাড়ির বাছাই। ছবিঃ সংগৃহীত

>> হাল্কা পাতলা গড়নের মেয়েদের  শাড়ি বাছাইয়ে স্বাধীনতা বেশি। চাইলে এমন শাড়ি বেছে নিতে পারেন যাতে স্বাভাবিক শারীরিক গঠন ফুটে উঠবে বা এমন কাপড়ের শাড়ি বেছে নিন যাতে দেখতে কিছুটা মোটা লাগবে।
>> যারা তুলনামূলক বেশি চিকন স্বাস্থ্যের তারা সুতি, খাদি, সিল্ক ইত্যাদি শাড়ি পরতে পারেন। এই ধরনের শাড়িগুলো হালকা ফুলে থাকে। তাই সুন্দরভাবে গুছিয়ে পরলে দেখতে বেশ মানানসই লাগে।
>> তবে রংয়ের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যেকোনো রং বাছাই করা যেতে পারে। চাইলে আঁচলে, কাঁধের কাছে বা কোমরের অংশে কিছুটা কাজ করা করা শাড়ি বাছাই করা যেতে পারে।
>> স্বাস্থ্যবান বা স্থূল গড়ন হলে, হালকা ও পাতলা কাপড় যেমন- জর্জেট, ক্রেপ, শিফন ইত্যাদি কিছুটা ভারী শারীরিক গঠন যাদের তাদের জন্য উপযোগী।
>>ভারী কাপড়ে ও নকশায় তৈরি শাড়ি যেমন- সুতি, কাতান, বেনারসি ইত্যাদি পরলে কিছুটা ফুলে থাকে। ফলে আরও স্ফিত দেখাতে পারে।
>> হালকা রংয়ের পরিমিত এম্ব্রয়ডারি করা শাড়ি এই ধরনের শারীরিক গঠনের জন্য আদর্শ। নকশা ছাড়া শাড়ির ক্ষেত্রে গাঢ় রংগুলো প্রাধান্য দিতে পারেন। কারণ কালো বা এর আশপাশের গাঢ় রংগুলো পরার ফলে শারীরিক গঠন কিছুটা চাপা দেখায়।
>> খাটো গড়নের মেয়েরা প্রথমেই বেছে নিন গাঢ় রংয়ের শাড়ি। এতে দেখতে কিছুটা লম্বা লাগবে। চওড়া পাড়ের শাড়ি কখনও খাটোদের জন্য উপযোগী নয়। কারণ দেখতে আরও খাটো লাগতে পারে।
>> উচ্চতায় কম হলে, ব্লাউজের হাতা লম্বা রাখুন। এতে হাত দেখতে কিছুটা লম্বা লাগবে। গলা বেশি মোটা না হলে চায়নিজ কলারের ব্লাউজ বেছে নিতে পারেন। আর নিজেকে কিছুটা লম্বা হিসেবে উপস্থাপন করতে সুন্দরভাবে ভাঁজ গুছিয়ে শাড়ি পরুন।
>> লম্বা গড়নের মেয়েদের শাড়িতে স্বাভাবিকভাবেই দেখতে কিছুটা লম্বা লাগে। তারা ভারী কাজ করা কালো বা গাঢ় রংয়ের আকর্ষণীয় ছাঁটের ব্লাউজ বেছে নিন। প্রিন্টের শাড়ি লম্বাদের জন্য আদর্শ। অনুষ্ঠানের জন্য ল্যাহেঙ্গা শাড়ি বেশি মানানসই।

জেনে নিন ভ্যাসলিনের চমৎকার কিছু ব্যবহার

জেনে নিন ভ্যাসলিনের চমৎকার কিছু ব্যবহার

চিত্রঃ জেনে নিন ভ্যাসলিনের চমৎকার কিছু ব্যবহার
জেনে নিন ভ্যাসলিনের চমৎকার কিছু ব্যবহার
শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকায় ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে পড়ে। এ সময় ত্বকে আর্দ্রতার ঘাটতি পূরণে ভ্যাসলিনের জুড়ি মেলার ভার। পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভ্যাসেলিন ত্বককে নরম ও মসৃণ করে। কিন্তু ঠোট কিংবা পা ফাটা রোধ করা ছাড়াও আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজে রয়েছে ভ্যাসলিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার। যাদের ত্বক খুব বেশি শুষ্ক তারা ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ভ্যাসলিন ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বককে প্রয়োজনীয় ময়েশচার করে ত্বককে নরম করে। চলুন জেনে নেয়া যাক ভ্যাসলিনের এমন না জানা কিছু ব্যবহারের কথাঃ

ঠোঁটের যত্নেঃ
চিত্রঃ ভ্যাসলিনের ব্যবহার

ভ্যাসলিন ঠোঁটের জন্য খুব ভালো এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। নরম ও সুন্দর ঠোঁট পেতে ঠোঁটে ভ্যাসলিন লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর একটি টুথব্রাশ দিয়ে হালকা করে ঘষুন। এরপর নরম একটি কাপড় দিয়ে ঠোঁট মুছে ধুয়ে ফেলুন। এটি ঠোঁটের মরা কোষ দূর করে ঠোঁটকে নরম করে।

পারফিউমের গন্ধ ধরে রাখতেঃ


চিত্রঃভ্যাসলিনের ব্যবহার

পারফিউম দেওয়ার আগে হাতে বা গলায় ভ্যাসলিন লাগিয়ে সেখানে পারফিউম স্প্রে করুন। এটি অনেকক্ষণ পর্যন্ত পারফিউমের সুগন্ধ ধরে রাখতে সাহায্য করে।

চোখের পাপড়ি ঘন করতেঃ

চিত্রঃভ্যাসলিনের ব্যবহার

চোখের পাপড়ি ঘন ও লম্বা করতে ব্যবহার করতে পারেন ভ্যাসলিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখের পাপড়িতে ভ্যাসলিন লাগান এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন।

আংটি খুলতেঃ
চিত্রঃভ্যাসলিনের ব্যবহার

হাতের আঙ্গুলে টাইট হয়ে লেগে থাকা আংটি খুলতে সেখানে ভ্যাসলিন লাগান। সহজেই খুলে যাবে আংটি।

