বিকেলে এক কাপ আদা চা!

বিকেলে এক কাপ আদা চা!

সারা বিশ্বে জনপ্রিয় যত পানীয় রয়েছে তার একটি হলো চা। প্রতিদিন অন্তত এক কাপ চা না হলে চলে না। আর শীতের দিনে তো গরম চায়ের যেন তুলনাই নেই। সেই চায়ের সাথে যদি আদা যুক্ত হয় তা হলে এর উপকারীতা বাড়ে কয়েকগুণ।
চিত্রঃবিকেলে এক কাপ আদা চা!
বিকেলে এক কাপ আদা চা!
কারণ আদায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান; যা শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংস করে। জ্বরজ্বর ভাব, গলা ব্যথা ও মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে আদা-চা। তবে রান্নার চেয়ে কাঁচা আদার পুষ্টিগুণ বেশি। চলুন জেনে নেয়া যাক আদা চায়ের গুনাগুনঃ

>> শীতজনিত শ্বাসকষ্টের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে আদাযুক্ত চা। একই সঙ্গে ফুসফুসের সমস্যা দূরকরতেও এই চা বেশ কর্যকর।

>> নিয়মিত ও পরিমিত আদা-চা শরীরে রক্ত সঞ্চালনের গতি স্বাভাবিক  রেখে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। তাছাড়া আদা-চা শীতে হালকা জ্বর-কাশি দূর করে।

>> আদা দেহের পেশী ও হাড়ের ব্যথা নিরাময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এ কারণে ব্যথা হলে চায়ের সাথে সামান্য আদা খাওয়া ভালো।

>> বাসে বা ট্রেনে উঠলে অনেকের বমির ভাব হয়।এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে আদা-চা। তাই যাত্রার আগে এক কাপ আদা-চা পান উপকারী।

>> মানসিক চাপ দূর করেতে সহায়তা করে আদা-চা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, চা পাতা ও আদার ঘ্রান মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে।

পেটে মেদ জমাতে না চাইলে

পেটে মেদ জমাতে না চাইলে

বাড়তি মেদ নিয়ে সকলেই দুশ্চিন্তায় থাকেন। চর্বি বা মেদ কমানোর জন্য অনেকেই নানারকম পরামর্শ দেন। বিভিন্ন পত্রিকা আর বইতেও হাজারটা উপায় দেখানো থাকে। অনেক উপায়ের মধ্যে মেদ বা চর্বি কমানোর কিছু উপায় জেনে নিন।
চিত্রঃপেটে মেদ জমাতে না চাইলে
পেটে মেদ জমাতে না চাইলে
১। প্রয়োজন অনুযায়ী পরিমিত সুষম খাবার গ্রহণ করুন, অতিরিক্ত খাদ্যাভ্যাস ত্যাগ করুন।
২। ফাস্টফুড, কোল্ড ড্রিংকস,  অতিরিক্ত লবণ ও চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করুন।
৩। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমান বিশুদ্ধ পানি পান করুন এবং প্রতিদিন কিছু শাকসবজি ও ফলমুল খান।
৪। কম দূরত্বের জায়গাগুলোতে হেঁটে চলাচল করুন। লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
৫। একটানা অধিক সময় বসে কাজ করবেন না। কাজের ফাঁকে উঠে দাঁড়ান একটু পায়চারি করুন।
৬। অলসতা দূর করতে সংসারের টুকিটাকি কাজ নিজেই করুন। সুযোগ থাকলে বাগান, খেলাধুলা করুন কিংবা সাঁতার কাটুন।
৭। সপ্তাহে তিন চার দিন কিছু সময় ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করুন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার উপযুক্ত ব্যায়াম নির্বাচন করুন। কারন সব ব্যায়াম সবার জন্য না।
৮। কোমরে চওড়া বেল্ট ব্যবহার করতে পারেন। এত মেদ দ্রুত বাড়বে না।

রঙের ও আছে নিজস্ব ভাষা!

রঙের ও আছে নিজস্ব ভাষা!

পোশাকের রঙ সঠিক হলে নিজেকে মানানসই করে ফুটিয়ে তোলা সহজ হয়। ফ্যাশন সচেতন প্রতিটি ব্যক্তি পোশাক ক্রয়ের ক্ষেত্রে রঙ নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে করেন।
চিত্রঃরঙের ও আছে নিজস্ব ভাষা!
রঙের ও আছে নিজস্ব ভাষা!
প্রতিটি রঙের একটি নিজস্ব ভাষা আছে এবং যা শরীর ও মনের উপর প্রভাব রাখে। লাল রং শক্তি, কর্মোদ্যোগ এবং পরিবর্তনের প্রতীক। আনন্দ ও সুখের রং কমলা। নিরপেক্ষতা-নির্লিপ্ততা এবং বুদ্ধির রং হলুদ। সবুজ রং ঐক্য, সমবেদনা এবং প্রশান্তির প্রতীক। শান্তির রং নীল। আসমানি রং কল্পনা এবং অনুমানশক্তি বৃদ্ধি করে। বেগুনী রং অনুভূতিশীল এবং শিল্পমনা হতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। প্রতিটি রঙেরই আলাদা আলাদা আবেদন রয়েছে। ছবিঃসংগৃহীত

কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন এলোভেরা

কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন এলোভেরা

চিত্রঃকন্ডিশনার হিসাবে ব্যবহার করুন এলোভেরা
কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন এলোভেরা
একটি ধারালো ছুরি দিয়ে গাছের পাতা থেকে পুরু সবুজ চামড়া সরিয়ে পাতার ভেতরের পরিষ্কার জেলি যতটা সম্ভব বের করে নিতে হবে। ব্লেন্ডারে এই জেলি নিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন, পানি দেবার দরকার নেই। এবার এই মিশ্রণটি ভাল করে ছেঁকে নিন। এবার চুলে শ্যাম্পুর পরে চুলের আগা থেকে গোঁড়া পর্যন্ত এই জেলির মিশ্রণটি সবচুলে ভাল করে ম্যাসাজ করে মেখে নিন। চাইলে অন্য কোন কন্ডিশনারের সঙ্গে মিশিয়েও এটি ব্যবহার করতে পারেন। 

সফেদা ফলের সৌন্দর্য উপকারিতা

সফেদা ফলের সৌন্দর্য উপকারিতা

সফেদা একটি পুষ্টি মান সমৃদ্ধ অত্যান্ত মিষ্টি, সুস্বাদু ও সুন্দর গন্ধযুক্ত একটি ফল। এটিকে প্রাকৃতিক পুষ্টির দোকান ঘর বলা হয়। এটি খাদ্যশক্তি কিলোক্যালরি শর্করা, আমিষ, ভিটামিন, ফলেট, ক্যালসিয়াম, আয়রন মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়া, ফসফরা, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ও জিংক এর একটি সমৃধ্য উৎস। এছাড়াও এতে রয়েছে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের, ভিটামিন এ, সি এবং ই, তামা, লোহা, ইত্যাদি।
চিত্রঃসফেদা ফলের সৌন্দর্য উপকারিতা
সফেদা ফলের সৌন্দর্য উপকারিতা
* সফেদা ফলের মধ্যে আছে অনেক ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ যা আমাদের একটি সুস্থ এবং উজ্জ্বল ত্বক পেতে অনেক সাহায্য করে।
* শরীরের ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত সফেদা খেতে পারেন। সফেদায় চর্বি থাকে না। তাই বেশি খেলেও শরীরে মেদ বাড়ার আশঙ্কা থাকে না।
* সফেদা একটি ফাইবার সমৃদ্ধ ফল, তাই একে প্রাকৃতিক জোলাপ হিসেবে ব্যাবহার করা যায়।
* নিয়মিত সফেদা খেলে শারীরবৃত্তীয় কাজের গতি ত্বরান্বিত হয় এবং ত্বক সতেজ দেখায়।
* সফেদা একদিকে ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করে কোষের ক্ষয় পূরণ করে, অন্যদিকে নতুন কোষ তৈরিতে অংশ নেয়।
* ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তেও বাধা দেয়।
* সফেদায় রয়েছে ভিটামিন এ ও সি যা ত্বকে সুন্দর ও উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।
* সফেদা ফলে আরও রয়েছে ভিটামিন ই যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও ত্বককে কোমল করে তোলে।
* সফেদা চামড়ায় ছত্রাকের আক্রমণ রোধে বিশেষ উপযোগী। এছাড়াও ত্বকে ভাইরাস জনিত গোটা উঠা রোগেরও সমাধান সফেদা ফল।
* সফেদা ফলের বীজের ঔষুধি গুণাগুণ অনেক বেশি। চামড়ার যে কোন ধরণের ইনফেকশন দূর করতে সফেদা বীজের তেল বেশ কার্যকর।
* সফেদা ফল ত্বকের অয়েন্টমেন্ট হিসেবে কাজ করে।

স্যুপ সহায়তা করে মেদমুক্ত হতে!

স্যুপ সহায়তা করে মেদমুক্ত হতে!

সকাল, বিকেল কিংবা দুপুরের লাঞ্চেও অনেকে স্যুপ খেয়ে থাকেন। স্যুপ কিন্তু সুস্বাদু ও একই সাথে স্বাস্থ্যকর। সচেতনভাবে কিছু নিয়ম মেনে যদি স্যুপ রান্না করা হয় তাহলে সেই স্যুপ পেটের, কোমরের ও দেহের সার্বিক ওজন কমাতেই ভূমিকা রাখে। সেই সাথে আরো ভালো ব্যাপার হলো, শরীরের মেদের সাথে যে রোগগুলো সরাসরি যুক্ত যেমন, হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সেগুলো থেকেও স্যুপ আপনাকে মুক্ত রাখবে। চলুন জেনে নেই স্যুপের কিছু গুণাবলী যা আপনাকে মেদমুক্ত হতে সহায়তা করবেঃ
চিত্রঃস্যুপ সহায়তা করে মেদমুক্ত হতে!
স্যুপ সহায়তা করে মেদমুক্ত হতে!

১। পানির চাহিদা পূরণঃ স্যুপ সম্পূর্ণই একটি তরল জাতীয় খাবার। স্যুপে থাকা এই প্রচুর পরিমাণ পানি দেহের পানির চাহিদা মেটায় আর সেই সাথে উষ্ণ পানি মেটাবলিজম বাড়ায়। ফলে তা ওজন কমাতে ব্যাপক সহায়তা করে। 

২। হজম ক্ষমতা বাড়ায় স্যুপঃ স্যুপে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। যা দেহে দরকারী খাদ্যগুণ সরবরাহ করে এর হজমক্ষমতা বাড়ায়। ফলে অতিরিক্ত চর্বি জমার সুযোগ থাকে না।

৩। খিদে কমায় স্যুপঃ এক বাটি স্যুপ খানিকটা হলেও পেট ভরা বোধ করতে সাহায্য করে। ফলে ক্যালোরিযুক্ত বা অতিরিক্ত খাবারের জন্যে ক্ষিদে বোধ হয় না। ফলে ওজন কমিয়ে দিয়ে স্বার্থক।

৪। স্বল্প পরিমাণে ক্যালরিঃ ভেজিটেবল স্যুপ একেবারেই লো ক্যালোরিযুক্ত। ফলে এটি খেলে দেহে ফ্যাট জমাট বাঁধাতে পারে না। লো ক্যালোরি অথচ দারুণ পুষ্টিকর খাবার স্যুপ দেহে পুষ্টি যোগায় প্রয়োজনমত কিন্তু একটুও মেদ বাড়ায় না এতটুকু পরিমাণও।

৫। দেহে সবজির ঘাটতি পূরণঃ সাধারণত সবজি কেবল মাত্র সালাদের সাথে খাওয়া হয় যা বেশ একঘেয়েমী হয়ে ওঠে। ভেজিটেবল স্যুপে অনেক সবজি থাকে যা স্যুপের সাথে মেশালে হয়ে ওঠে দারুণ উপাদেয় ও সুস্বাদু।  সবজির স্যুপ ওজন কমাতে সহায়তা করে।

৬। চর্বি পোড়ায় স্যুপের মসলাঃ স্যুপ বানাতে যে সকল মসলা ব্যবহৃত হয় তা দেহের চর্বি পোড়াতে দারুণ কার্যকরী। যেমন, গোলমরিচে থাকা প্রচুর ক্যাপসাইসিন কেবল স্যুপের স্বাদ আর সুগন্ধই বাড়ায় না বরং দেহে জমে থাকা মেদকে পোড়াতে সাহায্য করে।

