চুলের যত্নে মেথির তেল

চুলের যত্নে মেথির তেল

চুলের বহু সমস্যা সমাধান রয়েছে মেথির মদ্ধে। যেমন- কম বয়সে চুল পেকে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে, চুলের বৃদ্ধিতে, খুশকি দূরীকরণসহ আরো অনেক ক্ষেত্রে মেথির ব্যবহার হয়ে থাকে। ঔষধী গুণে সমৃদ্ধ মেথিতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন-সি, আয়রণ, পটাসিয়াম, নিকোটিনিক এসিড, লেসিথিন।
চিত্রঃচুলের যত্নে মেথির তেল
চুলের যত্নে মেথির তেল

সপ্তাহে দুইবার মেথির তেল ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হয়, চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং অকালে চুল পাকা থেকে রক্ষা পাওয়া, চুলের রুক্ষতা কমিয়ে কোমলতা ফিরিয়ে আনে এবং স্ক্যাল্পের চুলকানি কমে ও খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই সুস্থ চুল পেতে নিয়মিত ব্যবহার করেত পারেন মেথির তেল।

এরজন্য ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেলে ২চা চামচ মেথি দানা নিয়ে চুলায় দিয়ে জ্বাল দিন যতক্ষন পর্যন্ত না মেথি দানা লালচে বাদামি রঙ ধারণ না করে। লালচে বাদামি হয়ে যাওয়ার পর চুলা থেকে নামিয়ে মেথি তেল থেকে আলাদা করে নিন। তেল যখন হালকা গরম হবে তখন তা নিয়ে স্ক্যাল্পসহ পুরো চুলে আলতো করে লাগিয়ে নিন। সারা রাত রেখে পরেরদিন শ্যাম্পু করে, চুলে কন্ডিশনার দিন।

ফুলকপি মটরের রেসিপি

ফুলকপি মটর রেসিপি

শীতের সবজি হিসাবে ফুলকপি একটি সুস্বাদু খাবার। ভাজি, রান্না, সুপ, সালাদ নানাভাবে খাওয়া যায় ফুলকপি। আজ রইল ফুলকপি মটর রেসিপি।
চিত্রঃফুলকপি মটরের রেসিপি
ফুলকপি মটরের রেসিপি

উপকরণঃ 
মটর ১০০ গ্রাম, ফুলকপি ১টি (হলুদ ও লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নেয়া), টমেটো কুচি ১টি , কাঁচামরিচ কুচি ২টি, গোটা জিরা ১ চা-চামচ ,ধনিয়া গুঁড়া ২ চা-চামচ ,আদা কুচি ১/২, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১/২ চা-চামচ, ধনেপাতা কুচি সামান্য, তেল, লবণ পরিমাণমতো।

প্রস্তুত প্রণালিঃ চুলায় প্যান দিয়ে তাতে তেল গরম করে জিরা, কাঁচামরিচ ও ফুলকপি দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ পর টমেটো দিয়ে তাতে হলুদ, মরিচ, ধনিয়া, আদা, লবণ দিয়ে নাড়াচাড়া করার পর মসলা ভালোভাবে মিশে গেলে তাতে সিদ্ধ মটর ঢেলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। ১০-১২ মিনিট পর ধনেপাতা কুচি দিয়ে নেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।

রূপচর্চায় লেবুর অজানা ব্যবহার

রূপচর্চায় লেবুর অজানা ব্যবহার

দৈনন্দিন খাবারে লেবু স্বাদবর্ধক হিসেবে ব্যবহৃত হলেও আরো কিছু গুণাগুণ আছে যা অনায়াসে রূপচর্চার সহায়ক হতে পারে। লেবুতে আছে সাইট্রিক এসিড যা দিয়ে আমরা সহজেই আমাদের ত্বকে জমে থাকা অতিরিক্ত তেল, ময়লা মরা কোষ এমনকি অবাঞ্ছিত দাগ দূর করতে পারি এবং পেতে পারি উজ্জ্বল গায়ের রঙ এবং কোমলতা।  চলুন জেনে নেয়া যায় লেবুর আরো কিছু অজানা ব্যবহার।
চিত্রঃরূপচর্চায় লেবুর অজানা ব্যবহার
রূপচর্চায় লেবুর অজানা ব্যবহার

ত্বক পরিষ্কার করতেঃ ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ মধু, ১/২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ভালো মতো মিশিয়ে নিন। তারপর এর সাথে ১ টেবিল চামচ চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে ব্যবহার করুন ত্বক পরিষ্কারক হিসেবে।

ফেসপ্যাক হিসেবেঃ দুই চামচ দইয়ের সাথে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে ফেস প্যাক তৈরি করুন। চোখের আশেপাশের অংশ বাদ দিয়ে এই প্যাক মুখ এবং গলা, ঘাড়ে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট পরে প্রথম হালকা গরম পানিতে মুখ, গলা, ঘাড় ধুয়ে ফেলুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এতে আপনি সতেজ অনুভব করবেন।

খুশকি দূর করতেঃ ৪ ভাগের তিন অংশ অলিভ অয়েল/ নারকেল তেল, মধু এবং তিন চামচ লেবুর রস দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মিশ্রণ হাল্কা গরম করে চুলের গোঁড়ায় লাগিয়ে রেখে ১ঘন্টা পরে  চুল শ্যাম্পু করে নিন।

চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতেঃ অনেক সময় চুলে তৈলাক্ত ভাব থাকে যা শ্যাম্পু করার পরেও থেকে যায়। সেক্ষেত্রে আধা কাপ লেবুর রসের সাথে আধা কাপ পানি মিশিয়ে চুলে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবেঃ কন্ডিশনার হিসেবেও লেবু ব্যবহার করা যায়। সেইজন্য শ্যাম্পু করার পরে এক কাপ পানিতে একটি লেবুর রস মিলিয়ে চুলে দিয়ে ২ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন।

সতর্কতাঃ ত্বকে লেবু ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই হাতে লেগিয়ে দেখুন জ্বালা করে কিনা। লেবুতে এলার্জি বোধ করলে সাথে সাথে ধুয়ে ফেলুন

অফিসে পরিধানের জন্য পোশাক নির্বাচনের আগে মাথায় রাখুন

অফিসে পরিধানের জন্য পোশাক নির্বাচনের আগে মাথায় রাখুন

ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব, তার মানসিকতা এবং নৈতিক আচরণ প্রস্ফুটিত হয় কেবল তার পোশাকের মাধ্যমেই। তাই অফিসের পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। অনেকেই হয়তো বুঝতেই পারেন না অফিসে কোন পোশাক পড়ে আসা উচিত। বিশেষ করে যেসব অফিসে ড্রেস কোড ঠিক করে দেয়া নেই সেইসব অফিসে পোশাক নিয়ে নানা বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। অনেকেই এমন অনেক বেমানান পোশাক পরে আসেন যা অফিসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে। কাজেই ব্যক্তিত্ব প্রকাশে প্রতিষ্ঠানের ধরণ, প্রচলিত সংস্কৃতি ও অবস্থান বুঝেই পোশাক নির্বাচন করা উচিত। তাই জেনে নিন অফিসের উত্তম পোশাক নির্বাচনের কিছু টিপসঃ
চিত্রঃঅফিসে পরিধানের জন্য পোশাক নির্বাচনের আগে মাথায় রাখুন
অফিসে পরিধানের জন্য পোশাক নির্বাচনের আগে মাথায় রাখুন

১। অফিসের জন্য হালকা মার্জিত রঙের পোশাক নির্বাচন করুন। কেননা খুব বেশি কড়া রঙের পোশাক অফিসে দৃষ্টিকটু দেখায়।

২। নারীরা পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে শালীনতার বিষয়টি মাথায় রাখুন। যে পোশাকই পরুন না কেন তা যেন অফিসের সঙ্গে মানানসই ও শালীন হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখুন।

৩। অতিরিক্ত কারুকাজের জবরজং পোশাক পরে এবং কখনোই খুব বেশি সেজে অফিসে যাবেন না। এতে ব্যক্তিত্ব নষ্ট হতে পারে। যেভাবে আপনাকে খুব কনফিডেণ্ট দেখায় সেভাবেই যান কর্মস্থলে।

৪। সাধারণত অফিসে ফরমাল শার্ট পরাই বেশি ভালো। তবে কেউ টি শার্ট পরে অফিসে আসতে চাইলে অবশ্যই কলার যুক্ত টি শার্ট পরুন। কেননা গোল গলার টি শার্ট অফিসে খুবই বেমানান দেখায়।

৫। সাধারন স্যান্ডেলের পরিবর্তে অফিসে সু পরে আসতে পারেন। অথবা এমন জুতা পরুন যেটা হাটার সময় খুব বেশি শব্দ হয় না। নয়তো অফিসে নিজেকে বেমানান লাগবে।

৬। শব্দের সৃষ্টি হয় এমন কোনো অলংকার পরে নারীদের অফিসে আসা ঠিক নয়। কেননা অলংকারের শব্দে অন্যদের কাজের মনোযোগ নষ্ট হতে পারে।

৭। আপনার অফিসে প্যান্ট পরার অনুমতি থাকলে সবসময় ফরমাল প্যান্টই নির্বাচন করুন। খুব বেশি ভিন্ন ধরনের কাট ছাঁটের কিংবা বেশি টাইট ফিটিং ইনফরমাল প্যান্ট পরে অফিসে না আসাই ভালো।

৮। অফিসে কড়া গন্ধের সুগন্ধির পরিবর্তে হালকা ঘ্রাণের রুচিশীল সুগন্ধি ব্যবহার করুন। এতে করে আপনার রুচিশীল মানসিকতার পরিচয় মিলবে।

৯। বিবাহিত নারীরা হাতভর্তি চুড়ির না পরে হাল্কা ২ টা চুড়ি কিংবা ঘড়ি ব্যবহার করুন।

১০। মনে রাখবেন অফিস আপনার কাজের যায়গা। এখানে খুব ভারী মেকআপ ও অনেক ঝকমকে জামাকাপড় অফিসের জন্য উপযুক্ত নয়। আবার তার মানে এই নয় যে কোন রকম অফিসে চলে যাবেন। নিজেকে দেখতে রুচিশীল মনে হয় সেভাবেই যাবেন। ছবিঃ সংগৃহীত

ত্বকের যত্নে দুইটি ফেসিয়াল মাস্ক

ত্বকের যত্নে দুইটি ফেসিয়াল মাস্ক

ত্বকের নমনীয়তা ধরে রাখার মাস্ক
বয়সের কারণে ত্বকের কোমলভাব হারায়। কারণ সময়ের সঙ্গে কোলাজেন বা কোষের গঠন ধরে রাখার প্রধান উপাদানের পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে ত্বকে পড়ে বয়সের ছাপ। তবে সঠিক যত্নে এই প্রক্রিয়ার গতি কমিয়ে আনা যায়।