নখের ভাঙা রোধেঃ
চিত্রঃ ভ্যাসলিনের ব্যবহার

নখ ভাঙ্গা থেকে রক্ষা পেতে এবং নখকে শক্ত করতে ভ্যাসলিনের সঙ্গে গ্লিসারিন মিক্স করে নখে লাগান। অথবা শুধু ভ্যাসলিনও ব্যবহার করতে পারেন।

চুলের আগা ফাটা রোধেঃ

চিত্রঃ ভ্যাসলিনের ব্যবহার

চুলের আগা ফাটা রোধ করতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুলের আগায় একটু ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে চুলের আগা ফাটা কমে যাবে।

কানে দুল পরতেঃ
চিত্রঃভ্যাসলিনের ব্যবহার

যাদের কানের দুল পরতে সমস্যা হয় বা কানের ছিদ্রে ব্যথা অনুভব করেন তারা পরার আগে সেখানে ভ্যাসলিন মেখে নিন। তাহলে খুব সহজেই কানের দুল পরতে পারবেন এবং ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।

জুতার উজ্জলতা বৃদ্ধিতেঃ

চিত্রঃ ভ্যাসলিনের ব্যবহার

জরুরি কোন কাজে পরিপাটি হতে হবে কিন্তু হাতের কাছে সু পলিশ নেই। কোন চিন্তা নেই! সামান্য ভ্যাসেলিন নিয়ে জুতা ভাল করে কাপড় দিয়ে মুছে নিন। নতুনের মত ঝকঝকে হয়ে যাবে।

মরিচা প্রতিরোধেঃ

চিত্রঃ ভ্যাসলিনের ব্যবহার

লোহার তৈরি নানান টুলসে প্রায়ই মরিচা পড়ে। ভ্যাসলিন ব্যবহার করে সহজেই এ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কারণ ভ্যাসলিনের আস্তরনটির কারণে পানি ধাতুর সংস্পর্শে আসবে না। তাই মরিচাও পড়বে না!

পিঁপড়া ঠেকিয়ে রাখতেঃ

চিত্রঃ ভ্যাসলিনের ব্যবহার

খাদ্যপাত্রে রাখা আপনার পোষা প্রাণীর খাবার পিঁপড়ার সম্ভাব্য আক্রমন থেকে রক্ষা করতে পারেন। খাদ্যপাত্রের তলদেশের চারিদিকে ভ্যাসেলিন মাখিয়ে দিন যাতে পিঁপড়া এর থেকে দূরে থাকে। ছবিঃ সংগৃহীত

অতিরিক্ত গ্রিন টি পানের স্বাস্থ্য ঝুঁকি

অতিরিক্ত গ্রিন টি পানের স্বাস্থ্য ঝুঁকি

গ্রিন টি স্বাস্থ্যকর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে, রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ওজন কমতে সাহায্য করে। এতো সব উপকারিতা সত্ত্বেও অতিরিক্ত গ্রিন টি পান করার ফলে স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
চিত্রঃ অতিরিক্ত গ্রিন টি পানের স্বাস্থ্য ঝুঁকি
অতিরিক্ত গ্রিন টি পানের স্বাস্থ্য ঝুঁকি

১। ক্যাফেইন এর মাত্রাতিরিক্ততাঃ গ্রিন টি ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয়। তাই হৃদস্পন্দন দ্রুত হওয়া, পেটের সমস্যা, অস্থিরতা, উদ্বিগ্নতা, ইনসমনিয়া এবং কম্পনের মত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যদি কেউ নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন তাহলে তার শরীর ক্যাফেইন এর প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়বে এবং এটি পান করা বন্ধ করে দিলে ব্যক্তির শরীরে বিরক্তিভাব, নিদ্রালুতা এবং মাথাব্যথার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। কারন কেউ যদি এর প্রতি সংবেদনশীল হন তখন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

২। আয়রনের শোষণে বাঁধাঃ চা এ ফ্লেভনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আপনার শরীরে সুরক্ষা প্রভাব দিতে পারে এবং শরীরে আয়রন শোষিত হওয়া প্রতিরোধ করে। খাওয়ার সময় গ্রিন টি পান করলে আয়রনের শোষণ ৭০ শতাংশ কমে। তাই খাওয়ার পর পরই চা পান করতে হলে চায়ের সাথে লেবুর রস মেশান, এতে আয়রন যুক্ত হয়ে যাওয়ার প্রভাব কমবে।

৩। মিষ্টি চাঃ যদি আপনি গ্রিন টি এর সাথে চিনি মেশান তাহলে আপনি অস্বাস্থ্যকর ক্যালোরি গ্রহণ করছেন। বোতলজাত গ্রিন টি এর প্রতি কাপে ৩০-৯০ ক্যালোরি থাকে। আপনার চায়ের কাপে প্রতি চামচ চিনিতে ১৬ ক্যালোরি থাকে।

৪। স্বাস্থ্য জটিলতাঃ যদিও গ্রিন টি পান করা নিরাপদ, তবে অতিরিক্ত পান করার ফলে স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে যেমন- দুশ্চিন্তায় ভোগেন যারা তাদের উদ্বিগ্নতা আরো বৃদ্ধি পায় এবং ডায়রিয়া হলে চা পান করলে সমস্যা আরো বৃদ্ধি পায়। মেডলাইন প্লাস এর মতে, অ্যানেমিয়া, গ্লুকোমা, হৃদরোগ বা ব্লিডিং সমস্যা থাকলে গ্রিন টি পান করা নিরাপদ নয়।

দিনে কতবার পান করা যায় গ্রিন টি?
দিনে ৫ বারের বেশি গ্রিন টি পান করা ঠিক নয়। দিনে ৩ কাপ গ্রিন টি পান করাই যথেষ্ট ওজন কমানোর জন্য। খালি পেটে গ্রিন টি পান করা ভালো, এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের শোষণ ভালো হয়।

নতুন জুতায় পায়ে ফোস্কা!

নতুন জুতায় পায়ে ফোস্কা!