শুরু হউক শীতের প্রস্তুতি

শুরু হউক শীতের প্রস্তুতি

হাড় কাঁপানো শীত না এলেও প্রকৃতি জুড়ে বইতে শুরু করেছে হিমেল হাওয়া। ভোরের দিকে কাঁথাটা গায়ে টেনে নিতেই যেন মনে হয়, শীত চলে এল। আর কিছুদিন পরই তো লেপ-কম্বল আর শীত পোশাক বের করতে হবে। তবে এক বছর ধরে তুলে রাখা শীতের এসব কাপড় ও পোশাক ব্যবহারের আগে চাই একটু যত্ন।
চিত্রঃশুরু হউক শীতের প্রস্তুতি
শুরু হউক শীতের প্রস্তুতি। ছবিঃ ইন্টারনেট
* শীতের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো সারা বছর যত্ন করে তুলে রাখা হয়। পুনরায় ব্যবহারের আগে তাই
অনেক দিন ঘরে থাকার ফলে যেকোনো কাপড়েই একধরনের গন্ধ হয়, থাকে রোগজীবাণু, পড়তে পারে দাগও। তুলে রাখা হলেও ময়লা হয়ে যেতে পারে এগুলো। পোকামাকড়ের উপদ্রবও হতে পারে।
* এগুলো ভালো করে রোদে দেওয়া জরুরি। না হলে ছত্রাক, ধুলাবালি কিংবা ভ্যাপসা গন্ধ থেকে যাবে।
* ব্যবহারের আগে লেপ, কম্বল বা মোটা কাঁথা বের করে কড়া রোদে দিন। তারপর ধুলাবালি ঝেড়ে নিয়ে তারপর ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন।
* তবে কম্বলের নরম আঁশ যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেদিকে নজর রাখা জরুরি। কম্বল খুব কড়া রোদে দেওয়াও উচিত নয়। এতে রঙ জ্বলে যেতে পারে। লেপের কভার ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে তারপর ব্যবহার করুন।
* দীর্ঘদিন তুলে রাখা পোশাকগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে নিন এখনই। প্রয়োজনে লন্ড্রিতে দিতে পারেন।
* হালকা শীতে পরার পোশাকসহ টুকিটাকি জিনিসগুলো যেমন হাতমোজা, টুপি গুছিয়ে প্রস্তুত রাখুন।
* সোয়েটার, শাল শুকাতে সময় লাগে বেশি। তাই রোদেলা দিন দেখে তবেই এগুলো ধোবেন।
* ব্লেজার, কোট ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে হালকা রোদে শুকিয়ে নিন।
* পশমি কাপড় রিঠার পানি দিয়ে ধুলে ভালো হয়।
* উলের জামাকাপড় অল্প ডিটারজেন্ট দিয়ে হালকা হাতে ধুতে হবে। কম ক্ষারযুক্ত সাবান বা শ্যাম্পুও ব্যবহার করতে পারেন। তবে উলের পোশাকে কখনো ব্রাশ ব্যবহার করবেন না। উলের জামাকাপড় কড়া রোদে দেওয়াও অনুচিত।
* ছোটদের শীতের পোশাক পরিষ্কার করে স্যাভলন দিয়ে ধুয়ে তারপর কড়া রোদে শুকাবেন।

শীতে ত্বকে লোশন নাকি তেল?

শীতে ত্বকে লোশন নাকি তেল?

শীতের শুষ্কতার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে  আমাদের ত্বকে। এ সময়ে ত্বকের সুরক্ষার জন্য চাই একটু বাড়তি সেবা-যত্ন। ত্বকের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে আমরা কৃত্রিম উপায়ে আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ময়েশ্চারাইজার কিংবা তেল ব্যবহার করা হয়।
চিত্রঃশীতে ত্বকে লোশন নাকি তেল?
শীতে ত্বকে লোশন নাকি তেল?
লোশনের চেয়ে তেল ব্যবহারের সুবিধা বেশি। কারণ লোশনের কার্যকারিতা খুব দ্রুত শেষ হয়। তাই এটি বারবার ব্যবহার করার একটি ঝামেলা থেকেই যায়। সে ক্ষেত্রে ত্বকে দিনে দুবার তেল মাখলেই যথেষ্ট।
বাঙালিদের মধ্যে শীতকালে সরষের তেল ত্বকে ব্যবহারের ঐতিহ্য বেশ পুরোনো। তারপর অলিভ অয়েল কিংবা নারকেল তেলও ব্যবহার করা যেতে পারে।

অনেকেই শরীরে চিটচিটে ভাবেই জন্য তেল ব্যবহার না করে লোশন ব্যবহার করতে স্বাছন্দবোধ করেন। শীতে শিশুদের ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে অনেক বেশি। আবার ৪০ বছর অতিক্রম করলে ত্বক ক্রমেই শুষ্ক হতে শুরু করে। তখন বেশি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। ত্বকে সারা বছরই কম-বেশি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়, বিশেষ করে যাদের ত্বক শুষ্ক। তবে, শীতকালে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের প্রতি অনেক বেশি যত্নবান হতে হয়।

তৈলাক্ত ত্বকে যারা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন না, তাঁদের জন্য কাঠবাদাম বেশ উপকারী।
যেকোনো ময়েশ্চারাইজারের মূল উপাদান হচ্ছে লিকুইড প্যারাফিন। আর সেটি সরাসরি লাগাতে পারেন আপনার ত্বকে। যেকোনো ওষুধের দোকানে কিনতে পাওয়া যায় এই লিকুইড প্যারাফিন, দামও সবার নাগালে। আরও সাশ্রয় চাইলে কিনে আনুন গ্লিসারিন। পানির সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত। লিকুইড প্যারাফিনের চেয়ে গ্লিসারিন একটু ঘন, তাই পানিতে মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে হয়। সেদিক থেকেও এটি বেশ সাশ্রয়ী। ছবিঃ সংগৃহীত

নেইল পলিশ লাগানোর কিছু কৌশল

নেইল পলিশ লাগানোর কিছু  কৌশল

মনের মত নখ সাজাতেই কিন্তু তরুণীরা নেইল পলিশ দেয়। এর জন্য কিছু কৌশল আর টিপস জানা থাকলে সবথেকে বেশি সুবিধা।
নেইল পলিশ লাগানোর কিছু  কৌশল
নেইল পলিশ লাগানোর কিছু  কৌশল
* নেইল পলিশ দ্রুত শুকিয়ে যাওয়ার জন্য, নেইল পলিশ লাগিয়ে নখগুলো বরফ ঠাণ্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখলেই শুকিয়ে যাওয়ার জন্য কোনো ঝামেলা পোহাতে হবে না।

* নেইল পলিশ লাগানোর আগেই নখের চারপাশের ত্বকে খানিকটা তেল লাগিয়ে নিলেই নখের চারপাশের ত্বকে ও কিউটিকলে নেইল পলিশ ছড়িয়ে যাবে না।

* নখে নেইল পলিশের দুই কোট লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়ার আগেই গরম পানির ভাপের উপর পাঁচ সেকেন্ডের জন্য নখ ধরে রাখলেই শুকিয়ে যাওয়ার পর চকচকে নেইল পলিশ ম্যাট হয়ে যাবে।

* চলতি ট্রেন্ডে নেইল স্টিকার বেশ জনপ্রিয়। তবে শুধু নখের উপর স্টিকার লাগিয়ে নিলেই চলবে না। স্থায়িত্ব বাড়াতে স্টিকার লাগানোর পর উপরে অবশ্যই স্বচ্ছ টপকোট লাগিয়ে নিতে হবে।

* গ্লিটার নেইল পলিশ উঠানোর সময় বেশ বেগ পেতে হয়। তুলা ব্যবহার না করে নরম পাতলা কাপড় রিমুভারে ভিজিয়ে ব্যবহার করলে নেইলপলিশ দ্রুত উঠে আসবে।

* ফ্রেঞ্চ টিপ করতে গেলে প্রায়ই অসমান হয়ে যায়। তাই যে অংশে ফ্রেঞ্চ টিপ করতে হবে ওই অংশ বাকি রেখে পুরো নখে স্টিকার বা স্কচটেপ লাগিয়ে নিতে হবে। এর উপর পছন্দের নেইল পলিশ লাগিয়ে স্কচটেপ বা স্টিকার উঠিয়ে ফেললেই সমানভাবে প্রতিটি নখে ফ্রেঞ্চ টিপ হয়ে যাবে।

* নখে দুটি নেইল পলিশের শেইড তৈরি করার জন্য মেইকআপ স্পঞ্জ ব্যবহার করা যায়। প্রথমে একটি প্লাস্টিকের উপর পছন্দমতো দুটি রং পাশাপাশি নিয়ে একটি টুথপিক দিয়ে মাঝামাঝি অংশ মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর রং দুটিতে একটি মেইকআপ স্পঞ্জ ভিজিয়ে নখের উপর চেপে ধরতে হবে। নখে সুন্দরভাবে নেইল পলিশের শেইড হয়ে যাবে। এরপর টপকোট লাগিয়ে নিলেই হয়ে যাবে অম্রে নেইল আর্ট।

চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে ব্যবহার করুন গ্রিন টি

চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে ব্যবহার করুন গ্রিন টি

গ্রিন টিতে থাকা ভিটামিন সি, ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুল দ্রুত বাড়তে সাহায্য করে। পাশাপাশি চুল পড়া কমায় এটি। ভিটামিন বি সমৃদ্ধ গ্রিন টি চুল নরম ও ঝলমলে করে। এছাড়া খুশকি দূর করে চুল মজবুত করতেও এই উপাদানের জুড়ি নেই। গ্রিন টি ও মধু মিশিয়ে পান করলেও ভালো থাকবে চুল।
চিত্রঃচুলের বৃদ্ধি বাড়াতে ব্যবহার করুন গ্রিন টি
চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে ব্যবহার করুন গ্রিন টি
গ্রিন টি'র হেয়ার প্যাকঃ ৪ টেবিল চামচ গ্রিন টি ৩ কাপ পানিতে ফুটিয়ে লিকার বানিয়ে নিন। এবার মুঠোভর্তি মেথি পাতা ও চায়ের লিকার ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করুন। পেস্ট তৈরি হলে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত পেস্টটি লাগিয়ে রাখুন। কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন এই হেয়ার প্যাক।

গ্রিন টি'র কন্ডিশনারঃ ৩ টেবিল চামচ গ্রিন টি ২ কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন। লিকার ঠাণ্ডা হলে ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল মেশান। চুলে শ্যাম্পু করার পর ভালো করে ধুয়ে গ্রিন টি এর লিকার দিয়ে ধুয়ে নিন চুল। এরপর আর পানি দিয়ে ধোয়ার প্রয়োজন নেই। এটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করবে। চুলের আগা ফাটা রোধ করতে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন এই কন্ডিশনার।

ঠোঁটের যত্নে

ঠোঁটের যত্নে

শীতকালেই নয়, পুরো বছর ধরেই দেখা যায় অনেকের ঠোঁটে কালচে দাগ পড়ে এবং  ঠোঁট ফেটে যায়। বিশেষ করে নীচের ঠোঁটে এই সমস্যাটি বেশী দেখা যায়। সঠিকভাবে ঠোঁটের যত্ন না নেওয়া, ঠোঁটের মরা চামড়া তুলে না ফেলা, সঠিক মাত্রায় পানি না খাওয়া, ভিটামিন-বি এর অভাব, হরমোনের সমস্যা থাকা ইত্যাদি কারনে ঠোঁটের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই জেনে নিন ঠোঁটের যত্নে কিছু টিপসঃ
চিত্রঃঠোঁটের যত্নে
ঠোঁটের যত্নে

১. ঠোঁটে সবসময়  ভালো কোম্পানির লিপজেল লাগান। লিপজেল কেনার সময় তাতে এসপিএফ রয়েছে কি না দেখে ‍কিনুন।

২. ঠোঁট ফাটার অন্যতম কারণ শরীরের ডিহাইড্রেশন। আর ডিহেইড্রেশন হয় শরীরের পানি কমে গেলে। প্রতিদিন অন্তত আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করুন।

৩. অনেকে ঠোঁট ফাটার হাত থেকে রক্ষা পেতে কিছুক্ষণ পরপরই জিভের লালা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে থাকেন। এই বদভ্যাস আরও বেশি করে ঠোঁট ফাটার সমস্যা বাড়ায়।

৪. রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটেও ভালো করে ময়েশ্চারাইজার লাগান।

৫. ১ টেবিল চামচ গোলাপজলের সঙ্গে ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ঠোঁটে ১০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

৬. পাকা কলা ও সমপরিমাণ টক দই মিশিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করলে কালচে দাগ সহজেই দূর হবে।