চিত্রঃত্বকের যত্নে দুইটি ফেসিয়াল মাস্ক
ত্বকের যত্নে দুইটি ফেসিয়াল মাস্ক
টক দই ২ টেবিল-চামচ, ১ টেবিল-চামচ কোকোয়া-গুঁড়া, ১ চা-চামচ দুধ, ১/২ কলা চটকে নেওয়া এবং ১ চা-চামচ মধু নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এবার মিশ্রণটি মুখে ও গলায় লাগিয়ে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

লোমকূপ পরিষ্কার রাখার মাস্ক
ব্যস্ত জীবনে নিয়ম করে লোমকূপ পরিষ্কারের সময় হয় না। অথচ ময়লা, ঘাম ও ধুলাবালির কারণে ত্বকের লোমকূপ বন্ধ হয়ে গেলে মুখ দেখতে লাগবে প্রাণহীন।
লোমকূপ সহজেই পরিষ্কারের মাস্ক তৈরি করতে লাগবে  ১ টেবিল-চামচ চালের গুড়া, ১ টেবিল-চামচ লেবুর রস, পরিমাণ মতো মধু ও ১ চা-চামচ দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করুন। পুরো মুখে লাগিয়ে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্ক ত্বকের লোমকূপের ভেতর থেকে পরিষ্কার করবে। ছবিঃ সংগৃহীত

জেনে নিন রান্না ছাড়াও লবনের বিভিন্ন রকমের ব্যবহার!

জেনে নিন রান্না ছাড়াও লবনের বিভিন্ন রকমের ব্যবহার!

লবন, রান্নাঘরে ব্যবহৃত সবচেয়ে দরকারি উপাদান। কম হলে পানসে , বেশি হলে তেতো। তবে রান্নার কাজ ছাড়াও লবণের আছে কিছু ভিন্নধর্মী ব্যবহার। জেনে নিন লবণের এমন কিছু অজানা ব্যবহারঃ

চিত্রঃ জেনে নিন রান্না ছাড়াও লবনের বিভিন্ন রকমের ব্যবহার!
জেনে নিন রান্না ছাড়াও লবনের বিভিন্ন রকমের ব্যবহার!ছবিঃ সংগৃহীত

মাছ পরিষ্কারেঃ পিচ্ছিল মাছ (যেমন বোয়াল, পাঙ্গাশ, বাইম মাছ ইত্যাদি) কাটতে এবং পরিষ্কার করতে বেশ কষ্ট হয়। মাছে সামান্য পানি দিয়ে বেশ কিছু লবণ ছিটিয়ে দিন। এরপর নাড়াচাড়া করে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেললেই মাছের পিচ্ছিল ভাব অনেকটাই কমে যাবে এবং কাটতে সুবিধা হবে।

চর্বিযুক্ত প্যান পরিষ্কার করতেঃ নন-স্টিক চর্বিযুক্ত প্যান পরিষ্কার করার সময় অল্প কিছু লবণ মিশিয়ে নিন। দেখবেন খুব সহজে প্যান থেকে চর্বি ময়লা উঠে গেছে।

সিঙ্কের পাইপ পরিষ্ষ্কারঃ সিংকের পাইপ সবসময় খুলে পরিষ্কার করাও সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে গরম পানি, ভিনেগার, বেকিং সোডা ও লবন এক সাথে মিশিয়ে পাইপে ছেড়ে দিন। দেখবেন জ্যাম থাকবে না আর।

দাঁত ও গলা ব্যথায়ঃ দাঁত ও গলা ব্যথায় লবণ-পানির চিকিত্‍সা খুবি সাধারণ। দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে, রক্তপাত হলে উষ্ণ গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশেয়ে কুলি করুন। দিনে অন্তত তিনবার করুন। খুব দ্রুত আরাম পাবেন। গলাব্যথাতেও গরম পানি ও লবণের ব্যবহার আরামদায়ক। তবে এখানে কুলির পরিবর্তে গার্গল করতে হবে।

পা ব্যথায়ঃ অতিরিক্ত হাঁটলে বা ক্লান্তির কারণে পায়ের পাতা ব্যথা করতে পারে। একটি গামলায় সহ্য করতে পারবেন এমন গরম পানি নিন। এতে সামান্য লবণ মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন দশ মিনিট। ব্যথা কমে যাবে অনেকটুকু।

পায়ের দূর্গন্ধ দূর করাঃ  অনেক সময় মোজা ছাড়া জুতো পড়লে জুতোতে এক ধরনের গন্ধ হয়ে যায়। এ ধরনের বাজে গন্ধ দুর করতে আগের রাতে সামান্য লবন জুতোতে ছিটিয়ে রাখুন পরের দিন এ গন্ধ দুর হয়ে যাবে।

চপিং বোর্ড পরিষ্কার করতেঃ চপিং বোর্ড দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে কেমন যেনো ফ্যাকাশে হয়ে যায়। চপিং বোর্ড নতুনের মতো করতে এবং ডিপ ক্লিন করতে একটি স্পন্জে ডিটারজেন্টের সাথে লবন মিশিয়ে পরিষ্কার করুন। দেখবেন ঝকঝকে হয়ে গেছে!

ফল সতেজ রাখতেঃ ফল কেটে রাখলে কালো হয়ে যায়। লেবুর রস বা ভিনেগার ছাড়াও লবণ পানির মধ্যে কাটা ফলগুলো ভিজিয়ে রাখলে কালো দাগ হবে না।

হাঁড়ি পাতিলের পোড়া দাগ দূর করতেঃ পোড়া দাগ পাতিল থেকে উঠানো বেশ কষ্টসাধ্য। প্রথমে পোড়া পাতিলটি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবার লবণ দিয়ে পোড়া দাগ ঘষুন। এভাবে ১০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। লবণ পোড়া দুধের দাগ শুষে নিয়ে থাকে।

ফুল তাজা রাখতেঃ ফুল ঘরে এনে রাখলে খুব সহজেই মরে যায়। ফুলদানিতে সামান্য পানি ঢেলে এতে লবন দিয়ে ফুলগুলো এই ফুলদানিতে রেখে দিন। এভাবে দীর্ঘদিন ফুলগুলো তরতাজা থাকবে।

আচারি আলুর রেসিপি

আচারি আলুর রেসিপি

দেশীয় বাজারে চলছে এখন নতুন আলুর জমজমাট অবস্থা। আলু দিয়ে ভিন্ন কোনো রান্না করতে চাইলে তৈরি করে ফেলতে পারেন আচারি আলু।  ভারতে বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার হল এই আচারি আলু।

চিত্রঃআচারি আলুর রেসিপি
আচারি আলুর রেসিপি

উপকরণঃ মাঝারি আলু সিদ্ধ ৪টি , আচারি মশলা ১/২ কাপ,  চালের গুঁড়ো ৩ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমত, ১ টেবিল চামচ তেল, ১/৪ চা চামচ মেথি, ১/২ চা চামচ সরিষার দানা, ১/২ চা চামচ কালিজিরা, ১ টেবিলচামচ রসুন কুচি, ১ ইঞ্চি আদা কুচি, ১টি মাঝারি আকারে পেঁয়াজ কুচি, ১/২ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো, ২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি।

প্রণনালীঃ প্রথমে আলু সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ আলুর সঙ্গে চালের গুঁড়ো, লবণ এবং সামান্য পানি দিয়ে মিশিয়ে নিন।  তারপর চুলায় তেল গরম করে এতে আলুগুলো দিয়ে দিন। বাদামী রং হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন ভাজা আলুগুলো। এখন নন-স্টিক প্যানে তেল গরম করে এতে জিরা, সরিষা, কালিজিরা দিয়ে ভাজুন। এবার আদা কুচি, রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে আবার কিছুক্ষণ ভাজুন।  এরপর এতে আচারের মশলা, ভাজা আলু, গরম মশলা এবং লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন। রান্না হয়ে গেলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে গরম ভাত, পরোটা কিংবা লুচির পরিবেশন করুন মজাদার আচারি আলু।

সমস্যা যখন পায়ে জ্বালাপোড়া

সমস্যা যখন পায়ে জ্বালাপোড়া

প্রায়ই রোগীদের মুখে পায়ে জ্বলাপোড়া অনুভূতির কথা শোনা যায়। পায়ের পাতায় এমনভাবে জ্বলে যেন পানি দিলেও কমেনা। কখনো কখনো সুঁই ফোটার মতো বিঁধে, ঝিম ঝিম করে বা অবশও লাগে। । এই যন্ত্রণাকর অনুভূতিতে রাতে ঘুমানো যায়না। নানা কারণে, এমনকি মানসিক বিপর্যয়েও হতে পারে এই জ্বালা যন্ত্রণা। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পায়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলেই এমনটা ঘটে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হয় পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি। নিউরোপ্যাথির একটি বড় কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত ও দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস। রক্তে শর্করার আধিক্য ধীরে ধীরে পায়ের স্নায়ুগুলোকে ধ্বংস করে এ ধরনের উপসর্গ সৃষ্টি করে। কিডনি ও থাইরয়েড সমস্যায়, ভিটামিন বি১২ ও বি১-এর অভাব, মদ্যপান, রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস ইত্যাদি রোগেও পায়ের স্নায়ুতে সমস্যা হয়। তবে সব সময় পায়ে যন্ত্রণা বা জ্বালাপোড়া মানেই যে স্নায়ুতে সমস্যা বোঝায়, তা নয়। আরও কিছু কারণে এ ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি হতে পারে। যেমন:
* পায়ে ছত্রাক সংক্রমণ
* পায়ে রক্ত চলাচলে সমস্যা
* মহিলাদের মেনোপোজের পর
* অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ
চিত্রঃসমস্যা যখন পায়ে জ্বালাপোড়া
সমস্যা যখন পায়ে জ্বালাপোড়া

পায়ে জ্বালাপোড়া হলে কখনোই অবহেলা করবেন না। দীর্ঘদিন এই সমস্যাতে ভুগলে অবশ্যই সচেতন হউন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
* ডায়াবেটিসের রোগীরা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন, পায়ের যত্ন নিতে শিখুন।
* যাঁদের পায়ের স্নায়ু সমস্যা আছে, তাঁরা পায়ের যেকোনো ক্ষতের দ্রুত চিকিৎসা করুন।
পায়ে গরম সেঁক নিতে, নখ কাটতে, জুতা বাছাই করতে সাবধান হোন।
* পায়ের সমস্যার জন্য সব সময় যে ভিটামিনের অভাবই দায়ী, তা নয়। তাই সব ধরনের সমস্যায় ভিটামিন বি খেয়ে উপকার পাওয়া যাবে না।
* দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমান। প্রয়োজনে চিকিৎসা নিন।