পায়ের সুরক্ষা ও ময়লা থেকে পা-কে নিরাপদ রাখতে কিংবা ফ্যাশানের অনুষঙ্গ হিসেবে জুতা ছাড়া কোন বিকল্পই নেই। তবে নতুন জুতার ক্ষেত্রে হতে পারে পায়ে জ্বালাপোড়া এবং পরে দেখা যায় নতুন জুতার কারণে পায়ে ফোস্কা পড়ে গেছে। পায়ের ফোস্কা এড়াতে যা করতে পারেনঃ
চিত্রঃনতুন জুতায় পায়ে ফোস্কা!
নতুন জুতায় পায়ে ফোস্কা!

নারিকেল তেলঃ
নারিকেল তেল জুতা স্যান্ডেল থেকে পায়ে পরা ফোস্কা সারাতে সব থেকে ভালো উপাদান। এক চা চামচ কর্পূর এর সাথে সামান্য নারিকেল তেল মিশিয়ে আপনার পায়ের ফোস্কা পড়া জায়গাতে লাগান। দিনে দুইবার এটি লাগান দেখবেন তাড়াতাড়ি ফোস্কা সারার সাথে সাথে এটি আক্রান্ত জায়গার চুল্কানিও কমিয়ে দেবে। আপনি চাইলে জুতা পরার আগেও নারিকেল তেল লাগিয়ে নিতে পারেন এতে পায়ে ফোস্কা পরবে না।

লবনঃ ঠান্ডা পানিতে লবণ দিয়ে ফোস্কা পড়া জায়গা ভিজিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। এতে জ্বালাপোড়া কমবে এবং ফোস্কার ফুলে উঠা অনেকাংশে কমে যাবে বেশ সহজেই।

টুথপেস্টঃ খুব সহজ ঘরোয়া সমাধানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে টুথপেস্টের ব্যবহার। ফোস্কা পড়া স্থানে যতো দ্রুত সম্ভব টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন। এতে ফুলে উঠা এবং ফোস্কার ভেতরের পানি খুব সহজেই কমে যাবে এবং এতে জ্বালাপোড়াও কমে আসবে অনেক।

গ্রিন টিঃ গ্রিন টির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান খুব দ্রুত ফোলা কমাতে এবং জ্বালা বন্ধ করতে সহায়তা করে। যদি হাতের কাছে গ্রিন টি না থাকে তাহলে ব্ল্যাক টি দিয়েও কাজ চালাতে পারেন। এতেও ভালো ফল পাবেন।

অ্যালোভেরা জেলঃ ফোস্কা পড়ার জ্বালা পোড়া থেকে মুক্তি পেতে আপনি অ্যালোভেরা জেল লাগান। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে পর পর ব্যবহার করলে আপনার ফোস্কার জ্বালা পোড়া কমে যাবে।

শীতে ব্রণের সমস্যার সহজ সমাধান

শীতে ব্রণের সমস্যার সহজ সমাধান

শীতকালটা অনেকেই খুব পছন্দের হলেও খুব বেশি শুষ্ক ত্বকে শীতকালে অনেকেরই ব্রণের উপদ্রব দেখা দেয়। আর তখন বেশ বিপাকে পড়তে হয়। কারণ এসময়ে ঠিক কিভাবে ত্বকের যত্নটা নেয়া উচিত এটা বুঝতে হিমসিম খেয়ে যান অনেকেই। এই শীতে ব্রণের উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়ার খুব সহজ উপায় জেনে নেয়া যাক।
চিত্রঃশীতে ব্রণের সমস্যার সহজ সমাধান
শীতে ব্রণের সমস্যার সহজ সমাধান

>> শীতকালে ব্রণের উপদ্রব থেকে বাঁচার জন্য ত্বকটাকে কিভাবে পরিষ্কার করছেন সেদিকে একটু খেয়াল রাখুন। এসময় সাবান দিয়ে মুখের ত্বক পরিষ্কার না করে ভালো ব্র্যান্ডের অয়েল ফ্রি ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। গরম পানি দিয়ে ভুলেও ত্বক ধোবেন না। সবসময়ে মুখ ধোয়ার জন্য ঠান্ডা পানি ব্যবহার করবেন। ক্ষারমুক্ত ভালো ফেসওয়াশ দিয়েও ত্বক পরিষ্কার করতে পারেন সকালে এবং রাতে।

>> অনেকেই ব্রণ উঠেছে বলে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতেও ভয় পায়। ফলে ত্বকটা আরো শুষ্ক হয়ে ওঠে এবং ব্রণের সমস্যাও কমে না। হেভি ক্রিম ব্যবহার না করে হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার সবচাইতে ভালো বন্ধু হতে পারে বেবি ক্রিম। ছোট শিশুদের ত্বকের জন্য তৈরি করা হয় বলে ক্ষতিকর কোনো কেমিক্যাল থাকে না এগুলোতে। ফলে আপনার ব্রণের সমস্যাটাকে আরো বাড়িয়ে দেয়ার সম্ভাবনা থাকে না এই প্রোডাক্টগুলোতে।

>> কম পানি পানের ফলেই শীতে দেখা দেয় ব্রণের উপদ্রব। তাই শীতেও প্রচুর পানি পান করুন।অন্তত দিনে ৮ গ্লাস পানি অবশ্যই পান করা উচিত ত্বক এবং শরীর ভালো রাখার জন্য।

>> ত্বকে ব্রণের সমস্যা হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম একটি হলো বালিশের কভার পরিষ্কার না রাখা। চুলের ধুলোময়লা বালিশের কভারে লেগে থাকে এবং তা আপনার ত্বকেও লেগে যায়। ফলে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। তাই সপ্তাহে অন্তত একবার বালিশের কভারটা বদলে ফেলা উচিত।

স্কাল্পে চুলকানি ?

স্কাল্পে চুলকানি ?

শ্যাম্পু করার পরদিন থেকেই মাথার স্কাল্প চুলকাচ্ছে? খুবই যন্ত্রণাদায়ক এই ব্যাপারটা। অনেকেই এই মাথার স্কাল্পে চুলকানির সমস্যায় ভুগছেন। খুশকিও থাকে মাথায়। জেনে নেয়া যাক স্কাল্পের চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু টিপসঃ
চিত্রঃস্কাল্পে চুলকানি?
স্কাল্পে চুলকানি?