৭. কখনো লিপস্টিক লাগানো অবস্থায় ঘুমাতে যাওয়া ঠিক নয়। এমনকি দীর্ঘক্ষণ ঠোঁটে প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভালো।

স্পর্শকাতর অঙ্গের কালো দাগ দূর করার উপায়

স্পর্শকাতর অঙ্গের কালো দাগ দূর করার উপায়

দেহের স্পর্শকাতর গোপন অঙ্গ বলতে বগল, দুই থাইয়ের মধ্যবর্তী স্থান, প্রজনন অঙ্গ, হিপ, কোমরের ভাঁজ ইত্যাদি অংশ বোঝায়। আর এই অংশে পোশাকের ঘর্ষণ থেকে শুরু করে লোম পরিষ্কার, নানা কারণে কালো দাগ হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। তাই জেনে নিন কিভাবে অল্প সময়েই চলে যাবে স্পর্শকাতর অঙ্গের কালো দাগ!
চিত্রঃস্পর্শকাতর অঙ্গের কালো দাগ দূর করার উপায়
স্পর্শকাতর অঙ্গের কালো দাগ দূর করার উপায়
লেবুর রসঃ লেবুর রস হচ্ছে প্রাকৃতিক ব্লিচ। কিন্তু এটি সরাসরি স্পর্শকাতর অঙ্গে ব্যবহার না করে এর সাথে শসার রস ও এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে দাগে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

শসার রসঃ শসার রস যে কোন স্পর্শকাতর অঙ্গের দাগ দূর করার জন্য দারুণ উপকারী। শসার রস লাগিয়ে রাখুন ২০/২৫ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন।

দুধ ও মুলতানি মাটিঃ কাঁচা দুধের সাথে মুলতানি মাটি ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক মুখেও ব্যবহার করতে পারেন।

দই ও হলুদঃ দইয়ের সাথে এক চিমটি হলুদ, সামান্য লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি স্ক্রাবের মত ঘষে ঘষে লাগান, তবে খুব হালকা হাতে। তারপর রেখে দিন ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

টিপসঃ
* যে কোন প্যাক লাগাবার পরই স্পর্শকাতর অঙ্গে ব্যবহার করবেন খুব ভালো কোন ময়েশ্চারাইজার।
* এসব অঙ্গে নানান রকম রঙ ফর্সা করার ক্রিম মাখতে যাবেন না কখনোই।
* খুব মাইলড পণ্য ব্যবহার করুন এসব অঙ্গে। বডি স্পত্রে বা ডিওডোরেন্ট কখনোই সরাসরি স্প্রে করবেন না।
* নিয়মিত গোসল করুন এবং সেই সময়ে পরিষ্কার করুন। ছবিঃসংগৃহীত

চোখের পাপড়ি হালকা?

চোখের পাপড়ি হালকা?

চোখের সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে তুলতে চোখের পাপড়ির অবদান সবচেয়ে বেশি। যদি পাপড়ি কম থাকে তাহলে পুরো মুখটিই কেমন মায়াহীন মনে হয়! অপরদিকে লম্বা-ঘন পাপড়ি চোখকে করে তোলে মায়াময়। কিন্তু চাইলেই অল্প সময়ে চোখের পাপড়িকে ঘন ও দীর্ঘ করতে পারবেন। জেনে নিন কি করতে হবেঃ

চিত্রঃচোখের পাপড়ি হালকা?
চোখের পাপড়ি হালকা? 

প্রথমে পাপড়িতে হাল্কা করে মাশকারা লাগিয়ে নিন। এরপরে একটি মাসকারার ব্রাশ পরিষ্কার করে হাতে কিছু পাউডার নিয়ে ব্রাশটির উপর পাউডার ঘষে বাড়তি পাউডার ঝেড়ে ফেলে দিন। মাশকারা লাগানো পাপড়িতে পাউডার ঘষে নেয়া মাশকারার ব্রাশ দিয়ে ভালোমতো পাউডার লাগিয়ে নিন। এরপরে আবারো পাপড়িতে ভালোমতো মাশকারা লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ব্রাশ নিয়ে জমে থাকা অংশ ঝেড়ে নিতে পারেন। এভাবেই ইন্সট্যান্ট পেতে পারেন ঘন, লম্বা পাপড়ি।

পায়ের গোড়লী ফাটা সমস্যা?

পায়ের গোড়লী ফাটা সমস্যা?

না গরম না শীতের এই মৌসুমে অনেকের পা ফাটা, ত্বক খসখসে ও রুক্ষ হয়ে যাওয়াসহ নানান সমস্যা দেখা দেয়। পায়ের গোড়ালিতে ফেটে যাওয়ার সমস্যাটা অনেক সাধারণ আর খুব বেশি মারাত্মক মনে না হলেও এটি খুব বেশি যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা। তাই শরীরের অন্যান্য অংশেরমতো পায়ের ত্বকের বিশেষ যত্ন শীতের শুরু থেকেই নেয়া শুরু করুন।
চিত্রঃপায়ের গোড়লী ফাটা সমস্যা?
পায়ের গোড়লী ফাটা সমস্যা?

পায়ের গোড়ালী ফাটার কারণঃ

* প্রতিদিন খুব বেশি হাঁটাহাঁটি করলে।
* ধুলা-ময়লায় খালি পায়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করলে।
* ওভার ওয়েট হয়ে শরীরের সব ভার পায়ের ওপরই পড়ে। সে ক্ষেত্রে গোড়ালি ফাটবে।
* আবহাওয়ার পরিবর্তনে।
* ভুল জুতা পরলে।
* ভিটামিন ও মিনারেলের যথাযথ ব্যালান্স না থাকলে।

পা ফাটা থেকে বাঁচতেঃ

* পা পরিষ্কার রাখুন সব সময়।
* প্রতিদিন গোসলের পর গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে লাগান।
* সব সময় সুতির মোজা পরে থাকুন।
* বাইরে থেকে এসে উষ্ণ গরম পানিতে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন।
* পা ফাটা থেকে মুক্তি পেতে গোসলের সময় বিশেষ যত্ন নিন। গোসল করার সময় ‘ধুন্দল’-এর খোসা ও সাবান দিয়ে ভালো করে পা পরিষ্কার করুন। এছাড়া পিউমিস থাকলে তো আরো ভালো।
* চেষ্টা করবেন পায়ের গোড়ালি নরম করে রাখার, ত্বক নরমের জন্য তিল তেল বা আমন্ড তেল ভালো, সরষের তেলও লাগাতে পারেন।
* শুধু গোসলের সময় নয়, বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে গরম পানি ও সাবান দিয়ে ভালো করে পা পরিষ্কার করে নিন। এরপর শুকনো তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে চেপে পানি মুছুন। এবার ময়েশ্চারাইজার বা ফুট ক্রিম লাগিয়ে নিন। এর পাশাপাশি ফুট স্ক্র্যাবার ও ফুটমাস্কও ব্যবহার করতে পারেন।
রাতে শুতে যাওয়ার আগেঃ
* পা গরম পানিতে ধুয়ে শুকনো করে মুছুন।
* যে কোনো ভালো তেল, গ্লিসারিন, লোশন, ভ্যাসলিন লাগিয়ে সুতির মোজা পরুন

এছাড়াও ফুট  মাস্ক ব্যবহার করুনঃ

নিম পাতার ব্যবহারঃ ১০/১৫ টি নিম পাতা নিয়ে ধুয়ে ভালো করে বেটে নিন। এতে ৩ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে নিন পুরু করে। ৩০ মিনিট রেখে গরম পানি দিয়ে পা ভালো করে ধুয়ে একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন। নিমের অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান দ্রুত পা ফাটা রোধ করবে।

লেবুর ব্যবহারঃ লেবুর এসিডিক উপাদান পায়ের ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে পা ফাটা রোধ করে। একটি লেবু কেটে নিয়ে সরাসরি তা দিয়ে পায়ের গোড়ালিতে ঘষুন। এছাড়া হাল্কা গরম পানিতে লেবুর রস চিপে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট ডুবিয়ে রেখে ঝামা ইট দিয়ে ঘষে নিন পায়ের গোড়ালি। পা ফাটা প্রতিরোধ হবে।

লবণ গরম পানির ব্যবহারঃ অর্ধেক বালতি গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এতে পা ডুবিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে পা ডুবান। এতে করে পায়ের ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। এরপর পা ধুয়ে মুছে নিয়ে ফুটক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ম্যাসেজ করে নিন। খুব দ্রুত পা ফাটা থেকে রেহাই পাবেন।

জেনে নিন সিলিকা জেল বা ব্যাগের ভিন্নধর্মী ব্যবহার

জেনে নিন সিলিকা জেল বা ব্যাগের ভিন্নধর্মী ব্যবহার

বিভিন্ন পণ্য যেমন চামড়ার ব্যাগ বা ঔষধের বক্সে একধরণের ছোট ছোট ব্যাগ দেখতে পাওয়া যায়। যা আমাদের কাছে সিলিকা জেল বা ব্যাগ নামে পরিচিত। সিলিকা হল এক ধরণের দাহ্য যৌগ যা বিভিন্ন পণ্য নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে। সাধারণত এই ব্যাগটি আমরা ফেলে দেই। অথচ এই ছোট ব্যাগটির রয়েছে নানা ব্যবহার। এর উপকারিতা জানার পর আশাকরি আপনি এগুলো ফেলে না দিয়ে সংরক্ষনই করতে চাইবেন। সিলিকা ব্যাগ সংরক্ষণ করুন এগুলো দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে লাগে। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সিলিকা ব্যাগের ভিন্নধর্মী ব্যবহারগুলো।
চিত্রঃজেনে নিন সিলিকা জেল বা ব্যাগের ভিন্নধর্মী ব্যবহার
জেনে নিন সিলিকা জেল বা ব্যাগের ভিন্নধর্মী ব্যবহার
ওষুধপত্রকে ঠিকঠাক রাখাঃ যে পাত্রে ওষুধ রাখছেন সেই প্লাস্টিকের শিশি বা কৌটোর ভিতরে রাখুন একটি কি দুটি সিলিকা জেল ব্যাগ। ওষুধ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

পানি থেকে মোবাইল ফোন রক্ষা করতেঃ হঠাৎ করে আপনার প্রিয় মোবাইলটি পানিতে পড়ে গেল দ্রুত ফোন থেকে সিমটি বের করে একটি বাটিতে অনেকগুলো সিলিকা ব্যাগ রেখে তাতে মোবাইল ফোনটি রেখে দিন। সিলিকা ব্যাগ মোবাইলের সব পানি শুষে নিবে আর ফোনটিও নষ্ট হওয়া থেকে বেঁচে যাবে।

দলিলাদি সংরক্ষণেঃ যেখানে আপনার গুরুত্বপূর্ণ দলিল সংরক্ষন করবেন সেখানে ৩/৪ প্যাকেট সিলিকা জেল রেখে দিন। এতে করে কাগজপত্র ড্যাম্প বা স্যাঁতস্যাতে হবে না।

গুরুত্বপূর্ণ কাগজ সংরক্ষণ করতেঃ কয়েকটি সিলিকা জেলের প্যাকেট কাগজপত্র রাখার স্থানে রেখে দিন। এটি বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার, পোকামাকড়ের হাত থেকে আপনার কাগজপত্রকে রক্ষা করবে।

ছবির এ্যালবাম ও স্ক্র্যাপ বুক ভালো রাখতেঃ আজকের এই ডিজিটাল যুগেও কিন্তু প্রিন্ট করা ছবির আবেদন অনেক। সবার বাসাতেই কম বেশি আগের ছবির এ্যালবাম আছে। সেই ছবিকে ভালো রাখতে এ্যালবামের আশেপাশে ২/৩ প্যাকেট সিলিকা জেল রাখুন। এভাবে স্ক্র্যাপ বুকও ভালো থাকবে।

বইয়ের সেলফঃ বইয়ের সেলফে বা লাইব্রেরিতে বইয়ের ফাঁকে ফাঁকে সিলিকা জেলের প্যাকেট রেখে দিন। বইগুলো অনেকদিন ভালো থাকবে। পোকার আক্রমণ, স্যাঁতস্যাঁতে হওয়া থেকে বাঁচাবে।

ক্যামেরা সংরক্ষণ করতেঃ অনেক সময় ক্যামেরার ল্যান্স ঘোলা হয়ে যায়। আবার পানিতে পড়ে গেলে ক্যামেরা গ্লাস ঘোলা হয়ে যেতে পারে। ক্যামেরে প্যাকেটে সিলিকা ব্যাগ রেখে দিন। এটি আপনার ক্যামেরা শুষ্ক রাখতে সাহায্য করবে।