ত্বকের যত্ন শুরু করতে হবে বিয়ের দুইমাস আগে থেকে

ত্বকের যত্ন শুরু করতে হবে বিয়ের দুইমাস আগে থেকে

বিয়ের কথাবার্তা শুরু হলেই মেয়েদের চিন্তা শুরু হয়ে যায় কিভাবে ত্বকের যত্ন নেব, দেখতে কেমন লাগবে বিয়েতে,কত শত চিন্তা তাই না? চিন্তা ঝেড়ে ফেলে বিয়ের দু’মাস আগে থেকেই ত্বকের যত্ন নিতে শুরু করুন। বিয়ের দুমাস আগে থেকে এসব নিয়মিত ফলো করলে বিয়ের দিন আপনার ত্বককে দেখাবে উজ্জ্বল,লাবণ্যময়ী ও প্রাণবন্ত।
চিত্রঃত্বকের যত্ন শুরু করতে হবে বিয়ের দুইমাস আগে থেকেই
ত্বকের যত্ন শুরু করতে হবে বিয়ের দুইমাস আগে থেকেই

বেশি বেশি পানি পান করুনঃ বিয়ের মাসখানেক আগে থেকে অনেক বেশি করে পানি, কেমিক্যালমুক্ত ফলের জুস পান করুন। এতে করে ত্বকের ক্লান্তভাব দূর করে ত্বককে করে তুলবে ভেতর থেকে উজ্জ্বল।

নিয়মিত স্ক্রাব করুনঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কার্যকরী একটি সমাধান নিয়মিত স্ক্রাবিং। সপ্তাহে দুইবার স্ক্রাব করলে তৈলাক্তভাব দূর হবে, ব্রণ কমবে এবং ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডসও দূর হবে।

ত্বককে উজ্জ্বল করুনঃ রূপচর্চায় আদি ও অনবদ্য দুই উপাদান কাঁচা হলুদ ও দুধ। দুধের সাথে কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করুন নিয়মিত। ত্বক হয়ে উঠবে ভেতর থেকে ফর্সা ও উজ্জ্বল।

রুটিনে মেনে চলুনঃ দু’মাস পরেই যদি আপনার বিয়ের তারিখ ঠিক হয়, তাহলে অবশ্যই আপনাকে আজ থেকেই একটা স্কিন রুটিনে চলে আসতে হবে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করা, টোনিং করা, বাইরে গেলে সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করা, রাতে মুখ পরিষ্কার করে মানসম্মত নাইট ক্রিম ব্যবহার করা-বিয়ের দিন পারফেক্ট লুক আনার জন্য এগুলো আপনাকে মাস দুয়েক আগে থেকেই মেনে চলতে হবে।

 প্রয়োজনীয় ফেসিয়ালঃ বিয়ের দু’মাস আগে থেকে পার্লারে যেতে না পারলেও ত্বকের ধরণ বুঝে প্রয়োজনীয় ফেসিয়াল ক্তে হবে। আর সপ্তাহে একবার করে মেনিকিওর আর পেডিকিওর করান। ভ্রূ আপাতত প্লাগ করাবেন না। ভ্রূ বড় রাখুন, বিয়ের দিন সাজার আগে মূহুর্তে বড় ভ্রূ’তে নতুন করে শেপ নিয়ে নিন ভ্রূ প্লাগ করে।

কালচে দাগ দূর করুনঃ আপনার ত্বকে কোনো ধরণের কালচে দাগ থাকলে, হাতের কনুইয়ে কালচে ভাব থাকলে বা ঠোঁট কালো হলে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর সময় এক টুকরো লেবু ঘষে নিন। কিংবা দুধ বা দুধের সর ঘষলেও দারুণ উপকার পাবেন এক মাসের মধ্যেই।

নতুন কিছু ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুনঃ বিয়ের আগের দুই মাসে নতুন কোনো প্রোডাক্টস যেমন ফেসওয়াশ, ক্রিম, লোশন, বাজারের ফেসপ্যাক, মেকআপ ইত্যাদি যেগুলো আপনি আগে কখনও ব্যবহার করেন নি সেগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। আপনি সবসময় যেটি ব্যবহার করে অভ্যস্ত,সেটিই ব্যবহার করুন। ছবিঃ সংগৃহীত

শীতের কাপড়ের যত্ন

শীতের কাপড়ের যত্ন

শীতের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো সারা বছর যত্ন করে তুলে রাখা হয়। পুনরায় ব্যবহারের আগে তাই
অনেক দিন ঘরে থাকার ফলে যেকোনো কাপড়েই একধরনের গন্ধ হয়, থাকে রোগজীবাণু, পড়তে পারে দাগও। তুলে রাখা হলেও ময়লা হয়ে যেতে পারে এগুলো। পোকামাকড়ের উপদ্রবও হতে পারে।
চিত্রঃশীতের কাপড়ের যত্ন
শীতের কাপড়ের যত্ন
>> কাপড়ের ধরন, রঙের বিভিন্নতা, আর ময়লার ধরণ বলে দেবে কোনোটাতে দরকার পড়বে লন্ড্রি ওয়াশ, আবার কোনটা ড্রাই ওয়াশ করলেই চলবে।
>> রেশম ও পশমের কাপড়ে ঘামের দাগ লাগলে তা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হয়। পুরানো ঘামের দাগ ও রঙিন কাপড়ের দাগ উঠাতে অ্যামোনিয়া হাইড্রোজেন পার অক্সাইড এবং সোডিয়াম হাইপো সালফাইডের দ্রবণে পরপর ভিজিয়ে শুকাতে হবে। অথবা বোরাক্স পাউডার প্রয়োগ করে রোদে শুকাতে হবে।
>> পশমি কাপড় ওয়াশিং মেশিনে ধোয়া যায় না। শুধু লিকুইট ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুতে হয়। তার জন্য আপনাকে মাত্র ৫/১০ মিনিট ভিজিয়ে নিয়ে কচলে ধুয়ে পানি চেপে চেপে ফেলতে হবে।
>> সাধারণত ডিটারজেন্ট বা লিকুইড ডিটারজেন্ট ভালো করে পানির সাথে মিশিয়ে ২০/৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে উলের কাপড় হালকা হাতে কেঁচে ধুয়ে ফেলতে হবে।
>> কাশ্মিরি শাল বা সোয়েটার লিকুইট ডিটারজেন্ট দিয়ে ঘরেই ধোয়া যায়। তবে হালকা ধোয়ার পর তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে পানি বের করতে হবে এবং ছায়া যুক্ত স্থানে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে শুকাতে হবে।
>> লেদারের জ্যাকেট বারবার ওয়াশ করা যায় না। তাই মাঝে মাঝে অল্প রৌদ্রে দিয়ে ব্রাশ করে ঝেড়ে ফেলতে হবে। বছরে ১/২ বার ড্রাই ওয়াশ করানোই ভালো। অবশ্যই লেদারের জ্যাকেট হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। 

পা ফাটা রোধের ঘরোয়া টিপস

পা ফাটা রোধের ঘরোয়া টিপস

শীতকালে আরও অনেক সমস্যার পাশাপাশি পা ফাটা নিয়েও ঝামেলায় পড়েন অনেকেই। ফাটা পায়ে জ্বালা-পোড়া আর ব্যথা তো আছেই, সেই সাথে যুক্ত হয় পায়ের সৌন্দর্য্যহানীও। শুধুমাত্র শীতকাল ছাড়াও আরও অনেক কারণে আমাদের পা ফেটে যেতে পারে।
চিত্রঃপা ফাটা রোধে ঘরোয়া টিপস
পা ফাটা রোধে ঘরোয়া টিপস

* ম্যাসাজঃ প্রথমে পা পরিষ্কার করে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর গোড়ালির ফেটে যাওয়া জায়গায় অলিভ অয়েল/নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখুন সারারাত। সকালবেলা কুসুম গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে নিলেই গোড়ালির ফাটল কমে আসবে। গোসলের পরেও এ ম্যাসাজ অনেক কার্যকরী।

* ফুট মাস্কঃ গোড়ালি পরিষ্কার করে ধুয়ে শুকিয়ে নিয়ে হালকা গরম পানিতে ১৫ মিনিট পা ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর ১ টেবিল-চামচ ভ্যাসলিন ও ১ টেবিল-চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে এই মিশ্রন শুকনো পা ও গোড়ালির ফেটে যাওয়া স্থানে ত্বক শুষে না নেওয়া পর্যন্ত ঘষতে হবে।

* এছাড়াও
• পা নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
• পা ধোয়ার সময় গরম পানি ব্যবহার করুন।
• খালি পায়ে বাইরে যাবেন না।
• নরম জুতা বা স্যান্ডেল ব্যবহার করুন।
• রাতে পায়ে মোজা পরে শোবেন যাতে পায়ে ঠাণ্ডা না লাগে।
• আর প্রয়োজনে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

গোলাপ জলের ব্যবহার

গোলাপ জলের ব্যবহার

প্রাচীনকাল থেকে নারীর রুপচর্চায় একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে জড়িয়ে আছে 'গোলাপ জল'। আগে গোলাপ পাপড়ির নির্যাস থেকে গোলাপ জল তৈরি করে ব্যবহার করা হলেও এখন বাজারেই পাওয়া যাচ্ছে গোলাপ জল। দেশেবিদেশে নামীদামী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গোলাপ জল পাবেন আপনি খুব সহজেই। চলুন জেনে নেই গোলাপ জলের কিছু কাজ।
চিত্রঃগোলাপ জলের ব্যবহার
গোলাপ জলের ব্যবহার

গোলাপ জল অনেকটা হালকা দূষণ নাশক পদার্থ হিসেবে কাজ করে। ত্বকের ব্রণ, অ্যালার্জি ও খোসপাঁচড়া রোধে বেশ কার্যকর গোলাপ জল।
গোলাপ জল অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসেবে কাজ করে। গোলাপ জল আমাদের ত্বকের ক্যাপিলারিসকে শক্ত করে এবং লালচে ভাব কমায়।
গোলাপ জলের মোহনীয় সুগন্ধের জন্য এটি বিভিন্ন ফেশিয়াল ও স্পাতে ব্যবহৃত হয়। এটি আমাদের ত্বককে চকচকে করার পাশাপাশি নমনীয় করে।
গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে গোলাপ জল দুশ্চিন্তা ও বিরক্তির প্রভাব কমিয়ে আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাণোচ্ছল করে তোলে।