স্কাল্পে চুলকানির কারণঃ

>> স্কাল্পে চুলকানির কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত ময়েশ্চার স্কাল্পে জমা হওয়া।

>> আরেকটি কারণ হচ্ছে, চুলের গোড়া পরিষ্কার না রাখা। অনেকেই আছেন, যারা নিয়মিত শ্যাম্পু করেন না। তাদের স্কাল্পের ঘাম, ধুলোবালি, অয়েল জমতে জমতে এক পর্যায়ে চুলকানি শুরু হয়।

>> যারা হ্যাট, হিজাব, হেয়ার এক্সটেনশন ব্যবহার করেন, তাদের মাথার ত্বক দীর্ঘ সময় ধরে ঢাকা থাকে। এ সময় ঘাম, অয়েল জমে স্কাল্পে চুলকানি হতে পারে।

>> এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, যাতে কড়া গন্ধ নেই। হার্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন এবং অ্যামোনিয়া, প্যারাবেন ফ্রি শ্যাম্পু ব্যবহারের চেষ্টা করবেন।

>> কখনোই আপনার হেয়ার ক্লিপস, হিজাব, ক্যাপ, টাওয়াল, চিরুনি  ইত্যাদি কারো সাথে শেয়ার করবেন না। এতে একজনের স্কাল্পের সমস্যা অন্যজনেরও হতে পারে।

চুলকানি দূর করার উপায়ঃ

১। একটি বড় আদার টুকরা নিয়ে এটি গ্রেট করে নিন মিহি করে। চাইলে বেটেও নিতে পারেন। আদার রসটুকু চিপে আলাদা করে নিন। আদার রসের মধ্যে ১ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস যোগ করুন। সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। একটি কটন প্যাড এই মিশ্রণে চুবিয়ে নিয়ে চুলের গোড়ায় সিঁথি কেটে নিয়ে ব্যবহার করুন। পুরো চুলে লাগানোর দরকার নেই। ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলবেন।

২। একটি বাটিতে ২ টেবিল চামচ মেথি দানা নিয়ে সারারাত অল্প পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানিসহ মেথি বেটে নিন। এর মধ্যে ১/৩ কাপ টক দই, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন।প্যাকটি মাথার স্কাল্পসহ পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন ৪০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে নিন।

গলা ব্যথা রোধের কিছু পরামর্শ

গলা ব্যথা রোধের কিছু পরামর্শ

ঋতু পরিবর্তনের ফলে হঠাৎ ঠাণ্ডা লাগা, খুব সহজেই ঠাণ্ডায় গলা ব্যথা হওয়া। সর্দি, খুসখুসে কাশি আর জ্বরও অনেক সময় গলা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ সময় কণ্ঠনালীতে সংক্রমণ হয়, প্রদাহ হয়, অনেক সময় টনসিল এবং অন্যান্য গ্রন্থি ফুলে যায় ও ব্যথা করে৷ তাই এসকল সমস্যা প্রতিরোধের জন্য সবসময় সচেতন থাকতে হবে এবংঘরোয়া উপায়ে মেনে চলুন কিছু পরামর্শ।
চিত্রঃ গলা ব্যথা রোধের কিছু পরামর্শ
গলা ব্যথা রোধের কিছু পরামর্শ

১। গলা ব্যথার জন্য গরম পানীয় খুব কার্যকর। আদা চা, কফি, মধু মিশানো জল, গরম দুধ প্রভৃতি পান করতে হবে।
২। অনেক সময় টনসিল ফুলে গলা ব্যথা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ মতো নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে।
৩। গলা ব্যথার সঙ্গে যদি ঢোক গেলার সময় কাঁটা কাঁটা অনুভূতি হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। গ্ল্যান্ড ফুলে, গ্ল্যান্ডে ইনফেকশন হলে এরকম হয়ে থাকে। সময়মত চিকিৎসা না করালে পরবর্তীতে এটি থেকে জ্বর ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪। কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে গার্গল করা, শুধুমাত্র গলার জীবাণুকেই ধ্বংস করে না, প্রদাহ ও ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। তাই এক কাপ হালকা গরম পানিতে আধা চা চামচ লবন মিশিয়ে দিনে দুই তিন বার গার্গল করা প্রয়োজন।
৫। হাঁচি, কাশি ও গলার ভিতর প্রচুর তরল নিঃসরণের জন্য শরীর অনেকটাই পানিশুন্য হয়ে পড়ে। তাই প্রচুর পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। তবে অবশ্যই ঠাণ্ডা পানি বর্জন করা প্রয়োজন।
৬। আদা, বা রসুন দিয়ে রান্না করা ধোঁয়া উঠা গরম সূপ গলা ব্যাথায় দারুণ কাজে দেয়।
৭। গলা ব্যাথায় দিনে দুই তিনবার গরম চা আমাদের অনেকটাই আরাম দিতে পারে। সেক্ষেত্রে গ্রিন টি বা হারবাল চা অনেক বেশি কার্যকর। চাইলে চায়ের মধ্যে লেবুর রস বা লবঙ্গ জাতীয় জিনিস যোগ করুন, যা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে৷

উপরোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করলে এসব সমস্যা থেকে অনেকখানি সমাধান পাওয়া যায়। তবে একটি প্রবাদ আছে, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভালো। শীতকালে পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরতে হবে। ভোর সকালে বা সন্ধ্যায় বের হওয়ার সময় মাথা ঢেকে বের হন। মাফলার, টুপি প্রভৃতি ব্যবহার করুন। মাথায় কুয়াশা পড়লে তা থেকে মারাত্মক ঠাণ্ডা লেগে থাকে। যাদের টনসিলের সমস্যা আছে তাদেরকে অবশ্যই গলা ঢেকে রাখতে হবে। ঠান্ডা পানীয় পান, ঠাণ্ডা জল ব্যবহার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।

চুলের যত্নে অ্যাভোকাডোর হেয়ার প্যাক

চুলের যত্নে অ্যাভোকাডোর হেয়ার প্যাক

শীতে চুলের রুক্ষতা এড়ানোর জন্য ব্যবহার করুন দারুন কার্যকরএকটি হেয়ার প্যাক। সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এই প্যাক নরমাল, কম্বিনেশন, ড্রাই, অয়েলি সব রকম স্কিনের অধিকারীরা ব্যাবহার করতে পারেন।
চিত্রঃচুলের যত্নে অ্যাভোকাডোর হেয়ার প্যাক
চুলের যত্নে অ্যাভোকাডোর হেয়ার প্যাক