কাপড় শুকনো রাখতেঃ শীতের শেষে সোয়েটার, শাল শীতের কাপড়গুলো আলমারিতে তুলে রাখা হয়। আবার যখন পরের বছর এগুলো ব্যবহার করার জন্য বের করা হয়, তখন এর থেকে একধরণের গন্ধ বের হয়। শীতের কাপড় সংরক্ষণের সময় ২-৩টি সিলিকা ব্যাগ রেখে দিন কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে। দেখবেন কাপড়ে কোন গন্ধ থাকছে না।

সেভিং রেজর ভালো রাখবেঃ সেভিং রেজর সাধারণত বেশিদিন ভালো থাকে না, খুব তাড়াতাড়ি মরিচা পড়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানে ব্যাবহারের পরে একটা বক্সে সেভিং রেজর ও সাথে সিলিকা জেল প্যাকেট রাখুন।

স্পোর্টস / ট্র্যাভেল ব্যাগ আর্দ্রতামুক্তঃ আপনি যদি খেলাধুলা করে থাকেন নিয়মিত তবে খেলার পরে ঘামে ভেজা কাপড় ব্যাগে নিলে ব্যাগটা দুর্গন্ধময় হয়ে যায়। প্রতিদিন সেই ব্যাগ ধোয়াও অনেক ঝামেলা। কয়েকটা সিলিকা জেল এর প্যাকেট হতে পারে এর ভালো সমাধান। স্পোর্টস / ট্র্যাভেল ব্যাগে কাপড় নেয়ার সময় কয়েক প্যাকেট সিলিকা জেল ব্যাগে ভরে নিন, কাপড়ের ভেজাভাব আর হবে না।

বীজ সংরক্ষণেঃ সবজি বা ফলের বীজ আলাদা আলাদা কাগজের প্যাকেটে ভালো করে মুড়ে একটা এয়ারটাইট বক্স নিয়ে তাতে বীজের প্যাকেট ও সিলিকা জেলের প্যাকেট রেখে ভালভাবে বক্সের ঢাকনা বন্ধ করুন। বীজ অনেকদিন ভালো থাকবে।

মেকআপ ভালো রাখতেঃ পাউডার ধরনের মেকআপের (কমপ্যাক্ট পাউডার, আইশ্যাডো, ফেস পাউডার) মধ্যে একটা-দুইটা সিলিকা ব্যাগ রেখে দিন। এতে এগুলো বহুদিন ভালো থাকবে।

ভিজা ছাতা শুকাতেঃ অনেক সময় বৃষ্টিতে ভেজার পর ছাতা ব্যাগে রাখা সম্ভব হয় না। আবার বাইরে রাখলে হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। এ ক্ষেত্রে ছাতার প্যাকেটের মধ্যে কয়েকটি সিলিকা ব্যাগ রেখে ছাতাটা ঢুকিয়ে রাখুন। দেখবেন, খুব কম সময়ের মধ্যে ছাতাটা শুকিয়ে যাবে।

জুতা শুকাতেঃ ভেজা জুতাকে দ্রুত শুকিয়ে ফেলে সিলিকা ব্যাগ। এমনকি জুতার স্যাঁতস্যাতে ভাবও দূর হয় সহজেই।

খাবার তরতাজা রাখতেঃ যে পাত্রে খাবার রাখছেন তার ঢাকনার ভেতরের দিকে কয়েকটি সিলিকা জেলের ব্যাগ সেলোটেপ দিয়ে আটকে ঢাকনা বন্ধ করে দিন। ড্রাই ফুট, বাদামভাজা, ছোলাভাজা ইত্যাদির পাত্রে সিলিকা জেল রাখলে বিশেষ ফল পাবেন। তবে খেয়াল রাখবেন, সিলিকা জেলের ব্যাগ যেন খাদ্যদ্রব্যকে স্পর্শ না করে।

তবে এবার থেকে নতুন কেনা জিনিসের সঙ্গে পাওয়া সিলিকা জেলের ব্যাগটি ফেলে দেবেন না। এগুলি জমিয়ে রাখুন, অনেক কাজে দেবে। প্রয়োজন বোধ করলে অনলাইন শপিং মারফৎ কিনেও নিতে পারেন সিলিকা জেলের ব্যাগ।

কিশমিশের উপকারিতা

কিশমিশের উপকারিতা

আঙুর ফলের শুকনা রূপই হচ্ছে কিশমিশ। যা তৈরি করা হয় সূর্যের তাপ অথবা মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সাহায্যে। তাপের কারণে আঙুরের ফ্রুক্টোজগুলো জমাট বেঁধে পরিণত হয় কিশমিশে।
কিশমিশ খেতে আমরা প্রত্যেকেই খুব ভালোবাসি। কোনও খাবারের মধ্যে মিশিয়ে হোক আর এমনি এমনি হোক। শুধুমাত্র রান্নার স্বাদ বৃদ্ধিই নয়, আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যেও কিশমিশ খুবই উপকারী। জেনে নিন কিশমিশ আমাদের শরীরের কী কী উপকার করে-
চিত্রঃকিশমিশের উপকারিতা
কিশমিশের উপকারিতা

১। লিভার বা যকৃত্ পরিষ্কার করতেও কিশমিশের জুরি নেই। নিয়মিত কিশমিশের পানি লিভার সাফ হয়।

২। টানা চার দিন কিশমিশের পানি পান করলে, পেট একদম পরিষ্কার হয়ে যাবে। পেটের গন্ডগোল থাকবে না।

৩। নিয়মিত কিশমিশের পানি পান করলে ভরপুর এনার্জি পাবেন শরীরে।

৪। কিশমিশ হার্টকে ভালো রাখে। সেইসঙ্গে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক যে কোলেস্টেরল রয়েছে, তা দূর করে।

৫। কিশমিশে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল। কিশমিশ না-খেয়ে শুধু কিশমিশের পানি খেলেও সেই ভিটামিন ও মিনারেল শরীরে ঢোকে।

৬। কিশমিশে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। প্রত্যেকদিন নিয়ম করে কিশমিশ খেলে আমাদের হজমশক্তি উন্নত হয়।

৭। প্রচুর পরিমানে আয়রন, কপার, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আছে কিশমিশে। যা আমাদের শরীরের লোহিতরক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কিশমিশ খেলে অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক দিন কিশমিশ খেলে আঘাত বা চোট লাগায় রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়াও প্রতিরোধ সম্ভব।

৮। ক্যাভিটি এবং দাঁতের অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে কিশমিশ। মাড়ি সুস্থ রাখে। তার সঙ্গে দাঁত সাদাও করে।

৯। কিশমিশ বেশ ভালো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরের কোষগুলোকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। কিশমিশ ত্বক ভালো রাখে। এটি নিয়মিত খেলে তারুণ্য ধরে রাখতে রাখা সম্ভব।

১০। এছাড়া অতিরিক্ত ওজন কমাতেও সাহায্য করে কিশমিশ।

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস

প্রাকৃতিক ও জলবায়ুর পরিবর্তন, খাবারে রাসায়নিক দ্রব্যের প্রভাব ইত্যাদি কারণে মানুষের আকার দিন দিন কমে আসছে। কিন্তু এরই মধ্যে অনেকের উচ্চতা একেবারেই কম। বিশেষ করে যে সকল মেয়েদের উচ্চতা কম তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হীনমন্যতায় ভুগেন। তারা যদি তাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র নির্বাচনে একটু সচেতন হোন তাহলে আপাতত দৃষ্টিতে খুব একটা খাটো লাগবেনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাটো মেয়েদের জন্য কিছু ফ্যাশন টিপসঃ

চিত্রঃখাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস
খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস
একরঙা পোশাক পরুনঃ বিভিন্ন ধরনের ও মাত্রায় এক রঙের পোশাক পড়লে উচ্চতা নিয়ে একটি বিভ্রম তৈরি করে এবং দেখতে বেশি খাটো লাগবে না। এক্ষেত্রে একরঙা পোশাক ব্যবহার করুন।

 উচ্চ কোমরের নকশার পোশাক নির্বাচন করুনঃ হাই-ওয়েস্ট বা উচ্চ কোমরের নকশার পোশাক যেমন, ট্রাউজার্স, স্কার্টস, হাফপ্যান্ট বেশি হাইয়ের পোশাক। কারন এগুলোতে পা-কে অনেক লম্বা দেখায়।

মাঝারি সাইজের পোশাক নির্বাচন করুনঃ উচ্চতা কম হলে বেশি ঢোলা সালোয়ার বা প্যান্ট আবার খুব লম্বা, ঝোলা টাইপের কামিজ পড়লে আরও বেশি খাটো দেখায়। খুব খাটো পোশাক পরলেও কিন্তু দৃষ্টিকটু লাগবে। উচ্চতা কম হলে বা শরীরের নিম্ন অংশ তুলনামূলক ছোট হলে পড়ার জন্য বেঁছে নিন লম্বায় মাঝারি সাইজের পোশাক।

পশ্চিমা পোশাক সাবধানে নির্বাচন করুনঃ উচ্চতা কম হলে পশ্চিমা পোশাক পরতে হয় খুব সাবধানে। একেবারে ছোট টপস, গেঞ্জি, শার্ট পরবেন না। মাঝারি ঝুলের ফতুয়া, গেঞ্জি, টপস ইত্যাদি পরুন। আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা বড় প্রিন্টের চেয়ে লম্বালম্বি সরু স্ট্রাইপের পোশাক বেছে নিন।

সরু ফ্ল্যাটের জুতা নির্বাচন করুনঃ যদি আপনি উচু হিল পরতে অসস্তি বোধ করেন তাহলে খুব বেশি উঁচু হিল পরার দরকার নেই, সরু ফ্ল্যাটের জুতা নির্বাচন করুন।

ছোট সাইজের হাত ব্যাগ ব্যবহার করুনঃ খাটো মেয়েদের জন্য খুব বেশি বড় হাত ব্যাগ ব্যাবহার করা একেবারেই উচিৎ না। তাই ছোট সাইজের হাত ব্যাগ ব্যবহার করুন।