কালোজিরার যত গুণ

কালোজিরার যত গুণ

কালোজিরাকে বলা হয় মহাওষধ। নানাবিধ ক্ষেত্রে কালোজিরা বা কালোজিরা তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
চিত্রঃকালোজিরার যত গুণ
কালোজিরার যত গুণ
ব্রন দূর করেঃ কালোজিরার তেল ত্বকে যেকোনো সমস্যা দূর করতে কাজ করে। এক কাপ লেবুর রসে আধাটেবিল চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে নিন। এই তেল ত্বকে দিনে দুইবার ব্যবহার করুন। ত্বকের ফ্যাকাসে ভাব ও একনি দূর হয়ে যাবে।

ওজন কমাতেঃ যারা ওজন কমাতে চায় তাদের খাদ্য তালিকায় উষ্ণ পানি, মধু ও লেবুর রসের মিশ্রণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এখন এই মিশ্রণে কিছু কালোজিরা পাউডার ছিটিয়ে দিন। দারুণ উপকারী পানীয়।

রক্তচাপ কমাতেঃ  যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তাঁরা এক কাপ উষ্ণ পানিতে আধা চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে খান। এতে হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

অনিয়মিত মাসিক সারাতেঃ এক কাপ কাঁচা হলুদের রস বা সমপরিমাণ আতপ চাল ধোয়া পানির সাথে এক কাপ চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দৈনিক ৩বার করে নিয়মিত খেতে হবে। তাহলে অনেক ভাল কাজ হবে।

মায়ের দুধ বৃদ্ধি করতেঃ যেসব মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ নেই, তাদের জন্য মহৌষধ কালিজিরা। মায়েরা প্রতি রাতে শোয়ার আগে ৫-১০ গ্রাম কালিজিরা মিহি করে দুধের সাথে খেতে থাকতে হবে। মাত্র ১০-১৫ দিনে দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে। এছাড়া এ সমস্যা সমাধানে কালিজিরা ভর্তা করে ভাতের সাথে খেলেও ভাল হবে।

ত্বকের আদ্রতার বাড়াতেঃ শীতকালে ত্বকের আদ্রতার জন্য বডি লোশনের পরিবর্তে শুধু কালোজিরার তেল অথবা জাইতুন (অলিভওয়েল) তেল এর সাথে কালোজিরার তেল মিশিয়ে সারা শরীরে সারা শরীরে মালিশ করলে ত্বকের আদ্রতা ও লাবণ্যময় বৃদ্ধি হয় এবং চর্মরোগের ঝুঁকি কমে।

জন্ডিস বা লিভারের বিভিন্ন সমস্যার দূরীকরণেঃ লিভারের সুরক্ষায় ভেষজটি অত্যন্ত অসাধারন। লিভার ক্যান্সারের জন্য দায়ী আফলা টক্সিন নামক বিষ ধ্বংস করে কালিজিরা। যদি এক গ্লাস ত্রিফলার শরবতের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল দিনে ৩বার করে ৪/৫ সপ্তাহ খেতে পারেন তাহলে অনেক ভাল ফলাফল পাবেন।

শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতেঃ দুই বছরের অধিক বয়সী শিশুদের কালোজিরা খাওয়ানোর অভ্যাস করলে দ্রুত শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও অনেক কাজ করে কালোজিরা। দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কালোজিরার তেল সেবন করা উচিত নয়। তবে বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করা যাবে।

হজমের সমস্যা দূরীকরণেঃ হজমের সমস্যায় এক-দুই চা-চামচ কালিজিরা বেটে পানির সাথে খেতে হবে। এভাবে প্রতিদিন দু-তিনবার খেলে এক মাসের মধ্যে হজমশক্তি বেড়ে যাবে।

চুল পড়া বন্ধ করতেঃ কালিজিরা খাওয়ার ফলে চুল পড়া বন্ধ হবে। আরো ফল পেতে চুলের গোড়ায় এর তেল মালিশ করতে হবে।

দাঁত ব্যথা দূরীকরণেঃ দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালোজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে যাবে। কালোজিরা মুখের যেমন জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মেরে ফেলে।

শান্তিপূর্ণ নিদ্রার জন্যঃ কালোজিরার তেল ব্যবহারে রাতভর প্রশান্তিপূর্ন নিদ্রা হবে। তাই যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তারা কালোজিরা নিয়মিত খেতে পারেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ কালোজিরা যে কোন জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত করে তোলে এবং সার্বিকভাবে স্বস্থ্যের উন্নতি করে। ১ চামচ কালোজিরা অথবা কয়েক ফোটা কালোজিরার তেল ও ১চামচ মধুসহ প্রতিদিন খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

মেকআপ তোলার সময় আমরা যে ভুলগুলো প্রায়ই করি

মেকআপ তোলার সময় আমরা যে ভুলগুলো প্রায়ই করি

মেয়েদের সাজতে গেলে মেকাপ তো অপরিহার্য । কিন্তু, অনুষ্ঠান শেষে আপনার ত্বকের উপরে যে মেকাপ করেছিলেন, তার কথা ভুলে গেল তো চলবে না। দিনের শেষে যথাযথভাবে মেকআপ তোলা একটি জরুরী কাজ । নয়তো ত্বক হয়ে উঠবে রুক্ষ, মলিন আর অনুজ্জ্বল। মেকাপ তোলার সময় সঠিকভাবে মেকাপ পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে আমরা আমাদের অজান্তেই কিছু ভুল করে ফেলি। মিলিয়ে দেখুন আপনিও মেকআপ তোলার সময় এই ভুলগুলো করেন কিনা।
চিত্রঃমেকআপ তোলার সময় আমরা যে ভুলগুলো প্রায়ই করি
মেকআপ তোলার সময় আমরা যে ভুলগুলো প্রায়ই করি
১। মেকআপ সম্পূর্ণরূপে পরিস্কার না করাঃ ব্যস্ততার কারণে হয়তো মেকআপ পুরোপুরি পরিস্কার করলেন না আর তা নিয়েই ঘুমিয়ে পড়লেন অবশিষ্ট মেকআপ আপনার ত্বককে শুষ্ক করে ফেলবে যা পরবর্তীতে ত্বকের জন্য ডিহাইড্রেট  এর কারণ হিসেবে দেখা দিতে পারে।

২। ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ পরিস্কার না করাঃ অনেকেই মনে করেন যে, মেকআপওয়াইপ ব্যবহার করার পর আর ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ পরিস্কার করার দরকার নেই । কিন্তু আসলে এটি একটি ভুল ধারণা । মেকআপ ওয়াইপ ব্যবহার করার পর অন্যcleanser দিয়ে মুখ পরিস্কার করতে হবে এবং সবশেষে পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিস্কার করতে হবে।

৩ । একটি মেকআপ ওয়াইপ দিয়ে সব মেকআপ পরিস্কার করাঃ একটি  মেকআপ ওয়াইপ আপনার সব মেকআপ পরিস্কার করার জন্য মোটেই যথেষ্ট নয় । আলাদা আলাদা মেকআপ ওয়াইপ নিয়ে মুখ, চোখ,  ঠোট আলাদাভাবে পরিস্কার করাই মেকআপতোলার যথোপযুক্ত পদ্ধতি ।

৪। চোখের প্রসাধন পুরোপুরি পরিস্কার না করাঃ অনেকেই মুখ পরিষ্কার করলেও চোখের মেকাপের উপরে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু চোখের ত্বক অতি স্পর্শকাতর বিধায় চোখের মেকআপ সাবধানে ভালভাবে তু্লতে হবে।

৫। মেকআপ তোলার জন্য সঠিক  রিমুভার ব্যাবহার না করঃ চোখ, মুখ,ঠোট  এর মেকআপ তোলার জন্য আলাদা আলাদা রিমুভার রয়েছে । তাই একই রিমুভার দিয়ে সব মেকআপ না তুলে সঠিকভাবে আলাদা আলাদা মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করুন।

৬। মেকআপ তোলার জন্য গরম পানি ব্যবহার করাঃ অনেকের ধারণা গরম পানি দিয়ে ধোয়া হলে মেকআপ ভালোভাবে পরিষ্কার হবে। কিন্তু গরম পানির  ব্যবহার  আপনার ত্বককে শুষ্ক করে ফেলবে বা ত্বকের  চামড়া  ক্রমান্বয়ে কুচকে ফেলবে ।

৭ । ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ক্লিঞ্জার ব্যবহার না করাঃ যার যার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ক্লিঞ্জার ব্যবহার করাটা অতিশয়  জরুরী। আমরা সবাই জানি  তৈলাক্ত ত্বকের আর শুষ্ক  ত্বকের ক্লিঞ্জার কখনোই এক  হতে পারেনা । তাই, মেকআপ রিমুভার  কেনার সময় আপনার  ত্বকের ধরণটা মাথাই রেখেই রিমুভার কিনবেন।

৮। টাওয়েল দিয়ে ঘষে ঘষে মুখ পরিস্কার করাঃ নরম টাওয়েল দিয়ে হালকাভাবে চেপে চেপে মুখের পানি না শুকিয়ে ঘষে ঘষে মুখ মোছা অনেকের স্বভাব। কিন্তু এতে ত্বকের ক্ষতি হয়।

কাটা জায়গায় তুলা ব্যবহারে সাবধানতা

কাটা জায়গায় তুলা ব্যবহারে সাবধানতা

চিত্রঃকাটা জায়গায় তুলা ব্যবহারে সাবধানতা
কাটা জায়গায় তুলা ব্যবহারে সাবধানতা
কেটে গেলে ক্ষতস্থানে সাধারণত সকলেই অ্যান্টিসেপটিক, তুলা, ব্যান্ডেজ ব্যবহার করে থাকি ৷ রক্ত বন্ধ করতে বা কেটে যাওয়া পরিষ্কার করতে যে তুলা ব্যবহার করা হয় তাতে কিন্তু মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে৷ সম্প্রতি একটি দ্য হেলথসাইট ডট কম নামে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আর্টিক্যালে বলা হয়েছে তুলা ব্যবহারে হতে পারে বড় বিপদ ৷
এর মূল কারণ হচ্ছে অনেক সময় কেটে যাওয়া জায়গা পরিষ্কার করতে গিয়ে তুলার রোয়া আটকে যায় ৷ যা থেকে ইনফেকশন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ কারন তুলা আমরা অনেকেই বাড়ির যে কোনও জায়গাই রেখে থাকি ৷ এর ফলে তাতে ধুলা ও ময়লা জমতে থাকে ৷ তাই সেই তুলা ব্যবহার করলেও ইনফেকশন হতে পারে ৷ তুলা ব্যবহার করার আগে তাই সাবধান থাকুন ৷ দেখে নিন সেটি পরিষ্কার রয়েছে কিনা।
চিকিৎসকেরা বলছেন যে কোনও কাটা জায়গা আগে জলে ধুয়ে নিন। এতে ইনফেকশনের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায় ৷ রক্তক্ষরণে কম করার জন্য বরফ লাগান৷ গজ বা ব্যান্ডেজ ব্যবহার করতে পারেন। তবে রক্তক্ষরণ না কমলে শীঘ্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ছবি ও তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