অ্যাভোকাডোর খোসা ছিলে মাঝখান থেকে টুকরো করে ভেতরের বীজ ফেলে দিন। এরপর ছোট ছোট টুকরো করে নিন। ব্লেন্ডারে এই টুকরো অ্যাভোকাডো আর আধা কাপ দুধ ঢেলে ব্লেন্ড করে নিন, যতক্ষণ পর্যন্ত একটা ক্রিমি পেস্ট তৈরি হয়।
চুলে বিলি কেটে আঙ্গুল দিয়ে এই প্যাক পুরো চুলে লাগিয়ে নিন। এরপর চুল হাল্কা করে ক্লিপ দিয়ে খোপার মত করে বেধে রাখুন। যেটুকু রয়ে যাবে সেটুকু লাগিয়ে ফেলুন মুখে, হাতে পায়ে। ৩০ মিনিট পরে পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক চুলে পুষ্টি জোগাবে আর রুক্ষতা দূর করবে।

মেকআপ টিপস

মেকআপ টিপস

পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ওপর নির্ভর করে বাকি সাজ। শীতের সময় কেমন হবে মেকআপ, সেটি খেয়াল রাখুন। পোশাকের সঙ্গে মেকআপ ঠিক রাখতে কী কী করবেন রইল সেই রকম কিছু টিপসঃ
চিত্রঃমেকআপ টিপস
মেকআপ টিপস

* শুষ্ক ত্বকে অয়েল বেসড ময়েশ্চারাইজার, তৈলাক্ত ত্বকে অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ও কম্বিনেশন ত্বকের টি জোনে অয়েল ফ্রি এবং বাকি অংশে অয়েল বেসড ময়েশ্চারাইজার লাগান।
* হালকা মেকআপ করতে চাইলে ফাউন্ডেশনের বদলে বেছে নিন বিবি ক্রিম। গার্নিয়ার বিবি ক্রিম এই শীতে সব ধরনের ত্বকের উপযোগী।
* ডার্ক সার্কেল, ব্রণের দাগ ও ডার্ক স্পট ঢাকতে বেছে নিন লিকুইড বা ক্রিম কন্সিলার।
* শীতে বেছে নিন একটু ভারী ধরনের ক্রিম কমপ্যাক্ট পাউডার, যাতে অয়েল কন্টেন্ট বেশি থাকে। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখবে, অতিরিক্ত শুষ্ক করবে না।
* শীতে চোখের সাজে বেছে নিন ফ্রস্টি, শিমারি আইশ্যাডো। স্মোকি লুক বেশ মানাবে শীতের রাতের পার্টিতে। আইশ্যাডোর আগে লাগান ক্রিম কন্সিলার ও আইপ্রাইমার। আইশ্যাডো দীর্ঘস্থায়ী করার পাশাপাশি এটি আর্দ্রতাও দেবে।
* লিপস্টিক দেওয়ার আগে ঠোঁটে ভালো মানের লিপবাম লাগান। লিপস্টিকের বদলে ব্যবহার করতে পারেন টিন্টেড লিপবাম আর লিপগ্গ্নস।
* শীতের ফ্যাকাশে ত্বককে রঙিন করতে বেছে নিন ব্লাশ। যাদের রঙ ফর্সা ও আন্ডারটোন পিংক, তারা বেছে নিন গোলাপি বা কোরাল শেড। হলুদ আন্ডারটোন ও চাপা রঙ হলে পিচ, টেরাকোটা শেডগুলো বেশি মানাবে। পাউডার ব্লাশ-অনের বদলে বেছে নিন ক্রিম ব্লাশ।

মজাদার পনির ভেজিটেবল সালাদ

মজাদার পনির ভেজিটেবল সালাদ

উপকরণঃ পনির ৮/১০ টুকরা, শসা ২টি, টমেটো ২টি, ক্যাপসিকাম ১টি, লেটুস পাতা ১টি, বড় পেঁয়াজ গোল করে কাটা
* সবজিগুলো (পনিরসহ) চার কোনা করে কেটে নিতে হবে।
চিত্রঃমজাদার পনির ভেজিটেবল সালাদ
মজাদার পনির ভেজিটেবল সালাদ

সসের জন্যঃ  জলপাই তেল ১ কাপ, দেশি পেঁয়াজ ২টি (বড়), রসুন ৩ বা ৪টি কোয়া, আস্ত গোলমরিচ ৮/১১টি, সরিষা বাটা ১ চা-চামচ, লেবুর রস ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো
* সবগুলো উপকরণগুলো ভালো করে ব্লেন্ড করতে হবে।

প্রণালিঃ সব উপকরণ (লেটুস পাতা বাদে) সসের সঙ্গে মেখে নিন। পরিবেশনের সময় ওপরে লেটুস পাতা দিয়ে দিন।

ত্বক থাকুক সতেজ

ত্বক থাকুক সতেজ 

শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক হয়ে পড়ছে নির্জীব। কারণ শীতের রুক্ষ আবহাওয়া এবং ধুলো-ময়লায় ত্বক হয়ে ওঠে রুক্ষ এবং শুষ্ক, কেড়ে নেয় ত্বকের আর্দ্রতা। এর ফলে ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। তাই ত্বকের জন্য চাই বিশেষ পরিচর্যা।
চিত্রঃত্বক থাকুক সতেজ। ছবিঃ সংগৃহীত
ত্বক থাকুক সতেজ। ছবিঃ সংগৃহীত