নিখুঁত ফাউন্ডেশনের জন্যে চাই পারফেক্ট টুলস

নিখুঁত ফাউন্ডেশনের জন্যে চাই পারফেক্ট টুলস

মুখের খুঁতগুলো ঢেকে ফেলে স্কিনকে নিখুঁত করে তুলতে ফাউন্ডেশনের জুড়ি নেই। ফাউন্ডেশন থেকে ভালো ফল পেতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ফাউন্ডেশন টুলস ব্যবহার করা। অনেকেই আছেন হাত দিয়েই ফাউন্ডেশন মুখে ব্লেন্ড করে ফেলেন, এতে স্কিন যেমন ন্যাচারাল লাগে না, তেমন ফাউন্ডেশনও মুখে বসে না ঠিকমতো। এজন্যে ফাউন্ডেশন ব্লেন্ড করার ক্ষেত্রে টুলসগুলো খুবই দরকারি। চলুন জেনে নেই ফাউন্ডেশন ব্যবহারের জন্যে বিভিন্ন টুলস সম্পর্কে।
চিত্রঃনিখুঁত ফাউন্ডেশনের জন্যে চাই পারফেক্ট টুলস
নিখুঁত ফাউন্ডেশনের জন্যে চাই পারফেক্ট টুলস
১. বিউটি ব্লেন্ডার: মেকাপের জগতে এবং বিউটি এক্সপার্টদের কাছে সবচেয়ে পছন্দের টুলটি হলো বিউটি ব্লেন্ডার। আপনি যদি খুবই সুন্দর এবং নিখুঁত বেইজ মেকাপ চান, তবে বিউটি ব্লেন্ডার হতে পারে আপনার পারফেক্ট সঙ্গী। বিউটি ব্লেন্ডারগুলো স্পঞ্জের মতো হয়। এগুলো শুকনো অবস্থায় ছোট থাকলেও পানিতে ভেজানোর পর ফুলে ডাবল হয়। প্রত্যেক বার বিউটি ব্লেন্ডার ব্যবহারের আগে পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে এক্সট্রা পানি চিপে নিয়ে ব্যবহার করতে হয়। মনে রাখবেন, শুকনো বিউটি ব্লেন্ডার ফেস এ ব্যবহার করলে তা কিন্তু কোনো কাজে দেবে না। মুখে ফাউন্ডেশন ডট ডট করে লাগিয়ে বিউটি ব্লেন্ডার দিয়ে হালকা চেপে চেপে ফাউন্ডেশন ব্লেন্ড করতে হয়। তবে, কখনোই ঘষে ঘষে ফাউন্ডেশন ব্লেন্ড করা যাবে না। বিউটি ব্লেন্ডার এর একটা ভালো দিক হলো, একটি মুখে যতটুকু ফাউন্ডেশন দরকার হয়, ততটুকুই ব্লেন্ড করে, বাকিটা শুষে নেয়। এতে মুখে অতিরিক্ত ফাউন্ডেশন ব্যবহারের ফলে মেকাপ কেকি দেখানোর ভয় থাকে না। শুধু ফাউন্ডেশনই না, বিউটি ব্লেন্ডার দিয়ে আপনি আপনার কনসিলারও ব্লেন্ড করতে পারবেন। বিউটি ব্লেন্ডারগুলো বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে। আপনার সুবিধা অনুযায়ী যে কোনো একটা নিতে পারেন। বিউটি ব্লেন্ডারের নাম – অরিজিনাল বিউটি ব্লেন্ডার,  রিয়েল টেকনিক মিরাকল স্পাঞ্জ।
চিত্রঃনিখুঁত ফাউন্ডেশনের জন্যে চাই পারফেক্ট টুলস
২. ফ্লাট টপ ব্রাশ: যারা বিউটি ব্লেন্ডার ব্যবহার করতে চান না, তারা এই ধরনের ফ্লাট টপ কাবুকি ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন। এই ব্রাশগুলো দিয়েও ফাউন্ডেশন খুব ভালোভাবে ব্লেড করা যায় এবং ফাউন্ডেশন কভারেজও ভালো পাওয়া যায়। একটু ফাউন্ডেশন হাতে ঢেলে নিয়ে কাবুকি ব্রাশটিতে অল্প অল্প ফাউন্ডেশন লাগিয়ে মুখে হালকা চেপে চেপে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ফ্লাট টপ কাবুকি ব্রাশের নাম – সিগমা এফ ৮০ ফ্লাট টপ কাবুকি ব্রাশ, ওয়েট অ্যান্ড ওয়াইল্ড ফ্ল্যাট টপ ব্রাশ।
চিত্রঃনিখুঁত ফাউন্ডেশনের জন্য চাই পারফেক্ট টুলস
৩. পয়েন্টেড ফাউন্ডেশন ব্রাশ: যখন আপনি হেভি মেকাপ-এর জন্যে ফাউন্ডেশন থেকে হাই কভারেজ চাচ্ছেন, তখন আপনাকে হেল্প করবে পয়েন্টেড ফাউন্ডেশন ব্রাশ। এই ব্রাশটা দিয়ে ফাউন্ডেশন ব্লেন্ড করা হয় না। এটা দিয়ে ফাউন্ডেশন মুখে এপ্লাই করা হয়। হাতে ফাউন্ডেশন ঢেলে নিয়ে। ব্রাশটির সাহায্যে পুরো মুখে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন পেইন্ট করার মতো। এরপর অন্য যে কোনো ব্রাশ অথবা বিউটি ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে ফেলুন। পয়েন্টেড ফাউন্ডেশন ব্রাশের নাম – রিয়েল টেকনিক পয়েন্টেড ফাউন্ডেশন ব্রাশ।
চিত্রঃনিখুঁত ফাউন্ডেশনের জন্যে চাই পারফেক্ট টুলস
৪. ফাউন্ডেশন বাফিং ব্রাশ: ফাউন্ডেশন ব্যবহারের অন্য আর একটি টুল হচ্ছে ফাউন্ডেশন বাফিং ব্রাশ। এই ব্রাশের সাহায্যে আপনি ফাউন্ডেশন খুব সহজেই চেপে চেপে অথবা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ব্লেন্ড করতে পারবেন। যারা ফাউন্ডেশন ব্লেন্ড করতে একটু কাঁচা তারা এটা দিয়ে সহজেই ব্লেন্ড করে ফেলতে পারবেন। ফাউন্ডেশন বাফারিং ব্রাশের নাম – রিয়েল টেকনিক বাফিং ব্রাশ।
চিত্রঃনিখুঁত ফাউন্ডেশনের জন্যে চাই পারফেক্ট টুলস
৫. স্টিপলিং ব্রাশ: অনেক সময় আমরা ফাউন্ডেশন থেকে একটু ন্যাচারাল এবং হালকা কভারেজ চাই, বিশেষ করে দিনের বেলায়। তখন এ ধরনের স্টিপলিং ব্রাশ খুব কাজে দেয়। স্ট্রিপলিং ব্রাশের সাহায্যে খুব চটজলদি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ফাউন্ডেশন ব্লেন্ড করা যায়। আপনি যদি খুব ব্যস্ততার মধ্যেও থাকেন, তখন এটি দিয়ে খুব সহজেই এবং দ্রুত ফাউন্ডেশন ব্লেণ্ড করে ফেলতে পারবেন। স্টিপলিং ব্রাশের নাম – ই.এল.এফ স্টিপলিং ব্রাশ, রিয়েল টেকনিক স্টিপলিং ব্রাশ।
চিত্রঃনিখুঁত ফাউন্ডেশনের জন্যে চাই পারফেক্ট টুলস
এই লেখাটি পড়ার পর অনেকেই ভাবতে পারেন যে, ফাউন্ডেশন ব্লেন্ড করার জন্য এতগুলো টুলস সব কিনতে হবে!! একদমই না। আপনি আপনার পছন্দ এবং প্রয়োজন মতো যে কোনো টুল বেছে নিতে পারেন। তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

তলপেটের মেদে যেন সৌন্দর্য হারিয়ে না যায়

তলপেটের মেদে যেন সৌন্দর্য হারিয়ে না যায়

প্রোটিন ডায়েট, ইয়োগা, হাঁটা সবই করলেন এবং ওজনও কমাতে সক্ষম হলেও তলপেটের মেদ যেন কমতেই চায় না। প্রেগন্যান্সি, অপারেশন নানা কারণে অনেকের এই সমস্যা হয় আরো কঠিন। তাই অধৈর্য্য না হয়ে অল্প অল্প করে প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করাটাই শ্রেয়। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি এই ব্যায়াম নিয়মিত করলে তলপেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
চিত্রঃতলপেটের মেদে যেন সৌন্দর্য হারিয়ে না যায়
তলপেটের মেদে যেন সৌন্দর্য হারিয়ে না যায়
১। প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে দুই পা একসাথে করে ওপরে ওঠান, আবার নামান। ১৫ বারে এক সেট, এভাবে তিন সেট করুন। প্রতি সেটের পর ১০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিন।

২। এবার শুয়ে শুয়ে সাইকেল চালান। কৈশরের কথা মনে করতে করতে দুই পা সাইকেল চালানোর মতো করে ঘুরাতে থাকেন। একই ভাবে ১৫ বারের তিন সেট করুন।

৩। একইভাবে শুয়ে থেকে এক পা ওপরে তুলুন, কিছুক্ষণ ধরে রেখে নামিয়ে ফেলুন। এবার অন্য পা ওপরে তুলুন। পা ওঠানো নামানোর সময় গতি হালকা রাখার চেষ্টা করুন। তাতে খানিকটা কষ্ট হবে, তবে মেদ ঝরতে সাহায্য করবে। এটিও তিন সেট।

৪। সবশেষে শুয়ে থেকে দুই পা ৪৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে তুলে ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। এভাবে ৩ বার করুন।
সকালের শুরুতে বা বিকেলের অবসরে যেকোন সময় ব্যায়ামগুলো করতে পারেন।

সমস্যা যখন চুলের খুশকি

সমস্যা যখন চুলের খুশকি

ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে আবহাওয়ার কারণেই চুলে খুশকির উপদ্রব অনেক বেড়ে যায়। বিশেষ করে রুক্ষ আবহাওয়া এবং পরিবেশের ধুলোবালির কারনে কমবেশি সকলেই খুশকির যন্ত্রণায় ভুগে থাকেন। খুশকির উপদ্রব থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে জেনে নিন ঘরোয়া কার্যকরী উপায়।
চিত্রঃসমস্যা যখন চুলের খুশকি
সমস্যা যখন চুলের খুশকি
টকদই এবং মেথি খুশকি দূর করতে ও চুল ঝলমলে করতে খুবই কার্যকরী। মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে নিয়ে বেটে নিন ভালো করে। ছেঁকে নেয়া পানি ফেলে দেবেন না। এবার বেটে নেয়া মেথি এবং ৬ টেবিল চামচ টকদই খুব ভালো করে ফেটিয়ে চুলের গোঁড়ায় মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ঘণ্টাখানেক রেখে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার পর মেথি ভিজিয়ে রাখা পানি দিয়ে সব শেষে চুল ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে ২ বার করুন। অনেক বেশি খুশকির সমস্যা থাকলেও তা দূর হয়ে যাবে। ছবিঃসংগৃহীত

চাই ব্যাগেরও সঠিক যত্নআত্তি

চাই ব্যাগেরও সঠিক যত্নআত্তি

নারীদের কাছে ফ্যাশনের অন্যতম একটি অনুষঙ্গ হচ্ছে ব্যাগ। অনেকের কাছে এটি আবার বেশ শৌখিনও বটে। কাজের ধরণ এবং ফ্যাশন আইটেম হিসেবে যথাযথ হ্যান্ডব্যাগ বেছে নেয়া যেমন জরুরি তেমনি শখের এবং দামি ব্যাগ অল্প কয়েকদিনেই যেন নষ্ট হয়ে না যায় সেটা নির্ভর করে সঠিক যত্নের উপরে। তাই ব্যাগের স্থায়িত্ব, সৌন্দর্য ঠিক রাখতে জেনে নিন ব্যাগের যত্নআত্তি।
চিত্রঃচাই ব্যাগেরও সঠিক যত্নআত্তি
চাই ব্যাগেরও সঠিক যত্নআত্তি
* প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাগের আকার-প্রকার আর নকশারও ভিন্নতা রয়েছে। সেই ভিন্নতা বুঝে ব্যাগের যত্ন নেওয়া জরুরি।নিয়মিত যেসব ব্যাগ ব্যবহৃত হয়, বাইরে থেকে ফিরে শুকনো কাপড় দিয়ে ঝেড়ে বা মুছে রাখলে তা আর নোংরা হবে না। 
* আবার পার্টিতে যেসব ব্যাগ ব্যবহার করা হয়, সেসব সাধারণত একটু শৌখিন হয়। ঝকমকে পাথর, পুঁতি, মুক্তা এবং বিভিন্ন উপকরণের নকশা থাকে। এসব ব্যাগের যত্নও একটু ভিন্নভাবে নিতে হবে। 
* ব্যবহার শেষে বাসায় ফিরে ছোট পার্স হলে টিস্যু মুড়িয়ে, বড় হলে পাতলা কাপড় বা প্লাস্টিক মুড়িয়ে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে বা সোজাসুজি করে ড্রয়ারে তুলে রাখলে দীর্ঘ সময় ধরে ভালো থাকবে। 
* ব্যাগের কড়ি, কাঠ বা পুঁতি ছিঁড়ে গেলে ব্যাগের আসল সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে ছিঁড়ে না যায়। 
* যদি ছিঁড়েই যায়, তবে এ ধরনের পুঁতি বা কড়ি বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। দেখতে সুন্দর এমন উপকরণ দিয়ে পুনরায় ঠিক করে নিলে ব্যবহারের উপযোগী হবে।
* চামড়া বা সুতির যেসব ব্যাগ ব্যবহার করা হয়, সেগুলো একটু আলো–বাতাসে রাখতে হয়। তাতে ব্যাগের গায়ে ছত্রাক সংক্রমণ হবে না।
* ধুলো–ময়লা বা ছত্রাক পড়ে গেলে যতটা সম্ভব সাবধানে শুকনো কাপড় দিয়ে ঘষে তুলে ফেলে হালকা রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
* নকশার মধ্যে ধুলো ঢুকে গেলে পুরোনো ব্রাশ দিয়ে আস্তে ঝেড়ে ফেলতে হবে। বেশি জোরে ঘষলে ক্ষতি হতে পারে। ক্ষতি হলে রং করিয়ে বা শাইনার লাগিয়ে নিলে তা ঠিক হয়ে যেতে পারে।
* আর সুতি কাপড়ের ব্যাগে ধুলো–ময়লা লাগলে ডিটারজেন্ট পাউডার বা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলে হালকা রোদে শুকাতে হবে। কড়া রোদে রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