গরম পানি পানের যত উপকারিতা

গরম পানি পানের যত উপকারিতা

পানি পানের প্রয়োজনীয়তা আর উপকারিতার কথা তো সবাই-ই জানে। দৈনিক অন্তত আট গ্লাস পানি পান করাটাকে চিকিৎসকেরা আমাদের শরীরের সুস্থতার জন্যে অত্যন্ত দরকারী বলে মনে করে থাকেন।
চিত্রঃগরম পানি পানের যত উপকারিতা
গরম পানি পানের যত উপকারিতা
>>  শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে গরম পানি বেশ কাজের। এটি খুব সহজেই শরীরে জমানো চর্বিকে গলতে সাহায্য করে।  গরম পানি বাড়তি কাজ হিসেবে শরীরের এডিপোস টিস্যুকেও ভাঙতে সাহায্য করবে।

>> ঠান্ডাজনিত যেকোন সমস্যায় এক গ্লাস গরম পানি দেয় অসম্ভব ভালো ফলাফল। নানারকম পেটের ব্যথায়, বিশেষ করে নিচের অংশের পেশীকে সহজ করে দিয়ে নারীদের পিরিয়ডের প্রচন্ড ব্যথাকে সহনীয় পর্যায়ে আনতে সাহায্য করে ইষদুষ্ণ এক গ্লাস পানি।

>> আমাদের শরীরে প্রতিদিন মৃত কোষের পরিমাণ বাড়ে, শরীরের ভেতরে নানারকম বিষাক্ত পদার্থ জমা হয়। এক্ষেত্রে এক গ্লাস গরম পানি অপ্রত্যাশিতভাবে সাহায্য করে।

>> গরম পানি পান করলে দ্রুত ঘাম হয় এবং মাধ্যামে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়। যা সহজেই শরীরকে রাখে জীবাণুমুক্ত।

>> গরম পানি পান যেহেতু শরীরের সব কোষ থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে, ফলে সহজেই এর মাধ্যমে মুক্তি পাওয়া যায় ব্রন থেক।

>> এছাড়াও গরম পানি ত্বকের নষ্ট হয়ে যাওয়া লাবণ্যকেও ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। তাই এক গ্লাস গরম পানি পান করলে ত্বক থেকে থেকে খুব সহজেই বয়সের ছাপ দূরে থাকবে।

>> গরম পানি পান চুলের কোষগুলোকে তাজা রাখে, চুলের গোড়াকে অনেক বেশি শক্তিশালী করে তুলে চুলকে কোমল ও পরিমাণে অনেকটা বেশি হয়ে উঠতে সাহায্য করে।

>> দিনে এক গ্লাস গরম পানি পান আপনার মাথার ত্বককেও খুশকিমুক্ত করে দিতে পারে পুরোপুরিভাবে।

>>  খাবার হজম করা, কোষ্ঠকাঠিন্য রোধসহ এমন আরো অনেক অনেকভাবে আমাদেরকে দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এক গ্লাস গরম পানি।

বগলের দুর্গন্ধ দূর করার সহজ টিপস

বগলের দুর্গন্ধ দূর করার সহজ টিপস

আমাদের গায়ের সোয়েট গ্লান্ড বা ঘামের গ্রন্থীগুলি যখন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কাজ করতে শুরু করে দেয়, তখন সারা শরীরে ব্য়কটেরিয়ার প্রাদুর্ভাব খুব বেড়ে যায়। কারণ ভেজা জায়গাতেই ব্য়াকটেরিয়ার বিস্তার সবথেকে বেশি পরিমাণে হয়। আর ব্য়াকটেরিয়া সংখ্য়া যত বাড়তে থাকে, তত দুর্গন্ধের মাত্রাও বাড়তে থাকে। আর এখন শীতের সময় হলেও অনেকের বগলে ঘাম হয় এবং তাতে দুর্গন্ধ বাড়ে। চলুন জেনে নেয়া যাক কিছু উপায় যাতে সহজেই দূত হবে বগলের দুর্গন্ধ।
চিত্রঃবগলের দুর্গন্ধ দূর করার সহজ টিপস
বগলের দুর্গন্ধ দূর করার সহজ টিপস

লেবুর রসঃ ত্বকের পি-এইচ লেবেল যত কম হবে, তত দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারি ব্য়াকটেরিয়ারা জন্ম নিতে পারবে না। ফলে কমবে শরীর থেকে বাজে গন্ধ বেরনোর সম্ভবনা। প্রসঙ্গত, লেবুর রস ত্বকের এই পি-এইচ লেভেল কম রাখতে সাহায্য় করে। তাই এই ধরনের সমস্য়া কমাতে লেবুর রস দারুন কাজে আসে।

টি-ট্রি অয়েলঃ এতে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক প্রপাটিজ, যা দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারি ব্য়াকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। ফলে গা থেকে আর বাজে গন্ধ বেরনোর সুযোগই পায় না। প্রসঙ্গত, টি-ট্রি অয়েল সরাসরি শরীরে লাগাবেন না। পরিমাণ মতো জলে এই তেল মিশিয়ে তারপর সারা গায়ে লাগালে ভাল ফল পাবেন।

এলোভেরা জেলঃ রাতে শুতে যাওয়ার আগে বগলে অল্প করে এলোভেরা জেল লাগিয়ে নিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে উঠেই স্নান করে ফেলুন। এমনটা প্রতিদিন করলে দেখবেন গা থেকে আর বাজে গন্ধ বেরবে না। ছবিঃ সংগৃহীত

ত্বক ভালো রাখার টিপস

ত্বক ভালো রাখার টিপস

চিত্রঃ ত্বক ভালো রাখার টিপস
ত্বক ভালো রাখার টিপস
* যোগব্যায়াম দেহের রক্ত সঞ্চালনকে ত্বরান্বিত করে। ফলে দেহ পায় বাড়তি অক্সিজেন আর উপকারী ফ্রি র‌্যাডিকেল, যার প্রভাব পড়ে ত্বকেও। হয়ে ওঠে তারুণ্য আর উজ্জ্বল।

* ত্বক ও চুলের সুস্থতা বজায় রাখতে শীতকালীন সবজি  এবং ফল চমৎকার। ফুলকপি, পাতাকপি, গাজর, ট্মেট, সিম, কমলা, আপেল ও বেরির মতো ফল ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখবে শীতজুড়ে।

* সপ্তাহে একদিন স্পা করতে পারেন ঘরে বসেই। এতে শীতের রুক্ষতা থেকে রক্ষা পাবে পুরো শরীর। ১ কাপ চিনির সঙ্গে ১/২ কাপ এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে পুরো শরীর স্ক্রাব করে নিন।

* তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে বেছে নিতে পারেন লেবু কিংবা জোজোবা তেল। এগুলো ত্বকের দাগ-ছোপ দূর করবে, রোধ করবে ব্রণ। ত্বকের সেরাম উৎপাদনের মাত্রাকে রাখবে স্বাভাবিক।

* ত্বক পরিষ্কারের জন্য ডবল ক্লেনজিং এখন জনপ্রিয়। এতে মূলত দুই ধরনের ক্লিনজার ব্যবহার করা হয়। একটা তেলযুক্ত ক্লিনজার, যা মেকআপ আর সেরামের মতো তৈলাক্ত ময়লাগুলো দূর করে। তারপর ব্যবহার করা হয় ফোম অথবা ক্রিম ক্লিনজার। ঘাম ও ধুলাবালুর মতো পানিযুক্ত ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক হয় পরিপূর্ণ পরিষ্কার।

* শীতে সূর্যটা খুব বেশি প্রখর না থাকলেও সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি এই সময়েও সমান ক্ষতিকর। প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা চাই। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি এসপিএফ-যুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যায়। শীতে ত্বক আর্দ্রও থাকবে, থাকবে সুরক্ষিত।

* শীতে বেশি সময় ধরে গোসল না করে অল্প সময়ে ঈষদুষ্ণ পানিতে গোসলটা সেরে নিন। গোসলের পরপরই ভারী ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন ত্বকে। ছবিঃ সংগৃহীত

মেকাপ রিমুভার হিসেবে নারকেল তেল!

মেকাপ রিমুভার হিসেবে নারকেল তেল!

বহুমুখী পণ্য হিসেবে নারকেল তেল ব্যবহার করা যায়। চুলের সমস্যা মোকাবেলা, ত্বক ময়শ্চারাইজিং থেকে নারকেল তেল বিশ্বজুড়ে অনেক লোকই মেকআপকে সরিয়ে ফেলার জন্য ব্যবহার করছেন। আপনি যদি একটি প্রাকৃতিক মেকআপ রিমুভার চান তাহলে নারকেল তেল আপনার জন্য উত্তম। নারকেল তেল ত্বকের গভীরতম স্তর মধ্যে প্রবেশ করে ত্বক ময়শ্চারাইজিং এ সাহায্য করে। উষ্ণতা মেকআপ দ্রুত গলতে সাহায্য করে। উষ্ণতর একটি মেকআপ রিমুভার হিসাবে নারকেল তেল শ্রেষ্ঠ কাজ করে।
চিত্রঃ মেকাপ রিমুভার হিসেবে নারকেল তেল!
সুতরাং, হাতে নিয়ে তেল কিছুক্ষন ঘষে মুখে লাগিয়ে নিতে পারেন অথবা প্রায় ১০-১৫ সেকেন্ডের জন্য মাইক্রোওয়েভ মধ্যে রেখে তারপর এটি ব্যবহার করতে পারেন। এরপরে তেলের ট্রেস অপসারণের জন্য শুষ্ক টিস্যু দিয়ে আপনার মুখটি মুছতে হবে। একটি হালকা পরিষ্কারকারী দিয়ে ধুয়ে নিন এবং ত্বকের ধরন ভেদে যথাযথ ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