* এই সময় ত্বকে ঘন ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে, যেন ত্বক শুষ্ক হয়ে না ওঠে।
শুষ্ক আবহাওয়ায় ধুলো-ময়লা বেশি থাকে। ফলে ময়লা জমে ত্বকে মৃত কোষের সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন গোসল না করলে ধুলো-ময়লা জমে লোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ত্বকে ব্রণ হয় এবং নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দেয়। প্রয়োজন হলে হালকা কুসুম গরম পানির সঙ্গে নিমপাতা সিদ্ধ পানি মিশিয়ে প্রতিদিন গোসল করতে হবে।
* ফেসিয়াল ত্বকের যত্নের জন্য জরুরি। ত্বককে সজীব রাখতে শুষ্ক আবহাওয়ায় ১৫ দিন পর পর ফেসিয়াল এবং মেনিকিউর-পেডিকিউর করা উচিত।
* তৈলাক্ত ত্বকে ময়লা বেশি জমে। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা প্রতিবার ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে লোশন লাগাবেন। যাদের ত্বক কিছুটা শুষ্ক তাদের একটু ভারী ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।
* ধুলোবালি থেকে চুল খুব তাড়াতাড়ি রুক্ষ হয়ে ওঠে। চুলের ত্বকে ময়লা জমে সৃষ্টি হয় খুশকির সমস্যা। ফলে ত্বকে অক্সিজেন প্রবেশ করতে পারে না এবং চুল ভঙ্গুর হয়ে ওঠে। নির্জীব হয়ে ঝরে পড়তে শুরু করে চুল। তাই একদিন পর পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধোয়া উচিত।
* এছাড়া চুলের রুক্ষতা কমাতে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার চুলে তেল ম্যাসাজ করে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে এবং ১৫ দিন পর পর পার্লারে গিয়ে হেয়ার ট্রিটমেন্ট করালে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
* গোসলের সময় অত্যধিক গরম পানি ব্যবহার করবেন না। গরম পানি ত্বকের তেল শোষণ করে ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। তাই এই শীতে গোসলের সময় ত্বকের জন্য সহনীয় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।
* মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে সাবানের পরিবর্তে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
* ঠোঁট ফাটা থেকে রক্ষা পেতে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মধু এবং গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান।
* খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি এবং ফলমূল রাখুন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
* আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় এ সময় খুশকি বাড়ে। খুশকি কমাতে লেবুর রস চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করতে পারেন।
* তেলের সঙ্গে আমলকি মিশিয়ে লাগান। বেশি কেমিক্যালসমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। মেহেদি, লেবুর রস, ডিম মিশিয়ে চুলে এক ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে নিন।

শীত ফ্যাশনে নতুনত্ব

শীত ফ্যাশনে নতুনত্ব

শীতে কাবু হয়ে গরম কাপড়ে জবুথুবু হয়ে থাকলেও এ সময় পোশাক এবং অনুষঙ্গের ব্যবহার থাকে চোখে পড়ার মতো। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এটি এখন আরও আধুনিক রূপ ধারণ করেছে।  আমাদের দেশীয় পোশাকেও এসেছে ওয়েস্টার্ন কম্বিনেশন। শীত এলেই শুরু হয় বাহারি ডিজাইনের পোশাকের সমাহার। সোয়েটার, জ্যাকেট আর অন্যসব শীতের পোশাকে আকর্ষণীয় করে তোলে এর এক্সেসরিজ। এর মধ্যে অন্যতম মাফলার ও টুপি। শীতের ফ্যাশনে অনেক বড় ভূমিকা রাখে টুপি। পুরো স্টাইলকে যেন পাল্টে দেয়। তবে মাফলরও বেশি মানানসই।
চিত্রঃশীত ফ্যাশনে নতুনত্ব
শীত ফ্যাশনে নতুনত্ব
মাফলারের ব্যবহার অনেক আগে থেকেই। শীত এলেই একটি মোটা উলের কাপড় দিয়ে মুখমণ্ডল ও গলা পেঁচিয়ে রাখতে দেখা যেত। তখন শুধু শীতের হাত থেকে বাঁচতে এর ব্যবহার ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে এ যেন নিয়েছে ভিন্নরূপ। পরিণত হয়েছে শীত স্টাইলের নতুন মাত্রা। প্যাটার্ন, স্টাইল এবং কাপড়ে আনা হয়েছে অনেক পরিবর্তন। যে কোনো পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে যায় এসব মাফলার। অনেকে স্কুল ড্রেসের সঙ্গে মানিয়ে মাফলার পরে। অনেক কালারফুল হলেও মনে হয়, পোশাকটির জন্যই তৈরি এটি। সাথে বেছে নেয়া যায় নানারকম টুপি। উলের এসব টুপি কান পর্যন্ত টেনে পরা যায়। তাই উষ্ণ আরাম পেতে এর জুড়ি নেই। তবে বাইরে টুপি বেশ মানানসই। ভাবছেন, এটা শীতে কেন। আসলে শীতের কুয়াশা থেকে রক্ষা পেতে এটা বেশ কার্যকর।
আধুনিক ফ্যাশনে সোয়েটার বা জ্যাকেট দুটিই পরতে দেখা যায় মেয়েদের। এর সঙ্গে কম্বিনেশন করে নিতে হবে টুপি ও মাফলার। ছেলেরা মাথা ঢাকতে টুপি পরে থাকে। কিন্তু এটা মেয়েদের ক্ষেত্রে একেবারে সুবিধার নয়। এতে চুলের স্টাইল একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। অবশ্য চাইলে মাফলার ওড়নার স্টাইলে ব্যবহার করতে পারবেন। মেয়েদের এই স্টাইলটি বেশি দেখা যায়। পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে নিজেই লুকগুলো তৈরি করে নিতে হবে। এ ধরনের ফ্যাশন আপনার ড্রেসকোডের ওপর নির্ভর করে। যেমন, অফিসিয়াল লুকে কোট-প্যান্ট থাকলে তার সঙ্গে মানিয়ে একই কালারের মাফলার পরতে পারেন। এটা হতে পারে ওড়নার মতো করে মাথায় পেঁচিয়ে। আবার যদি থ্রিপিস পরে থাকেন, তাহলে শুধু মাফলারটি গলায় পেঁচিয়ে নিন। এমন সব আইডিয়া নিজে থেকে করতে হবে, যা মেইনটেন করে আপনার নিজস্ব লুকে। ছবিঃ সংগৃহীত