কাশির যন্ত্রনা নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায়

কাশির যন্ত্রনা নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায়

প্রচন্ড গরমের শেষে চলে আসছে শীত। তবে ঋতু পরিবর্তনের এইসময়ে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে। হঠাত এই আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য সর্দি, কাশি, জ্বরের কবলে পড়তে হচ্ছে আমাদের।এছাড়াও  বিভিন্ন কারণে কাশি হতে পারে। এর মধ্যে ফুসফুসের সমস্যা, অ্যালার্জি, অ্যাজমা, এসিড সমস্যা, শুষ্ক আবহাওয়া, ধূমপান, এমনকি কিছু ওষুধ সেবনের ফলেও কাশি হতে পারে। তবে কাশি যদি হালকা ও স্বল্পস্থায়ী হয় তাহলে আপনি ঘরোয়া উপায়েই তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে পারবেন।
চিত্রঃকাশির যন্ত্রনা নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায়
কাশির যন্ত্রনা নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায়
গার্গল করাঃ হালকা গরম পানিতে গার্গল করলে গলাব্যথা কমে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে ১৫ মিনিট ধরে গার্গল করুন। এভাবে বিরতি দিয়ে কয়েকবার করুন। এটি কাশি কমাতে বেশ কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি।

আদা চাঃ গলা খুশখুসে ভাব এবং শ্লেষ্মা দূর করতে সাহায্য করে আদা চা। ২ কাপ পানিতে আদা দিয়ে ফুটিয়ে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করলে খুশখুসে ভাব দূর হয়ে যাবে।

লেবু ও মধুর মিশ্রণঃ মধু কাশি কমাতে সাহায্য করে। মধু কখনো কখনো কাশিরোধী ওষুধগুলোর চেয়েও ভালো কাজ করে এবং গলাব্যথাও কমায়। লেবু ও মধুর মিশ্রণ গলার ভেতরের ইনফ্লেমেশন কমায় এবং ঠাণ্ডা লেগে গলার ভেতর সরু হয়ে আসার ফলে যে সমস্যা তৈরি হয় তা দূর করে।

দারুচিনিঃ গলা ব্যথা, ঠান্ডা লাগা, কফ সারাতে দারুচিনি খুবই উপকারী। এতে অ্যান্টি ফাংগাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান রয়েছে। ১ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ৩ দিন ২ থেকে ৩ বার খান।

তুলসী পাতাঃ জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, ব্রঙ্কাইটিস, ম্যালেরিয়া এবং আরও অনেক রোগের উপশমকারী উপাদান হিসেবে ব্যবহার করুন তুলসী পাতার রস। এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিবায়োটিক এবং আরও অনেক উপাদান রয়েছে।

কাঁচাহলুদঃ হলুদ বেশ কার্যকরভাবে কাশি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে এক টুকরো কাচাহলুদের রস এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি দ্রুত কাশি কমাতে সাহায্য করে।

চিকেন স্যুপঃ ঠাণ্ডা-সর্দি ও খুসখুসে কাশি কমাতে গরম পানীয়ের মধ্যে অন্যতম চিকেন স্যুপ। কারণ চিকেন স্যুপে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা গলা খুসখুসের জন্য দায়ী ভাইরাস এবং মিউকাস কমায়।

রসুনঃ রসুনের গুণাগুণ অনেক। ভাইরাল ফিভার, ঠান্ডা লাগার মতো অসুখের প্রতিরোধ করতে রসুন খুব উপকারী। শুধু ঠান্ডা লাগাই নয়, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রন কোলেস্টেরল, হার্ট অ্যাটাক এবং স্টোক প্রতিরোধেও রসুন খুব কাজে দেয়। ছবিঃ সংগৃহীত

মেয়েদের সাদাস্রাব জনিত সমস্যা

মেয়েদের সাদাস্রাব জনিত সমস্যা

 প্রতিমাসেই মেয়েদের যোনিপথ দিয়ে এক ধরনের সাদা তরল পদার্থ নির্গত হয় যাকে কিনা সাধারন মানুষ সাদাস্রাব বলে আর মেডিকেলের ভাষায় একে বলা হয় ‘’লিউকোরিয়া’’। মেয়েদের একটি সাধারণ সমস্যা যে তারা সহজে তাদের গোপনাঙ্গের কোন সমস্যা কাউকে বলতে চায়না। প্রতিনিয়ত এই সমস্যাগুলো নিয়ে অনেক আতঙ্কে থাকা সত্তেও কিছু মুখ ফুটে বলতে পারেনা লজ্জ্বার কারনে।
অনেক সময় দেখা যায় এটি এত বেশি নিঃসরন হয় যে তখন মনে হয় মাসিক হচ্ছে যেটা কিনা মেয়েদের জন্য খুব অসস্তিকর একটা অবস্থা। লিউকোরিয়া সব মেয়েদেরই হতে পারে, এটা কোন রোগ নয়, এটা মেয়েদের একটা সাধারণ সমস্যা। মেয়েদের মাসিক হওয়া যেমন সাধারন প্রক্রিয়া তেমনি সাদাস্রাব যাওয়া ও একটি সাধারন প্রক্রিয়া। কিন্তু এটা যদি অতিরিক্ত হয় এবং কোন কারন ছাড়াই হয় তাহলে এটি একটি সমস্যা।
চিত্রঃমেয়েদের সাদাস্রাব জনিত সমস্যা
মেয়েদের সাদাস্রাব জনিত সমস্যা
সাদাস্রাব কেন হয়? ঃ
১। প্রথম মাসিক হওয়ার আগে ও পরে হতে পারে
২। জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ খেলে হতে পারে
৩। গর্ভকালীন সময়ে হতে পারে
৪। যৌনমিলনের সময়ে হতে পারে
৫। অনেক সময় অতিরিক্ত চিন্তা করলে এটি হতে পারে।

প্রাপ্তবয়স্কদের যদি লিউকোরিয়া হয় তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে জীবাণুর আক্রমনের কারনে এটি হচ্ছে। আমাদের দেশে প্রধানত ৪ ধরনের জীবাণুর কারনে এটি হয়ে থাকেঃ
১। ক্যান্ডিডিয়েসিস
২। ট্রাইকোমোনিয়েসিস
৩। গনোরিয়া
৪। ক্লামাইডিয়াল ইনফেকশন

ক্যান্ডিডিয়েসিস অনেক কারণেই হতে পারে কিন্তু ট্রাইকোমোনিয়েসিস, গনোরিয়া, ক্লামাইডিয়াল ইনফেকশন এই তিনটিই নারী-পুরুষের দৈহিক মিলনের মাধ্যমে একজনের থেকে আরেকজনের মাঝে ছড়ায়। অনেক সময় জরায়ুর টিউমার, সিস্ট এগুলোর কারনে ও লিউকোরিয়া হতে পারে, আর এমনটা হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সব করতে হবে। আপনি কিভাবে বুঝবেন যে আপনার যে সাদাস্রাব নির্গত হচ্ছে তা নরমাল নাকি জীবানুর আক্রমনের ফলে হচ্ছে!! জীবাণুর আক্রমনের কারনে যদি সাদাস্রাব নির্গত হয় তাহলে তার কয়েকটি উপসর্গ আছে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেনঃ
১। যোনিপথে খুব চুলকানি হয়
২। অতিরিক্ত সাদাশ্রাব নির্গত হবে
৩। অনেক সময় তলপেটে ব্যথা হয়
৪। দুর্গন্ধ হবে
৫। যোনিপথে ব্যথা হতে পারে। এসবক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের কাছে গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

এক্ষেত্রে করণীয়ঃ
১। সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবেন
২। খাওয়া-দাওয়া ঠিকমত করবেন যেন অপুষ্টির কারনে এটি না হয়
৩। সব সময় চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন
৪। যোনিপথ সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন
৫। সাদাস্রাব নিয়ে অতিরিক্ত কোন চিন্তা থাকলে ডাক্তারের কাছে গিয়ে তার পরামর্শ অনুযায়ী যা করার করবেন।

নারীর স্তনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস

নারীর স্তনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস

নারীদেহের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হল স্তন। সুস্থ দেহের পাশাপাশি সুন্দর স্তনেরও প্রয়োজন রয়েছে। সৌন্দর্য এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় আমাদের বিশেষ মনোযোগ থাকলেও কোনো এক অদ্ভুত কারণে নিজের স্তনের স্বাস্থ্যের প্রতি বেশীরভাগ নারীরই তেমন উৎসাহ দেখা যায় না। অথচ শরীরের আর দশটি অঙ্গের মতো স্তনের যত্ন নেওয়াটাও জরুরী। বিশেষ করে ৩০ বছর বয়সের পর আমাদের জীবনযাত্রা এবং স্বাস্থ্যগত পরিবর্তনের কারণে স্তনের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাটাও হয়ে পড়ে জরুরী। জেনে নিন স্তনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবশ্য করণীয় কিছু কাজ।
চিত্রঃনারীর স্তনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস
নারীর স্তনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু  টিপস
১। সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার করুনঃ আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর ব্রা ব্যবহার করুন এবং অবশ্যই সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার করুন। সময়ের সাথে ব্রা সাইজ চেঞ্জ হতে পারে এ কারণে এক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরী।

২। মাঝে মাঝে ব্রা ছাড়াই থাকুনঃ বাইরে যাওয়া সময় ব্রা পরিধান করা জরুরী কিন্তু বাড়িতে ব্রা ছাড়াই থাকার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীর অনেকটা শান্তি পাবে। মাঝে মাঝে স্পোর্টস ব্রা পরেও থাকতে পারেন।

৩। মাসাজ করুনঃ শুধু হাত-পা নয়, রক্ত চলাচল বজায় রাখতে মাঝে মাঝে স্তন মাসাজ করতে পারেন।

৪। নিজে থেকেই পরীক্ষা করুনঃ সচেতনার সাথে মাঝে মাঝে নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করে দেখুন কোনো রোগ আপনার স্তনে বাসা বেঁধেছে কিনা। স্তনে কোনো রকম পরিবর্তন দেখতে পেলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

৫। স্বাস্থ্যকর খাবার খানঃ মধ্যবয়সে মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়। এ সময় থেকেই বেশি করে ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়া উচিৎ। এতে সারা শরীরের পাশাপাশি আপনার স্তন থাকবে সুস্থ।

৬। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারঃ সারা শরীরের ত্বকের মতো স্তনের ত্বকেও পড়তে পারে বয়সের ছাপ, বলিরেখা এবং কুঞ্চন। এ কারণে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করাটা জরুরী।

৭। ব্যায়াম করুনঃ বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরকে ফিট রাখতে করুন ব্যায়াম। স্তনের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য করতে পারেন এই ব্যায়ামগুলো। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে কমে যাবে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি।

৮। ম্যামোগ্রামঃ একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর স্তন সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ডাক্তারের সাথে কথা বলে বার্ষিক স্তন পরীক্ষা বা ম্যামোগ্রাম করান যাতে কোনো রোগ থাকলে তা শনাক্ত করা যায় দ্রুত। তবে পারিবারিক ইতিহাস না থাকলে ম্যামোগ্রাম না করিয়ে সাধারণ ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে পারেন।

৯। ঝুঁকির ব্যাপারে জেনে রাখুনঃ আপনার পারিবারিক ইতিহাসে কারও ব্রেস্ট ক্যান্সার আছে কিনা তা জানা থাকলে নিজের ঝুঁকির ব্যাপারেও আপনি সতর্ক থাকতে পারবেন। এছাড়াও সতর্ক থাকুন ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট এবং কেমিক্যাল ব্যবহার করা থেকে।

১০। ব্রেস্ট ফিডিং করানঃ আপনি মা হয়ে থাকলে অবশ্যই বাচ্চাকে সঠিক উপায়ে ব্রেস্ট ফিডিং করান। তা আপনার স্তনের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবে।

শরীরের গড়ন বুঝে পোশাক নির্বাচন করুন

শরীরের গড়ন বুঝে পোশাক নির্বাচন করুন

ফ্যাশন সচেতন মেয়েরা নিজেদের আকর্ষণীয় করে তুলতে পোশাক কিনতে গিয়ে অনেক সময় দোটানায় ভোগেন। অনেকেই আছেন পোশাক নির্বাচনে নিজের শারীরিক গড়নের কারণে সঠিক পোশাকটি ক্রয় করতে পারেন না। সঠিক আকৃতি ও নকশা মেনে পোশাক পরলে ফ্যাটি-স্লিম সবধরনের মেয়েকেই যে কোনো পোশাকেই মানাবে। তবে মোটা মেয়েরা সবধরনের পোশাক পরতে পারেন না। সব সময় কনফিউশনে থাকেন যে, আসলে পোশাকটি মানিয়েছে কিনা! এসব দ্বিধা দূর করার জন্য শরীরের গঠন অনুযায়ী পোশাক নির্বাচনে বিশেষ কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখুন। তাই পোশাক নির্বাচনের আগে নিজের শরীরের গড়ন বুঝে পোশাক নির্বাচন করুন।
 শরীরের গড়ন বুঝে পোশাক নির্বাচন করুন
১। আপেল আকৃতিঃ সাধারণত আপেল আকৃতির শরীরের পেটের মেদের পরিমাণ বেশি থাকে। তাদের ঢিলেঢালা পোশাক বেছে নেওয়া উচিত। ছোট হাতা ও  সেমি লং পোশাকই শ্রেয়।