কেন নারকেল তেল নিরাপদ?
কিছু মেকআপ রিমুভার ত্বকের জন্য কঠোর হতে পারে। অন্যদিকে নারকেল তেল, হালকা
 এবং সব ধরনের ত্বকেই কাজ করে। আপনার ত্বক ধরণ কি রকম তার উপর নির্ভর করে এটি ব্যবহার করুন। ত্বক এবং চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে নারকেল তেল মেকাপ রিমুভার হসেবে অত্যন্ত নিরাপদ। ছবিঃ ইন্টারনেট

চুলগুলোকে রাখুন ঝলমলে

চুলগুলোকে রাখুন ঝলমলে

শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতার অভাবে চুল হয়ে যায় নিষ্প্রাণ, শুষ্ক। সঠিকভাবে যত্ন না নিলে চুল পড়া বেড়ে যায়। তাই শীতকালে চুলের নিতে হয় বাড়তি যত্ন। তাই শীতকালেও চুলকে  স্বাস্থ্যোজ্বল, ঝলমলে রাখতে মেনে চলুন কিছু নিয়মঃ
চিত্রঃচুলগুলোকে রাখুন ঝলমলে
চুলগুলোকে রাখুন ঝলমলে

১। চুলে গরম পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। আমাদের মাথার ত্বক সাধারণত শুষ্ক থাকে, গরম পানি ব্যবহার ত্বক আরও বেশি শুষ্ক করে তোলে।
২। শ্যাম্পু করার ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তাই শীতকালে যতবার শ্যাম্পু করবেন ততবার কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন। বিশেষ করে এই সময় ক্রিমি কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত।
৩। শ্যাম্পু করার আগে তেল ম্যাসাজ করুন। নারকেল তেল, বাদাম তেল বা সরিষার তেল যেকোন তেল হালকা গরম করে মাথার তালুতে ম্যসাজ করে নিন। এটি মাথার তালুর রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে।
৪। শীতে কাবু হয়ে শ্যাম্পু করা বন্ধ করা যাবে না। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার শ্যাম্পু করা উচিত। এই সময় চুলে বেশি ময়লা হয়ে থাকে, তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করা উচিত।
৫। এই শীতে চুলের যত্নে নিয়মিত প্যাক ব্যবহার করুন। তা যেকোন কিছুর প্যাক হতে পারে। কলা, মধু, অ্যাডোকোডা, নিম পাতা এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি মাথায় ভাল করে লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট রাখুন। যা চুল পড়া রোধ করে নতুন চুল গোঁজাতে সাহায্য করে। নিম পাতা ত্বকের সকল প্রকার জীবাণু দূর করে চুলাকানি রোধ করে থাকে। ছবিঃসংগৃহীত

নারকেলের উপকারিতা

নারকেলের উপকারিতা

আমাদের দেশে দামে সস্তা এবং সারা বছরই পাওয়া যায় এমন একটি ফল হচ্ছে নারকেল। রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে নারকেলের ব্যবহার হয়ে আসছে বহুদিন ধরেই। এছাড়া খাবার হিসেবেও এটি জনপ্রিয়। নারিকেল তেলের রান্না করা খাবার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
চিত্রঃনারকেলের উপকারিতা
নারকেলের উপকারিতা

নারকেলের দুধঃ 
নারকেলের দুধ দিয়ে পোলাও, পিঠা, ইলিশ মাছ, মাংস রান্নার প্রচলন তো বহু পুরোনো। রূপচর্চার জন্যও নারকেলের দুধ  দারুণ এক উপকরণ।
* এক কাপ গোলাপের পাপড়ি, আধা কাপ গোলাপ জল ও এক কাপ নারকেলের দুধ হালকা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে গোসলের আগে এতে ১৫ মিনিট শরীর ভিজিয়ে রাখলে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকবে। এ ছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ঘরে তৈরি নারকেলের দুধ সরাসরি ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে বয়সের ছাপ দেখা দিলেও নারকেলের দুধ ব্যবহার করতে পারেন।
* রোদে পোড়া দাগ দূর করতে রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকের সেই অংশে নারকেলের দুধের প্রলেপ দিয়ে রাখুন। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে ধুয়ে নিলেই পোড়া দাগ থেকে মুক্তি মিলবে।

নারকেল তেলঃ
* নারকেল তেল রান্নায় আলাদা একটা ঘ্রাণ আনে। তবে বাজারে বোতলজাত করা নারকেল তেলে আরও নানা ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে, ফলে এই নারকেল তেল রান্নার জন্য উপযোগী নয়।
তবে অনেক প্রতিষ্ঠান আলাদা করে রান্নার উপযোগী নারকেল তেল বাজারজাত করে থাকে। এ ছাড়া সরাসরি নারকেল শুকিয়ে তেল করে নিয়েও রান্নায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
* নারকেল তেল চুলের যত্নে ব্যবহার করা হয়। মাথায় ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বক ঠান্ডা থাকে। চুল রুক্ষ হয়ে গেলে নারকেল তেল ব্যবহার করে ঘণ্টা খানেক পর শ্যাম্পু করে নিলে চুল ঝলমলে হবে।
* শীতের সময়ে অল্প একটু নারকেল তেল ঠোঁটে ঘষে নিলে ঠোঁট ফাটবে না।

এছাড়াও ত্বক ভালো রাখতে নারকেলের পানি ভীষণ উপকারি। ডাবের পানিতে পটাশিয়াম বেশি থাকায় তা শরীর ঠান্ডা রাখে। ডাবের পানিতে অল্প পরিমাণে সোডিয়াম থাকে।

বগলের কালো দাগ দূর করে নিজেকে করে তুলুন আকর্ষণীয় এবং আত্মবিশ্বাসী!

বগলের কালো দাগ দূর করে নিজেকে করে তুলুন আকর্ষণীয় এবং আত্মবিশ্বাসী!

বগলএবং দুই থাইয়ের মধ্যবর্তী স্থান ওয়াক্সিং কিংবা শেভিংয়ের  পরে খুবি কালচে দেখায়। যেহেতু এসব অঙ্গের যত্ন নিতে কেউ পার্লারে যেতে চান না, তাই জেনে নিন ঘরোয়া সহজ উপায়।
চিত্রঃবগলের কালো দাগ দূর করে নিজেকে করে তুলুন আকর্ষণীয় এবং আত্মবিশ্বাসী!
বগলের কালো দাগ দূর করে নিজেকে করে তুলুন আকর্ষণীয় এবং আত্মবিশ্বাসী!
১. ওয়াক্সিং করাঃ  আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচ কালো হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ সেভিং অথবা হেয়ার রিমুভিং ক্রিম। এজন্য ওয়াক্সিং করুন।  কিছুটা ব্যাথা লাগলেও এর মাধ্যমে চুল গোঁড়াসহ উঠে আসবে এবং এতে করে আপনার আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচ হবে ফর্সা। এটি এক্সফোলিইয়েটিং হিসেবেও কাজ করে।
২. ফর্সাকারী মাস্ক ব্যবহারঃ কালো আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচ ফর্সা করার জন্য ঘরে বসেই তৈরি করতে পারেন মাস্ক । এরজন্য ১/২ চা চামচ লবণ, ১/৩ কাপ গোলাপ জল, ১/৩ কাপ জনসন বেবি পাউডার একসাথে মিশিয়ে নিন। এটি আপনার আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচে এবং দুই থাইয়ের মধ্যবর্তী স্থানে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন আর ভালো ফলাফল দেখুন প্রথম বার ব্যবহারেই ।এটি প্রতিবার ওয়াক্সিং এর পর পরই এই মিশ্রন ব্যবহার ক্রুন এবং নিজেই ফলাফল টের পাবেন ।

শীতের হিমেল হাওয়ায় ফ্যাশনেবল হুডি

শীতের হিমেল হাওয়ায় ফ্যাশনেবল হুডি
শীতের সময় শুরু হয়েছে আরো আগেই। শহরবাসী এতদিন কনকনে শীতের অনুভুতি টের না পেলেও এখন কিন্তু বেশ ভালোই ঠান্ডা লাগছে। তাই চলছে শীতের পোশাকের প্রস্তুতি। পোশক একটু ফ্যাশনেবল চাইলে শীত ফ্যাশনের মাত্রায় যোগ হবে নানা উপকরণ। শীত ফ্যাশন ও পোশাকের বৈচিত্র্যে চলতি ট্রেন্ড হলো হুডি। সব বয়সের মানুষকেই হুডিতে বেশ মানিয়ে যায়। এ বছর মেয়েদের ও ছেলেদের লং ডিজাইনের জিপারওয়ালা হুডির চাহিদা বেড়েছে।
চিত্রঃশীতের হিমেল হাওয়ায় ফ্যাশনেবল হুডি
শীতের হিমেল হাওয়ায় ফ্যাশনেবল হুডি
চাদর-মাফলারের যুগ শেষ করে গরম পোশাকের কাতারে যুক্ত হয়েছে ওয়েস্টার্ন পোশাক। যার মধ্যে হুডিওয়ালা পোশাকের কদর সবচেয়ে বেশি। একটা সময় হুডি ব্যবহার হতো শুধু জ্যাকেটেই। এখন শুধু জ্যাকেট নয়, সোয়েটার, টি-শার্ট নানা ধরনের পোশাকেই হুডি জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। শীত পোশাকের পাশাপাশি ফ্যাশনটাও হয়ে যায় হুডির মাধ্যমে। আর তাই এখন বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে শীতের পোশাক হুডির। রঙ হিসেবে তরুণরা হালকা মেরুন, কালো, অফ হোয়াইট রঙের হুডিই বেশি পছন্দ করছেন। সব পোশাকের সঙ্গে কান ও মাথা ঢাকার হুড যুক্ত থাকে। ঢাকায় যেহেতু শীতের দাপট কম, তাই বর্তমানে হুডি শার্ট ও হুডি গেঞ্জি বেশ ভালো চলছে। ডিজাইনাররা এমব্রয়ডারি, কলারে হ্যান্ডস্টিচ, হাতের কাজ, বিভিন্ন কটন, চেইন ও বোতামের ভিন্নতা, টু-ইন-ওয়ানসহ বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করছেন, যা তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা এটা বহন করতে সহজ বলে পরতে পছন্দ করছে। আবার নিজেদের একটা বিশেষ স্টাইলও এতে প্রকাশ পায়। ফলে নিজেকে উপস্থাপন করা যায় ফ্যাশনেবল করে। ছবিঃসংগৃহীত