ব্লেজারে শীতের ফ্যাশন

ব্লেজারে শীতের ফ্যাশন

ফ্যাশন প্রিয়াসীরা বরাবরই শীতের ফ্যাশন নিয়ে বেশ চিন্তিত। তাদের জন্য শীতের কাপড় আর শীত ফ্যাশনে এসেছে বৈচিত্র। শীতকালের ফ্যাশনের জন্য এখন অনেক ভিন্ন ধর্মী শীতের পোশাক পাওয়া যায়। তবে শীতে ফ্যাশনেবল পোশাকের মধ্যে ব্লেজার অন্যতম।
চিত্রঃ ব্লেজারে শীতের ফ্যাশন
ব্লেজারে শীতের ফ্যাশন

অফিস, পার্টি কিংবা যে কোন জায়গাতে বেড়াতে বের হলেই সাধারণত ব্লেজার ও স্যুটই পরে ছেলেরা। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও এখন পরছেন ফরমাল ব্লেজার। ছেলেদের শুধু শার্ট-প্যান্টের সঙ্গে ব্লেজার পরলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে প্যান্ট, স্কার্ট এমনকি কেউ কেউ শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গেও পরছেন ব্লেজার। আবার সব সময় ফরমাল নয়, একটু ক্যাজুয়াল ধাঁচেও তৈরি হচ্ছে এখনকার ব্লেজারগুলো। ব্লেজারের নকশা ও কাটছাঁটে থাকছে নানা বৈচিত্র্য।

অফিসিয়াল বা ফরমাল যাই হোক না কেন, ব্লেজারের কাটিংফিটিং থাকা চাই ঠিকঠাক। তা না হলে আপনার স্মার্টনেস নষ্ট হবে পুরোটাই। শারীরিক গঠন মোটা হলে এক বোতাম, চিকন ও মাঝারি গড়ন হলে দুই-তিন বোতাম দিয়ে ব্লেজার পরলে ভালো দেখাবে। ব্লেজার বা কোট পরার সময় শরীরের গঠন ও মুখের গড়ন বিবেচনা করা উচিত। যাদের কম উচ্চতা, তাদের স্ট্রাইপ আর যাদের উচ্চতা বেশি তাদের এক রঙের চেক ব্লেজার ভালো মানায়। শারীরিক গড়ন মোটা হলে এক বোতাম, চিকন ও মাঝারি হলে দুই-তিন বোতাম ব্লেজার পরলে ভালো দেখাবে। এক বোতামের ব্লেজারই এখন ফ্যাশনে ইন। তবে এক বাটনের ব্লেজার যেমন ফ্যাশনেবল তেমনি নিচে রাউন্ড শেপটাও এখন সবার পছন্দ।

কালোর পাশাপাশি মেয়েদের ব্লেজারে এখন গোলাপি, লাল, নীলসহ নানারকম উজ্জ্বল রঙের রাজত্ব চলছে। তরুণীদের ব্লেজার রঙের সঙ্গে ভেতরের টপটির রঙ না মিলিয়ে বিপরীত রঙ নির্বাচন করলে ভালো দেখাবে। একটির হালকা রঙ হলে আরেকটি হতে হবে গাঢ় রঙ। তবে কখন রঙ মিলিয়ে আর কখন বিপরীত রঙ পরা হবে তা ব্লেজারের নকশার ওপরও নির্ভর করে। তবে খুব বেশি শকিং কালার করপোরেট লুকে মানানসই নয়। ছবিঃ সংগৃহীত

আর নয় শুষ্ক ত্বক!

আর নয় শুষ্ক ত্বক!

ত্বক সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। ত্বক যত সুন্দর ও সজীব থাকবে, আপনিও থাকবেন তত সুস্থ ও সুন্দর। সুতরাং ত্বকের যত্ন নিন, সজীব থাকুন। শীতকালে ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা অনেকেরই বৃদ্ধি পায়। তবে মাঝে মধ্যে আবহাওয়া ছাড়াও শারীরিক কারণে ত্বকের শুষ্কতা দেখা দিতে পারে। ত্বকের শুষ্কতা থেকে বাঁচতে কিছু টিপস মেনে চলুন ত্বক সতেজ থাকবে!
চিত্রঃ আর নয় শুষ্ক ত্বক!
আর নয় শুষ্ক ত্বক!

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুনঃ ত্বকের যত্নে প্রথমেই দরকার ময়েশ্চারাইজ। ময়েশ্চারাইজ বলতে ত্বকের উপর অংশের কোষগুলো যাতে পর্যাপ্ত ভেজা থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা। প্রতিনিয়ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে। এজন্য গোসলের পরে এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বকে ভালোমতো ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা অলিভ অয়েল অথবা গ্লিসারিন  ব্যবহার করুন।
এছাড়া ও যে কাজগুলো ত্বক ভালো রাখার জন্য আপনাকে করতে হবে তাহলোঃ 
* প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পানি আপনার শরীরের মাঝে টক্সিন জাতীয় পদার্থগুলোকে পরিষ্কার করে এবং চামড়ার কোষগুলোকে সজীব রাখে।
* প্রতিদিন খাবারে প্রচুর শাকসবজি গ্রহণ করুন। মাংস কিংবা চর্বি জাতীয় খাবারের চাইতে শাকসবজি আপনার ত্বকের যত্নে বেশ কাজে দেবে। সবুজ শাক জাতীয় খাবারে যে খনিজ উপাদান থাকে তা ত্বকের সজীবতা রক্ষায় সাহায্য করে।
* অধিক পরিমাণে পানির ব্যবহার ত্বকের সুরক্ষা স্তর ধুয়ে নেয়। যার কারণে ত্বকের শুষ্কতার মাত্রা বাড়তে পারে। তাই শীতের সময়ে গরমের দিনেরমতো এত বেশিবার মুখ ধোবেন না।
* খুব বেশি টাইট জামা কাপড় না পরাই ভালো। এতে চামড়ার যে ফ্লেক্সিবিলিটি আছে সেটি নষ্ট হয়। নিজের জন্য আরামদায়ক কাপড় ব্যবহার করুন। এতে চামড়ার উপর বাড়তি চাপটা পড়বে না।
চাইলে ত্বকে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের সজীবতা রক্ষা করবে এবং শীতের প্রকোপ থেকে আপনার ত্বককে বাঁচিয়ে রাখবে।
* ঘরে থাকা নানা জিনিস ব্যবহার করে আপনি ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। অ্যালোভেরা, নারিকেল তেল, গ্লিসারিন এগুলো ত্বকের যত্নে বেশ কার্যকরী। তাই শীতের দিনে এগুলো নিয়মিত ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।

কেমন হবে শীতের সাজ!