২। সরল আকৃতিঃ অনেকের শরীর উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সমান, তারা এমন পোশাক বেছে নেবেন যাতে দেখতে কার্ভি মনে হয়। এ জন্য স্লিমিং শোল্ডার পোশাক বেছে নিন।

৩। বালুঘড়ি গঠনঃ কোমরের গঠন যাদের সরু তারাই এ আকৃতির আওতায় পড়েন। বেশি স্লিম না, তবে শারীরের গঠন বোঝা যায় এমন পোশাক বেছে নিন। কোমরে বেল্টযুক্ত পোশাক বেশ মানানসই হবে।

৪। নাশপাতির আকৃতিঃ এই আকৃতির শরীরের নিচের অংশে মেদের পরিমাণ বেশি থাকে। আবার কাঁধ ও কোমর সাধারণত স্লিম হয়ে থাকে। তারা চাইলেই স্লিভলেস পোশাক বেছে নিতে পারেন। এ ছাড়া লম্বা স্কার্টও বেশ মানাবে। ছবিঃ সংগৃহীত

শারীরিক গঠন অনুযায়ী পোশাক নির্বাচনের টিপস

শারীরিক গঠন অনুযায়ী পোশাক নির্বাচনের টিপস

ফ্যাশনেবল পোশাকে তারুণ্যকে তুলে ধরতে সবাই কম-বেশি ব্যস্ত। তবে নিজেকে ফ্যাশনেবল করে তুলতে শরীরের আকার-আকৃতির, বডিশেপ বুঝে পোশাক নির্বাচন করতে হয়। কারণ আমাদের শরীরের আকৃতিতে রয়েছে ভিন্নতা। শারীরিক গঠন যেমনই হোক না কেন, শারীরিক গঠন অনুসারে পোশাক বেছে নেওয়া দরকার। নিজেকে সুন্দর ও আকর্ষনীয় দেখাতে তাই শারীরিক গঠন অনুযায়ী পোশাক নির্বাচনের জন্য রইল কিছু টিপসঃ
চিত্রঃশারীরিক গঠন অনুযায়ী পোশাক নির্বাচনের টিপস। ছবিঃ সংগৃহীত
শারীরিক গঠন অনুযায়ী পোশাক নির্বাচনের টিপস। ছবিঃ সংগৃহীত

১। যাদের উচ্চতা খুব বেশি নয়, তারা বেশি ঢোলা দেখা যায় এমন সালোয়ার বা প্যান্ট পরবেন না। খাটো পোশাক তাদের জন্য একেবারেই বেমানান। তারা সেমি লং টাইপের পোশাক বেছে নিন।

২। যারা একটু মোটা তারা সবসময় লম্বালম্বি সরু স্ট্রাইপের পোশাক বেছে নিন। দেখতে ভালো লাগবে এমনকি লম্বাও দেখাবে বেশ।

৩। যাদের শরীর নিচের চেয়ে উপরের অংশ বেশি মোটা, তারা একটু লং আর ডিপ রঙের পোশাক পরুন। মেচিং করা পোশাক ভালো মানাবে।

৪। যাদের শরীর খুব বেশি মোটা, তারা স্ট্রেইট অল্প ঘেরের কামিজে মানাবে। আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা বড় প্রিন্টের পোশাক এদের জন্য একেবারেই বেমানান।

৫। আবার যারা খুব বেশি চিকন ও লম্বা, আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা বড় প্রিন্টের পোশাক বেছে নিন। এ ধরনের পোশাক তাদের বেশ মানাবে।

৬। অতিরিক্ত মোটা মেয়েদের জিন্স ব্যবহার করার ক্ষেত্রে স্ট্রেইট কাট ও ন্যারো কাট এড়িয়ে চলুন। কামিজের সঙ্গে টাইটস, লেংগিস বা জেংগিস মানাবে।

৭। মেয়েরা একটু পাতলা টাইপের যেমন সফট সিল্ক, ক্রেপ সিল্ক বা জর্জেট শাড়ি পরুন। অফিস বা যে কোনো জায়গায় এসব পোশাক পরতে পারেন। পার্টিতে তসর সিল্ক বা সিল্ক বেনারসি পরতে পারেন।

৮। লম্বা মেয়েরা ব্লাউজ পরার ক্ষেত্রে ছোট প্রিন্টের বা চেকের ব্লাউজ বেছে নিন। কামিজ বা ব্লাউজের গলা বেশি বড় পরবেন না। কলারওয়ালা পোশাকে ভি বা ইউ গলা ভালো মানাবে। এ ছাড়া থ্রি কোয়ার্টার হাতার পোশাক নিশ্চিন্তে পরতে পারেন।

৯। লম্বা ফ্যাটি শরীরে শার্ট পরার ক্ষেত্রে একরঙা, লম্বা ও কোনাকুনি স্ট্রাইপের শার্ট ভালো মানাবে। সঙ্গে ডিপ কালারের প্যান্ট পরবেন।

১০। স্টাইলিশ ও ফ্যাশনেবল লুকের জন্য বেল বা ডিভাইডার হাতা পোশাক বেছে নিন। মোটা মেয়েদের এ পোশাকে  দারুণ মানায়।

ঘরোয়া উপায়ে করুন চুলের প্রোটিন ট্রিটমেন্ট

ঘরোয়া উপায়ে করুন চুলের প্রোটিন ট্রিটমেন্ট

আমাদের চুল তৈরি হয়েছে ক্যারোটিন নামক এক প্রকার প্রোটিন দিয়ে। এই ক্যারোটিনের কারণেই চুল সুস্থ ও সবল থাকে। চুলের ইলাস্টিসিটিও ধরে রাখে এই প্রোটিন। প্রোটিন ট্রিটমেন্ট যা চুলের গভীরে পৌঁছে চুলে পুষ্টি জোগায়। এছাড়াও এই ট্রিটমেন্ট দুর্বল বা ভঙ্গুর চুলে পুষ্টি জুগিয়ে কয়েক গুন ঝরঝরে ও সতেজ করে। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে করবেন প্রোটিন ট্রিটমেন্টঃ
চিত্রঃঘরোয়া উপায়ে করুন চুলের প্রোটিন ট্রিটমেন্ট
ঘরোয়া উপায়ে করুন চুলের প্রোটিন ট্রিটমেন্ট
প্রোটিন ট্রিটমেন্টের জন্য প্রথমে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল গরম করে নিন। এবার চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে তেল লাগান। খেয়াল রাখুন প্রতিটি চুলের গোড়ায যেন তেল পৌঁছায়। এবার গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখু্ন কিছুক্ষন। এতে তেল মাথার ত্বকের গভীরে প্রবেশ করবে। এরপর চুলে প্রোটিন প্যাক লাগান। এরজন্য ১টি ডিম, আধা কাপ টক দই, ২ টেবিল চামচ মধু আর ২ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মাথার ত্বকে আর চুলে ভালো করে লাগিয়ে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। আপনার চুলের উপযোগী শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে তারপর কন্ডিশনার লাগান। হয়ে গেল আপনার চুলের প্রোটিন ট্রিটমেন্ট। আপনার সুবিধামতো মাসে ১বার বা ২বার ব্যবহার করুন, তফাত নিজেই টের পাবেন। ছবিঃ সংগৃহীত

এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর বিভিন্ন গুনাগুন

এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর বিভিন্ন গুনাগুন

এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী হৃদযন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র, মুখের ঘা, পেটের পীড়া, রূপ সৌন্দর্যসহ বহু উপকারে আসে। এলোভেরা এমন একটি গাছের পাতা যা প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস করে এই এলোভেরা পাতার নির্যাস মেশানো সরবত পান করলে কৌষ্ঠকাঠিন্যসহ বহু রোগের উপশম হয়। শরীর মন সব কিছুই ঠাণ্ডা রাখে। মানব দেহের প্রত্যেকটি রোগের প্রতিকার এই ঘৃতকুমারীর মধ্যে আছে। তাই আমাদের সবার উচিত এর গুনাগুন ও ব্যবহার সম্পর্কে।
চিত্রঃএলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর বিভিন্ন গুনাগুন
এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর বিভিন্ন গুনাগুন
হজমে সহায়কঃ নিয়মিত ঘৃতকুমারীর রস পানে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।  । ফলে দেহের পরিপাকতন্ত্র সতেজ থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

শক্তিবর্ধকঃ নিয়মিত ঘৃতকুমারীর রস সেবন শরীরের শক্তি যোগান সহ ওজনকে নিয়ন্ত্রণে  রাখতে সাহায্য করে।

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ যারা দীর্ঘকাল ফিব্রোমিয়ালজিয়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে ঘৃতকুমারীর রস দারুণ কাজ করে। এটি দেহে সাদা ব্লাড সেল গঠন করে যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।

ক্ষতিকর পদার্থের অপসারণঃ দেহ থেকে ক্ষতিকর পদার্থ অপসারণে এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক ঔষধির কাজ করে। ঘৃতকুমারীর রস সেবনের ফলে শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের মিশ্রণ ও খনিজ পদার্থ তৈরি হয় যা আমাদেরকে চাপমুক্ত রাখতে এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।

প্রদাহ কমায়ঃ ঘৃতকুমারীর রস হাড়ের সন্ধিকে সহজ করে এবং দেহে নতুন কোষ তৈরি করে। এছাড়া হাড় ও মাংশপেশির জোড়া গুলোকে শক্তিশালী করে। সেইসঙ্গে শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ প্রশমনেও কাজ করে।

অনিয়মিত এবং অস্বাভাবিক মাসিক হলেঃ ঘৃতকুমারী পাতার শাষকে ভালভাবে চটকে চালুনীতে/ঝাকীতে পাতলা আবরণ করে একবার শুকানোর পর আরেকবার তার উপরেই পাতলা আবরণ লাগাতে হবে। এভাবে কয়েকবার লাগানোর পরে আমসত্বের মতো তৈরি হবে। মাসিকের সময় ২/৩ গ্রাম পরিমাণ পানিতে ভিজিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে হবে।

ত্বকের লাবণ্যতা বৃদ্ধি করেঃ এলোভেরার নির্যাস বের করে মুখে ম্যাসাজ করলে মুখের স্কিন সুন্দর হয় এবং লাবণ্যতা বৃদ্ধি পায়।

চুলের যত্নেঃ ঘৃতকুমারী চুলের উজ্জলতা বাড়াতে কন্ডিশনারের কাজ করে। এছাড়া চুল পড়া  এবং খুশকি প্রতিরোধ করে অ্যালোভেরা। চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাবে। 

শীতেও সুস্থ থাকুন

শীতেও সুস্থ থাকুন

মৌরি, এলাচ, দারচিনি, এ ধরনের কিছু মশলা এশীয়দের কাছে খুবই পরিচিত, যা চীন এবং মিশরে ৫০০০ বছর আগে থেকে শীতকালের নানা অসুখে ব্যবহার হয়ে আসছে৷ যা আজকাল জার্মানদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷
চিত্রঃশীতেও সুস্থ থাকুন
শীতেও সুস্থ থাকুন
মৌরিঃ মৌরি পেট পরিষ্কার রাখতে এবং স্বাসনালীর ইনফেকশনের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে থাকে। শীতকালে আধা চামচ মৌরি চা ১০ মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে দিনে কয়েকবার পান করলে পেট এবং স্বাসনালীর সমস্যা দূরে থাকে।

আদাঃ আদা, কাশি, পেটের সমস্যা এবং বমি-বমি-ভাব দূর করতে বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। বড় এক টুকরো আদা এক লিটার পানিতে ঘন্টাখানেক ফুটিয়ে ২৪ ঘন্টা পর ছেঁকে বোতলে ঢেলে রাখুন। তারপর কয়েকদিন ধরে অল্প অল্প করে পান করুন, যা পেটের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করবে।

এলাচঃ এলাচ পেটকে শান্ত রাখে, নিশ্বাস দুর্গন্ধমুক্ত করে। এমনকি এই ক্ষুদ্র এলাচ দানা চিবোলে নাকি মানুষের মনও ভালো হয়ে যায়।