ফেসিয়াল করার সময় খেয়াল রাখুন

ফেসিয়াল করার সময় খেয়াল রাখুন

ফরসা ত্বক মানেই কিন্তু সুন্দর নয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা হচ্ছে সৌন্দর্য। আর ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রয়োজন ফেসিয়াল। ত্বকের ধরন বুঝে ফেসিয়াল, ফেসিয়ালের উপাদান নির্ধারণ করতে হয়।যেকোনো উৎসবের আগে ফেসিয়াল করলে এর আগে হোয়াইট টোনিং ম্যাসাজ করে নেওয়া ভালো। এরপর যার যে ফেসিয়াল প্রয়োজন, তা করে নিতে পারেন। এতে ত্বক পরিষ্কারের পাশাপাশি কিছুটা উজ্জ্বল দেখায়। কিন্তু ফেয়ার পলিশ না করাই ভালো। ফেয়ার পলিশের ব্লিচ ত্বকে ক্ষতির কারণ হতে পারে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসিয়াল করার সময় খেয়াল রাখতে হবেঃ
চিত্রঃফেসিয়াল করার সময় খেয়াল রাখুন
ফেসিয়াল করার সময় খেয়াল রাখুন

শুষ্ক ত্বকঃ শুষ্ক ত্বকের জন্য ফেসিয়ালের উপাদানগুলোর মধ্যে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার থাকা জরুরি। স্ক্রাবার যেন ক্রিমি হয়। সেখানে দুধ কিংবা দুধের সর ব্যবহার করা যেতে পারে। এমন ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা ফেসিয়াল করা যাবে।

তৈলাক্ত ত্বকঃ তৈলাক্ত ত্বকে অনেক সময় ব্রণ হয়। তাই ত্বককে শুষ্ক করতে পারে এমন ফেসিয়াল করতে হবে। তৈলাক্ত ত্বক স্পর্শকাতর হলে ফেসিয়ালে ক্রিমজাতীয়,পাউডার-জাতীয় উপাদানও এড়িয়ে যেতে হবে। লোমকূপে পাউডার জমে থাকলে ব্রণ বাড়ে। ব্রণ থাকলে নিম কিংবা ব্রণ ফেসিয়াল বা অক্সি ফেসিয়াল করা যাবে।

স্বাভাবিক বা মিশ্র ত্বকঃ মিশ্র ত্বককে আদর্শ ত্বক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেকোনো ফেসিয়াল, যেকোনো উপাদান দিয়ে নির্দ্বিধায় করতে পারেন।

ত্বকের কোনো স্থান যদি স্পর্শকাতর হয় তাহলে ফেসিয়ালের সময় তা খেয়াল রাখতে হবে। কারন ত্বকে কী উপাদান উপযুক্ত, তা বিবেচনা করে ফেসিয়াল করতে হবে। তবে গোল্ড ফেসিয়াল কিংবা ফ্রুট ফেসিয়াল বেশ কার্যকর। ছবিঃ সংগৃহীত

কেমন হবে শীতের সাঁজ!

কেমন হবে শীতের সাঁজ!

কেমন হবে শীতের সাঁজ!
জমকালো, স্টাইলিশ আর প্রাণজাগানো লুকের জন্য যতো এক্সপেরিমেন্ট, সেগুলোর বেশির ভাগই হতে পারে এই শীতে। মেকাপ গলে যাওয়ার ভয় না থাকলেও শুষ্কতার জন্য মেকাপ করার পরে অনেক সময় ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক দেখায়। তবে বেসিক কিছু জিনিস জানা থাকলে এটা কঠিন কিছু নয়।
যাদের স্কিন ড্রাই, তাদের মুখ পরিষ্কারের জন্য ক্লিনজিং মিল্ক ব্যবহার করা সবচেয়ে ভাল। সাধারণ থেকে অয়েলি স্কিন যাদের, তারা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। মুখে মৃত কোষ থাকলে, অল্প বেসন গুলে আলতো করে স্ক্রাবিং করে নিবেন। যাদের মুখে ওপেন পোর্স বা সূক্ষ ভাঁজ আছে, তারা অবশ্যই ভিটামিন যুক্ত টোনার দিয়ে টোনিং করবেন। এবার ফাউন্ডেশন নিন।
চিত্রঃকেমন হবে শীতের সাঁজ!
গায়ের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে অয়েল বা ওয়াটার বেইজড ফাউন্ডেশন লাগান। মুখে হালকা ভিজে ভাব থাকা অবস্থায়, ভাল কোনও ময়শ্চারাইজ়ার ফাউন্ডেশনে মিশিয়ে, নিজের মুখে এবং ঘাড়ে ভাল করে মেখে ফেলুন। খেয়াল রাখতে হবে, ফাউন্ডেশন যেন ত্বকের সঙ্গে পুরোপুরি মিশে যায়। মেকআপ করে দিনের বাইরে বেরুতে হলে মনে রাখবেন, শীতেও কিন্তু সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। তাই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সানস্ক্রিন মিশিয়ে নিতে হবে। এবার ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার হালকা করে পুরো মুখে মেখে নিতে হবে। তবে খুব বেশি ড্রাই স্কিন হলে, শীতকালে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার ব্যবহার না করাই ভাল। ব্লাশার ব্যবহার করতে চাইলে, স্কিনটোনের সঙ্গে মানাবে এমন শেডই ব্যবহার করবেন। অনেকেই গালে ব্লাশঅন লাগানো পছন্দ করেন না। এটি খুব জরুরি নয়, তবে চেহারায় তারুণ্য নিয়ে আসার জন্য ব্লাশঅন চমৎকার কাজ করে। তা ছাড়া এতে সাজকেও সম্পূর্ণ মনে হয়।
চিত্রঃকেমন হবে শীতের সাঁজ!
শীতে চোখকে ইচ্ছা মত সাজাতেই পারেন। আই মেকাপ গলে যাবার কোন চিন্তা নেই। ইচ্ছা মত মোটা করে লাইনার, কাজল আর মাস্কারা চলতেই পারে। আই শ্যাডো একটু ডার্ক রঙ খারাপ লাগবে না। রাতে চকোলেট, কপার, বারগেণ্ডী, নীল, গোল্ডেন, শিমারি আই শ্যাডো বেশ মানাবে। পাউডার বেস আই শ্যাডোর বদলে, শীতে একটু ক্রিমি আই শ্যাডো লাগান, ভালো লাগবে।
চিত্রঃকেমন হবে শীতের সাঁজ!

শীতের মেকআপ ট্রেন্ড সব সময়ই কিছুটা লাউড। ব্যবহৃত হয় উজ্জ্বল বেইজ, ঝলমলে শেড, গাঢ় লিপস্টিক আর ডিপ ব্লাশঅন। গলে পড়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় নেই বলে ম্যাটের পরিবর্তে ট্রেন্ডে উঠে আসে গ্লসি, শাইনি মেকআপ।  শীতকালে ফাটা ঠোঁটে লিপস্টিক একদম বাজে লাগে। এর জন্য লিপস্টিক লাগানোর আগে লাগিয়ে নিন লিপবাম। এছাড়াও শীতের জন্য গ্লসি লিপস্টিক একদম পারফেক্ট। আর যদি ম্যাট এফেক্ট খুবই পছন্দ হয় তাহলে, ক্রিমি ম্যাট লাগাবেন। আর বাড়িতে লিপবাম নিয়ম করে লাগাবেন। এতে ঠোঁটও নরম থাকবে।

তাহলে এখন একদম টেনশন ফ্রি হয়ে নিজেকে সাজান। তবে শীতে যতটা সম্ভব পাউডার বেস মেকাপের বদলে, ক্রিম বেস মেকাপের ব্যবহার করবেন। এতে মেকআপ করার পর মুখ শুকনো কালো লাগবে না। আর শুধু মুখ নয়, হাত-পায়েও ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন। দেখবেন ত্বকও টানটান থাকবে আর মেকাপও জমিয়ে হবে! ছবিঃসংগৃহীত

শীতে গরম পানিতে গোসলের কিছু উপকারিতা

শীতে গরম পানিতে গোসলের কিছু উপকারিতা

শীতের ঠান্ডা এড়িয়ে গরম পানিতে গোসল অনেক আরামদায়ক। গোসলের পানি গরম হলে শরীর তো পরিস্কার হয়ই, উপরন্তু কিছু বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। গোসলের জন্য গরম পানি যদি শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার কাছাকাছি পর্যায়ের গরম হয়, অর্থাৎ ৮৫ থেকে ৯২ ফারেনহাইট- এরূপ গরম পানি দিয়ে ২ থেকে ১৫ মিনিট গোসল করা যায়। তবে শীতের সময় চামড়া খারাপ হওয়ার বড় কারণ হচ্ছে গরম পানি। গরম পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের প্রাকৃতিক যে তেল আছে সেটি ধুয়ে যায়। প্রোটিনগুলোও চলে যায়। তাই গোসলের আগে ও পরে তেল ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা এবং অতিরিক্ত গরম পানি এড়িয়ে চলা উচিত।
চিত্রঃশীতে গরম পানিতে গোসলের কিছু উপকারিতা
শীতে গরম পানিতে গোসলের কিছু উপকারিতা
* গরম পানিতে গোসল করলে বাতের ব্যথা উপশম হয়। অস্থি সন্ধির ব্যথা কমে।
* শরীরের পেশির নমনীয়তা বাড়ে। লাঘব হয় পেশির ব্যথা। অনেকের মাথার ব্যথাও কমে যায়।
* গরম পানির প্রভাবে ত্বকের রক্তনালী প্রসারিত হয়। ফলে ত্বকে রক্ত সরবরাহ বাড়ে, ত্বক পুষ্টি পায় ভালো। মস্তিষ্কের ভার সামান্য লাঘব হয় কিছু সময়ের জন্য। তাই ঘুমের ১৫ মিনিট আগে গরম পানিতে গোসল করলে একটু ভালো ঘুম হয়।
* ত্বক সুস্থ রাখতেও শীতে হাল্কা গরম পানি দিয়ে গোসল করা যায়। এর ফলে ত্বকের আণুবীক্ষণিক ছিদ্রগুলো খুলে যায়। ফলে ভেতরকার ময়লা বের হয়ে যেতে পারে। ত্বক পরিস্কার হয়। ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ে। ত্বক থাকে বেশ কোমল।
* গরম পানির ভাপে নাকের কনজেশন বা নাক বন্ধ হয়ে থাকার ভাব কমে যায়। কমে যায় শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে থাকার ভাবও। নাকের ছিদ্র খোলে যায়, শ্বাসনালী প্রসারিত হয়। গরম পানির গোসলে তাই সাইনোসাইটিসে উপকার পাওয়া যায়। উপকার পাওয়া যায় শ্বাসকষ্টেও।
* ডায়াবেটিস রোগীতে ক্ষেত্রে গরম পানিতে গোসল রক্ত থেকে গ্লুকোজের পরিমাণ কমায়। এর ফলে ওজন কমে।
* সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ইত্যাদি থাকলেও গরম পানিতে গোসল করা উচিত। শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা হলেও গরম পানিতে গোসল উপকারে আসে।
* উচ্চ-রক্তচাপের সমস্যা থাকলেও গরম পানি দিয়ে গোসল উপকারী। এর ফলে স্ট্রেসমুক্ত হওয়া যায়। শরীর ফিট থাকে।
* নিয়মিত হাল্কা গরম পানি দিয়ে গোসল করলে মস্তিষ্ক শান্ত থাকে। এটি বুদ্ধি বাড়াতেও সাহায্য করে।
তাই বলে শুধু গরম পানিতেই গোসল করতে হবে তা কিন্তু নয়। গরম পানিতে গোসল কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যাদের হাইপারটেনশনসহ হৃদপিণ্ডজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য গরম পানিতে গোসল ভালো নয়। গরম পানি চুলের জন্য ক্ষতিকর। চুল দুর্বল হয়ে ভেঙ্গে যায়। তাই অতিরিক্ত শীতে গরম পানি ব্যবহার করলে সেই পানি হতে হবে হাল্কা কুসুম গরম পানি। ছবিঃ সংগৃহীত

নেইল পালিশ ব্যবহারের ক্ষতি!