কেমন হবে শীতের সাজ!

শীতে মেকআপ গলে পড়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় নেই বলে ম্যাটের পরিবর্তে ট্রেন্ডে উঠে আসে গ্লসি, শাইনি মেকআপ। এসময় চাইলে উজ্জ্বল বেইজ, ঝলমলে শেড, গাঢ় লিপস্টিক আর ডিপ ব্লাশঅন ব্যবহার করতে পারেন! তবে যতো সুন্দর করেই আপনি নিজেকে সাজান না কেন, সেটি সেট হবার জন্য প্রয়োজন সুস্থ ত্বক। না হলে কোনো মেকআপেই মানানসই মনে হবে না আপনাকে।
সাজের সঙ্গে সময়েরও একটা সম্পর্ক আছে। দিন ও রাতের মেকআপ সব মৌসুমে আলাদা। দিনে হালকা আর রাতের জন্য জমকালো সাজ। তবে কিছুটা ব্যতিক্রম তো হতেই পারে। মুড এবং অনুষ্ঠানের ধরন বুঝে শীতদুপুরেও মাঝে মাঝে ভারী সাজ বেমানান মনে হবে না।
চিত্রঃকেমন হবে শীতের সাজ!
কেমন হবে শীতের সাজ!

১। মুখের মেকআপঃ
মেকআপের আগে মুখ ভাল করে পরিষ্কার করে নিয়ে নিজের স্কিনটোনের সঙ্গে মিলিয়ে লিকুইড ফাউন্ডেশন নিন। মুখে হালকা ভিজে ভাব থাকা অবস্থায়, ভাল কোনও ময়শ্চারাইজ়ার ফাউন্ডেশনে মিশিয়ে, নিজের মুখে এবং ঘাড়ে ভাল করে মেখে ফেলুন। খেয়াল রাখতে হবে, ফাউন্ডেশন যেন ত্বকের সঙ্গে পুরোপুরি মিশে যায়। এবার ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার হালকা করে পুরো মুখে মেখে নিতে হবে। তবে খুব বেশি ড্রাই স্কিন হলে, শীতকালে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার ব্যবহার না করাই ভাল। ব্লাশার ব্যবহার করতে চাইলে, স্কিনটোনের সঙ্গে মানাবে এমন শেডই ব্যবহার করবেন।

২। চোখের মেকআপঃ
ভুরু যদি ঘন না হয়, তা হলে চুলের রংয়ের চেয়ে তিন শেড হালকা রংয়ের আই ব্রো পেনসিল ভুরুতে বুলিয়ে অথবা কালচে খয়েরি রংয়ের আইশ্যাডোও ভুরুতে লাগাতে পারেন। এবার ড্রেসের সঙ্গে ম্যাচ করে আইশ্যাডো লাগানোর জন্য চোখের উপরের অংশ থেকে আইশ্যাডো ক্রমশ গাঢ় থেকে ভুরুর দিকে হালকা হবে। ভুরুর নীচে হালকা কিন্তু উজ্জল রংয়ের (সিলভার, পিচ) হাইলাইটার লাগাতে পারেন। শীতকালে উজ্জল রংয়ের আইশ্যাডো দেখতে বেশ ভাল লাগে। তবে গায়ের রঙ চাপা হলে লাল, গোলাপি এবং গাঢ় শেডগুলি ব্যবহার না করাই ভাল, মেরুন, ব্রোঞ্জ, হালকা গোল্ডেন এবং যে কোনও ন্যাচারাল রং আপনি লাগাতে পারেন। এবার আই-লাইনারের তুলি দিয়ে উপরের চোখ মনমতো করে এঁকে নিন। এখন কিন্তু চোখ টেনে আঁকার স্টাইলটা বেশ চলছে। তবে চোখ খুব বড় হলে সরু করে লাইনার লাগাবেন। যাদের চোখ ছোট, তারা চোখের কোণ থেকে শুরু করে চোখের বাইরে একটু বের করে লাইনার পরতে পারেন, এতে চোখ বড় দেখাবে। এবার নীচের চোখে কাজল পেনসিল বুলিয়ে নিন। মাসকারার ব্রাশ দিয়ে ভাল করে আইল্যাশগুলো উপরের দিকে তুলে দিন।

৩। ঠোঁটের মেকআপঃ
মেকআপের সময় ঠোঁট ফাটা থাকলে, কিন্তু কোনও মেকআপ ভালো দেখাবে না। তাই সাজের শুরুতেই ঠোটে লিপবাম দিয়ে নিন। এখন প্রথমে লিপলাইনার দিয়ে সুন্দর করে ঠোঁট এঁকে নিন। যাদের ঠোঁট পাতলা, তারা বাইরের দিক দিয়ে ঠোঁট এঁকে নেবেন। ঠোঁট পুরু হলে ভিতরের দিক দিয়ে বর্ডার করবেন এবং অতিরিক্ত অংশে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নেবেন। এবার লিপ লাইনার এবং পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে লিপস্টিক লাগান। যাদের গায়ের রঙ চাপা বা ঠোঁট কালচে তাদের গ্লসি ন্যাচারাল রং ভাল লাগে। যারা ফরসা, তারা গাঢ় থেকে হালকা যে কোনও রংই পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন। শীতের জন্য ম্যাট ফিনিশ লিপস্টিক ভুলেও ব্যবহার করতে যাবেন না, ঠোঁট আরও শুকনো দেখাবে। যারা গাঢ় রংয়ের লিপস্টিক পরতে পছন্দ করেন না, তারা লিপস্টিকের বদলে ন্যাচারাল কালারের লিপগ্লসও ব্যবহার করতে পারেন। ছবিঃ সংগৃহীত

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি!

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি! নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি! শীত, গরম বা বর্ষাকালেও খুশকির যন্ত্রনা যেন মেটে না। পার্লারের আহাম...

Our Popular Posts