জায়ফলঃ জায়ফল অর্থাৎ শক্ত বাদামের মতো দেখতে এই মসলাটির ভেতরের শক্ত দানা গুঁড়ো করে খেলে ইনফেকশন এবং বাত ও গেঁটে বাতের ব্যথায় খুবই উপকারী। জায়ফল খাওয়ায় রুচি বাড়াতেও সাহায্য করে, তবে পরিমাণে খুবই কম খেতে হয় অর্থাৎ মাত্র এক চিমটে।

লবঙ্গঃ লবঙ্গ মাইগ্রেন অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় এবং খুশখুশে কাশি দূর করে। লবঙ্গের ঝাঁঝ শরীরে উদ্দীপক হিসেবেও কাজে করে।

দারচিনিঃ দারচিনিতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়ার উপাদান, যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়।এর সুগন্ধ যুক্ত তৈল ও পাওয়া যায়। রুপচর্চায় দারুচিনির সুগন্ধ যুক্ত তৈল ব্যবহার অন্যতম।

গোলমরিচঃ গোলমরিচ হাড়ের ব্যথা, স্ট্রেস এবং নার্ভাসনেস দূর করতে সাহায্য করে থাকে।ভালোভাবে গরম করা একমুঠো গোলমরিচ একটি কাপড়ে নিয়ে তা ব্যথার স্থানে কিছুক্ষণ ধরে রাখলে বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

ত্বকের দাগ দূর করবে এলোভেরা

ত্বকের দাগ দূর করবে এলোভেরা

এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী আমাদের সবারই সুপরিচিত একটি ভেষজ উপাদান। ভেষজ চিকিৎসা শাস্ত্রে এলোভেরার ব্যবহার পাওয়া যায় সেই খৃীষ্টপূর্ব যুগ থেকেই। তখন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এলোভেরার অনেক গুণের কথা আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে ত্বকের দাগ দূর করার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা অনন্য। চলুন জেনে নেই এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর মাধ্যমে কিভাবে দাগহীন ত্বক পাওয়া যাবে।
চিত্রঃত্বকের দাগ দূর করবে এলোভেরা
ত্বকের দাগ দূর করবে এলোভেরা
এলোভেরার শরবতঃ এলোভেরার একটি সতেজ পাতা কেটে নিয়ে পরিস্কার করে দুইভাগ করুন। এরপর ভেতরের জেলির মতো শাসগুলো চামচ দিয়ে গ্লাসে ঢেলে নিন। এবার পানি ও চিনি মিশিয়ে তৈরী করুন এলোভেরার টনিক। এর ঝাঁঝালো গন্ধ দূর করতে এর সাথে একটু ট্যাং মেশাতে পারেন। এই টনিক প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পান করলে, প্রাকৃতিক ভাবেই পেতে পারেন দাগহীন ত্বক। ব্রণ এবং সানবার্ণ থেকেও এটি আপনাকে মুক্তি দেবে।

ত্বকের দাগে প্রয়োগঃ এলোভেরার শাস বা জেল ত্বকের যেসব জায়গায় দাগ আছে, সেখানে সরাসরি প্রয়োগ করতে পারেন। রাতে ঘুমাবার আগে ত্বকের দাগগুলোতে জেলের মতো করে এলোভেরার শাস লাগান। সকালে উঠে যে কোন ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এলোভেরার ব্যবহার আপনাকে দিতে পারে দাগহীন ত্বকের প্রতিশ্রুতি।

রঙের প্রভাব কি শুধুই কাপড়ে, নাকি আপনার মনেও?

রঙের প্রভাব কি শুধুই কাপড়ে,  নাকি আপনার মনেও?

কালো, বাদামী, ধূসর, এই রঙগুলো নাকি ব্যাক্তিত্ব বহন করে। তাই নিজের জন্য রঙ বেঁছে নিতে অনেকেরই নিরাপদ পছন্দ থাকে এধরেন রঙগুলো। কালচে বা ডার্ক রঙ যাদের পছন্দ, তারা সাধারণত রঙ নিয়ে খুব বেশি এক্সপেরিমেন্ট (পরীক্ষা) করেন না। তাই তাদের বেশিরভাগ জামা হয়ে থাকেন এই ধাঁচের রঙের। তবে জানেন কি, রঙিন রঙের পরিবর্তে এমন ডার্ক রঙ বেঁছে নেওয়ার কারণে আমরা কত কিছু মিস করে যাচ্ছি?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, যখন আমরা কোন রঙের দিকে তাকাই, তখন তা আমাদের মস্তিষ্ককে নাড়া দেয়। মস্তিষ্কের এই আলোড়ন ব্রাইট বা উজ্জ্বল রঙের ক্ষেত্রে একরকম। ডার্ক বা কালচে রঙের ক্ষেত্রে হয় আরেক রকম। লাল, গোলাপী, কমলার মতো উজ্জ্বল রঙ শরীরে আনন্দ অনুভূতির হরমোনের নিঃসরণ করে। এতে মন ইতিবাচক অনুভব করে এবং মুড ভালো থাকে। তাই মন খারাপের সময় রঙিন কাপড় পরার উপদেশ দেন অনেকেই। নিজেই দেখবেন রঙিন জিনিস, ঘর, পর্দা, দেয়াল আপনার মনকে একটা ভালো লাগা অনুভব করাচ্ছে। তাই মন খারাপ বলে ডার্ক রঙ পড়বেন না। বরং মন ভালো রাখতে চান বলে, উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরুন। যদিও যেকোন রঙিন রঙ মন ভালো রাখার জন্য যথেষ্ট। তারপরও  জেনে নিন কোন রঙ নির্দিষ্টভাবে মনে কেমন প্রভাব ফেলে।
চিত্রঃ রঙের প্রভাব কি শুধুই কাপড়ে,  নাকি আপনার মনেও?
রঙের প্রভাব কি শুধুই কাপড়ে,  নাকি আপনার মনেও?
লাল ও বেগুনীঃ
লাল, বেগুনী রঙ প্রাণবন্ততা জাগায়। আপনাকে করে বোল্ড। কারণ এই রঙ নাকি এনার্জির অনুভূতি জাগায়। ফলে আপনি কাজের প্রতি উৎসাহ পাবেন।

গোলাপীঃ
সব রঙের মাঝে গোলাপী হচ্ছে শান্ত, তবে তারপরও প্রাণবন্ত। গোলাপীবোঝায় ভালোবাসা, ভালো লাগা, রোম্যান্স এর মতো মৃদু অনুভূতির প্রকাশ পায় এই রঙে।

সবুজ ও হলুদঃ
হলুদ, কমলা, সবুজের মতো ভাইব্রেন্ট বা স্পন্দনশীল রঙ নাকি মনে আনন্দের আমেজ আনে। গাছ, ফুল, ফলের মাঝে এই রঙগুলো খুব বেশি পাওয়া যায়। এজন্যই প্রকৃতির মাঝে মন আনন্দ খুঁজে পায়।

নীলঃ
বেদনার রঙ বলা হয় নীলকে। তবে নীল কিন্তু মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। নীল রঙ দেখে শরীরে ক্যামিকেল রিএকশন হয়, যা মনকে ভাবতে সাহায্য করে। বিভিন্ন শেডের নীল দৃঢ়তা, নির্ভরতা, জ্ঞান, রাজকীয়তা এবং আনুগত্য বোঝায়।

বাদামীঃ
এই রঙ প্রকাশ করে বন্ধুত্বকে, নির্ভরযোগ্যতা ও স্থায়িত্বকে। মাটির রঙ বাদামী বলে, এই রঙ দিয়ে প্রাকৃতিক বা নির্ভেজাল বিষয়টিও বোঝানো হয়। ছবি, তথ্যঃ সংগৃহীত 

ব্লাউজ তৈরির ক্ষেত্রে কিছু অতি প্রয়োজনীয় টিপস

ব্লাউজ তৈরির ক্ষেত্রে কিছু অতি প্রয়োজনীয় টিপস

চিত্রঃব্লাউজ তৈরির ক্ষেত্রে কিছু অতি প্রয়োজনীয় টিপস
ব্লাউজ তৈরির ক্ষেত্রে কিছু অতি প্রয়োজনীয় টিপস
  • ব্লাউজের ফিটিং ভালো হতে হলে সঠিক মাপ নেওয়া জরুরি। আপার বাস, মিডল বাস ও লোয়ার বাসের মাপ ঠিকঠাক নিতে হবে। ব্লাউজের সেলাইয়ে ডার্টের মাপ ঠিক রাখাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
  •  ডার্টের মাপ ঠিক থাকলে হাতা ও কাঁধের ফিটিং ভালো হবে এবং স্লিভের পাশে ভাঁজ পড়বে না।
  • ব্লাউজের লেন্থ বেশি চাইলে ব্যক্তির উচ্চতা অনুযায়ী ১৪-১৫ ইঞ্চির পর দুই পাশে কামিজের মতো কাটা থাকলে ফিটিং ভালো হবে।
  • মসলিন, জর্জেট বা সিল্কের ব্লাউজের ভেতরে লাইলিন দিতে হবে। সুতির লাইলিন দিতে না চাইলে ব্লাউজের কাপড় দিয়েই ডাবল লাইলিন দেওয়া যেতে পারে। আর সুতি চাইলে খুব পাতলা সুতি, যেমন- পাকিজা বা বেক্সি ভয়েলের লাইলিন আরামদায়ক।
  • ব্লাউজের নেক লাইনে কাজ থাকলে গলার গয়না বাদ দিলেই ব্লাউজের সৌন্দর্য বজায় থাকবে। জমকালো সাজে কানে ভারী গয়না রাখুন। চুলের সাজেও হরেক গয়নার ব্যবহার সাজে জৌলুস বাড়াবে।
  • স্লিভলেস পরার জন্য অবশ্যই হাত হতে হবে সুঢৌল, মেদহীন, লোমমুক্ত। অতিরিক্ত মোটা আর ক্ষীণকায় হাত হলে স্লিভলেস না পরাই ভালো।
  • মোটা শরীরের মেয়েরা অনেক সময়ই দ্বন্দ্বে থাকেন কোন ছাঁটটি দিলে তাঁদের ভালো লাগবে দেখতে। হাত যাদের মোটা, সব সময় ব্লাউজের হাতাটি বড় রাখুন। এতে শুকনো লাগবে 
  • ব্লাউজের গলার ক্ষেত্রে দিতে পারেন ভি-ছাঁট। এতে অনেক ভালো লাগবে। চওড়া কাঁধ যাঁদের তাঁরা গোল দিয়ে, ভি-ছাঁট দিয়ে অথবা ওভাল গলা পরুন।
  • এক রঙের কাপড়ের ওপর শুধু ব্লকের ব্যাবহারেই আনা যায় ভিন্নতা। শুধু দরকার হবে রং ব্যবহার করার সময় একটু বাড়তি সচেতনতা। শুধু একটি নয়, তিন-চারটা রং ব্যবহারেও কাপড়টিকে সুন্দর করে তোলা যায়।
  • আপনি যদি শাড়িতে পরিপূর্ণতা আনতে চান , আপনার ব্লাউজটি হতে হবে মানানসই ছাঁটে অনেকেই ব্লাউজ উঁচু কলার দেয়। তবে শার্টের কলার দিলেও মন্দ হয় না, তবে এই গরমে না।
  • অফ শোল্ডার অনেকেই দিচ্ছে। আপনিও অফ শোল্ডার ব্যাবহার করতে পারবেন অনায়াসে, ছাঁটে একটু এদিক-ওদিক করেই। সে ক্ষেত্রে আপনাকে করতে হবে অফ শোল্ডার ব্লাউজটির ওপরের অংশটি পাতলা কাপড় দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন। অফ শোল্ডার দেয়ার সুবিধা এটার শোল্ডার ভাবটি থাকার পাশাপাশি কাঁধের ওপরের অংশটিও ঢাকা থাকবে।

অবশ্যই  শখের ব্লাউজ ব্যবহারে যত্নশীল হতে হবে। ব্যবহারের পর বাতাসে শুকিয়ে নেওয়া জরুরি। নকশাদার যেকোনো ব্লাউজ অবশ্যই ড্রাইক্লিন করা উচিত। ভাঁজ না করে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। সুতির ব্লাউজ ভাঁজ করে রাখা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে লাম্বালম্বি একটা ভাঁজ দিয়ে রাখুন।

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি!

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি! নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি! শীত, গরম বা বর্ষাকালেও খুশকির যন্ত্রনা যেন মেটে না। পার্লারের আহাম...

Our Popular Posts