নেইল পালিশ ব্যবহারের ক্ষতি!

নারীরা হাতের আঙুলের নখকে সুন্দর করতে নেল পালিশ ব্যবহার করে। নেল পালিশ তৈরিতে যেসব রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়, তা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
চিত্রঃনেইল পালিশ ব্যবহারের ক্ষতি!
নেইল পালিশ ব্যবহারের ক্ষতি!
ইথাইল বা বিউটাইল অ্যাসিটেট- অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নষ্ট করার ক্ষমতা রাখে এই রাসায়নিক। ইথাইল টসিলামাইড- অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষমতাকে প্রতিরোধ করে এই রাসায়নিক। টলুইন- প্রজননতন্ত্র, শ্বাসতন্ত্রে সমস্যা, মাথা যন্ত্রণা, ঝিমুনি, ফাটা ত্বকের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে এই রাসায়নিকের অত্যধিক ব্যবহারে।ডাই-বিউটাইল ফেটালেট- টক্সিক পদার্থ থাকে এই রাসায়নিকেও। বেশ কিছু দেশে এই রাসায়িক নিষিদ্ধ। ফর্ম্যালডিহাইড- এটি কার্সিনোজেনিক। অ্যালার্জি, স্কিন র‍্যাশ, চুলকানি হতে পারে এই রাসায়নিক থেকে। জাইলেন- প্রজননতন্ত্র, শ্বাসতন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে এই রাসায়নিকে। পাশাপাশি দেখা দিতে পারে মাথা ব্যথা, ঝিমুনির মতো লক্ষণও।ইট্রোসেলুলোজ- গাড়ির রঙে ব্যবহার করা হয় এই রাসায়নিক। মানুষের শরীরের পক্ষে এটি অত্যন্ত ক্ষতিকারক। প্যারাবেনস- প্রিজারভেটিভ হিসাবে ব্যবহার করা হয় এই রাসায়নিক পদার্থ। এটি কারসিনোজেনিক। টিপিএইচপি- প্রজননতন্ত্রে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে এই রাসায়নিকও। ক্যামফোর- বিষাক্ত এই রাসায়নিকের ফলে খিঁচুনি হতে পারে। হতে পারে স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যাও। তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

মশলাপাতি সংরক্ষণ

মশলাপাতি সংরক্ষণ

একটু অসাবধানতা কিংবা বেখেয়ালে প্রয়োজনীয় অনেক মশলাপাতি নষ্ট হয়ে যায়। একটু কৌশল করে রাখলেই যেকোনো মশলাই ভালো রাখা যাবে দীর্ঘদিন।
চিত্রঃমশলাপাতি সংরক্ষণ
চিত্রঃ মশলাপাতি সংরক্ষণ
১. বেশি পরিমাণে মশলা একসঙ্গে বাটা হলে মশলার ওপরে অল্প লবণ ছিটিয়ে নিন। বেশ কদিন ভালো থাকবে।
২. গরম মশলা কাচের বয়ামে ভরে মুখ আটকে রেখে রোদে রাখুন। এতে গরম মশলা ঝরঝরে থাকবে ও গন্ধ ভালো থাকবে।
৩. চাল রাখার পাত্রে কয়েকটা শুকনো নিমপাতা রেখে দিন, এতে পোকা লাগবে না।
৪. ডাল বেশি করে কিনে রেখে দিলে পোকা লেগে যায়। কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল ডালে ছিটিয়ে রেখে প্লাস্টিকের বয়ামে ভরে রাখুন। অনেক দিন ডাল ভালো থাকবে।
৫. চা পাতা অনেক দিন স্টোর করার আগে কড়া রোদে শুকিয়ে নিন। বেশি দিন চা পাতা তাজা থাকবে এবং চায়ের স্বাদও ভালো হবে।
৬. চিনি বেশি দিন মজুত করতে চাইলে গুঁড়া করে নিয়ে জারে ভরে রাখুন, এতে গুঁড়া চিনি পাত্রের তলায় জমে যাবে না।
৭. সুজি বেশি দিন রাখলে এর মধ্যে পোকা হয়। তাই সুজি টেলে ঠাণ্ডা করে এরপর মজুত করুন।
৮. গুঁড়া করা মশলা যেমন- জিরা, ধনিয়া, গোলমরিচ ইত্যাদি মজুত করার আগে হালকা তাপে টেলে নিয়ে ঠাণ্ডা করে কৌটায় রাখুন। অনেক দিন গন্ধ ভালো থাকবে।

ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ফেইস মাস্ক

ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ফেইস মাস্ক

ত্বকের যত্নে বিভিন্ন ধরনের ফেইস মাস্ক ব্যবহারের জনপ্রিয়তা নেহাত কম নয়। আবহাওয়া, অযত্ন ইত্যাদি নানান কারণে ত্বক আর্দ্রতা হারিয়ে শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বাহ্যিকভাবে ত্বকে পুষ্টি ও আর্দ্রতা যোগাতে উপযোগী মাস্ক ব্যবহার করতে হয়। নিয়মিত ক্রিম বা সিরাম ব্যবহারের ফলেও অনেক সময় ত্বকের আর্দ্রতার চাহিদা পূরণ হয় না। তবে মাস্কের কিছু উপাদান ত্বকে ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায়।
চিত্রঃত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ফেইস মাস্ক
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ফেইস মাস্ক
ত্বকে আর্দ্রতা যোগানোর মাস্কের জন্য প্রয়োজন হবে অর্ধেক শসা থেঁতলে এর সাথে ১ টেবিল-চামচ টক দই এবং ১ টেবিল-চামচ ওটসগুঁড়া মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ২০ ‍মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে হালকা হাতে মালিশ করে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের মৃত কোষও পরিষ্কার হবে। ছবিঃ সংগৃহীত

চুলের যত্নে মনে রাখুন


চুলের যত্নে মনে রাখুন

চিত্রঃচুলের যত্নে মনে রাখুন।
চুলের যত্নে মনে রাখুন। ছবিঃ সংগৃহীত
* ভেজা চুলে চিরুনি দেবেন না।* জেনেটিক, হরমোন পরিবর্তন বা মা হওয়ার পর চুল পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
* গোড়া শক্ত করে সব সময় চুল বাঁধবেন না।
* আয়রন ট্যাবলেট, সবুজ এবং হলুদ সবজি ও ফল বেশি করে খান।
* প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিমের সাদা অংশ, ভেড়ার মাংস, সয়াবিন, পনির, দুধ এবং দই চুলের জন্য খুব উপকারী।
* মাথার চামড়ার ওপর নরম ম্যাসাজ চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বাড়ায়, যা চুলের জন্য ভালো।
* মেডিটেশন, যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমায়, যা চুলের জন্য ভালো।
* কুমড়োর বিচি ফাইটোস্ট্রোজেনের উৎস, যা চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। এক চা-চামচ করে সপ্তাহে তিন চামচ বেটে চুলে দিলে এক্ষেত্রে কার্যকর হবে।
* কন্ডিশনার মাথার স্কাল্পে না, চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে ১ থেকে ২ মিনিট রেখে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
* ঘন দাঁতওয়ালা চিরুনি পরিহার করুন।
* উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত জাঙ্ক ফুডে চুল শক্ত হলেও ভঙুর হয়ে যায়।
* নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং প্রচুর পানি পান করুন।
* চিকন হওয়ার জন্য অতিরিক্ত ডায়েট কন্ট্রোল চুলের জন্য ক্ষতিকর।
* চুলকে কিছু সময় বিশ্রাম দেয়া উচিত। তাকে হাওয়ায় উড়তে দিন ইচ্ছামতো।

ত্বক ও চুল ভালো রাখে গোল্ডেন মিল্ক

ত্বক ও চুল ভালো রাখে গোল্ডেন মিল্ক

শীতের এই সময়ে পান করতে পারেন গোল্ডেন মিল্ক বা হলদি দুধ। যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন ইনফেকশন এবং রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি ত্বক উজ্জ্বল করে। চুলের বৃদ্ধিও ত্বরান্বিত করে। অ্যান্টি এজিং হিসেবেও দারুণ। বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যাতেও হলুদ বেশ উপকারী। এছাড়া এটি মুখের মাস্ক হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয় উজ্জ্বল এবং তারুণ্যদীপ্ত।
চিত্রঃত্বক ও চুল ভালো রাখে গোল্ডেন মিল্ক
ত্বক ও চুল ভালো রাখে গোল্ডেন মিল্ক
গোল্ডেন মিল্ক বানানো খুব সহজ। ১ কাপ দুধে ১/২ চা- চামচ হলুদ পেস্ট কিংবা গুঁড়া, সিকি চা-চামচ গোলমরিচের গুঁড়া, ১/২ ইঞ্চি দারুচিনি দিয়ে ফুটিয় তারপর ছেঁকে নিন। হাল্কা গরম গরম অবস্থায় পান করুন গোল্ডেন মিল্ক বা হলদি দুধ।
বাচ্চা থেকে বুড়ো সকল বয়সের মানুষের সর্দি-কাশি নিরাময়ে দুধ-হলুদ একটি উপকারী খাবার। হলুদে অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় তা সর্দি-কাশি উপশমে সহায়তা করে।

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি!

নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি! নারকেল তেল দিয়েই দূর করুন খুশকি! শীত, গরম বা বর্ষাকালেও খুশকির যন্ত্রনা যেন মেটে না। পার্লারের আহাম...

Our Popular Posts